ভূমি উন্নয়ন কর পরিশোধ অনলাইনে করার উপায় এখন অনেক সহজ, কারণ ভূমি মন্ত্রণালয়ের ডিজিটাল সেবা নাগরিকদের হাতের নাগালে এনে দিয়েছে। আগে জমির খাজনা বা ভূমি উন্নয়ন কর দিতে অফিসে যেতে হত, লাইনে দাঁড়াতে হত এবং নানান ঝামেলা পোহাতে হত। এখন বাড়িতে বসেই কয়েক মিনিটে অনলাইনে খাজনা পরিশোধ করা যায়। এই প্রক্রিয়া সময়, খরচ এবং ঝামেলা—তিনই কমিয়ে দিয়েছে।
কর অনলাইনে পরিশোধ করার উপায় জানতে চাইলে আগে জানতে হবে আপনার প্রয়োজনীয় তথ্যগুলো ঠিক আছে কি না। জাতীয় পরিচয়পত্র, জন্মতারিখ, মোবাইল নম্বর, খতিয়ান নম্বর ও হোল্ডিং নম্বর থাকলেই পুরো কাজ সহজে সম্পন্ন করা যায়। এছাড়া যাদের পূর্বের দাখিলার কপি আছে, তারা আরও দ্রুত তথ্য যাচাই করতে পারেন।
এই পোস্টে ধাপে ধাপে দেখানো হয়েছে অনলাইনে জমির খাজনা বা ভূমি উন্নয়ন কর কীভাবে দিতে হয়, কোন কোন কাগজপত্র লাগবে, এবং পুরো প্রক্রিয়া কীভাবে সম্পন্ন করতে হয়। পাশাপাশি দেওয়া আছে সাধারণ জিজ্ঞাসার উত্তর এবং SEO-এর জন্য প্রয়োজনীয় সব তথ্য।
Content Summary
ভূমি উন্নয়ন কর কি?
ভূমি উন্নয়ন কর হলো জমির বার্ষিক খাজনা, যা জমির মালিককে বছরে একবার পরিশোধ করতে হয়। কেউ উত্তরাধিকারসূত্রে, ক্রয়সূত্রে বা অন্য কোনোভাবে জমির মালিক হলে সেই জমির ওপর ভূমি কর পরিশোধ বাধ্যতামূলক।
এই কর প্রদানের মাধ্যমে জমির মালিকানা, রেকর্ড এবং সরকারি নথিপত্র হালনাগাদ থাকে।
আগে এই কর দিতে ভূমি অফিসে যেতে হত, কিন্তু বর্তমানে অ্যালামস নামে স্বয়ংক্রিয় ভূমি ব্যবস্থাপনা সিস্টেমের মাধ্যমে অনলাইনে সহজে ভূমি উন্নয়ন কর পরিশোধ করা যায়। এটি সময় বাঁচায় এবং নাগরিকদের সেবার মান উন্নত করে।
কিভাবে ভূমি উন্নয়ন কর পরিশোধ অনলাইনে করা যায়
অনলাইনে ভূমি উন্নয়ন কর পরিশোধ করার সবচেয়ে সহজ উপায় হলো land.gov.bd ওয়েবসাইটে গিয়ে রেজিস্ট্রেশন বা লগইন করা।
লগইন করার পরে আপনার হোল্ডিং নির্বাচন করে সেই বছরের কর পরিমাণ নির্ধারণ করতে হয়। এরপর ই-পেমেন্ট অপশন বেছে নিলে কয়েক মুহূর্তেই পেমেন্ট সম্পন্ন হয়।
অনলাইনে খাজনা দেওয়ার ধাপগুলো হলো:
১) land.gov.bd-তে প্রবেশ করুন
২) ভূমি উন্নয়ন কর নির্বাচন করুন
৩) নতুন অ্যাকাউন্ট তৈরি করুন বা লগইন করুন
৪) হোল্ডিং তালিকা থেকে খতিয়ান নির্বাচন করুন
৫) প্রয়োজন হলে নতুন খতিয়ান যোগ করুন
৬) তথ্য যাচাই করুন
৭) ই-পেমেন্ট সম্পন্ন করুন
৮) দাখিলা ডাউনলোড করুন
আরও পড়ুনঃ জাতীয় পরিচয়পত্র সংশোধনের নতুন নিয়ম জারি করল সরকার
অনলাইনে ভূমি উন্নয়ন কর পরিশোধ করতে কি কি লাগবে
অনলাইনে জমির খাজনা দিতে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র খুব বেশি নয়, শুধু কিছু মৌলিক তথ্য থাকলেই পুরো প্রক্রিয়া সম্পন্ন করা যায়।
জাতীয় পরিচয়পত্র, মোবাইল নম্বর এবং জন্মতারিখ প্রয়োজন হয় রেজিস্ট্রেশন সম্পন্ন করতে।
এ ছাড়া খতিয়ান নম্বর, হোল্ডিং নম্বর এবং পূর্বের দাখিলার কপি থাকলে তথ্য যাচাই সহজ হয়।
অনলাইনে পেমেন্ট করতে বিকাশ, নগদ, রকেট, ব্যাংক কার্ড বা সোনালী ব্যাংকের গেটওয়ে ব্যবহার করা যায়।
আরও পড়ুনঃ মোবাইলে ট্রেনের টিকিট কাটার নিয়ম
FAQs –
না, land.gov.bd ওয়েবসাইটেই সব প্রক্রিয়া সম্পন্ন করা যায়। আলাদা অ্যাপ ইনস্টল করার প্রয়োজন নেই।
সাধারণত ৫ থেকে ১০ মিনিট লাগে। রেজিস্ট্রেশন করা থাকলে আরও কম সময় লাগে।
পেমেন্ট ব্যর্থ হলে আবার চেষ্টা করতে হবে। কোনো অর্থ কাটা গেলে ব্যাংক বা মোবাইল ব্যাংকিং থেকে স্বয়ংক্রিয়ভাবে ফেরত আসে।
পেমেন্ট সফল হলে দাখিলা স্বয়ংক্রিয়ভাবে তৈরি হয়। আপনার অ্যাকাউন্টের দাখিলা অপশন থেকে এটি ডাউনলোড বা প্রিন্ট করতে পারবেন।
হ্যাঁ, প্রয়োজনীয় খতিয়ান তথ্য দিয়ে নতুন খতিয়ান যোগ করলে অনলাইনে খাজনা দেওয়া যায়।
উপসংহার
ভূমি উন্নয়ন কর পরিশোধ অনলাইনে করার উপায় জানা থাকলে বছরে একবার খাজনা দিতে আর ঝামেলায় পড়তে হয় না।
অ্যালামস সিস্টেম নাগরিকদের জন্য ভূমি সেবা সহজ ও স্বচ্ছ করেছে। কয়েক মিনিটেই সম্পূর্ণ প্রক্রিয়া শেষ করা যায়।
অনলাইনে খাজনা পরিশোধের ফলে জমির নথি হালনাগাদ থাকে এবং ভবিষ্যতে রেকর্ড জটিলতা কমে।
তাই নিজের জমির দায়িত্ব হিসেবে প্রতি বছর অনলাইনে ভূমি উন্নয়নের কর পরিশোধ করা উচিত।
আরও পড়ুনঃ পাসওয়ার্ড ছাড়া ওয়াইফাই কানেক্ট করার নিয়ম
নিয়মিত আপনার মোবাইলে টেক নিউজ আপডেট পেতে জয়েন করুন আমাদের ফেসবুক পেজ।
ভিজিট করুন 👉
━ ━ ━ ━ ━ ━ ━ ━
ডিজিটাল টাচ ফেসবুক পেইজ লাইক করে সাথে থাকুনঃ এই পেজ ভিজিট করুন ।ডিজিটাল টাচ সাইটে বিজ্ঞাপন দিতে চাইলে যোগাযোগ করুনঃ এই লিংকে।


