যে সকল মালিকদের জমির খাজনা দিতে হবে না

দেশে বেশ কিছু জমির ক্ষেত্রে আর খাজনা দিতে হবে না। সরকার সম্প্রতি এমন এক সিদ্ধান্ত নিয়েছে যার ফলে নির্দিষ্ট শ্রেণির জমির মালিকরা স্থায়ীভাবে খাজনা থেকে অব্যাহতি পাবেন।

আগে এগুলোতে প্রতি বছর ভূমি উন্নয়ন কর দিতে হতো, নতুন নীতিতে তা স্থায়ীভাবে বাতিল করা হয়েছে। এতে জমির মালিকদের আর চিন্তা করতে হবে না জমির কর বা বকেয়া নিয়ে।

এই সিদ্ধান্তের ফলে বিশেষ করে ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান, সরকারি প্রকল্পভুক্ত জমি এবং অধিগ্রহণকৃত জমির মালিকরা আর্থিক চাপ থেকে মুক্তি পাবেন।

আপনি কি কমদামে মিনিট, ইন্টারনেট ও বান্ডেল অফার কিনতে ইচ্ছুক!

ভিজিট করুন 👉

জমির মালিকানা নিয়ে কোনো সমস্যা হবে না, বরং সরকারি রেকর্ডেও এই জমিগুলো নিরাপদ থাকবে।

যে সকল জমির খাজনা দিতে হবে না

মূলত ৪ ধরনের জমির মালিকদের জন্য খাজনা স্থায়ীভাবে বাতিল করা হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে সরকারি খাস জমি ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানের জমি পুনর্বাসন বা আবাসিক প্রকল্পের জমি।

সরকারি বা জাতীয় খালাস জমি

যেসব জমি সরকার কর্তৃক খালাস হিসেবে নিবন্ধিত আছে, তাদের মালিকদের কোনো খাজনা দিতে হবে না। এটি স্থায়ীভাবে বাতিল করা হয়েছে।

ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানের জমি

যেসব জমি মসজিদ, মন্দির, গির্জা, প্যাগোডা বা অন্যান্য ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানের মালিকানাধীন, সেসব জমিতে কোনো খাজনা দিতে হবে না। তবে শর্ত হলো, জমিটি বাণিজ্যিক কাজে ব্যবহার করা যাবে না।

পুনর্বাসন বা আবাসন প্রকল্পের জমি

সরকার যেসব পুনর্বাসন বা আবাসন প্রকল্প বাস্তবায়ন করেছে, সেই প্রকল্পের আওতায় পাওয়া জমিতেও খাজনা দিতে হবে না।

অধিগ্রহণকৃত জমি

যেসব জমি সরকারি প্রয়োজনে অধিগ্রহণ করা হয়েছে, সেই জমির ক্ষেত্রেও কর স্থায়ীভাবে ছাড় দেওয়া হয়েছে।

আরও পড়ুনঃ টিসিবি ফ্যামিলি কার্ড অনলাইন আবেদন

খাজনা পরিশোধ ডিজিটাল সিস্টেম

আগে খাজনা পরিশোধ করতে ভূমি অফিসে যেতে হতো। লাইনে দাঁড়ানো, নথি খোঁজা, ভোগান্তি ছিল স্বাভাবিক। এখন এসব থাকবে না। নতুন নিয়ম অনুযায়ী যেসব জমিতে খাজনা দিতে হবে, সেগুলোর পুরো সিস্টেম ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মে পরিচালিত হবে।

ldtax.gov.bd ওয়েবসাইট বা সরকারি মোবাইল অ্যাপে গিয়ে বিকাশ, নগদ বা ব্যাংক পেমেন্ট ব্যবহার করে কর দেওয়া যাবে।

সাধারণ জমির ক্ষেত্রে সতর্কতা

যাদের জমি এই অব্যাহতি তালিকায় নেই, তাদের নিয়মিত খাজনা দিতে হবে।

কারণ তিন বছর ধারাবাহিকভাবে খাজনা না দিলে সেই জমি খাস খতিয়ানভুক্ত হওয়ার ঝুঁকি থাকে।

আরও পড়ুনঃ মোবাইলে জমির খাজনা চেক করার নিয়ম

উপসংহার

সরকারের নতুন সিদ্ধান্ত জমির মালিকদের জন্য স্বস্তি নিয়ে এসেছে। বিশেষ চার ধরনের জমির ওপর থেকে স্থায়ীভাবে খাজনা বাতিল হওয়ায় সংশ্লিষ্ট মালিকরা আর্থিক এবং আইনি দিক থেকে নিশ্চিন্ত থাকতে পারবেন।

ভবিষ্যতে সরকারি রেকর্ড ডিজিটাল হওয়ায় স্বচ্ছতা ও সেবার মানও বাড়বে।

আশা করি আপনি জনাতে পেরেছেন যে সকল মালিকদের জমির খাজনা দিতে হবে না।

তাই দেরি না করে এখনই আপনার জমি চেক করে খাজনা মুক্ত করে নিন।

আরও পড়ুনঃ রবি মিনিট অফার কম টাকায় ৩০ দিন মেয়াদ

টেক নিউজ আপডেট সবার আগে পেতে জয়েন করুন আমাদের ফেসবুক পেজ।

WhatsApp Group Join Now
Telegram Group Join Now
আপনি কি কমদামে মিনিট, ইন্টারনেট ও বান্ডেল অফার খুঁজছেন!

ভিজিট করুন 👉

━ ━ ━ ━ ━ ━ ━ ━

ডিজিটাল টাচ
ফেসবুক পেইজ লাইক করে সাথে থাকুনঃ এই পেজ ভিজিট করুন
ডিজিটাল টাচ সাইটে বিজ্ঞাপন দিতে চাইলে যোগাযোগ করুনঃ এই লিংকে
Sharing Is Caring:

Leave a Comment