বাংলাদেশের ভূমি ব্যবস্থায় আসছে এক বড় পরিবর্তন। ১৯০৮ সাল থেকে শুরু করে ২০২৫ সাল পর্যন্ত দেশের সব দলিল এখন ধাপে ধাপে স্ক্যান করে অনলাইনে সংরক্ষণ করা হচ্ছে।
এর মাধ্যমে দেশের প্রতিটি নাগরিক যেকোনো সময়, যেকোনো স্থান থেকে নিজের দলিল অনলাইনে যাচাই, দেখার ও ডাউনলোড করার সুযোগ পাবেন। এই উদ্যোগ বাস্তবায়ন হলে দলিল সংক্রান্ত জালিয়াতি, প্রতারণা এবং সরকারি অফিসে হয়রানির যুগ শেষ হবে।
আগে কেউ যদি দলিল হারিয়ে ফেলত, সেটি খুঁজে বের করতে বা নকল তুলতে রেজিস্ট্রি অফিসে ঘুরতে হতো, অনেক সময় দিতে হতো ঘুষও।
এখন সরকারি নির্ধারিত মাত্র ২০ টাকায় অনলাইনে দলিল যাচাই করা সম্ভব হবে। এতে সাধারণ নাগরিক থেকে শুরু করে প্রবাসীরাও সহজে নিজেদের সম্পত্তি সুরক্ষিত রাখতে পারবেন।
Content Summary
অনলাইনে দলিল স্ক্যান প্রকল্পের মূল লক্ষ্য
সরকারের মূল উদ্দেশ্য হলো পুরোনো কাগজভিত্তিক দলিল ব্যবস্থাকে পুরোপুরি ডিজিটাল করা। এর ফলে কেউ আর জাল দলিল তৈরি করে অন্যের জমি বিক্রি করতে পারবে না। প্রতিটি দলিল এখন ইউনিক নম্বরের মাধ্যমে সংরক্ষিত থাকবে, যা অনলাইনে যাচাই করা যাবে।
নাগরিকদের সুবিধা কী হবে?
নতুন এই ডিজিটাল দলিল ব্যবস্থায় ভূমি মালিকদের জন্য সময় ও অর্থ দুই-ই বাঁচবে। আগে একটি দলিল খুঁজে পেতে যেখানে দিন লেগে যেত, এখন কয়েক মিনিটেই তা অনলাইনে দেখা সম্ভব হবে।
প্রবাসী বাংলাদেশিরা বিদেশে বসেই নিজের সম্পত্তির দলিল ডাউনলোড করতে পারবেন। এতে প্রতারণার ঝুঁকি কমবে এবং জমি নিয়ে আইনি বিরোধও অনেকটা হ্রাস পাবে।
আরও পড়ুনঃ ই ট্রেড লাইসেন্স করার নিয়ম ও খরচ
জাল দলিল প্রতিরোধে শক্তিশালী সিস্টেম
সরকার জানিয়েছে, অনলাইনে কেবল বৈধ দলিলই অন্তর্ভুক্ত হবে। কোনো জাল দলিল বা ত্রুটিপূর্ণ তথ্য থাকলে সেটি সিস্টেমে গৃহীত হবে না। নাগরিকদের পরামর্শ দেওয়া হয়েছে, যেসব পুরোনো দলিল এখনো ডিজিটাল হয়নি, সেগুলো যাচাই করে নিকটস্থ রেজিস্ট্রি অফিসে জমা দিতে।
কবে নাগাদ অনলাইন সিস্টেম পুরোপুরি চালু হবে
পর্যায়ক্রমে দেশের সব রেজিস্ট্রি অফিসের দলিল স্ক্যান ও ডিজিটাল আর্কাইভে যুক্ত করা হচ্ছে। ইতিমধ্যে ঢাকার কিছু এলাকার দলিল অনলাইনে পাওয়া যাচ্ছে। ২০২৫ সালের মধ্যেই পুরো সিস্টেম চালুর লক্ষ্য নিয়েছে সরকার।
ভূমি মালিকদের করণীয়
যাদের দলিল পুরোনো, তারা চাইলে রেজিস্ট্রি অফিসে গিয়ে তা স্ক্যানের জন্য জমা দিতে পারেন। এছাড়া অনলাইনে পাওয়া না গেলে সংশ্লিষ্ট অফিস থেকে দলিলের ডিজিটাল কপি তোলা যাবে। সবসময় দলিল নম্বর, রেজিস্ট্রেশন তারিখ ও মালিকের তথ্য যাচাই করে রাখা ভালো।
FAQs
২০২৫ সালের মধ্যে দেশের সব রেজিস্ট্রি অফিসের দলিল ধাপে ধাপে অনলাইনে যুক্ত হবে বলে জানিয়েছে সরকার।
সরকারি নির্ধারিত ফি মাত্র ২০ টাকা। আগের মতো বাড়তি ঘুষ বা ফি দিতে হবে না।
যেসব দলিল এখনো ডিজিটাল হয়নি, সেগুলো নিয়ে নিকটস্থ রেজিস্ট্রি অফিসে গিয়ে স্ক্যানের জন্য আবেদন করতে হবে।
হ্যাঁ, বৈধ দলিল অনলাইনে পাওয়া গেলে সেটি যাচাই ও ডাউনলোড করা যাবে।
অবশ্যই। প্রতিটি দলিল ইউনিক আইডিতে সংরক্ষিত থাকবে, যা জালিয়াতি প্রতিরোধে সহায়তা করবে।
উপসংহার
১৯০৮ থেকে ২০২৫ সালের সব দলিল অনলাইনে স্ক্যান হওয়ার ফলে বাংলাদেশে ভূমি ব্যবস্থায় এক নতুন যুগের সূচনা হবে।
নাগরিকরা সহজে, দ্রুত এবং নিরাপদে নিজেদের সম্পত্তির দলিল অনলাইনে যাচাই ও সংরক্ষণ করতে পারবেন।
এতে শুধু হয়রানি ও দুর্নীতি কমবে না, বরং জমি নিয়ে অপ্রয়োজনীয় মামলা ও বিরোধও অনেকটা হ্রাস পাবে।
আরও পড়ুনঃ সঞ্চয়পত্র কেনার সঠিক নিয়ম | যেসব বিষয়ে সতর্ক থাকবেন
এখন বাংলাদেশের সকল দলিল অনলাইনে স্ক্যান করা হয়নি, তবে দ্রুতই হচ্ছে এবং গ্রাহক্রা ব্যবহার করতে পারবেন।
দেখে নেয়া যাক কবে পর্যন্ত দলিল অনলাইনে স্ক্যান সেস হয় ততক্ষণ আমাদের সাথে থাকুন এবং জয়েন করুন আমাদের ফেসবুক পেজ।
ভিজিট করুন 👉
━ ━ ━ ━ ━ ━ ━ ━
ডিজিটাল টাচ ফেসবুক পেইজ লাইক করে সাথে থাকুনঃ এই পেজ ভিজিট করুন ।ডিজিটাল টাচ সাইটে বিজ্ঞাপন দিতে চাইলে যোগাযোগ করুনঃ এই লিংকে।


