অনলাইনে জন্ম নিবন্ধন সংশোধন করার নিয়ম এখন অনেক সহজ, কারণ পুরো প্রক্রিয়া ঘরে বসেই করা যায়। জন্ম নিবন্ধনের তথ্য ভুল থাকলে ভবিষ্যতে পাসপোর্ট, স্কুল ভর্তি, চাকরি, জাতীয় পরিচয়পত্র বা আইনি কাজে সমস্যায় পড়তে হয়।
তাই ভুল নাম, জন্ম তারিখ, পিতা-মাতার তথ্য বা ঠিকানা সঠিকভাবে সংশোধন করা জরুরি। অনলাইনে জন্ম নিবন্ধন সংশোধন করার নিয়ম ভালোভাবে জানলে আপনি নিজেই আবেদন করতে পারবেন এবং সময় বাঁচবে।
এই পোস্টে আপনি জানতে পারবেন জন্ম নিবন্ধন সংশোধন করতে কি কি লাগে, কত ফি লাগে, কোন ধাপে আবেদন করবেন এবং সঠিক নিয়ম কী। অনলাইনে জন্ম নিবন্ধন সংশোধন করার নিয়ম” পুরো গাইড জুড়ে সহজভাবে তুলে ধরা হয়েছে।
Content Summary
অনলাইনে জন্ম নিবন্ধন সংশোধন করার নিয়ম
অনলাইনে জন্ম নিবন্ধন সংশোধন করতে প্রথমে bdris.gov.bd/br/correction ওয়েবসাইটে যেতে হয়। সেখানে জন্ম নিবন্ধন নম্বর, জন্ম তারিখ ও প্রয়োজনীয় তথ্য দিয়ে লগইন করতে হয়।
এরপর কোন তথ্য সংশোধন করতে চান তা নির্বাচন করতে হবে।
পিতা-মাতা বা নিজের নাম, জন্মতারিখ, ঠিকানা, যেকোনো কিছুই অনলাইনে সংশোধনের জন্য আবেদন করা যায়।
সব তথ্য পূরণের পর স্ক্যান কাগজপত্র আপলোড করতে হয়।
আবেদন সাবমিট করলে একটি কপি প্রিন্ট করতে হবে। পরে সেই আবেদনপত্র ও কাগজপত্র স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদ, পৌরসভা বা সিটি কর্পোরেশনে জমা দিতে হয়।
যাচাই শেষে সংশোধিত সনদ অনলাইনে ডাউনলোড করা যায়।
আরও পড়ুনঃ নতুন জন্ম নিবন্ধন করতে কি কি লাগে
জন্ম নিবন্ধন সংশোধন করতে কি কি লাগে
জন্ম নিবন্ধন সংশোধন করতে বেশ কিছু প্রমাণপত্র লাগে। নিজের জন্ম নিবন্ধন সনদ, পিতা-মাতার জন্ম নিবন্ধন/জাতীয় পরিচয়পত্র, শিক্ষাগত সনদ (এসএসসি/এইচএসসি), পাসপোর্ট বা ড্রাইভিং লাইসেন্স সাধারণত প্রয়োজন হয়।
For instance, জন্ম তারিখ বা নাম ভুল হলে হাসপাতালের প্রমাণপত্র, টিকার কার্ড বা অ্যাফিডেভিট লাগতে পারে। ঠিকানা সংশোধনের জন্য বিদ্যুৎ বিল বা ভোটার আইডি প্রয়োজন হয়।
যদি পিতা-মাতা মৃত হন এবং আপনার জন্ম তারিখ ২০০১ সালের পর হয়, তাহলে মৃত্যুসনদ দিতে হবে।
সব কাগজ স্ক্যান করে অনলাইনে আপলোড করতে হয়।
আরও পড়ুনঃ কেন লোগো পরিবর্তন করল বাংলালিংক: নতুন ব্র্যান্ড লুকের আসল কারণ
জন্ম নিবন্ধন সংশোধন ফি কত টাকা
জন্ম নিবন্ধন সংশোধনের জন্য সরকার নির্ধারিত ফি ৫০ থেকে ২০০ টাকার মধ্যে হতে পারে। কোন তথ্য পরিবর্তন করছেন তার উপরই ফি নির্ভর করে।
নাম, জন্মতারিখ বা পিতা-মাতার তথ্য সংশোধনের ক্ষেত্রে ফি একটু বেশি হতে পারে। ফি জমা দেওয়া যায় বিকাশ, নগদ বা ব্যাংক চালানের মাধ্যমে।
আবেদন সাবমিট করার পর স্বয়ংক্রিয়ভাবে ফি কত হবে তা ওয়েবসাইট দেখিয়ে দেয়।
জন্ম নিবন্ধন সংশোধন করার সঠিক নিয়ম
জন্ম নিবন্ধন সংশোধন করার সঠিক নিয়ম হলো প্রথমে অনলাইনে আবেদন করা, এরপর প্রয়োজনীয় কাগজপত্র জমা দেওয়া এবং শেষ ধাপে অনুমোদনের জন্য অপেক্ষা করা।
আবেদন প্রিভিউ দেখে সাবমিট করতে হয় এবং প্রিন্ট কপি সংগ্রহ রাখতে হয়। সব তথ্য ও কাগজপত্র স্থানীয় নিবন্ধক যাচাই করেন।
সাধারণত ৭ থেকে ১৫ দিনের মধ্যে সংশোধন অনুমোদিত হয়। এরপর নতুন জন্ম নিবন্ধন সনদ অনলাইনে ডাউনলোড করা যায় বা অফিস থেকে সংগ্রহ করা যায়।
আরও পড়ুনঃ ৫০০ টাকা কিস্তিতে স্মার্টফোন দেবে বিটিসিল
FAQs – সাধারণ প্রশ্ন
সাধারণত ৭ থেকে ১৫ দিনের মধ্যে সংশোধন অনুমোদিত হয়। জটিল ক্ষেত্রে সময় আরও লাগতে পারে।
অনলাইন ফর্মে নাম সংশোধন অপশন নির্বাচন করে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র আপলোড করতে হয়। এরপর যাচাই শেষে নাম সংশোধন করা হয়।
হাসপাতালের কাগজ, টিকা কার্ড, শিক্ষাগত সনদ বা অ্যাফিডেভিট প্রয়োজন হতে পারে।
প্রথমে তাদের জন্ম নিবন্ধন নম্বর সংশোধন করতে হয়। তারপর আপনার সনদ পুনর্মুদ্রণ করলে নাম ঠিক দেখা যাবে।
সর্বোচ্চ তিনবার সংশোধনের আবেদন করা যায়।
উপসংহার
অনলাইনে জন্ম নিবন্ধন সংশোধন করার নিয়ম এখন সহজ, তবে সঠিক কাগজপত্র এবং প্রক্রিয়া জানা জরুরি।
ভুল তথ্য সংশোধন করলে ভবিষ্যতের নথিপত্র নিয়ে ঝামেলায় পড়তে হয় না।
সঠিক নিয়মে আবেদন করলে খুব কম সময়ের মধ্যেই সংশোধিত জন্ম নিবন্ধন সনদ পাওয়া যায়, যা স্কুল থেকে পাসপোর্ট প্রায় সব ক্ষেত্রেই আপনার পরিচয় নিশ্চিত করে।
আরও পড়ুনঃ সিমের মালিকানা পরিবর্তন করার নিয়ম
তাই ভুল না করে এখনি অনলাইনে জন্ম নিবন্ধন সংশোধন করার নিয়ম জেনে আবেদন করুন।
টেক নিউজ আপডেট সবার আগে পেতে জয়েন করুন আমাদের ফেসবুক পেজ।
ভিজিট করুন 👉
━ ━ ━ ━ ━ ━ ━ ━
ডিজিটাল টাচ ফেসবুক পেইজ লাইক করে সাথে থাকুনঃ এই পেজ ভিজিট করুন ।ডিজিটাল টাচ সাইটে বিজ্ঞাপন দিতে চাইলে যোগাযোগ করুনঃ এই লিংকে।


