মোবাইলে ঘরে বসেই আয়কর রিটার্ন জমা দেওয়া যায়। বিকাশে আয়কর রিটার্ন দাখিলের নিয়ম সহজ হলেও অনেকেই জানেন না কিভাবে দিতে হয়। বাংলাদেশে এখন ডিজিটাল পদ্ধতিতে আয়কর রিটার্ন দাখিল করা আগের যেকোনো সময়ের চেয়ে সহজ হয়েছে।
এখন ঘরে বসেই আপনি বিকাশ অ্যাপের মাধ্যমে আয়কর রিটার্ন দাখিল করতে পারেন। এতে সময় বাঁচে, লাইনে দাঁড়াতে হয় না, আর লেনদেনও পুরোপুরি নিরাপদ।
আজকের এই পোস্টে আমরা বিস্তারিত জানব বিকাশে আয়কর রিটার্ন দাখিলের নিয়ম, সাথে জানব অনলাইনে আয়কর রিটার্ন করার প্রক্রিয়া ও প্রয়োজনীয় তথ্য।
Content Summary
আয়কর রিটার্ন কী?
আয়কর রিটার্ন হলো আপনার বা আপনার ব্যবসার বছরে মোট আয়, ব্যয়, এবং কর সম্পর্কিত তথ্য সরকারের কাছে জমা দেওয়ার একটি আনুষ্ঠানিক প্রতিবেদন। এটি মূলত একটি হিসাব যা দেখায় আপনি বছরে কত আয় করেছেন এবং কত ট্যাক্স দিতে হবে।
বাংলাদেশে যাদের আয় নির্দিষ্ট সীমার উপরে, তাদের প্রত্যেক বছর আয়কর রিটার্ন দাখিল করা বাধ্যতামূলক। এখন এই প্রক্রিয়াটি ডিজিটাল হওয়ায় মোবাইল থেকেই সহজে করা যায়।
অনলাইনে আয়কর রিটার্ন দাখিলের নিয়ম

অনলাইনে আয়কর রিটার্ন দাখিল করতে প্রথমে যেতে হবে eReturn পোর্টালে (https://etaxnbr.gov.bd)। সেখানে নিবন্ধন সম্পন্ন (এটি একাউন্ট তৈরি করুন) করার পর ধাপে ধাপে নিচের প্রক্রিয়া অনুসরণ করুন:
- লগইন করুন আপনার NID এবং পাসওয়ার্ড দিয়ে।
- আয়ের তথ্য, ব্যয়ের তথ্য এবং কর ছাড় সম্পর্কিত অংশগুলো পূরণ করুন।
- প্রয়োজনীয় কাগজপত্র আপলোড করুন (যেমন টিন সার্টিফিকেট, বেতন স্লিপ, ব্যাংক স্টেটমেন্ট ইত্যাদি)।
- সব তথ্য যাচাই করে “Submit Return” বাটনে ক্লিক করুন।
- শেষে একটি রিসিট পাবেন যা ভবিষ্যতে রেফারেন্স হিসেবে রাখতে হবে।
এই পুরো প্রক্রিয়াটি মোবাইল বা কম্পিউটার উভয় মাধ্যমেই সম্পন্ন করা যায়।
আরও পড়ুনঃ MVNO সিমে থাকছে আনলিমিটেড ইন্টারনেট ও ভয়েস কলের সুবিধা
বিকাশে আয়কর রিটার্ন দাখিলের নিয়ম ২০২৫
২০২৫ সাল থেকে বিকাশ অ্যাপ এর মাধ্যমে সরাসরি আয়কর রিটার্ন দাখিল এবং কর পরিশোধ করা সম্ভব হয়েছে। এটি বাংলাদেশ সরকারের National Board of Revenue (NBR) এবং বিকাশের যৌথ উদ্যোগে চালু হয়েছে।
ধাপে ধাপে পদ্ধতিটি নিচে দেওয়া হলো:
- বিকাশ অ্যাপটি খুলুন এবং “Pay Bill” অপশনে যান।
- Government Fee থেকে NBR নির্বাচন করুন।
- আপনার TIN নম্বর, Assessment Year এবং Amount লিখুন।
- তথ্য যাচাই করে Confirm করুন।
- বিকাশ থেকে সফলভাবে ট্যাক্স পেমেন্ট সম্পন্ন হলে আপনি একটি ডিজিটাল রিসিট পাবেন।
এই রিসিটটি আপনি অনলাইনে দাখিলকৃত রিটার্নের সাথে সংযুক্ত করতে পারেন। ফলে সম্পূর্ণ প্রক্রিয়াটি মোবাইল থেকেই শেষ করা যায়।
বিকাশে ট্যাক্স দেওয়ার সুবিধা
- লাইনে দাঁড়ানোর ঝামেলা নেই
- ২৪/৭ পেমেন্ট সুবিধা
- সরকারি অনুমোদিত পেমেন্ট চ্যানেল
- রিসিট স্বয়ংক্রিয়ভাবে ইমেলে বা অ্যাপে সংরক্ষিত থাকে
আরও পড়ুনঃ ৩০ নভেম্বরের ই-রিটার্ন জমা দেয়ার শেষ সময়, দেরি করলে দিতে হবে জরিমানা
FAQs – আয়কর রিটার্ন সম্পর্কে প্রশ্ন উত্তর
হ্যাঁ, আয়কর রিটার্ন দাখিলের জন্য বৈধ টিন (TIN) নম্বর থাকা বাধ্যতামূলক।
এটি নির্ভর করে আপনার আয় এবং করযোগ্য পরিমাণের উপর। সাধারণত ২০০০ টাকার নিচে ট্যাক্স জমা দেওয়া যায় না।
লেনদেন সম্পন্ন হলে বিকাশ অ্যাপে এবং SMS-এ রিসিট পাওয়া যায়, যা প্রিন্ট করে রাখাও সম্ভব।
না, NBR অনুমোদিত এই পেমেন্টে বিকাশ কোনো অতিরিক্ত চার্জ নেয় না।
প্রতিবছর সাধারণত ৩০ নভেম্বর আয়কর রিটার্ন দাখিলের শেষ দিন হিসেবে নির্ধারিত থাকে।
উপসংহার
বিকাশে আয়কর রিটার্ন দাখিলের নিয়ম জানলে ট্যাক্স দেওয়া আর কঠিন নয়। আপনি চাইলে ঘরে বসেই মোবাইল ফোন দিয়ে কয়েক মিনিটে ট্যাক্স জমা দিয়ে দিতে পারেন।
এই পদ্ধতিটি শুধু সহজ নয়, বরং সম্পূর্ণ নিরাপদ ও সরকারি অনুমোদিত। তাই দেরি না করে আজই বিকাশ অ্যাপে লগইন করে নিজের আয়কর রিটার্ন জমা দিন।
আরও পড়ুনঃ স্বাধীন দিচ্ছে আনলিমিটেড ইন্টারনেট মাত্র ১৫০ টাকায় ৩০ দিনের জন্য
টেলিকম অপারেটর নিউজ এবং টেক নিউজ সবার আগে পেতে জয়েন করুন আমাদের ফেসবুক পেজ।
ভিজিট করুন 👉
━ ━ ━ ━ ━ ━ ━ ━
ডিজিটাল টাচ ফেসবুক পেইজ লাইক করে সাথে থাকুনঃ এই পেজ ভিজিট করুন ।ডিজিটাল টাচ সাইটে বিজ্ঞাপন দিতে চাইলে যোগাযোগ করুনঃ এই লিংকে।


