আপনি কি বিকাশ থেকে লোন নিতে চান কিন্তু জানেন না কিভাবে বা কে এই সুবিধা পেতে পারে? ২০২৫ সালে বিকাশ তার গ্রাহকদের জন্য আরও সহজ ও দ্রুত লোন সুবিধা চালু করেছে। এখন আর ব্যাংকে যাওয়ার ঝামেলা নেই, শুধুমাত্র বিকাশ অ্যাপ ব্যবহার করেই আপনি নির্দিষ্ট শর্ত পূরণ করে লোন নিতে পারবেন। এই পোস্টে জানুন বিকাশ লোন কি, কে যোগ্য, কিভাবে আবেদন করবেন এবং এর সুবিধাগুলো।
Content Summary
বিকাশ লোন কি?
বিকাশ লোন হলো বিকাশ ও সিটি ব্যাংকের যৌথ উদ্যোগে দেওয়া একটি ডিজিটাল ঋণ সেবা। এই লোন সাধারণত স্বল্প মেয়াদী ও ছোট পরিমাণের, যা আপনি আপনার বিকাশ অ্যাপ থেকেই নিতে পারেন। ব্যাংকে যাওয়া, কাগজপত্র জমা বা সাক্ষাৎকার কোনো কিছুই প্রয়োজন হয় না।
বর্তমানে বিকাশ নূন্যতম ৫০০ টাকা থেকে সর্বোচ্চ ৫০,০০০ টাকা পর্যন্ত লোন প্রদান করে থাকে। এই অর্থ আপনি ব্যক্তিগত প্রয়োজনে, ব্যবসায়িক কাজে বা জরুরি পরিস্থিতিতে ব্যবহার করতে পারেন।
বিকাশ থেকে লোন পাওয়ার যোগ্যতা
বিকাশ থেকে লোন পেতে কিছু নির্দিষ্ট শর্ত পূরণ করতে হয়। নিচে বিস্তারিত দেখুনঃ
- আপনার বিকাশ অ্যাকাউন্ট কমপক্ষে ৬ মাস সক্রিয় থাকতে হবে।
- নিয়মিত বিকাশে লেনদেন (টাকা পাঠানো, রিচার্জ, বিল পেমেন্ট) করতে হবে।
- অ্যাকাউন্টে পূর্ণাঙ্গ KYC ফর্ম (NID, ঠিকানা, ব্যক্তিগত তথ্য) পূরণ থাকতে হবে।
- আবেদনকারীর বয়স ১৮ বছর বা তার বেশি হতে হবে।
- বিকাশ ও সিটি ব্যাংক লেনদেন ইতিহাস অনুযায়ী ক্রেডিট স্কোর তৈরি করে। ভালো স্কোর মানে লোন পাওয়ার সম্ভাবনা বেশি।
- আবেদনকারীকে বাংলাদেশের নাগরিক হতে হবে এবং বৈধ জাতীয় পরিচয়পত্র থাকতে হবে।
মোট কথা হচ্ছে আপনি যত বেশি টাকা লেনদেন করবেন আপনার লোণ পাওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকবে।
আরও পড়ুনঃ রবি আনলিমিটেড ইন্টারনেট সাথে ১৯০০ ফ্রি মিনিট, মেয়াদ ৩০ দিন
বিকাশ লোন পাওয়ার প্রক্রিয়া
বিকাশ থেকে লোন নেওয়ার ধাপগুলো খুব সহজঃ
নিন্মে বিকাশ লোন নেয়ার নিয়ম দেয়া হল।
- বিকাশ অ্যাপে লগইন করুন এবং নিশ্চিত করুন অ্যাপটি সর্বশেষ সংস্করণে আছে।
- হোমপেজ থেকে “লোন” অপশনটি নির্বাচন করুন।
- বিকাশ আপনার অ্যাকাউন্ট তথ্য যাচাই করে জানাবে আপনি লোনের জন্য যোগ্য কিনা।
- আবেদন ফর্মে পরিমাণ ও পরিশোধের সময়সীমা নির্ধারণ করুন।
- আবেদন জমা দিলে, বিকাশ ও সিটি ব্যাংক তা পর্যালোচনা করে অনুমোদন দেবে।
- অনুমোদিত হলে লোনের টাকা সরাসরি বিকাশ অ্যাকাউন্টে জমা হবে।
আরও পড়ুনঃ আপনার নামে কয়টি সিম রেজিস্ট্রেশন করা আছে জানবেন কিভাবে
বিকাশ লোনের সুবিধা
- দ্রুত অনুমোদন: ব্যাংক লোনের তুলনায় অনেক দ্রুত প্রক্রিয়া হয়।
- সহজ আবেদন: কোনো ডকুমেন্ট বা সাক্ষাৎকার লাগে না।
- ছোট ঋণ সুবিধা: কম পরিমাণেও লোন পাওয়া যায়, যা সাধারণ গ্রাহকের উপযোগী।
- গ্রামীণ এলাকার সুযোগ: যেকোনো জায়গা থেকে মোবাইল দিয়ে আবেদন সম্ভব।
- ডিজিটাল সুবিধা: লোন নেওয়া ও পরিশোধ—সব কিছু এক অ্যাপে।
শেষ কথা
২০২৫ সালে বিকাশ লোন সুবিধা আরও সহজ ও ব্যবহারবান্ধব হয়েছে। যদি আপনি বিকাশের নিয়মিত ব্যবহারকারী হন এবং শর্তগুলো পূরণ করেন, তাহলে খুব সহজেই লোন নিতে পারবেন।
তবে লোন নেওয়ার আগে সুদের হার ও পরিশোধ সময়সীমা ভালোভাবে বুঝে নিন।
বিকাশ লোন শুধু আর্থিক সহায়তা নয়, বরং এটি আপনার বিশ্বস্ত ডিজিটাল সঙ্গী হতে পারে জরুরি প্রয়োজনে।
ভিজিট করুন 👉
━ ━ ━ ━ ━ ━ ━ ━
ডিজিটাল টাচ ফেসবুক পেইজ লাইক করে সাথে থাকুনঃ এই পেজ ভিজিট করুন ।ডিজিটাল টাচ সাইটে বিজ্ঞাপন দিতে চাইলে যোগাযোগ করুনঃ এই লিংকে।


