অনলাইনে এখন অনেক সরকারি কাজ বাড়ি থেকে করা যায়। তার মধ্যে জমির খাজনা চেক করার নিয়ম সবচেয়ে সহজগুলোর একটি।
আগে ইউনিয়ন পরিষদ বা ভূমি অফিসে যেতে হতো, কিন্তু এখন মোবাইলেই জমির খাজনা কত বছর বাকি আছে, কত টাকা বকেয়া রয়েছে এবং পূর্বে কতবার খাজনা পরিশোধ হয়েছে—সবই দেখা যায়।
জমির খাজনা চেক করার নিয়ম জানলে নিজের জমি যাচাই, দলিল বা খতিয়ান মিলিয়ে নেওয়া এবং ভবিষ্যতে কোনো ঝামেলা এড়ানো আরও সহজ হবে।
এ কারণে জমির খাজনা চেক করা প্রত্যেক জমির মালিকের দায়িত্ব।
Content Summary
জমির খাজনা কী?
জমির খাজনা হচ্ছে সরকারের কাছে জমি ব্যবহারের বার্ষিক কর। যারা ভোগদখল অবস্থায় জমি রাখেন, তাদের প্রতি বছর নির্দিষ্ট হারে খাজনা দিতে হয়। এটি মূলত ভূমি উন্নয়ন কর হিসেবে পরিচিত। জমির খাজনা প্রদানের মাধ্যমে জমির মালিকানা পরিষ্কার থাকে এবং সরকারি রেকর্ড নিয়মিত আপডেট হয়।
মোবাইলেই জমির খাজনা চেক কত বছর বাকি আছে

জমির খাজনা চেক করতে মোবাইলে একটি একাউন্ট থাকতে হবে। ldtax.gov.bd সাইটে প্রবেশ করে নিবন্ধন করতে হবে। লগইন করার পরে খতিয়ান যোগ করতে হয়। তারপর হোল্ডিং অপশন থেকে খাজনার বিস্তারিত দেখা যায়।
এখানে দেখাবে—
১. কোন সাল পর্যন্ত পরিশোধ হয়েছে
২. কত টাকা বকেয়া
৩. পূর্বে কতবার খাজনা দিয়েছেন
৪. রশিদ ডাউনলোডের সুবিধা
আরও পড়ুনঃ সহজ শর্তে ১০ লাখ টাকা পর্যন্ত ঋণ দিচ্ছে প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক
কেন জমির খাজনা দিতে হয়
জমির ডাটা সরকারি রেকর্ডে ঠিক রাখতে খাজনা প্রদান বাধ্যতামূলক। এটি কর হিসেবে বিবেচিত হয়। খাজনা দিলে জমির মালিক হিসেবে আইনি অবস্থান শক্ত থাকে এবং জমি নিয়ে ভবিষ্যতে কোনো বিতর্ক তৈরি হলে খাজনা রশিদ অত্যন্ত মূল্যবান হয়ে ওঠে।
জমির খাজনা না দিলে কি হয়
খাজনা না দিলে জমির রেকর্ড ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে যায়। অনেক সময় বকেয়া জমে যায় এবং জরিমানা আরোপ হতে পারে।
দীর্ঘ সময় খাজনা না দিলে নামজারি, দলিল প্রক্রিয়া, বিক্রি বা উত্তরাধিকার নিয়েও সমস্যা তৈরি হতে পারে। এছাড়াও ভূমি উন্নয়ন কর বকেয়া থাকলে সর্বশেষ তথ্য পরিবর্তন করতেও বাধা আসে।
আরও পড়ুনঃ স্মার্টফোনের লক স্ক্রিনে ওনার ইনফো যোগ করার নিয়ম
অনলাইনে জমির খাজনা চেক করার নিয়ম (ধাপে ধাপে নির্দেশনা)
১. ভিজিট করুন: https://ldtax.gov.bd
২. নতুন হলে Register করুন
৩. মোবাইল নাম্বার যাচাই করুন
৪. প্রোফাইল থেকে NID Verify করুন
৫. “খতিয়ান যুক্ত করুন” অপশনে যান
৬. খতিয়ান ও মৌজা তথ্য যুক্ত করুন
৭. এবার “হোল্ডিং” অপশনে প্রবেশ করুন
৮. “বিস্তারিত” লিংকে ক্লিক করুন
৯. এখানেই খাজনার বকেয়া, প্রদেয় রশিদ, এবং পুরোনো তথ্য দেখা যাবে
জমির খাজনার রশিদ দেখতে যা করতে হবে
মেনু থেকে “দাখিলা” (receipt history) অপশন খুলুন। সেখানে দেখাবে—
- কতবার টাকা দিয়েছেন
- কোন তারিখে দিয়েছেন
- কত টাকা দিয়েছেন
- রশিদ ডাউনলোড লিংক
এগুলো যে কোনো জমি সংক্রান্ত কাজের সময় প্রমাণ হিসেবে অত্যন্ত কার্যকর।
আরও পড়ুনঃ টিসিবি ফ্যামিলি কার্ড অনলাইন আবেদন
FAQs –
ldtax.gov.bd সাইটে লগইন করে খতিয়ান ও হোল্ডিং তথ্য যুক্ত করলেই জমির খাজনা দেখা যায়।
খতিয়ান নং, মৌজা তথ্য এবং মালিকানা যাচাই নিশ্চিত করতে NID ভেরিফাই থাকা দরকার।
জি হ্যাঁ, মোবাইল ব্যাংকিং যেমন বিকাশ, নগদ, ব্যাংক কার্ডের মাধ্যমেও খাজনা পরিশোধ করা যায়।
রেকর্ড আপডেট থাকে না, জরিমানা হতে পারে এবং জমি সংক্রান্ত আইনি কাজেও সমস্যা তৈরি হয়।
দাখিলা অপশনে গেলে পূর্বের রশিদ ও তারিখসহ তথ্য পাওয়া যাবে।
উপসংহার
জমির খাজনা চেক করার নিয়ম জানা থাকলে আপনাকে আর কাউকে ধরাধরি করতে হবে না।
ldtax.gov.bd সাইট ব্যবহার করলে যেকোনো সময় খাজনার হিসাব দেখা এবং রশিদ সংগ্রহ করা যায়।
তাই দেরি না করে এখনই আপনার খতিয়ান যুক্ত করে নিন।
আরও পড়ুনঃ রবি মিনিট অফার কম টাকায় ৩০ দিন মেয়াদ
টেক নিউজ আপডেট সবার আগে পেতে জয়েন করুন আমাদের ফেসবুক পেজ।
ভিজিট করুন 👉
━ ━ ━ ━ ━ ━ ━ ━
ডিজিটাল টাচ ফেসবুক পেইজ লাইক করে সাথে থাকুনঃ এই পেজ ভিজিট করুন ।ডিজিটাল টাচ সাইটে বিজ্ঞাপন দিতে চাইলে যোগাযোগ করুনঃ এই লিংকে।


