একই পরিবার টিসিবির কয়টা কার্ড পাবে জেনে নিন সথিক নিয়ম। টিসিবি (Trading Corporation of Bangladesh) কর্তৃক বাস্তবায়িত ‘ফ্যামিলি কার্ড’ কর্মসূচিটি বাংলাদেশের নিম্ন আয়ের পরিবারের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনী।
টিসিবির এই কর্মসূচির মূল লক্ষ্য হলো, ভর্তুকি মূল্যে নিত্যপ্রয়োজনীয় খাদ্যদ্রব্য সরবরাহ করে দরিদ্র ও সীমিত আয়ের মানুষের জীবনযাত্রার মান উন্নত করা।
এই সুবিধা যাতে প্রকৃত অভাবী পরিবারের কাছে পৌঁছায় এবং স্বচ্ছতা বজায় থাকে, সেজন্য সরকার কঠোর নিয়ম ও নীতি অনুসরণ করে।
এই বিস্তারিত আলোচনায় আমরা একটি পরিবার কতটি কার্ড পাবে, কেন এই নিয়ম এবং এর সঙ্গে সম্পর্কিত অন্যান্য প্রাসঙ্গিক বিষয়গুলো তুলে ধরব।
Content Summary
একই পরিবার টিসিবির কয়টা কার্ড পাবে নির্দিষ্ট নিয়ম

টিসিবি এবং বাণিজ্য মন্ত্রণালয় কর্তৃক নির্ধারিত নীতি অনুযায়ী, একটি পরিবার কেবল একটি মাত্র ‘ফ্যামিলি কার্ড’ পাওয়ার যোগ্য।
এই নিয়মটি কর্মসূচির ভিত্তি হিসেবে কাজ করে। “পরিবার” বলতে বোঝায় একই রান্নঘরে বসবাসকারী এবং একই সঙ্গে আহার গ্রহণকারী ব্যক্তিদের একটি একক সামাজিক ইউনিট।
মনে রাখবেন পরিবারের প্রধান বা কোনো একজন সদস্যের নামে এই কার্ড ইস্যু করা হয়।
কেন একটি পরিবার একটি কার্ড পাবে: যৌক্তিকতা ও উদ্দেশ্য
পরিবার প্রতি একটি কার্ডের নিয়মটি চালু করার পেছনে বেশ কিছু সুনির্দিষ্ট কারণ এবং যৌক্তিকতা রয়েছে:
- সুবিধার সুষম বণ্টন: বাংলাদেশের লক্ষাধিক নিম্ন আয়ের পরিবারকে এই সুবিধার আওতায় আনতে হয়। যদি একটি পরিবার একাধিক কার্ড পায়, তবে অন্য অনেক যোগ্য পরিবার এই সুবিধা থেকে বঞ্চিত হবে।
- স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা: এই নিয়মটি কার্ড বিতরণে স্বচ্ছতা নিশ্চিত করে। একাধিক কার্ডের সুযোগ থাকলে স্বজনপ্রীতি বা দুর্নীতির সম্ভাবনা তৈরি হতে পারত।
- সম্পদের সর্বোচ্চ ব্যবহার: সরকারের সীমিত বাজেট এবং ভর্তুকি মূল্যে পণ্যের সরবরাহকে সর্বাধিক সংখ্যক মানুষের কল্যাণে ব্যবহার করার জন্য এই নিয়ম অপরিহার্য।
- অনিয়ম রোধ: পূর্বে যখন কাগজের কার্ড বা তালিকাভিত্তিক পণ্য দেওয়া হতো, তখন একই পরিবারের একাধিক সদস্য ভিন্ন ভিন্ন স্থান থেকে পণ্য নেওয়ার চেষ্টা করতেন। স্মার্ট ফ্যামিলি কার্ড প্রবর্তনের মাধ্যমে এই ধরনের অনিয়ম ডিজিটাল পদ্ধতিতে রোধ করা সম্ভব হয়েছে।
আরও পড়ুনঃ টিসিবি কার্ড চেক করার নিয়ম | অনলাইনে টিসিবি কার্ড চেক করবেন যেভাবে
টিসিবি ফ্যামিলি কার্ডের জন্য যোগ্যতার মানদণ্ড
কোন পরিবার টিসিবি কার্ড পাবে, তা নির্ধারণ করতে সরকার স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের (যেমন: ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান, কাউন্সিলর) মাধ্যমে তালিকা তৈরি করে।
একটি পরিবার কতটি টিসিবি কার্ড পাবে – যোগ্যতার প্রধান মানদণ্ডগুলো হলো:
- পরিবারকে অবশ্যই আর্থিকভাবে অসচ্ছল বা নিম্ন আয়ের হতে হবে।
- পরিবারকে অবশ্যই বাংলাদেশের স্থায়ী বাসিন্দা হতে হবে।
- একই পরিবারের একাধিক সদস্যের নাম তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করা যাবে না।
- অন্য কোনো সরকারি সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচির সুবিধাভোগী পরিবার অনেক সময় এই কার্ড পাওয়ার ক্ষেত্রে অগ্রাধিকার নাও পেতে পারে, যদিও এই নীতি কিছুটা নমনীয়।
আরও পড়ুনঃ জিপি মিনিট অফার ৩৬৫ দিন মেয়াদ
ডিজিটাল ফ্যামিলি কার্ড কি এবং অনিয়ম প্রতিরোধ
সম্প্রতি টিসিবি পুরোনো কাগজের কার্ডের পরিবর্তে ডিজিটাল বা স্মার্ট ফ্যামিলি কার্ড চালু করেছে। এই কার্ডে পরিবারের প্রধানের ছবি, জাতীয় পরিচয়পত্র নম্বর এবং অন্যান্য তথ্য ডিজিটালভাবে সংরক্ষণ করা থাকে। পণ্য উত্তোলনের সময় কার্ডটি স্ক্যান করা হয়।
এর ফলে:
- দ্বৈততা রোধ: একটি এনআইডি (NID) নম্বর বা একটি পরিবার যেন একাধিক কার্ড ব্যবহার করতে না পারে, তা সহজেই যাচাই করা যায়।
- জালিয়াতি প্রতিরোধ: কার্ড হস্তান্তরযোগ্য না হওয়ায় প্রকৃত সুবিধাভোগী ছাড়া অন্য কেউ পণ্য উত্তোলন করতে পারে না।
ফ্যামিলি কার্ড পেতে হলে পরিবারের কী কী যোগ্যতা থাকা দরকার?
ফ্যামিলি কার্ড সাধারণত আর্থিকভাবে অসচ্ছল, নিম্ন আয়ের বা অতি দরিদ্র পরিবারগুলোকে দেওয়া হয়।
স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের মাধ্যমে তালিকা তৈরি করা হয় এবং পরিবারকে অবশ্যই বাংলাদেশের স্থায়ী বাসিন্দা হতে হবে।
স্বচ্ছতা বজায় রাখতে একই পরিবারের কেউ যেন একাধিক কার্ড না পায়, তা নিশ্চিত করা হয়।
আরও পড়ুনঃ নতুন নিয়মে টিসিবি ফ্যামিলি কার্ড পেতে কত সময় লাগে
FAQS –
টিসিবির নিয়ম অনুযায়ী, একটি পরিবার (একই রান্নঘরে বসবাসকারী একক পরিবার) শুধুমাত্র একটি ‘ফ্যামিলি কার্ড’ পাওয়ার যোগ্য।
না, এটি সম্ভব নয় এবং এটি একটি অনিয়ম। সরকারের উদ্দেশ্য হলো প্রতিটি নিম্ন আয়ের পরিবারকে একটি কার্ডের মাধ্যমে সহায়তা করা। ডিজিটাল ফ্যামিলি কার্ড ব্যবস্থায় একই পরিবারের একাধিক সদস্যের নামে কার্ড ইস্যু করা বা পণ্য উত্তোলন করা হলে তা ধরা পড়বে এবং কার্ড বাতিল হতে পারে।
১ টি।
উপসংহার
টিসিবি ফ্যামিলি কার্ড কর্মসূচি দরিদ্র মানুষের জন্য একটি আশীর্বাদ। এই কর্মসূচির মূল নীতি হলো ‘এক পরিবার, এক কার্ড’।
এই নিয়মটি কেবল সুবিধার সুষম বণ্টনই নিশ্চিত করে না, বরং পুরো বিতরণ প্রক্রিয়ায় স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা বজায় রাখতে সাহায্য করে।
সরকারের এই উদ্যোগে পরিবার প্রতি একটি কার্ডের নিয়ম মেনে চলা প্রতিটি নাগরিকের নৈতিক দায়িত্ব, যাতে দেশের প্রকৃত অসচ্ছল মানুষেরা এই সুযোগ থেকে বঞ্চিত না হয়।
আরও পড়ুনঃ জন্ম নিবন্ধন ফি কত টাকা
তাই ভুল না করে এখনি আপনার শিশুর জন্ম নিবন্ধন তৈরি করুন কম খরচে। আমি মনে করি শিশুর বয়স শূন্য থেকে ৪৫ দিন থাকতে ফ্রি জন্ম নিবন্ধন তৈরি করে নিন।
টেক নিউজ আপডেট সবার আগে পেতে জয়েন করুন আমাদের ফেসবুক পেজ।
ভিজিট করুন 👉
━ ━ ━ ━ ━ ━ ━ ━
ডিজিটাল টাচ ফেসবুক পেইজ লাইক করে সাথে থাকুনঃ এই পেজ ভিজিট করুন ।ডিজিটাল টাচ সাইটে বিজ্ঞাপন দিতে চাইলে যোগাযোগ করুনঃ এই লিংকে।


