মোবাইল ফোন এখন শুধু যোগাযোগের মাধ্যম নয়, এটি আমাদের জীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশ। কাজ, বিনোদন, অনলাইন ক্লাস কিংবা কনটেন্ট তৈরি থেকে শুরু করে প্রায় সবক্ষেত্রেই মোবাইলের ব্যবহার দিন দিন বাড়ছে।
বিশ্বব্যাপী এখন মোবাইল ফোনের বাজার বছরে প্রায় ৫২ হাজার কোটি ডলার ছাড়িয়েছে। সাম্প্রতিক তথ্য অনুযায়ী, ২০২৫ সালের দ্বিতীয় প্রান্তিকে বিশ্ববাজারে ২৯ কোটি ৫২ লাখ মোবাইল ফোন সরবরাহ হয়েছে, যা আগের বছরের তুলনায় ১% বেশি।
বর্তমানে আড়াই শতাধিক মোবাইল ব্র্যান্ড এই বাজারে প্রতিযোগিতা করছে। এর মধ্যে কিছু ব্র্যান্ড তাদের মান, উদ্ভাবন, প্রযুক্তি, এবং ব্যবহারকারীর আস্থার কারণে বিশ্বের শীর্ষ তালিকায় জায়গা করে নিয়েছে। নিচে সেই বিশ্বের শীর্ষ ১০টি মোবাইল ব্র্যান্ডের নাম ও কারণ তুলে ধরা হলো।
Content Summary
বিশ্বের শীর্ষ ১০টি মোবাইল ব্র্যান্ডের নাম এবং কোন ব্রান্ড টি কোন দেশের এ সম্পর্কে বিস্তারিত

মূলত ব্র্যান্ডগুলোকে তাদের কাস্টমার রিভিউ, দাম এবং বাৎসরিক আয় এর পরিমাণ এর উপর ভিত্তি করে রেংকিং দেয়া হয়েছে।
আপনার কাছে হয়তো ভালো নাও লাগতে পারে বিশ্বের কোটি কোটি মানুষ নানা ব্র্যান্ডের মোবাইল ব্যবহার করছে এবং তাদের রিভিউ দিচ্ছে। বিশ্ব বিখ্যাত পত্রিকা তাদের ওয়েবসাইটে বিশ্বের শীর্ষ ১০ টি মোবাইল ব্র্যান্ড কোম্পানির নাম প্রকাশ করেছে।
বিশ্বের শীর্ষ ১০টি মোবাইল ব্র্যান্ড গুলির মধ্যে শীর্ষস্থানে রয়েছে স্যামসাং। এবং বর্তমানে ১০ নম্বর অবস্থানে রয়েছে চায়নার একটি মোবাইল কোম্পানি আনার।
চলুন কথা না বাড়িয়ে বিশ্বের শীর্ষ ১০টি মোবাইল ব্র্যান্ড সম্পর্কে জেনে নেই।
১. স্যামসাং (Samsung) – দক্ষিণ কোরিয়া
বর্তমানে বিশ্বের এক নম্বর মোবাইল ব্র্যান্ড হলো স্যামসাং। ১৯৩৮ সালে প্রতিষ্ঠিত এই কোম্পানি বর্তমানে ৮০টিরও বেশি দেশে কাজ করছে। ফ্ল্যাগশিপ ফোনের নকশা, ডিসপ্লে মান, এবং পারফরম্যান্সের জন্য স্যামসাংয়ের ফোন বিশেষ জনপ্রিয়।
স্যামসাংয়ে বৈশ্বিক মার্কেট শেয়ার: ১৯.৭%
২. অ্যাপল (Apple) – যুক্তরাষ্ট্র
অ্যাপল ১৯৭৬ সালে যাত্রা শুরু করে এবং এখন বিশ্বের অন্যতম প্রভাবশালী ব্র্যান্ড। iPhone, iCloud, ও Apple Watch একে এক অনন্য ইকোসিস্টেমে পরিণত করেছে। নিরাপত্তা ও গোপনীয়তার জন্য অ্যাপল বিশ্বব্যাপী আস্থা অর্জন করেছে।
অ্যাপলের বৈশ্বিক মার্কেট শেয়ার: ১৫.৭%
৩. শাওমি (Xiaomi) – চীন
২০১০ সালে শুরু হওয়া শাওমি বর্তমানে বিশ্বের অন্যতম জনপ্রিয় স্মার্টফোন ব্র্যান্ড। কম দামে ভালো পারফরম্যান্স, দ্রুত চার্জিং, এবং আকর্ষণীয় ডিজাইনের জন্য শাওমি বিশেষ জনপ্রিয়।
শাওমির মার্কেট শেয়ার: ১৪.৪%
৪. ভিভো (Vivo) – চীন
ভিভো ২০০৯ সালে যাত্রা শুরু করে এবং বর্তমানে ৯.২% বাজার দখল করে আছে। উন্নত ক্যামেরা ও সাশ্রয়ী দামের কারণে এটি তরুণ ব্যবহারকারীদের মধ্যে বিশেষ জনপ্রিয়।
ভিভো’র মার্কেট শেয়ার: ৮.৫%
৫. অপো (Oppo) – চীন
অপো ফোন তার স্টাইলিশ ডিজাইন ও শক্তিশালী ক্যামেরা পারফরম্যান্সের জন্য পরিচিত। এ ব্র্যান্ডের ফোনে দ্রুত চার্জিং সুবিধা এবং প্রিমিয়াম লুক থাকায় অনেক ক্রেতা একে পছন্দ করেন।
অপো’র মার্কেট শেয়ার: ৮.৫%
৬. ওয়ানপ্লাস (OnePlus) – চীন
ওয়ানপ্লাস ২০১৩ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়। তুলনামূলক কম দামে ফ্ল্যাগশিপ পারফরম্যান্স দেওয়াই এর মূল শক্তি। প্রযুক্তিপ্রেমী ব্যবহারকারীদের কাছে এটি একটি বিশ্বস্ত ব্র্যান্ড।
৭. রিয়েলমি (Realme) – চীন
২০১৮ সালে চালু হওয়া রিয়েলমি মূলত তরুণ ও গেমারদের লক্ষ্য করে তৈরি। সাশ্রয়ী দামে উচ্চক্ষমতাসম্পন্ন ফোন ও আকর্ষণীয় ডিজাইন এ ব্র্যান্ডকে জনপ্রিয় করেছে।
৮. মটোরোলা (Motorola) – যুক্তরাষ্ট্র
প্রায় এক শতাব্দী পুরনো এই ব্র্যান্ড এখনও প্রাসঙ্গিক। বাজেট ফোন থেকে শুরু করে ভাঁজ করা ফোন—মটোরোলা তার উদ্ভাবনী নকশার জন্য প্রশংসিত।
৯. গুগল (Google Pixel) – যুক্তরাষ্ট্র
গুগলের পিক্সেল ফোন মূলত কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ও উন্নত ক্যামেরা পারফরম্যান্সের জন্য পরিচিত। যারা অ্যান্ড্রয়েডের নিখুঁত অভিজ্ঞতা চান, তাদের জন্য এটি আদর্শ ব্র্যান্ড।
১০. অনার (Honor) – চীন
২০১৩ সালে হুয়াওয়ের সাব-ব্র্যান্ড হিসেবে শুরু হলেও এখন অনার একটি স্বাধীন কোম্পানি। কম দামে প্রিমিয়াম ফিচার ও ডিজাইনের কারণে অনার দ্রুত জনপ্রিয় হয়েছে।
আরও পড়ুনঃ iSIM কি এবং iSIM কিভাবে কাজ করে
কেন তারা বিশ্বের শীর্ষ মোবাইল ব্র্যান্ড
এই ব্র্যান্ডগুলো কেবল ফোন তৈরি করে না, তারা প্রযুক্তির নতুন মানদণ্ড গড়ে দেয়।
তাদের সাফল্যের মূল কারণগুলো হলো:
- উদ্ভাবনী ফিচার ও উন্নত প্রযুক্তি
- গ্রাহক আস্থা ও সাপোর্ট
- শক্তিশালী মার্কেটিং ও গ্লোবাল উপস্থিতি
- ভোক্তাবান্ধব মূল্য ও ডিজাইন
- সফটওয়্যার ও হার্ডওয়্যারের নিখুঁত সমন্বয়
সেই সাথে বিশ্বের শীর্ষ ১০টি মোবাইল ব্র্যান্ড সব সময় গ্রাহকদের নতুন প্রযুক্তি দেওয়ার চেষ্টা করে।
আপনি নিজেও মোবাইল ব্যবহার করলে অবশ্যই সবচেয়ে ভালো মোবাইলটি পছন্দ করবেন।
আপনি কোন মোবাইল থেকে এই নিবন্ধনটি করছেন অবশ্যই কমেন্ট করে জানাবেন।
আরও পড়ুনঃ জিপি ইন্টারনেট অফার ৩৬৫ দিন মেয়াদ
উপসংহার
বিশ্বের মোবাইল বাজারে প্রতিযোগিতা যতই বাড়ছে, ততই ব্র্যান্ডগুলো নতুন প্রযুক্তি, ডিজাইন ও পারফরম্যান্সে একে অপরকে ছাড়িয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছে।
ভবিষ্যতে iSIM, AI ইন্টিগ্রেশন, এবং ফোল্ডেবল ডিভাইস এই প্রতিযোগিতাকে আরও তীব্র করে তুলবে।
আশা করি আপনি বিশ্বের শীর্ষ ১০টি মোবাইল ব্র্যান্ড সম্পর্কে জানতে পেরেছেন।
আপনি কোন ব্র্যান্ডের ফোন ব্যবহার করেন? নিচে কমেন্টে জানাতে পারেন।
টেক দুনিয়ার খবরা-খবর সবার আগে পেতে জয়েন করুন আমাদের ফেসবুক পেজ।
তথ্যসূত্র: গ্লোবালব্র্যান্ডসম্যাগাজিন ডটকম
ভিজিট করুন 👉
━ ━ ━ ━ ━ ━ ━ ━
ডিজিটাল টাচ ফেসবুক পেইজ লাইক করে সাথে থাকুনঃ এই পেজ ভিজিট করুন ।ডিজিটাল টাচ সাইটে বিজ্ঞাপন দিতে চাইলে যোগাযোগ করুনঃ এই লিংকে।


