জন্ম সনদে তথ্য ভুল থাকলে অনলাইনে সংশোধনের সহজ উপায় জানা এখন অত্যন্ত জরুরি। জন্ম সনদ (Birth Registration Certificate) একজন নাগরিকের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ মৌলিক পরিচয়পত্র। কিন্তু বাস্তবে দেখা যায় অনেকের জন্ম সনদে নামের বানান ভুল, জন্ম তারিখে গরমিল, পিতা-মাতার নামের অমিল কিংবা বাংলা ও ইংরেজি তথ্য এক নয়।
এই ছোট ভুলগুলোই পরবর্তীতে এনআইডি, পাসপোর্ট, শিক্ষা সনদ, চাকরি, ব্যাংকিং বা বিদেশ গমনের ক্ষেত্রে বড় সমস্যার কারণ হয়ে দাঁড়ায়।
ভাগ্য ভালো, বাংলাদেশ সরকার এখন জন্ম নিবন্ধনের তথ্য অনলাইনে ঘরে বসেই সংশোধনের সুযোগ দিয়েছে। এই পোস্টে ধাপে ধাপে জানবেন জন্ম সনদে নাম বা জন্ম তারিখ ভুল হলে কীভাবে সহজে সংশোধন করবেন।
Content Summary
- 1 জন্ম সনদে কী কী তথ্য সংশোধন করা যায়?
- 1.1 জন্ম সনদ সংশোধনের জন্য যেসব কাগজপত্র লাগতে পারে
- 1.2 জন্ম সনদ তথ্য ভুল থাকলে অনলাইনে সংশোধনের ধাপসমূহ
- 1.3 জন্ম সনদে নাম ভুল থাকলে অনলাইনে সংশোধনের নিয়ম
- 1.4 জন্ম সনদে জন্ম তারিখ ভুল থাকলে অনলাইনে সংশোধনের নিয়ম
- 1.5 জন্ম সনদ সংশোধন ফি কত টাকা
- 1.6 সংশোধনের আবেদন অনুমোদন হতে কত সময় লাগে?
- 1.7 সংশোধিত জন্ম সনদ কীভাবে পাবেন?
- 1.8 কেন এখনই জন্ম সনদ সংশোধন করা জরুরি?
জন্ম সনদে কী কী তথ্য সংশোধন করা যায়?
বর্তমানে অনলাইনের মাধ্যমে জন্ম সনদের নিচের তথ্যগুলো সংশোধনের আবেদন করা যায়—
- নিজের নাম (বাংলা ও ইংরেজি)
- জন্ম তারিখ
- পিতা ও মাতার নাম
- জন্মস্থান
- লিঙ্গ
- ঠিকানা সংক্রান্ত তথ্য
তবে মনে রাখতে হবে, জন্ম তারিখ বা নামের বড় পরিবর্তনের ক্ষেত্রে প্রমাণপত্র বাধ্যতামূলক।
জন্ম সনদ সংশোধনের জন্য যেসব কাগজপত্র লাগতে পারে
সংশোধনের ধরন অনুযায়ী নিচের যেকোনো একটি বা একাধিক ডকুমেন্ট লাগতে পারে—
- শিক্ষাগত সনদ (JSC / SSC)
- জাতীয় পরিচয়পত্র (NID)
- পাসপোর্ট
- হাসপাতালের জন্ম সনদ
- পিতা-মাতার এনআইডি
সব কাগজপত্র পরিষ্কারভাবে স্ক্যান করে JPG অথবা PDF ফরম্যাটে আপলোড করতে হবে।
জন্ম সনদ তথ্য ভুল থাকলে অনলাইনে সংশোধনের ধাপসমূহ

ধাপ–১: আবেদন শুরু
জন্ম নিবন্ধনের সরকারি অনলাইন পোর্টালে প্রবেশ করে
“জন্ম তথ্য সংশোধনের আবেদন” অপশন নির্বাচন করুন।
ধাপ–২: তথ্য পূরণ
- জন্ম নিবন্ধন নম্বর
- জন্ম তারিখ
- কোন তথ্য সংশোধন করতে চান তা নির্বাচন
- সঠিক তথ্য লিখুন
ধাপ–৩: প্রমাণপত্র আপলোড
প্রযোজ্য ডকুমেন্টগুলো JPG বা PDF ফরম্যাটে আপলোড করুন।
ধাপ–৪: আবেদন সাবমিট
সব তথ্য ঠিক থাকলে আবেদন সাবমিট করুন এবং আবেদন নম্বর সংরক্ষণ করে রাখুন।
নিচে চাওয়া তিনটি বিষয়ের জন্য আলাদা আলাদা, পরিষ্কার ও ব্যবহারযোগ্য প্যারাগ্রাফ লিখে দিলাম—
জন্ম সনদে নাম ভুল থাকলে অনলাইনে সংশোধনের নিয়ম
In addition, জন্ম সনদে নিজের নামের বানান ভুল থাকলে অনলাইনে খুব সহজেই সংশোধনের আবেদন করা যায়।
- প্রথমে জন্ম নিবন্ধনের সরকারি ওয়েবসাইটে গিয়ে “জন্ম তথ্য সংশোধনের আবেদন” অপশনে ক্লিক করতে হবে।
- এরপর জন্ম নিবন্ধন নম্বর ও জন্ম তারিখ দিয়ে লগইন করে নাম সংশোধনের অপশন নির্বাচন করতে হবে।
- সঠিক নাম বাংলায় ও ইংরেজিতে লিখে প্রয়োজনীয় প্রমাণপত্র যেমন শিক্ষাগত সনদ বা এনআইডির কপি আপলোড করতে হবে।
- সব তথ্য ঠিক থাকলে আবেদন সাবমিট করলে একটি আবেদন নম্বর পাওয়া যাবে, যা দিয়ে পরবর্তীতে আবেদনটির অবস্থা জানা যায়।
আরও পড়ুনঃ
জন্ম সনদে জন্ম তারিখ ভুল থাকলে অনলাইনে সংশোধনের নিয়ম
Above all, জন্ম সনদে জন্ম তারিখ ভুল থাকলে সেটিও অনলাইনে সংশোধনের সুযোগ রয়েছে, তবে এ ক্ষেত্রে যাচাই প্রক্রিয়া একটু বেশি কঠোর হয়।
আবেদন করার সময় জন্ম তারিখ সংশোধনের অপশন নির্বাচন করে সঠিক তারিখ উল্লেখ করতে হবে। জন্ম তারিখ প্রমাণের জন্য এসএসসি সনদ, হাসপাতালের জন্ম সনদ বা পাসপোর্টের কপি আপলোড করা বাধ্যতামূলক হতে পারে।
আবেদন জমা দেওয়ার পর সংশ্লিষ্ট ইউনিয়ন পরিষদ বা সিটি কর্পোরেশন যাচাই করে অনুমোদন দেয়। প্রয়োজনে আবেদনকারীকে সরাসরি অফিসে উপস্থিত হতে বলা হতে পারে।
জন্ম সনদ সংশোধন ফি কত টাকা
জন্ম সনদ সংশোধনের ফি সাধারণত খুব বেশি নয় এবং সংশোধনের ধরন অনুযায়ী পরিবর্তিত হতে পারে।
ছোটখাটো সংশোধনের ক্ষেত্রে অনেক সময় কোনো ফি নাও লাগতে পারে, আবার কিছু ক্ষেত্রে ৫০ থেকে ১০০ টাকা পর্যন্ত ফি নির্ধারণ করা হয়।
জন্ম তারিখ বা নামের বড় পরিবর্তনের জন্য স্থানীয় জন্ম নিবন্ধন অফিসে নির্ধারিত সরকারি ফি পরিশোধ করতে হতে পারে।
ফি সংক্রান্ত সর্বশেষ তথ্য জানতে আবেদন করার সময় সংশ্লিষ্ট অফিস বা অনলাইন পোর্টালের নির্দেশনা দেখে নেওয়া ভালো।
আরও পড়ুনঃ
সংশোধনের আবেদন অনুমোদন হতে কত সময় লাগে?
সাধারণত—
- ৭ থেকে ৩০ কার্যদিবস সময় লাগে
- বড় পরিবর্তনের ক্ষেত্রে স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদ বা সিটি কর্পোরেশন যাচাই করতে পারে
- প্রয়োজনে আপনাকে সরাসরি অফিসে উপস্থিত হতে বলা হতে পারে
সংশোধিত জন্ম সনদ কীভাবে পাবেন?
আবেদন অনুমোদন হলে—
- অনলাইন থেকেই সংশোধিত জন্ম সনদের কপি ডাউনলোড করা যাবে
- চাইলে স্থানীয় জন্ম নিবন্ধন অফিস থেকেও প্রিন্ট কপি সংগ্রহ করা যায়
গুরুত্বপূর্ণ সতর্কতা
- ভুল তথ্য দিয়ে আবেদন করলে আবেদন বাতিল হতে পারে
- একাধিকবার বড় সংশোধনের চেষ্টা করলে জটিলতা বাড়ে
- দালাল বা অননুমোদিত ব্যক্তির মাধ্যমে আবেদন করা থেকে বিরত থাকুন
কেন এখনই জন্ম সনদ সংশোধন করা জরুরি?
কারণ—
- এনআইডি সংশোধনে জন্ম সনদ বাধ্যতামূলক
- পাসপোর্ট ও ভিসায় তথ্য মিল না হলে আবেদন বাতিল হতে পারে
- ভবিষ্যতে চাকরি, ব্যাংক বা বিদেশ গমনে বড় সমস্যা হতে পারে
তাই এখনই জন্ম সনদের তথ্য মিলিয়ে নেওয়াই সবচেয়ে নিরাপদ সিদ্ধান্ত।
আরও পড়ুনঃ
FAQs – জন্ম সনদ সংশোধন সম্পর্কিত প্রশ্নোত্তর
হ্যাঁ, সরকারি পোর্টালের মাধ্যমে অনলাইনে আবেদন করা যায়।
সম্ভব, তবে শক্ত প্রমাণপত্র লাগবে।
ভুল ঠিক করে পুনরায় আবেদন করতে পারবেন।
সাধারণত ৭–৩০ কার্যদিবস।
হ্যাঁ, অনুমোদনের পর অনলাইন থেকেই ডাউনলোড করা যাবে।
উপসংহার
জন্ম সনদ তথ্য ভুল থাকলে আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই। সরকারিভাবে এখন অনলাইনেই জন্ম সনদ সংশোধনের সহজ উপায় চালু রয়েছে।
সঠিক কাগজপত্র থাকলে আপনি নিজেই ঘরে বসে আবেদন করতে পারবেন।
একটি সঠিক জন্ম সনদ মানেই ভবিষ্যতের বড় ঝামেলা থেকে মুক্তি।
আরও পড়ুনঃ
এছাড়াও টেক নিউজ আপডেট নিয়মিত আপনার মোবাইলে পেতে জয়েন করুন আমাদের ফেসবুক পেজ।
ভিজিট করুন 👉
━ ━ ━ ━ ━ ━ ━ ━
ডিজিটাল টাচ ফেসবুক পেইজ লাইক করে সাথে থাকুনঃ এই পেজ ভিজিট করুন ।ডিজিটাল টাচ সাইটে বিজ্ঞাপন দিতে চাইলে যোগাযোগ করুনঃ এই লিংকে।


