বিশ্বের শীর্ষ ১০টি সোনার মজুতকারী দেশ কোন গুলি ২০২৫। কেন বাড়ছে সোনার দাম

কোন দেশের কাছে সোনার মজুত বেশি জানেন কি? ২০২৫ বিশ্বের শীর্ষ ১০টি সোনার মজুতকারী দেশ সম্পর্কে জানাবো আজকে। যাদের কারনে সোনার দাম বাড়ছে এবং বেড়েই চলেছে প্রতিদিন।

বিশ্ব অর্থনীতিতে সোনা এখন শুধু অলঙ্কার নয়, বরং একটি শক্তিশালী নিরাপত্তা সম্পদ। ডলারনির্ভর রিজার্ভ থেকে সরে গিয়ে অনেক দেশ এখন সোনায় আস্থা রাখছে।

২০২৫ সালের জুন পর্যন্ত বিশ্বের কেন্দ্রীয় ব্যাংকগুলোর হাতে রয়েছে ৩৭ হাজার টনেরও বেশি সোনা। প্রশ্ন হলো কোন দেশের কাছে সোনার মজুত সবচেয়ে বেশি? চলুন দেখে নিই বিশ্বের শীর্ষ ১০টি সোনার মজুতকারী দেশ ও তাদের সোনা সংরক্ষণের বিস্তারিত তথ্য।

আপনি কি কমদামে মিনিট, ইন্টারনেট ও বান্ডেল অফার কিনতে ইচ্ছুক!

ভিজিট করুন 👉

বিশ্বের শীর্ষ ১০টি সোনার মজুতকারী দেশ এবং তাদের সোনা মজুতের বিবরণ

বিশ্বের শীর্ষ ১০টি সোনার মজুতকারী দেশ

সোনার দিক থেকে সবচেয়ে এগিয়ে রয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। তাদের কাছে প্রায় ৮,১৩৩ টন সোনা, যা বিশ্বের মোট রিজার্ভের বড় অংশ। এই সোনার বেশিরভাগ রাখা আছে ফোর্ট নক্স, ডেনভার এবং ওয়েস্ট পয়েন্টের গভীর সংরক্ষণাগারে

নিচে ২০২৫ সালের সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী বিশ্বের শীর্ষ ১০টি সোনার মজুতকারী দেশ টেবিল আকারে সাজানো হলো, দেখে নিন-

অবস্থানদেশের নামসোনার মজুত (টন)সংরক্ষণের বিশেষ তথ্য
যুক্তরাষ্ট্র (USA)৮,১৩৩ টনফোর্ট নক্স, ডেনভার ও ওয়েস্ট পয়েন্টের গভীর সংরক্ষণাগারে রাখা
জার্মানি (Germany)৩,৩৫০ টনপ্রায় অর্ধেক দেশে, বাকি অংশ নিউইয়র্ক, লন্ডন ও প্যারিসে সংরক্ষিত
ইতালি (Italy)২,৪৫২ টনযুক্তরাজ্য, সুইজারল্যান্ড ও যুক্তরাষ্ট্রে কিছু অংশ রাখা আছে
ফ্রান্স (France)২,৪৩৭ টনপুরো সোনা ফ্রান্সেই রাখা, ব্যাংক দে ফ্রান্সের ভূগর্ভস্থ ভল্টে
রাশিয়া (Russia)২,৩৩০ টনপুরো সোনা দেশে রাখা, মস্কো ও সেন্ট পিটার্সবার্গে
চীন (China)২,২৯৯ টনপ্রতি মাসে সোনা কেনে, ২০০০ সালের পর থেকে মজুত দ্রুত বেড়েছে
সুইজারল্যান্ড (Switzerland)১,০৪০ টন৭০% দেশে, ২০% ইংল্যান্ডে, ১০% কানাডায় সংরক্ষিত
ভারত (India)৮৮০ টনঅর্ধেক বিদেশে, এক-তৃতীয়াংশ দেশে সংরক্ষিত
জাপান (Japan)৮৪৬ টনতথ্য সীমিত, তবে ২০২১ সালের পর কিছুটা বৃদ্ধি পেয়েছে
১০তুরস্ক (Turkey)৬৩৫ টন২০২৫ সালের দ্বিতীয় প্রান্তিকে ১১ টন নতুন সোনা যুক্ত হয়েছে

১. যুক্তরাষ্ট্র, সোনার মজুত: ৮ হাজার ১৩৩ টন

বিশ্বে সবচেয়ে বেশি সোনা এখন রয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের কাছে।

এই সোনার বড় অংশ রাখা আছে ‘ডিপ স্টোরেজ’ বা গভীর সংরক্ষণাগারে যা ডেনভার, ফোর্ট নক্স ও ওয়েস্ট পয়েন্টে।

যুক্তরাষ্ট্রের কাছে মজুত বেশির ভাগই সোনাই সোনার বার আকারে সংরক্ষিত থাকে। বাকি সোনা থাকে চলতি মজুত হিসেবে।

কংগ্রেসের অনুমোদিত সোনার কয়েন তৈরি করার কাঁচামাল হিসেবে টাকশাল এই সোনা ব্যবহার করে।

২. জার্মানি, সোনার মজুত: ৩ হাজার ৩৫০ টন

জার্মানির কেন্দ্রীয় ব্যাংক বুন্দেস ব্যাংক তাদের মোট সোনার অর্ধেকেরও বেশি বিদেশে সংরক্ষণ করে রেখেছে, দেশ গুলি হল নিউইয়র্ক, লন্ডন ও প্যারিসে।

২০১২ সালে সোনার নিরীক্ষা নিয়ে সমালোচনা শুরু হলে দেশটি সোনা দেশে ফেরানোর সিদ্ধান্ত নেয়। পরবর্তী কয়েক বছরে, ২০১৬ সালের মধ্যে তারা প্রায় ৫৮৩ টন সোনা জার্মানিতে ফিরিয়ে আনে।

বর্তমানে জার্মানির প্রায় অর্ধেক সোনা ফ্রাঙ্কফুর্টে, এক-তৃতীয়াংশ নিউইয়র্কে, এক-অষ্টমাংশ লন্ডনে এবং সামান্য অংশ প্যারিসে সংরক্ষিত আছে।

ট্রাম্প প্রশাসনের সময় শুরু হওয়া বাণিজ্যযুদ্ধের পর তারা সোনা দেশে ফেরানোর পরিকল্পনা আরও জোরদার করে।

৩. ইতালি, সোনার মজুত: ২ হাজার ৪৫২ টন

ইতালির কেন্দ্রীয় ব্যাংক ব্যাংক দে ইতালিয়া ১৮৯৩ সালে তিনটি আর্থিক প্রতিষ্ঠান একীভূত হওয়ার পর সোনা মজুত কার্যক্রম শুরু করে। শুরুতে তাদের হাতে ছিল মাত্র ৭৮ টন সোনা

বর্তমানে ইতালি, জার্মানির মতোই, সোনার একটি অংশ বিদেশে সংরক্ষণ করে। এই সোনা মূলত যুক্তরাজ্য, সুইজারল্যান্ড এবং যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল রিজার্ভে রাখা আছে।

৪. ফ্রান্স, সোনার মজুত: ২ হাজার ৪৩৭ টন

ফ্রান্সের কেন্দ্রীয় ব্যাংক তাদের সব সোনা দেশের ভেতরেই সংরক্ষণ করে। এই সোনাগুলো রাখা আছে একটি বিশেষ ভূগর্ভস্থ ভল্টে, যার নাম লা সুতেরেন

এটি মাটির প্রায় ২৭ মিটার নিচে অবস্থিত। লা সুতেরেন হলো আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (IMF) অনুমোদিত চারটি সোনা সংরক্ষণাগারের একটি।

আরও পড়ুনঃ জিপি আনলিমিটেড ইন্টারনেট অফার ২০২৫

৫. রাশিয়া, সোনার মজুত: ২ হাজার ৩৩০ টন

রাশিয়ার কেন্দ্রীয় ব্যাংক তাদের সব সোনা দেশের ভেতরেই সংরক্ষণ করে। এর মধ্যে প্রায় দুই-তৃতীয়াংশ মস্কোতে এবং বাকি এক-তৃতীয়াংশ সেন্ট পিটার্সবার্গে রাখা আছে।

বেশিরভাগ সোনা বড় আকারের বার আকারে সংরক্ষিত, প্রতিটির ওজন প্রায় ১০ থেকে ১৪ কেজি। ২০২২ সালে রাশিয়া তাদের মুদ্রা রুবলকে সোনার মানের সঙ্গে যুক্ত করে

তবে পশ্চিমা নিষেধাজ্ঞার কারণে লন্ডন মার্কেটে রাশিয়ার সোনা বিক্রি বন্ধ হয়ে গেছে এবং তাদের প্রায় অর্ধেক সোনা জব্দ করা হয়েছে।

৬. চীন, সোনার মজুত: ২ হাজার ২৯৯ টন

চীনের কেন্দ্রীয় ব্যাংক পিপলস ব্যাংক অব চায়না ২০০০ সালের পর থেকেই সবচেয়ে বেশি সোনা সংগ্রহ করেছে।

তারা ১৯৮২ সালে প্রথমবার পান্ডা সোনার কয়েন চালু করে, যা বর্তমানে বিশ্বের শীর্ষ পাঁচটি সোনার কয়েনের একটি হিসেবে স্বীকৃত।

২০২৪ সালে ব্যাংকটি আরও ৪৪ মেট্রিক টন সোনা ক্রয় করেছে। প্রায় প্রতি মাসেই চীনের কেন্দ্রীয় ব্যাংক নতুন সোনা কিনছে, যা তাদের রিজার্ভ ধারাবাহিকভাবে বাড়িয়ে তুলছে।

আরও পড়ুনঃ বিশ্বের শীর্ষ ১০টি মোবাইল ব্র্যান্ড

৭. সুইজারল্যান্ড, সোনার মজুত: ১ হাজার ৪০ টন

সুইস ন্যাশনাল ব্যাংকের হাতে থাকা সোনা মূলত সুইজারল্যান্ড সরকারের মালিকানাধীন, তবে এর পরিচালনা কেন্দ্রীয় ব্যাংকই করে।

দেশের মধ্যে কোথায় সোনা সংরক্ষণ করা হবে, তা নিয়ে দীর্ঘদিন বিতর্ক চলেছে। এমনকি সব সোনা দেশে রাখার বিষয়েও গণভোট হয়েছে।

গণভোটে জনগণ ‘না’ ভোট দিলেও, কেন্দ্রীয় ব্যাংককে আরও স্বচ্ছভাবে কাজ করতে হয়েছে। ২০১৩ সালের তথ্যানুযায়ী, দেশটির সোনার ৭০ শতাংশ সুইজারল্যান্ডে, ২০ শতাংশ ব্যাংক অব ইংল্যান্ডে এবং ১০ শতাংশ ব্যাংক অব কানাডায় সংরক্ষিত ছিল।

৮. ভারত, সোনার মজুত: ৮৮০ টন

ভারতের কেন্দ্রীয় ব্যাংক, রিজার্ভ ব্যাংক অব ইন্ডিয়া, সাম্প্রতিক বছরগুলোতে সোনা সংগ্রহে বেশ সক্রিয়।

যদিও ২০১৭ সালে সোনা কেনা শুরু হয়, মূলত শেষ চার বছরে তারা বিপুল পরিমাণ সোনা সংগ্রহ করেছে। ২০২৩ সালে ১৬ টন এবং ২০২৪ সালে আরও ৭২ মেট্রিক টন সোনা কেনা হয়।

ভারতের সোনার অর্ধেকের বেশি বিদেশে সংরক্ষিত, আর এক-তৃতীয়াংশ দেশেই রাখা হয়। ২০২৪ সালের জুনে যুক্তরাজ্য থেকে ১০০ টন সোনা দেশে ফিরিয়ে আনা হয়, যা ১৯৯১ সালের পর এই প্রথম এমন ঘটনা।

আরও পড়ুনঃ iSIM কি এবং iSIM কিভাবে কাজ করে

৯. জাপান, সোনার মজুত: ৮৪৬ টন

জাপানের কেন্দ্রীয় ব্যাংক, ব্যাংক অব জাপান, তাদের সোনার মজুত সম্পর্কে স্পষ্ট তথ্য প্রকাশ করে না। ২০০০ সালে দেশের কাছে প্রায় ৭৫৩ টন সোনা ছিল।

২০০৪ সালে এটি বেড়ে ৭৬৫.২ টনে পৌঁছায় এবং মার্চ ২০২১ পর্যন্ত সেই মাত্রায় স্থিত থাকে। এরপর দেশটি আরও ৮০.৭৬ টন সোনা সংগ্রহ করে।

১০. তুরস্ক, সোনার মজুত: ৬৩৫ টন

তুরস্কের সোনার মজুত ২০২৫ সালের দ্বিতীয় প্রান্তিকে প্রায় ১১ টন বৃদ্ধি পেয়েছে।

২০০০ থেকে ২০২৫ সালের মধ্যে দেশটির গড় সোনার মজুত ছিল ২৭১.৬১ টন।

সর্বাধিক মজুত পৌঁছেছিল ২০২৫ সালের দ্বিতীয় প্রান্তিকে ৬৩৪.৭৬ টনে, আর সর্বনিম্ন রেকর্ড করা হয়েছিল ২০০১ সালের প্রথম প্রান্তিকে, যা ছিল ১১৬.০৪ টন।

এই তালিকায় দক্ষিণ এশিয়ার মধ্যে ভারতই একমাত্র দেশ, যারা সক্রিয়ভাবে বিদেশ থেকে সোনা ফিরিয়ে আনছে।

আরও পড়ুনঃ  বাংলালিংক কল রেট অফার

দেশগুলো কেন সোনার মজুত করছে?

২০২২ থেকে ২০২৪ সালের মধ্যে কেন্দ্রীয় ব্যাংকগুলো ইতিহাসে সর্বাধিক ৩,২০০ টন সোনা কিনেছে। কারণ হলো—

  • বৈশ্বিক অর্থনৈতিক অনিশ্চয়তা
  • ডলার নির্ভর রিজার্ভের ঝুঁকি
  • মুদ্রাস্ফীতি ও রাজনৈতিক অস্থিরতা

চীন, রাশিয়া, ভারত, তুরস্ক ও কাজাখস্তানের মতো দেশগুলো এখন সোনাকে নিরাপদ বিনিয়োগ হিসেবে দেখছে। ডলারের বিকল্প মজুত হিসেবে সোনা এখন তাদের অর্থনৈতিক কৌশলের অংশ।

এই অবস্থায় আমরা কি নিজেদের জন্য সোনা কিনবো?

ব্যক্তিগত পর্যায়ে সোনায় বিনিয়োগও এখন জনপ্রিয়। তবে খেয়াল রাখতে হবে—

  • সোনার দাম প্রতিদিন ওঠানামা করে।
  • দীর্ঘমেয়াদে এটি ভালো নিরাপদ সম্পদ হলেও তাৎক্ষণিক মুনাফার আশায় কেনা ঠিক নয়।
  • অনেকে এখন ডিজিটাল গোল্ড বা স্বর্ণ সঞ্চয় স্কিমে বিনিয়োগ করছেন, যা সহজ এবং নিরাপদ।

যদি আপনি অর্থ সঞ্চয়ের নিরাপদ উপায় খুঁজছেন, তাহলে কিছু অংশ সোনায় রাখা বুদ্ধিমানের কাজ হতে পারে। তবে সব বিনিয়োগ এক জায়গায় না রাখাই ভালো।

আরও পড়ুনঃ টেলিটক কল রেট অফার

উপসংহার

২০২৫ সালে বিশ্বের সোনার রিজার্ভ ক্রমেই বাড়ছে। যুক্তরাষ্ট্র, জার্মানি, চীন ও রাশিয়ার মতো দেশগুলো এই প্রতিযোগিতায় শীর্ষে। সোনার প্রতি এই আস্থা প্রমাণ করে যে বিশ্ব অর্থনীতি এখনো একে “চূড়ান্ত নিরাপদ সম্পদ” হিসেবে মানে।

আপনি নিশ্চয়ই জানতে পেরেছেন বিশ্বের শীর্ষ ১০ টি সোনা মজুদকারী দেশ কোনগুলি। এই দেশ গুলি মূলত অস্থিতিশীল বাজার ব্যবস্থার কারণে নিজেদের অর্থনীতি শক্তিক অর্থেই স্বর্ণ মজুদ করছে।

টেক নিউজ নিয়মিত আপনার মোবাইলে পেতে জয়েন করুন আমাদের ফেসবুক পেজ

প্রশ্নোত্তর (FAQs)

কোন দেশের কাছে সবচেয়ে বেশি সোনা আছে?

যুক্তরাষ্ট্রের কাছে সবচেয়ে বেশি সোনা আছে। প্রায় ৮,১৩৩ টন সোনা।

চীন বছরে কত সোনা কেনে?

চীন প্রতি মাসেই সোনা কিনে, ২০২৪ সালে তারা প্রায় ৪৪ মেট্রিক টন সোনা কিনেছে।

ভারত কি নিজের সোনা দেশে ফিরিয়েছে?

হ্যাঁ, ২০২৪ সালে যুক্তরাজ্য থেকে ১০০ টন সোনা দেশে ফিরিয়েছে ভারত।

সোনা কেন নিরাপদ বিনিয়োগ হিসেবে ধরা হয়?

কারণ এটি মুদ্রাস্ফীতি বা ডলারমূল্যের পতনেও তার মান ধরে রাখে।

এখন সোনা কেনার উপযুক্ত সময় কি?

যদি আপনি দীর্ঘমেয়াদি নিরাপদ বিনিয়োগ চান, তাহলে সোনা এখনো ভালো বিকল্প।

WhatsApp Group Join Now
Telegram Group Join Now
আপনি কি কমদামে মিনিট, ইন্টারনেট ও বান্ডেল অফার খুঁজছেন!

ভিজিট করুন 👉

━ ━ ━ ━ ━ ━ ━ ━

ডিজিটাল টাচ
ফেসবুক পেইজ লাইক করে সাথে থাকুনঃ এই পেজ ভিজিট করুন
ডিজিটাল টাচ সাইটে বিজ্ঞাপন দিতে চাইলে যোগাযোগ করুনঃ এই লিংকে
Sharing Is Caring:

আমি শেখ মোঃ আমিনুল ইসলাম (সুজন)। ডিজিটাল টাচ ডটকম এর প্রতিষ্ঠাতা ও লেখক। এইচএসসি (বিজ্ঞান); চাঁদপুর সরকারি কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়।

Leave a Comment