বাংলালিংক নিয়ে এলো ওয়াইফাই কলিং (VoWiFi) সুবিধা

বাংলালিংক ওয়াইফাই কলিং বাংলাদেশের টেলিকম খাতে নতুন একটি প্রযুক্তি হিসেবে আলোচনায় এসেছে। এই সেবা চালুর ফলে গ্রাহকরা দুর্বল নেটওয়ার্ক এলাকাতেও আরও সহজে কথা বলতে পারবেন। প্রথমবারের মতো কোনো অপারেটর দেশে ওয়াইফাই দিয়ে ভয়েস কল সুবিধা চালু করায় এটি নিয়ে স্বাভাবিকভাবেই আগ্রহ বেড়েছে।

বাংলালিংক ওয়াইফাই কলিং সেবা মূলত সেই সব স্থানে সুবিধা দেবে, যেখানে মোবাইল সিগন্যাল কম পাওয়া যায়।

উঁচু ভবনের ভেতরে, বেসমেন্টে বা গ্রামীণ এলাকায় সিগন্যাল ঠিকঠাক না থাকলেও যদি WiFi থাকে, তাহলে স্বাভাবিক কল করা সম্ভব হবে।

আপনি কি কমদামে মিনিট, ইন্টারনেট ও বান্ডেল অফার কিনতে ইচ্ছুক!

ভিজিট করুন 👉

এই নতুন প্রযুক্তির মাধ্যমে কল আরও পরিষ্কার, স্থিতিশীল এবং বাধাহীন হবে।

দেশে ডিজিটাল যোগাযোগ ব্যবস্থায় উন্নতি আনতে এই উদ্যোগ বড় ভূমিকা রাখবে। Bangllink ওয়াইফাই কলিং শুধু নতুন একটি সুবিধা নয়, বরং ভবিষ্যতের যোগাযোগব্যবস্থায় এক গুরুত্বপূর্ণ ধাপ।

বাংলালিংক ওয়াইফাই কলিং কী

বাংলালিংক ওয়াইফাই কলিং হলো এমন একটি প্রযুক্তি যার মাধ্যমে মোবাইল নেটওয়ার্ক না থাকলেও WiFi ব্যবহার করে ভয়েস কল করা যায়। সাধারণ কলের মতোই ফোন করা ও রিসিভ করা যাবে, তবে সিগন্যালের বদলে ডেটা নেটওয়ার্ক কাজ করবে। এটি অনেকটা VoLTE-র মতো, তবে মোবাইল নেটওয়ার্কের বদলে WiFi দিয়ে কাজ করে।

এই সেবা ব্যবহার করলে কলের মান আরও উন্নত হয়। দুর্বল সিগন্যালের কারণে কথা কেটে যাওয়া বা শব্দ অস্পষ্ট হওয়ার মতো সমস্যা কমে যায়।

এমনকি আপনি বুঝতেও পারবেন না যে কলটি WiFi দিয়ে হচ্ছে। ফলে ব্যবহারকারীরা আরও স্বাচ্ছন্দ্যে কথা বলতে পারবেন।

বাংলালিংক ওয়াইফাই কলিং কিভাবে চালু করবেন

বাংলালিংক ওয়াইফাই কলিং কিভাবে চালু করবেন

বাংলালিংক ওয়াইফাই কলিং চালু করতে প্রথমে আপনার স্মার্টফোনে এই ফিচার সমর্থন আছে কিনা নিশ্চিত হতে হবে। বেশ কিছু নতুন ফোনে VoWiFi সুবিধা থাকে।

ফোনের সেটিংসে গিয়ে Mobile Network বা Connection অপশনে WiFi Calling অপশন পাওয়া যাবে। সেটি চালু করলেই ফিচারটি সক্রিয় হবে।

তবে ফোনের সফটওয়্যার আপডেট থাকা জরুরি। একই সঙ্গে আপনি যে WiFi নেটওয়ার্ক ব্যবহার করছেন সেটির স্থিতিশীল সংযোগও থাকতে হবে।

ফিচারটি চালুর পর কল করলে ফোন স্ক্রিনে WiFi Calling বা VoWiFi লেখা দেখা যেতে পারে, যা নিশ্চিত করে সেবাটি সক্রিয় হয়েছে।

আরও পড়ুনঃ বাংলালিংক ২০ জিবি ২১৯ টাকা ৩০ দিন মেয়াদ

বাংলালিংক ওয়াইফাই কলিং কারা ব্যবহার করতে পারবেন

এই সুবিধা ধীরে ধীরে সব বাংলালিংক গ্রাহকদের জন্য উন্মুক্ত হবে। শুরুতে নির্দিষ্ট কিছু স্মার্টফোন মডেলে এবং নির্দিষ্ট অঞ্চলে সেবা দেওয়া হচ্ছে।

বিশেষ করে ঢাকা ও চট্টগ্রামের কিছু এলাকায় এবং নির্দিষ্ট ISP-এর WiFi নেটওয়ার্কে এটি আগে চালু করা হয়েছে।

যারা নিয়মিত ব্রডব্যান্ড WiFi ব্যবহার করেন, তারা এই সুবিধা বেশি উপভোগ করবেন।

ধীরে ধীরে সারাদেশে এটি বিস্তৃত করা হবে বলে আশা করা যাচ্ছে। ফোনে ফিচারটি থাকলে শুধু সেটিংস থেকে চালু করলেই সেবা ব্যবহার করা যাবে।

আরও পড়ুনঃ বাংলালিংক মোবাইল ব্যাংকিং সেবা কবে শুরু হবে এখনি জানুন

FAQs

বাংলালিংক ওয়াইফাই কলিং কি সবার জন্য চালু হয়েছে?

এখনো সবার জন্য নয়। ধীরে ধীরে স্মার্টফোন মডেল ও এলাকাভিত্তিকভাবে সেবাটি সক্রিয় করা হচ্ছে।

ওয়াইফাই কলিং ব্যবহার করতে অতিরিক্ত কোনো অ্যাপ লাগবে কি?

না, কোনো অ্যাপ লাগবে না। সাধারণ কলের মতোই ডায়াল করলেই হবে। শুধু ফোনে ফিচারটি চালু থাকতে হবে।

WiFi Calling কি অতিরিক্ত চার্জ নেয়?

সাধারণত মোবাইল নেটওয়ার্ক কল রেটই প্রযোজ্য হয়। WiFi দিয়ে কল হলেও আলাদা কোনো চার্জ নেওয়া হয় না।

ফোনে যদি নেটওয়ার্ক না থাকে, তবুও কি কল করা যাবে?

হ্যাঁ, মোবাইল সিগন্যাল কম থাকলেও WiFi থাকলে সহজেই কল করা যাবে।

কোন কোন স্মার্টফোনে এই ফিচার কাজ করবে?

বেশিরভাগ নতুন স্মার্টফোনে VoWiFi সুবিধা থাকে। নির্দিষ্ট মডেলের তালিকা বাংলালিংকের সাইটে পাওয়া যাবে।

শেষ কথা 

Bangllink ওয়াইফাই কলিং সেবা দেশের টেলিকম খাতে নতুন এক সম্ভাবনার দরজা খুলে দিয়েছে।

দুর্বল সিগন্যাল এলাকা থেকেও এখন নিরবচ্ছিন্নভাবে কথা বলা সম্ভব হবে।

এই সুবিধা ব্যবহারকারীদের যোগাযোগ আরও সহজ এবং নির্ভরযোগ্য করে তুলবে।

ভবিষ্যতে প্রযুক্তির আরও উন্নতি হলে WiFi Calling বাংলাদেশের যোগাযোগব্যবস্থার বড় অংশ হয়ে উঠবে।

বাংলালিংকের এই উদ্যোগ ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার যাত্রায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।

আরও পড়ুনঃ সিমের মালিকানা পরিবর্তন করার নিয়ম 

টেক নিউজ আপডেট সবার আগে পেতে জয়েন করুন আমাদের ফেসবুক পেজ। 

WhatsApp Group Join Now
Telegram Group Join Now
আপনি কি কমদামে মিনিট, ইন্টারনেট ও বান্ডেল অফার খুঁজছেন!

ভিজিট করুন 👉

━ ━ ━ ━ ━ ━ ━ ━

ডিজিটাল টাচ
ফেসবুক পেইজ লাইক করে সাথে থাকুনঃ এই পেজ ভিজিট করুন
ডিজিটাল টাচ সাইটে বিজ্ঞাপন দিতে চাইলে যোগাযোগ করুনঃ এই লিংকে
Sharing Is Caring:

আমি শেখ মোঃ আমিনুল ইসলাম (সুজন)। ডিজিটাল টাচ ডটকম এর প্রতিষ্ঠাতা ও লেখক। এইচএসসি (বিজ্ঞান); চাঁদপুর সরকারি কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়।

Leave a Comment