সরকারি অফিসের হয়রানি উত্তরণে আসছে ‘অ্যাপ’

বাংলাদেশে ব্যবসা শুরু করা অনেক উদ্যোক্তার জন্য এখনো একটি বড় চ্যালেঞ্জ। সরকারি দপ্তরে গিয়ে বিভিন্ন ধাপ সম্পন্ন করতে গিয়ে অনেকেই হয়রানির শিকার হন। এই বাস্তবতায় বিডা অ্যাপ কিভাবে কাজ করবে তা জানা আজকের উদ্যোক্তাদের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

ব্যবসা শুরু করতে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র, অনুমোদন ও নিবন্ধন প্রক্রিয়া সহজ করতে বিডার এই পদক্ষেপ নতুন দিগন্ত খুলে দেবে।

উদ্যোক্তারা সরকারের বিভিন্ন দপ্তরে সরাসরি গিয়ে সেবা নিতে গেলে জটিলতার মুখে পড়তেন। এসব ঝুঁকি কমাতে বিডা অ্যাপ কিভাবে কাজ করবে তা তুলে ধরা প্রয়োজন।

আপনি কি কমদামে মিনিট, ইন্টারনেট ও বান্ডেল অফার কিনতে ইচ্ছুক!

ভিজিট করুন 👉

অ্যাপটি চালু হলে ঘরে বসেই সব প্রক্রিয়া সম্পন্ন করা যাবে, যা উদ্যোক্তাদের সময়, শ্রম এবং খরচ কমাতে সাহায্য করবে।

বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (বিডা) ইতোমধ্যে জানিয়েছে, এই অ্যাপ আগামী বছর থেকেই ব্যবহারের জন্য উন্মুক্ত হবে। সরকারি সেবার আধুনিকায়ন এবং উদ্যোক্তাদের হয়রানি রোধে এই ডিজিটাল প্ল্যাটফর্ম হবে বড় পরিবর্তন।

বিডা কি?

বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ বা বিডা হলো এমন একটি সরকারি সংস্থা, যা দেশে বিনিয়োগ বৃদ্ধি, ব্যবসায়িক পরিবেশ উন্নয়ন এবং উদ্যোক্তাদের সেবা নিশ্চিত করতে কাজ করে। প্রতিষ্ঠানটি ব্যবসা শুরু করার জন্য প্রয়োজনীয় অনুমোদন, নীতিমালা, পরামর্শ এবং সহায়তা দিয়ে থাকে।

দীর্ঘদিন ধরে উদ্যোক্তাদের অভিযোগ ছিল সরকারি দপ্তরে জটিলতা ও সময়ক্ষেপণ তাদের ব্যবসা শুরুর ক্ষেত্রে বড় বাধা।

এই সমস্যাগুলো দূর করতে বিডা দেশের ব্যবসা-বান্ধব পরিবেশ গড়ে তুলতে বিভিন্ন ডিজিটাল ব্যবস্থা চালু করছে।

বর্তমানে ব্যবসায়িক নিবন্ধন, অনুমোদন এবং বিভিন্ন লাইসেন্স প্রাপ্তির ক্ষেত্রে বিডা একক সেবার ব্যবস্থা তৈরির চেষ্টা করছে।

এরই অংশ হিসেবে নতুন বিডা অ্যাপ উন্নয়ন করা হচ্ছে।

সরকারি অফিসের হয়রানি উত্তরণে আসছে অ্যাপ

ব্যবসায়ী এবং উদ্যোক্তাদের অভিযোগ বহুদিনের যে সরকারি দপ্তরে সেবা নিতে গেলে অযথা সময়ক্ষেপণ, জটিলতা, তথ্যের স্বচ্ছতার অভাব এবং এমনকি হয়রানির মত সমস্যার মুখোমুখি হতে হয়। জাতীয় এসএমই পণ্য মেলায় বিডার নির্বাহী চেয়ারম্যান আশিক চৌধুরী জানান, আগামী বছর থেকেই এসব সমস্যা অনেকটাই দূর হবে।

তিনি বলেন, উদ্যোক্তাদের আর সরকারি দপ্তরে ঘুরতে হবে না; বরং অ্যাপের মাধ্যমেই নিবন্ধনসহ সব সেবা পাওয়া যাবে।

এতে সরকারি কর্মীদের স্বেচ্ছাচারিতা কমবে এবং সময়মতো সেবা নিশ্চিত করা সম্ভব হবে। এই অ্যাপ উদ্যোক্তাদের ডিজিটালভাবে তথ্য জমা, আবেদন করা এবং অনুমোদন গ্রহণের সুযোগ দেবে।

আরও পড়ুনঃ জমির ১০ ধরনের নামজারি বাতিল | নতুন নিয়ম জানুন এখনই

বিডা অ্যাপ কিভাবে কাজ করবে

বিডা অ্যাপ কিভাবে কাজ করবে তা বোঝার জন্য প্রথমে জানতে হবে এটি একটি সম্পূর্ণ ডিজিটাল সেবা প্ল্যাটফর্ম। উদ্যোক্তারা এখানে তাদের ব্যবসার নাম, ঠিকানা, প্রয়োজনীয় ডকুমেন্ট এবং নিবন্ধন তথ্য অনলাইনে জমা দিতে পারবেন।

অ্যাপটি তাদের ধাপে ধাপে নির্দেশনা দেবে কোন কাগজপত্র লাগবে এবং কোন ধাপ সম্পন্ন করতে হবে।

অ্যাপটি বিভিন্ন সরকারি দপ্তরের সঙ্গে সংযুক্ত থাকবে। ফলে আবেদনকারীদের আলাদা করে প্রতিটি দপ্তরে যেতে হবে না।

আবেদন জমা দিলে সংশ্লিষ্ট বিভাগ তা পর্যালোচনা করে অনুমোদন দেবে। অ্যাপ ব্যবহারকারীরা রিয়েল-টাইমে আবেদন স্ট্যাটাস, আপডেট এবং প্রয়োজনীয় নোটিফিকেশন দেখতে পারবেন।

সব মিলিয়ে এটি ব্যবসা নিবন্ধনকে সম্পূর্ণ ডিজিটাল ও সহজ করবে।

ব্যবসায়ীদের কি ধরনের লাভ হবে

বিডা অ্যাপ চালু হলে ব্যবসায়ীরা সবচেয়ে বড় যে লাভটি পাবেন তা হলো সময় সাশ্রয়।

আগে যেখানে একটি নিবন্ধন পেতে সপ্তাহের পর সপ্তাহ লেগে যেত, এখন তা কয়েক ঘণ্টাতেই সম্পন্ন হতে পারে। পাশাপাশি সরকারি দপ্তরের হয়রানি, অনিশ্চয়তা এবং ঘুষের ঝুঁকিও কমে আসবে।

এছাড়া ব্যবসা শুরু করতে প্রয়োজনীয় অনুমোদন ও লাইসেন্স এক জায়গা থেকেই নেওয়া যাবে। উদ্যোক্তারা ঘরে বসেই প্রয়োজনীয় নথি আপলোড করতে পারবেন।

প্রক্রিয়াটি সহজ হওয়ায় নতুন উদ্যোক্তাদের আগ্রহ বাড়বে, ফলে দেশের অর্থনীতিতেও ইতিবাচক প্রভাব পড়বে।

আরও পড়ুনঃ টেলিটক ১৭ টাকা ২ জিবি ইন্টারনেট অফার

FAQs

বিডা অ্যাপ কী?

বিডা অ্যাপ হলো একটি ডিজিটাল প্ল্যাটফর্ম যা ব্যবসায়ীদের নিবন্ধন ও অনুমোদন প্রক্রিয়াকে সহজ করতে তৈরি করা হচ্ছে। এটি সম্পূর্ণ অনলাইন সেবা দেবে।

এই অ্যাপ ব্যবহার করতে কি কোনো খরচ লাগবে?

সরকারি নিয়ম অনুযায়ী নির্ধারিত ফি থাকতে পারে, তবে অ্যাপ ব্যবহারের জন্য আলাদা চার্জ রাখার সম্ভাবনা কম।

বিডা অ্যাপ কবে চালু হবে?

বিডার নির্বাহী চেয়ারম্যান জানিয়েছেন, অ্যাপটি আগামী বছর চালু করা হবে। উদ্যোক্তারা তখন থেকেই এটি ব্যবহার করে সেবা নিতে পারবেন।

বিডা অ্যাপ কিভাবে কাজ করবে?

উদ্যোক্তারা অ্যাপের মাধ্যমে নিবন্ধন, ডকুমেন্ট জমা, অনুমোদন প্রক্রিয়া অনুসরণ এবং স্ট্যাটাস দেখতে পারবেন। পুরো প্রক্রিয়াটি ডিজিটালভাবে সম্পন্ন হবে।

অ্যাপটি কি নতুন উদ্যোক্তাদের সাহায্য করবে?

হ্যাঁ, এটি ব্যবসা শুরুর জটিলতা কমাবে, সময় বাঁচাবে এবং হয়রানি কমাবে। ফলে নতুন উদ্যোক্তাদের জন্য এটি বিশেষভাবে উপকারী হবে।

উপসংহার

বাংলাদেশে ব্যবসায়িক পরিবেশ উন্নয়নের ক্ষেত্রে বিডা অ্যাপ একটি গুরুত্বপূর্ণ অগ্রগতি।

উদ্যোক্তাদের দীর্ঘদিনের ভোগান্তি কমিয়ে একটি সম্পূর্ণ ডিজিটাল সেবা ব্যবস্থা চালু হলে দেশের অর্থনীতিতে ইতিবাচক পরিবর্তন আসবে।

বিডা অ্যাপ কিভাবে কাজ করবে তা জানা প্রতিটি উদ্যোক্তার জন্য দরকার, কারণ ভবিষ্যতে ব্যবসা নিবন্ধনের প্রধান মাধ্যম হবে এই অ্যাপ।

সরকারি সেবা সহজ করা এবং সময় সাশ্রয় করার মাধ্যমে অ্যাপটি উদ্যোক্তাদের উৎপাদনশীলতা বাড়াবে।

ফলে ব্যবসায়িক খাত আরও সমৃদ্ধ হবে এবং দেশের উন্নয়নে নতুন মাত্রা যোগ করবে।

আরও পড়ুনঃ রবি নতুন কলরেট অফার থাকছে ১০ সেকেন্ড পালস কল রেট

প্রিয় পাঠক রবি সিমের সকল কোড সম্পর্কে আপনার কোন তথ্য জানার থাকলে কমেন্ট করুন। জয়েন করুন আমাদের ফেসবুক পেজ।

WhatsApp Group Join Now
Telegram Group Join Now
আপনি কি কমদামে মিনিট, ইন্টারনেট ও বান্ডেল অফার খুঁজছেন!

ভিজিট করুন 👉

━ ━ ━ ━ ━ ━ ━ ━

ডিজিটাল টাচ
ফেসবুক পেইজ লাইক করে সাথে থাকুনঃ এই পেজ ভিজিট করুন
ডিজিটাল টাচ সাইটে বিজ্ঞাপন দিতে চাইলে যোগাযোগ করুনঃ এই লিংকে
Sharing Is Caring:

আমি শেখ মোঃ আমিনুল ইসলাম (সুজন)। ডিজিটাল টাচ ডটকম এর প্রতিষ্ঠাতা ও লেখক। এইচএসসি (বিজ্ঞান); চাঁদপুর সরকারি কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়।

Leave a Comment