ভূমি মন্ত্রণালয়ের নতুন নিয়ম ২০২৫: বাংলাদেশের ভূমি ব্যবস্থাপনায় এক ঐতিহাসিক পরিবর্তন এসেছে। ভূমি মন্ত্রণালয় ঘোষণা দিয়েছে, নামজারি প্রথা (মিউটেশন) এখন থেকে বাতিল করা হচ্ছে। অর্থাৎ জমি রেজিস্ট্রেশনের পর আলাদা করে নামজারি আবেদন করার দরকার আর থাকবে না।
নতুন স্বয়ংক্রিয় নামজারি ব্যবস্থায় দলিল নিবন্ধনের সময়েই ক্রেতার নামে স্বত্ব পরিবর্তন সম্পন্ন হবে।
এই সিদ্ধান্ত দেশের কোটি জমির মালিকদের জন্য বড় স্বস্তির খবর। বছরের পর বছর ধরে নামজারি করতে গিয়ে যে হয়রানি, ঘুষ আর সময়ক্ষেপণ সহ্য করতে হয়েছে, এবার সেটির অবসান ঘটতে যাচ্ছে।
Content Summary
নামজারি প্রথা কি?
নামজারি (মিউটেশন) হলো সেই প্রক্রিয়া, যার মাধ্যমে জমির মালিকানা দলিল অনুযায়ী পরিবর্তন করে নতুন মালিকের নামে রেকর্ড করা হয়। আগে জমি কেনাবেচার পর ক্রেতাকে আলাদা করে নামজারির জন্য ভূমি অফিসে আবেদন করতে হতো। এই প্রক্রিয়ায় ঘুষ, দেরি, কাগজপত্র হারিয়ে যাওয়া ইত্যাদি সমস্যায় ভোগান্তির শেষ ছিল না।
নতুন নিয়মে কী পরিবর্তন আসছে? কিভাবে হবে নামজারি
এখন থেকে জমির দলিল রেজিস্ট্রেশনের সময়েই স্বয়ংক্রিয়ভাবে স্বত্ব পরিবর্তন হয়ে যাবে। ভূমি মন্ত্রণালয়ের নতুন অটোমেশন ব্যবস্থায় দলিলের তথ্য, দাতা ও ক্রেতার পরিচয়, জমির আইনি অবস্থা—সবকিছু স্বয়ংক্রিয়ভাবে যাচাই হবে।
সব তথ্য সঠিক থাকলে রেজিস্ট্রেশনের পরপরই নতুন মালিকের নামে নামজারি সম্পন্ন হবে।
অর্থাৎ নতুনভাবে নামজারি হবে আরও সহজ –
- আলাদা নামজারি আবেদন লাগবে না
- ঘুষ, সময়ক্ষেপণ ও ঝামেলা শেষ
- জমির খতিয়ান, হোল্ডিং নম্বর, খাজনা সব একসাথে আপডেট
কবে ও কোথায় শুরু হয়েছে এই নতুন ব্যবস্থা
ভূমি মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, ইতোমধ্যে দেশের ৩০টিরও বেশি উপজেলায় পরীক্ষামূলকভাবে এই স্বয়ংক্রিয় নামজারি ব্যবস্থা চালু হয়েছে। সেখানে সফলতা পাওয়ার পর এখন তা সারাদেশে চালু করার প্রস্তুতি চলছে।
মন্ত্রণালয় জানায়, এই সিস্টেম চালু হলে ভূমি অফিসে জমে থাকা নামজারি আবেদনগুলোর জট দ্রুত কাটবে এবং দুর্নীতি রোধ হবে।
স্বয়ংক্রিয় নামজারি প্রক্রিয়া যেভাবে কাজ করবে
- দলিল রেজিস্ট্রেশনের সময় দাতা ও ক্রেতার তথ্য সিস্টেমে যুক্ত হবে।
- সিস্টেম জমির আইনি অবস্থা ও খতিয়ান যাচাই করবে।
- যাচাই সম্পন্ন হলে দলিলের রেজিস্ট্রেশন শেষ হওয়ার সাথে সাথে ভূমি অফিস থেকে স্বয়ংক্রিয় অনুমোদন (“সবুজ সংকেত”) দেওয়া হবে।
- ওই মুহূর্তেই ক্রেতার নামে নামজারি সম্পন্ন হবে।
এভাবে জমির মালিককে আর কোনো অফিসে যেতে বা ফরম পূরণ করতে হবে না।
আরও পড়ুনঃ রবি আনলিমিটেড ইন্টারনেট অফার
দুর্নীতিমুক্ত ভূমি সেবা
ভূমি মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, নতুন এই উদ্যোগের ফলে ভূমি সেক্টরে দুর্নীতি, সময়ক্ষেপণ এবং অনিয়ম পুরোপুরি বন্ধ হবে।
জমির রেকর্ড আপডেট হবে তাৎক্ষণিকভাবে, ফলে মালিকেরা একসাথে পাবেন দলিল, খতিয়ান, ও খাজনা পরিশোধের সুবিধা।
ভূমি উপদেষ্টা জানিয়েছেন, “এই বছরের মধ্যেই সারাদেশে স্বয়ংক্রিয় নামজারি প্রক্রিয়া চালু হবে। এতে জনগণের হয়রানি সম্পূর্ণ বন্ধ হবে।”
আরও পড়ুনঃ বিশ্বের শীর্ষ ১০টি সোনার মজুতকারী দেশ ২০২৫। যাদের কারনে বাড়ছে সোনার দাম
শেষ কথা,
সরকারের এই যুগান্তকারী পদক্ষেপ ভূমি প্রশাসনে স্বচ্ছতা ও দক্ষতা বাড়াবে। এখন আর জমির মালিকদের মাসের পর মাস অফিসে দৌড়াতে হবে না। দলিল রেজিস্ট্রেশন শেষ হলেই নামজারি হয়ে যাবে স্বয়ংক্রিয়ভাবে।
এটি শুধু প্রযুক্তিগত পরিবর্তন নয়, বরং জনসেবায় একটি ঐতিহাসিক অগ্রগতি।
প্রতিদিন আপনার মোবাইলে টেক নিউজ আপডেট পেতে জয়েন করুন আমাদের ফেসবুক পেজ।
ভিজিট করুন 👉
━ ━ ━ ━ ━ ━ ━ ━
ডিজিটাল টাচ ফেসবুক পেইজ লাইক করে সাথে থাকুনঃ এই পেজ ভিজিট করুন ।ডিজিটাল টাচ সাইটে বিজ্ঞাপন দিতে চাইলে যোগাযোগ করুনঃ এই লিংকে।


