ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় হঠাৎ করে ১৪ দিনের জন্য বন্ধ ঘোষণা করেছে, যা স্বাভাবিকভাবেই শিক্ষার্থী, অভিভাবক এবং সংশ্লিষ্ট সবার মাঝে উদ্বেগ তৈরি করেছে। সাম্প্রতিক ভূমিকম্প এবং পরবর্তী ঝাঁকুনির কারণে ক্যাম্পাসে নিরাপত্তা ঝুঁকি বেড়েছে। তাই প্রশাসন দ্রুত সিদ্ধান্ত নিতে বাধ্য হয়েছে। এই ঘটনার বিশদ বোঝার জন্য এর পেছনের কারণ ও প্রেক্ষাপট জানা দরকার।
ঢাবি ১৪ দিনের জন্য বন্ধ ঘোষণার মূল কারণ হলো ভূমিকম্প পরবর্তী সৃষ্ট জরুরি পরিস্থিতি। বিশেষজ্ঞদের মতে কিছু হল ও ভবনের স্থায়িত্ব নিয়ে অনিশ্চয়তা দেখা গেছে। তাই প্রশাসন শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তাকে প্রাধান্য দিয়ে দ্রুত নির্দেশনা দিয়েছে। এ ধরণের সিদ্ধান্ত সাধারণত অনেক পর্যালোচনা ও বিশেষজ্ঞ মতামত বিশ্লেষণের পর নেওয়া হয়।
এ বিষয়ের পুরো প্রেক্ষাপট বোঝা জরুরি। কারণ ঢাবির মতো বৃহৎ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রতিটি সিদ্ধান্ত হাজারো শিক্ষার্থীর জীবনে সরাসরি প্রভাব ফেলে।
তাই পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন দ্রুত ব্যবস্থা নিয়েছে।
Content Summary
ঢাবি ১৪ দিনের জন্য বন্ধ হওয়ার মূল কারণ
ঢাবির সাম্প্রতিক বন্ধ হওয়ার মূল কারণ হলো টানা ভূমিকম্প ও আফটারশকের প্রভাবে কয়েকটি ভবনের স্থায়িত্ব নিয়ে উদ্বেগ দেখা দেওয়া।
বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, আবাসিক হলগুলোতে পুঙ্খানুপুঙ্খ ঝুঁকি মূল্যায়ন করা প্রয়োজন। তাই শিক্ষার্থীদের অগ্রাধিকার দিয়ে প্রশাসন তাৎক্ষণিক সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
এ সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে বুয়েটের বিশেষজ্ঞ দল, প্রধান প্রকৌশলী এবং পরিকল্পনা ও উন্নয়ন দপ্তরের প্রতিনিধিরা যৌথভাবে ভবনগুলো পর্যবেক্ষণ করেন।
তাদের মতামত অনুযায়ী, কিছু জায়গায় বিস্তারিত পরিদর্শন ছাড়া শিক্ষার্থীদের অবস্থান নিরাপদ নয়। সেই কারণেই হল খালি করার নির্দেশ আসে।
আরও পড়ুনঃ ভূমিকম্প কেন হয় সহজ ব্যাখ্যা এবং কোরআন-হাদিসের দৃষ্টিতে বিশ্লেষণ
শিক্ষার্থীদের হল ত্যাগের নির্দেশ কেন দেওয়া হলো
ঢাবি ১৪ দিনের জন্য বন্ধ হওয়ায় শিক্ষার্থীদের দ্রুত হল খালি করতে বলা হয়েছে। কারণ, ভূমিকম্পের ঝাঁকুনি ভবনের ভেতরের কাঠামোতে ক্ষতি করতে পারে, যা বাইরে থেকে বোঝা যায় না।
তাই বিশেষজ্ঞ টিমের বিস্তারিত রিপোর্ট না পাওয়া পর্যন্ত শিক্ষার্থীদের সেখানে অবস্থান করা ঝুঁকিপূর্ণ।
প্রশাসন জানায়, রবিবার বিকাল ৫টার মধ্যে হল খালি করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
যাতে দ্রুত পরীক্ষা-নিরীক্ষা শুরু করা যায় এবং প্রয়োজনীয় সংস্কারকাজ করা সম্ভব হয়। এ সময় সব ক্লাস ও পরীক্ষা স্থগিত রাখা হয়েছে।
আরও পড়ুনঃ ওয়াইফাই পাসওয়ার্ড বের করার নিয়ম
আবাসিক হলের ঝুঁকি মূল্যায়নে বিশেষজ্ঞদের মতামত
বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, বুয়েটের বিশেষজ্ঞ টিম যে প্রাথমিক মূল্যায়ন দিয়েছে, তা খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
তাদের মতে, ভবনের যেসব অংশে ত্রুটি দেখা যেতে পারে, সেগুলো খালি না করলে সঠিকভাবে পরীক্ষা করা সম্ভব হবে না।
ঝুঁকি নিরূপণ করতে বিভিন্ন টেকনিক্যাল টেস্ট, কাঠামোগত বিশ্লেষণ, সুরক্ষা মান যাচাই এবং প্রয়োজনীয় সংস্কার পরিকল্পনা হাতে নেওয়া হবে।
এসব কারণে হল খালি করাই এখন সবচেয়ে নিরাপদ পথ।
ক্লাস ও পরীক্ষা বন্ধ থাকার প্রভাব?
ঢাবি ১৪ দিনের জন্য বন্ধ থাকায় একাডেমিক ক্যালেন্ডারে কিছুটা পরিবর্তন আসবে।
কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, পরিস্থিতি স্বাভাবিক হওয়ার পর নতুন সময়সূচি প্রকাশ করা হবে।
অনেক শিক্ষার্থী উদ্বিগ্ন হলেও প্রশাসনের দাবি, প্রয়োজনীয় সময় নিলেও নিরাপত্তা নিশ্চিত করা সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ।
তাই আপাতত সবাইকে ধৈর্য ধরে বিশ্ববিদ্যালয়ের নির্দেশনা মেনে চলতে বলা হয়েছে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের অফিসসমূহ খোলা থাকবে
যদিও ক্লাস, পরীক্ষা এবং হল বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে, তবে বিশ্ববিদ্যালয়ের অফিসসমূহ স্বাভাবিকভাবে চলবে।
প্রশাসনিক কাজ, গবেষণা-সংক্রান্ত কার্যক্রম এবং অফিসিয়াল কার্যক্রম বাধাহীনভাবে পরিচালিত হবে।
এতে করে বিশ্ববিদ্যালয়ের গুরুত্বপূর্ণ সেবা ব্যাহত হবে না। তবে কর্মরত কর্মীদেরও ভূমিকম্প-পরবর্তী ঝুঁকি সম্পর্কে সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে।
উপসংহার
ঢাবি ১৪ দিনের জন্য বন্ধ হওয়া একটি গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত। প্রশাসন শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তাকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে এ উদ্যোগ নিয়েছে।
ভূমিকম্পের মতো প্রাকৃতিক দুর্যোগে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়াই সঠিক পদক্ষেপ।
আরও পড়ুনঃ ভূমিকম্পের আগে কোন সৃষ্টি অস্বাভাবিক আচরণ করে জানেন
পরিস্থিতি স্থিতিশীল হলে বিশ্ববিদ্যালয় আবার স্বাভাবিক কার্যক্রমে ফিরবে।
তাই সবাইকে সচেতন থাকতে এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের নির্দেশনা মেনে চলতে অনুরোধ করা হচ্ছে।
ভিজিট করুন 👉
━ ━ ━ ━ ━ ━ ━ ━
ডিজিটাল টাচ ফেসবুক পেইজ লাইক করে সাথে থাকুনঃ এই পেজ ভিজিট করুন ।ডিজিটাল টাচ সাইটে বিজ্ঞাপন দিতে চাইলে যোগাযোগ করুনঃ এই লিংকে।


