করদাতা মারা গেলেও কেন কর দিতে হয় জানেন কি? করদাতা মারা গেলেও তাঁর নামে থাকা সম্পদ থেকে আয় হলে সেই আয়ের ওপর কর দিতে হয়। আমাদের দেশে অনেকেই বাড়ি, ফ্ল্যাট, জমি বা ব্যবসা–বাণিজ্য নিজের নামে রেখে মারা যান।
সম্পদগুলো থেকে আয় আসতেই থাকে, আর আইন অনুযায়ী সেই আয় করযোগ্য হিসেবে বিবেচিত হয়। তাই এই অবস্থায় কর দিতে হয় মৃত ব্যক্তির উত্তরাধিকারীদের।
করদাতার মৃত্যুর পরেও কর দেওয়ার এই বাধ্যবাধকতা অনেক পরিবারের কাছে নতুন বিষয় মনে হতে পারে, কিন্তু আয়কর বিধি অনুযায়ী এটি পুরোপুরি বাধ্যতামূলক।
সম্পদ ভাগ-বাঁটোয়ারা না হওয়া পর্যন্ত কর নিয়মিত পরিশোধ করতে হয়, যাতে কোনো আইনি জটিলতা না তৈরি হয়।
মূল বিষয়গুলো:
- মৃত করদাতার নামে থাকা সম্পদ থেকে আয় হলে কর দিতে হয়
- রিটার্ন জমা দেওয়ার দায়িত্ব নেন মনোনীত প্রতিনিধি
- সম্পদ ভাগ-বাঁটোয়ারা না হওয়া পর্যন্ত নিয়মিত কর পরিশোধ আবশ্যক
Content Summary
করদাতা মারা গেলেও কেন কর দিতে হয়?
মৃত ব্যক্তির নামেই যদি সম্পদ থাকে এবং সেই সম্পদ থেকে ভাড়া, ব্যবসা বা অন্যান্য উৎসে আয় আসে, তাহলে সেটি করযোগ্য হয়।
আয়ের উৎস পরিবর্তন হয়নি, শুধু মালিক মারা গেছেন। আর সম্পদ নতুন কারও নামে হস্তান্তর না হওয়া পর্যন্ত করযোগ্যতা বজায় থাকে।
যে কারণে কর আরোপ হয়:
- সম্পদ মৃত ব্যক্তির নামে থাকা
- নিয়মিত ভাড়াবাবদ আয় হওয়া
- ব্যবসা বা বিনিয়োগ থেকে আয়ের ধারাবাহিকতা
- আয়কর অধ্যাদেশ অনুযায়ী করযোগ্য আয়ের সীমা অতিক্রম করা
কিভাবে দিবেন
করদাতা মারা গেলে প্রথমেই এনবিআর একজন উত্তরাধিকারীকে প্রতিনিধি হিসেবে মনোনীত করে।
উপ–কর কমিশনারের নোটিশ পাওয়ার পর প্রতিনিধি প্রতি বছর রিটার্ন জমা দেন এবং কর পরিশোধ করেন। এই পুরো প্রক্রিয়া আইন অনুসারে পরিচালিত হয়।
কর দেওয়ার নিয়ম:
- এনবিআর একজন উত্তরাধিকারীকে প্রতিনিধি বানায়
- নোটিশ পেয়ে প্রতিনিধি রিটার্ন জমা দেন
- নির্ধারিত কর অনলাইনে বা ব্যাংকে জমা দেওয়া যায়
- প্রতিনিধি কর পরিশোধের বিষয়ে এনবিআরকে প্রতিবছর রিপোর্ট করেন
আরও পড়ুনঃ জিপি ফ্রি ওয়াইফাই রাউটার এখন ঘরে ঘরে
কেন দিতে হয়
কর দেওয়ার মূল কারণ হলো মৃত করদাতার সম্পদ থেকে আয় অব্যাহত থাকা। আয় আছে মানেই সেটি করযোগ্য হিসেবে বিবেচিত হবে। এমনকি কেউ যদি বিদেশে থাকেন এবং সম্পদ দেখভালের দায়িত্ব অন্যের ওপর দেন, তবু কর দেওয়ার নিয়ম অপরিবর্তিত থাকে।
কারণগুলোর সারাংশ:
- মৃত ব্যক্তির নামে আয় হলে তা করযোগ্য
- রিটার্ন জমা না দিলে আইনি বাধ্যবাধকতা লঙ্ঘন হয়
- সম্পদের মালিকানা পরিবর্তন না হওয়া পর্যন্ত কর দিতে হয়
- আয়কর অধ্যাদেশ অনুযায়ী এটি বাধ্যতামূলক
আরও পড়ুনঃ রবি বান্ডেল অফার ৯০ দিন মেয়াদ
না দিলে কি হয়
মৃত করদাতার পক্ষে কর না দিলে বা রিটার্ন জমা না করলে জটিলতা তৈরি হয়। এনবিআর মনোনীত প্রতিনিধির বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নিতে পারে। ভবিষ্যতে সম্পদ হস্তান্তর বা ভাগ করার সময় সমস্যা দেখা দিতে পারে।
সম্ভাব্য সমস্যাগুলো:
- কর বকেয়া হলে জরিমানা আরোপ হতে পারে
- সম্পদের ওপর কর আদায়ের নোটিশ জারি হতে পারে
- প্রতিনিধি আইনি জবাবদিহির মুখোমুখি হতে পারেন
- ভবিষ্যতে সম্পত্তি ভাগ-বাঁটোয়ারায় সমস্যা তৈরি হতে পারে
আরও পড়ুনঃ চালু হল রকেট থেকে বিকাশে টাকা পাঠানোর সুবিধা, নিয়ম জেনে নিন
উপসংহার
মৃত করদাতার পক্ষে কর দেওয়া অনেকের কাছে নতুন বিষয় হলেও এটি সম্পূর্ণ আইনসম্মত বাধ্যবাধকতা।
সম্পদ থেকে আয় হলে কর দেওয়ার নিয়ম অব্যাহত থাকে, তাই উত্তরাধিকারীদের এ বিষয়ে সচেতন থাকা জরুরি।
যত দিন সম্পদের মালিকানা উত্তরাধিকারীদের নামে হস্তান্তর না হবে, তত দিন নিয়ম অনুযায়ী কর পরিশোধ করতে হবে। এতে ভবিষ্যতের জটিলতা এড়িয়ে সম্পদ সুরক্ষিত থাকে।
ভিজিট করুন 👉
━ ━ ━ ━ ━ ━ ━ ━
ডিজিটাল টাচ ফেসবুক পেইজ লাইক করে সাথে থাকুনঃ এই পেজ ভিজিট করুন ।ডিজিটাল টাচ সাইটে বিজ্ঞাপন দিতে চাইলে যোগাযোগ করুনঃ এই লিংকে।


