২০২৬ সালের ত্রয়োদশ সংসদ নির্বাচন উপলক্ষে জাতীয় পরিচয়পত্র সংশোধন নতুন নিয়ম জারি করেছে বাংলাদেশ সরকার। জাতীয় পরিচয়পত্রে তথ্য সংশোধন সবসময়ই জরুরি, কারণ এনআইডি বিভিন্ন সরকারি–বেসরকারি সেবা নিতে মূল পরিচয়পত্র হিসেবে ব্যবহৃত হয়।
নির্বাচন কমিশন (ইসি) নতুনভাবে কিছু নিয়ম ঠিক করে জানিয়েছে কোন তথ্য পরিবর্তন করা যাবে এবং কোন তথ্য আপাতত পরিবর্তন করা যাবে না। অনেকেই এনআইডি সংশোধনের জন্য আবেদন করেন, কিন্তু সীমাবদ্ধতা সম্পর্কে পরিষ্কার ধারণা না থাকায় সমস্যায় পড়েন।
তাই ২০২৫ সালের হালনাগাদ নিয়ম অনুযায়ী এনআইডি সংশোধন প্রক্রিয়ার সব প্রয়োজনীয় তথ্য এখানে সহজভাবে তুলে ধরা হলো।
এখনকার নতুন নিয়মে ৭টি গুরুত্বপূর্ণ তথ্য আপাতত পরিবর্তন করা যাবে না, আবার কিছু তথ্য বিশেষ পরিস্থিতিতে সংশোধন করা যাবে। ফলে ভোটারদের উচিত আপডেট নিয়ম জেনে সঠিকভাবে আবেদন করা।
আরও পড়ুনঃ অনলাইনে জন্ম নিবন্ধন সংশোধন করার নিয়ম
Content Summary
জাতীয় পরিচয়পত্র সংশোধন নতুন নিয়ম কি
নির্বাচন কমিশনের ব্রিফিং অনুযায়ী জাতীয় পরিচয়পত্রে কিছু নির্দিষ্ট ক্ষেত্র আপাতত সংশোধনের জন্য গ্রহণ করা হচ্ছে না। তবে কিছু তথ্য যাচাই–বাছাই করে পরিবর্তনের সুবিধা রাখা হয়েছে।
নতুন নিয়মের মূল দিকগুলো:
- কিছু নির্দিষ্ট তথ্য এই মুহূর্তে সংশোধনযোগ্য নয়
- কিছু তথ্য প্রমাণপত্রের ভিত্তিতে পরিবর্তন করা যাবে
- বিদেশে থাকা প্রবাসীদের ভোটার নিবন্ধন সময়সীমা বাড়ানো হয়েছে
- ভবিষ্যতে কিছু তথ্য সংশোধনের সিদ্ধান্ত কমিশন জানাবে
নতুন নিয়ম অনুযায়ী আপাতত যে ৭টি তথ্য সংশোধন করা যাবে না:
- নাম
- বাবার নাম
- মায়ের নাম
- পেশা
- জন্মতারিখ
- ভোটার ঠিকানা
- ছবি
আরও পড়ুনঃ মোবাইলে ট্রেনের টিকিট কাটার নিয়ম
জাতীয় পরিচয়পত্রে কি কি সংশোধন করা যাবে
ইসির ঘোষণা অনুযায়ী নিচের তথ্যগুলো সঠিক প্রমাণপত্র জমা দিলে হালনাগাদ বা পরিবর্তন করা যাবে।
সংশোধনযোগ্য তথ্য:
- স্বামী বা স্ত্রীর নাম
- বৈবাহিক অবস্থা
- ধর্ম (প্রয়োজনে)
- প্রতিবন্ধকতার ধরণ
- মোবাইল নম্বর
- শিক্ষাগত যোগ্যতা
কেন এই তথ্যগুলো পরিবর্তনযোগ্য?
- মানুষের বৈবাহিক অবস্থা পরিবর্তন হতে পারে
- অনেকের যোগাযোগ নম্বর পরিবর্তন হওয়ায় এনআইডিতে হালনাগাদ প্রয়োজন
- প্রবাসী ভোটারদের ক্ষেত্রে তথ্য আপডেট জরুরি
- প্রতিবন্ধকতা বা শিক্ষাগত যোগ্যতা সময়ের সঙ্গে পরিবর্তন হতে পারে
জাতীয় পরিচয়পত্রে কি কি সংশোধন করা যাবে না
ইসির সর্বশেষ আপডেট অনুযায়ী ৭টি তথ্য আপাতত কোনোভাবেই পরিবর্তন করা যাবে না। ভবিষ্যতে এসব তথ্য সংশোধনের সুযোগ আসতে পারে, তবে এখনই আবেদন নিলে কার্যকর হবে না।
সংশোধন করা যাবে না যে তথ্যগুলো:
- নাম
- পিতার নাম
- মাতার নাম
- জন্মতারিখ
- ছবি
- ভোটার ঠিকানা
- পেশা
এই তথ্যগুলো পরিবর্তন করার প্রয়োজন হলে নির্বাচন কমিশন পরবর্তী সিদ্ধান্ত না দেওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে।
আরও পড়ুনঃ ডিসেম্বর ২০২৫ এ ১২ কেজি গ্যাস সিলিন্ডারের নতুন দাম জানুন
FAQs –
ইসির নতুন নির্দেশনা অনুযায়ী নামসহ ৭টি তথ্য যাচাই–বাছাইয়ের প্রক্রিয়া চলছে। এজন্য আপাতত নাম পরিবর্তনের আবেদন গ্রহণ করা হচ্ছে না। ভবিষ্যতে কমিশন এ বিষয়ে নতুন ঘোষণা দেবে।
মোবাইল নম্বর পরিবর্তনের জন্য কোনো আলাদা প্রমাণপত্র প্রয়োজন হয় না। অনলাইনে আবেদন করলেই আপডেট করা যায়।
প্রবাসীরা নিজ নিজ দেশের বাংলাদেশ দূতাবাস ও অনলাইনের মাধ্যমে ভোটার নিবন্ধন ও এনআইডি সংশোধন করতে পারবেন। সময়সীমা ২৫ ডিসেম্বর পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে।
বিবাহের কাগজপত্র, তালাক সনদ বা প্রয়োজনীয় বৈধ প্রমাণ আপলোড করে আবেদন করলেই বিবাহিত অবস্থা সংশোধন করা যায়।
সাধারণত ১৫ থেকে ৩০ দিনের মধ্যে তথ্য আপডেট হয়ে যায়। তবে কোন তথ্য পরিবর্তন করছেন তার উপর নির্ভর করে সময় কম–বেশি হতে পারে।
উপসংহার
জাতীয় পরিচয়পত্র সংশোধন নতুন নিয়ম জানা সকল নাগরিকের জন্য জরুরি। কারণ এনআইডি দেশের গুরুত্বপূর্ণ প্রতিটি কাজে ব্যবহৃত হয়।
নির্বাচন কমিশন আপাতত কিছু তথ্য পরিবর্তনের সুযোগ বন্ধ রাখলেও প্রয়োজনীয় কয়েকটি ক্ষেত্র আপডেট করার সুবিধা রেখেছে।
নিয়মগুলো ভালোভাবে বুঝে সঠিক প্রমাণপত্রসহ আবেদন করলে এনআইডি সংশোধন সহজ হয়ে যায়।
ভবিষ্যতে নাম, ঠিকানা ও জন্মতারিখ পরিবর্তন বিষয়ে কমিশন নতুন সিদ্ধান্ত জানালে সংশোধন প্রক্রিয়া আরও সহজ হবে।
আরও পড়ুনঃ পাসওয়ার্ড ছাড়া ওয়াইফাই কানেক্ট করার নিয়ম
নিয়মিত আপনার মোবাইলে টেক নিউজ আপডেট পেতে জয়েন করুন আমাদের ফেসবুক পেজ।
ভিজিট করুন 👉
━ ━ ━ ━ ━ ━ ━ ━
ডিজিটাল টাচ ফেসবুক পেইজ লাইক করে সাথে থাকুনঃ এই পেজ ভিজিট করুন ।ডিজিটাল টাচ সাইটে বিজ্ঞাপন দিতে চাইলে যোগাযোগ করুনঃ এই লিংকে।


