বাংলাদেশ সরকার এবার বিদেশগামী কর্মীদের জন্য দিচ্ছে সহজ শর্তে অভিবাসন ঋণ। ২০২৫ সাল থেকে প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংকের (PKB) মাধ্যমে এই ঋণ পাওয়া যাবে। সরকারের এই উদ্যোগের মূল উদ্দেশ্য হলো বিদেশে কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরি করা ও দালাল নির্ভরতা কমানো।
২২ অক্টোবর ২০২৫, pkb.gov.bd ওয়েবসাইটে প্রকাশিত বিজ্ঞপ্তিতে এ বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়েছে।
চলুন জেনে নিই অভিবাসন ঋণ কি, কারা পাবেন, কত টাকা দেওয়া হবে, মেয়াদ কতদিন, এবং কিভাবে এই ঋণ পরিশোধ করতে হবে।
Content Summary
অভিবাসন ঋণ কি?

অভিবাসন ঋণ হলো একটি জামানতবিহীন সরকারি ঋণ, যা বিদেশে চাকরির জন্য যাচ্ছেন এমন কর্মীদের দেওয়া হয়।
এই ঋণের মাধ্যমে বিমান ভাড়া, ভিসা ফি, মেডিকেল টেস্ট, ও অন্যান্য প্রয়োজনীয় খরচ সহজে মেটানো যায়।
এটি মূলত প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক পরিচালনা করে থাকে এবং আবেদনকারীদের কাছ থেকে কোনো সার্ভিস চার্জ নেওয়া হয় না।
কারা পাবে এই ঋণ?
এই ঋণ শুধুমাত্র বিদেশগামী কর্মীদের জন্য। আপনি যদি বৈধ ভিসা ও ম্যানপাওয়ার স্মার্ট কার্ডসহ বিদেশে যেতে চান, তাহলে এই ঋণের জন্য আবেদন করতে পারবেন।
প্রয়োজনীয় কাগজপত্রের মধ্যে রয়েছে —
- নির্ধারিত আবেদন ফরম (ব্যাংক থেকে বিনামূল্যে পাওয়া যায়)
- ৪ কপি ছবি ও ভোটার আইডির ফটোকপি
- পাসপোর্ট, ভিসা কপি, এবং ম্যানপাওয়ার কার্ড
- ১ জন জামিনদারের ছবি, আইডি ও ঠিকানা সনদ
- জামিনদারের স্বাক্ষরকৃত ব্যাংকের ৩টি চেক পাতা
অভিবাসন কত টাকা ঋণ দেওয়া হয়?
সরকারি ঘোষণা অনুযায়ী —
- নতুন ভিসার ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ ৩ লক্ষ টাকা
- রি-এন্ট্রি ভিসার ক্ষেত্রেও সর্বোচ্চ ৩ লক্ষ টাকা
এই অর্থ এককালীন প্রদান করা হয় এবং সরাসরি আবেদনকারীর ব্যাংক অ্যাকাউন্টে জমা দেওয়া হয়।
অভিবাসন ঋণ কত দিন মেয়াদে দেওয়া হয়
ঋণের মেয়াদ নির্ভর করে ভিসার ধরন অনুযায়ী।
- নতুন ভিসার জন্য মেয়াদ ৩ বছর
- রি-এন্ট্রি ভিসার জন্য মেয়াদ ২ বছর
ঋণ গ্রহণের আগে ব্যাংকে একটি নতুন অ্যাকাউন্ট খুলতে হয়।
অভিবাসন ঋণ কিভাবে পরিশোধ করতে হবে সময়সূচী?
ঋণ পরিশোধ করতে হয় মাসিক কিস্তিতে, এবং এর আগে থাকে ২ মাসের গ্রেস পিরিয়ড। অর্থাৎ প্রথম দুই মাসে কোনো কিস্তি দিতে হয় না।
সুদের হার মাত্র ৮% (সরল সুদ), যা সরকারি পর্যায়ে অন্যতম স্বল্পসুদের ঋণ হিসেবে গণ্য করা হয়।
- ঋণ গ্রহণের তারিখ থেকে ২ মাস পর কিস্তি শুরু হবে
- কিস্তি হবে মাসিক ভিত্তিতে
- মেয়াদ শেষে সম্পূর্ণ টাকা পরিশোধ করতে হবে
- ঋণ পরিশোধ না করলে ব্যাংকের নিয়ম অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে
আবেদন প্রক্রিয়া
- নিকটস্থ প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক শাখায় যোগাযোগ করুন।
- ব্যাংকের নির্ধারিত ফরম পূরণ করে জমা দিন।
- প্রয়োজনীয় কাগজপত্র জমা দেওয়ার পর ৭ কর্মদিবসের মধ্যে আবেদন প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়।
নোট: এ ঋণে কোনো সার্ভিস চার্জ বা গোপন ফি নেই।
আরও পড়ুনঃ জন্ম নিবন্ধন আবেদনের বর্তমান অবস্থা যাচাই করার নিয়ম
FAQs- BD Government is providing immigration loans in 2025
অভিবাসন ঋণ পেতে হলে প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংকের নিকটস্থ শাখায় আবেদন করতে হয়। নির্ধারিত আবেদন ফরম পূরণ করে প্রয়োজনীয় কাগজপত্রসহ জমা দিতে হয়।
না, অভিবাসন ঋণ জামানতবিহীন। অর্থাৎ কোনো সম্পত্তি বা নগদ জামানত ছাড়াই এই ঋণ পাওয়া যায়।
নতুন ও রি-এন্ট্রি ভিসা উভয় ক্ষেত্রেই সর্বোচ্চ ৩ লক্ষ টাকা পর্যন্ত ঋণ পাওয়া যায়।
সরকার নির্ধারিত এই ঋণের সুদের হার মাত্র ৮% (সরল সুদ), যা অন্যান্য ব্যাংক ঋণের তুলনায় অনেক কম।
নতুন ভিসার ক্ষেত্রে ঋণের মেয়াদ সর্বোচ্চ ৩ বছর এবং রি-এন্ট্রি ভিসার ক্ষেত্রে ২ বছর। প্রথম ২ মাস গ্রেস পিরিয়ড হিসেবে গণ্য হয়, এরপর মাসিক কিস্তিতে পরিশোধ করতে হয়।
উপসংহার
সরকারি এই অভিবাসন ঋণ কর্মসূচি বিদেশগামী কর্মীদের জন্য এক বড় সুযোগ। যারা বৈধ পথে বিদেশে চাকরির জন্য যেতে চান, তারা প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংকের মাধ্যমে সহজেই ঋণ নিতে পারবেন।
অল্প সুদে, ঝামেলামুক্ত কিস্তিতে এই ঋণ পাওয়ায় হাজারো প্রবাসীর স্বপ্ন পূরণে এটি হতে পারে সহায়ক পদক্ষেপ।
আশা করি আপনারা বিদেশ যাওয়ার জন্য সরকারিভাবে যে ঋণ দেওয়া হয় সেদিনের জন্য সহজ ভাবে আবেদনপত্র জানতে পেরেছেন।
প্রতিদিন টেক দুনিয়ার খবর পেতে জয়েন করুন আমাদের ফেসবুক পেজ।
প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে প্রকাশিত বিজ্ঞপ্তি দেখে নিন। লিংক
ভিজিট করুন 👉
━ ━ ━ ━ ━ ━ ━ ━
ডিজিটাল টাচ ফেসবুক পেইজ লাইক করে সাথে থাকুনঃ এই পেজ ভিজিট করুন ।ডিজিটাল টাচ সাইটে বিজ্ঞাপন দিতে চাইলে যোগাযোগ করুনঃ এই লিংকে।


