২০২৫ সালের জাতীয় নির্বাচনে বিদেশে থাকা বাংলাদেশিদের জন্য ভোট দেওয়া আগের চেয়ে সহজ হয়েছে। এখন প্রবাসীরা POSTAL VOTE BD মোবাইল অ্যাপ ব্যবহার করে পোস্টাল ভোটিংয়ের মাধ্যমে ভোট দিতে পারবেন।
এই আর্টিকেলে প্রবাসী ভোটিং প্রক্রিয়া কি, কিভাবে নিবন্ধন করবেন এবং ২০২৫ সালে পুরো ভোটিং সিস্টেম কীভাবে কাজ করবে তা পরিষ্কারভাবে তুলে ধরা হলো।
এখানে মূল কীওয়ার্ড প্রবাসী ভোটিং প্রক্রিয়া কি স্বাভাবিকভাবে ব্যবহার করা হয়েছে।
Content Summary
প্রবাসী ভোটিং প্রক্রিয়া কি?
প্রবাসী ভোটিং বলতে বিদেশে থাকা বাংলাদেশি নাগরিকদের জন্য ডাকযোগে বা পোস্টাল সিস্টেমের মাধ্যমে ভোট প্রদানের সুযোগকে বোঝায়।
২০২৫ সালে এই প্রক্রিয়াটি সহজ করতে সরকার POSTAL VOTE BD নামের একটি অ্যাপ চালু করেছে। প্রবাসী ভোটিং প্রক্রিয়া মূলত কয়েকটি ধাপের মাধ্যমে সম্পন্ন হয়:
যা করতে হবে:
- অ্যাপে নতুন অ্যাকাউন্ট তৈরি
- দেশ নির্বাচন
- ফোন নম্বর ও ওটিপি যাচাইকরণ
- NID আপলোড
- সেলফি ও লাইভনেস চেক
- পাসপোর্ট তথ্য যোগ করা
- বিদেশী ঠিকানা দিয়ে ব্যালট সংগ্রহ
এই ধাপগুলো শেষ করলেই পোস্টাল ব্যালট পাঠানোর জন্য আবেদন সম্পন্ন হয়।
2025 সালে প্রবাসীরা কিভাবে ভোট দিবেন?

২০২৫ সালের নির্বাচনে প্রবাসীদের জন্য ভোট দেওয়া সম্পূর্ণ ডিজিটাল ও সহজ প্রক্রিয়ায় করা হয়েছে।
প্রবাসীরা POSTAL VOTE BD অ্যাপের মাধ্যমে পোস্টাল ব্যালটের জন্য আবেদন করবেন এবং পরে ডাকযোগে পাওয়া ব্যালটটি পূরণ করে ফেরত পাঠাবেন।
প্রবাসীদের ভোট দেওয়ার ধাপগুলো:
- অ্যাপে রেজিস্ট্রেশন
- প্রয়োজনীয় NID ও পাসপোর্ট তথ্য জমা
- যাচাই সম্পন্ন হওয়ার পর ব্যালট বিদেশী ঠিকানায় পাঠানো
- ব্যালট পূরণ করে নির্দিষ্ট ঠিকানায় ফেরত পাঠানো
- কমিশনে ব্যালট গ্রহণ এবং গণনা সম্পন্ন
আরও পড়ুনঃ ১৪৮ দেশে একসঙ্গে ভোটার নিবন্ধন শুরু, প্রবাসীরা এখনই জেনে নিন
নিবন্ধন এবং লগইন প্রক্রিয়া
অ্যাকাউন্ট তৈরি: POSTAL VOTE BD অ্যাপ খুলে নতুন অ্যাকাউন্ট তৈরি করতে হবে। এখানে নাম, ফোন নম্বর এবং বর্তমান অবস্থানরত দেশের নাম দিতে হয়।
দেশ নির্বাচন: অ্যাপে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্যসহ বিভিন্ন দেশ তালিকা আকারে দেওয়া থাকে। আপনি যে দেশে থাকেন সেটি নির্বাচন করবেন।
ওটিপি যাচাইকরণ: নির্বাচিত দেশের কোডসহ মোবাইল নম্বরে একটি ওটিপি পাঠানো হয়। সেই কোড দিয়ে অ্যাকাউন্টটি সক্রিয় করতে হয়।
লগইন: যারা পূর্বে রেজিস্ট্রেশন করেছেন তারা দেশের কোড ও পাসওয়ার্ড দিয়ে অ্যাপে লগইন করতে পারবেন।
ব্যক্তিগত তথ্য ও নথিপত্র প্রদান
নিবন্ধন সম্পন্ন করতে ব্যবহারকারীকে কিছু নথি ও তথ্য দিতে হয়। এগুলোর উদ্দেশ্য হলো ভোটারের পরিচয় যাচাই করা।
প্রয়োজনীয় তথ্য:
- জাতীয় পরিচয়পত্র (NID) স্ক্যান বা ছবি
- সেলফি এবং লাইভনেস চেক
- বাম এবং ডান দিকের ছবি
- পাসপোর্ট তথ্য (Surname, Given Name, Passport No.)
এই তথ্যগুলো অ্যাপের মাধ্যমে সহজেই আপলোড করা যায়।
ব্যালট প্রাপ্তির ঠিকানা
পোস্টাল ব্যালট কোথায় পাঠানো হবে তা নিশ্চিত করতে অ্যাপটি বিদেশী ঠিকানা চায়।
এতে সাধারণত যা দিতে হয়:
যা দিতে হবে:
- বাড়ির নম্বর
- ফ্ল্যাট বা অ্যাপার্টমেন্ট নম্বর
- ব্লক বা রোড নম্বর
- শহর ও পোস্ট কোড
এটাই সেই ঠিকানা যেখানে আপনার ব্যালট কাগজ পাঠানো হবে।
আবেদন অনুমোদন
সব তথ্য জমা দিলে অ্যাপটি যাচাই করে। সব ঠিক থাকলে একটি নোটিফিকেশন পাওয়া যায় যে আপনার পোস্টাল ব্যালটের আবেদন অনুমোদিত হয়েছে। এরপর নির্দিষ্ট সময়ে বিদেশে থাকা ঠিকানায় ব্যালট পাঠানো হয়।
আরও পড়ুনঃ ১০ বছর মেয়াদি ই-পাসপোর্ট করতে কি কি লাগে সম্পূর্ণ গাইড
ব্যালট পেপার কি বিদেশী ঠিকানায় যাবে?
হ্যাঁ, যাবে। অ্যাপের রেজিস্ট্রেশন ফর্মে ব্যালট প্রাপ্তির ঠিকানা দিতে হয় এবং সেখানে স্পষ্টভাবে উল্লেখ থাকে যে এই ঠিকানায় ব্যালট পাঠানো হবে।
যেহেতু প্রবাসী ভোটিং বিদেশে থাকা নাগরিকদের জন্য তৈরি, তাই ব্যালট আপনার বিদেশী ঠিকানায়ই পাঠানো হবে।
উপসংহার
প্রবাসী ভোটিং প্রক্রিয়া কি এবং ২০২৫ সালের নতুন সিস্টেম কিভাবে কাজ করবে তা এখন পরিষ্কার।
POSTAL VOTE BD অ্যাপের মাধ্যমে বিদেশে থেকেও নিজের ভোটাধিকার প্রয়োগের সুযোগ তৈরি হয়েছে। এতে প্রক্রিয়াটি সহজ, নিরাপদ এবং সময় সাশ্রয়ী।
২০২৫ সালে প্রবাসীদের ভোট দেওয়া আর কঠিন কিছু নয়। প্রয়োজন শুধু একটি মোবাইল, ইন্টারনেট এবং সঠিক তথ্য।
আরও পড়ুনঃ বাংলালিংক পকেট রাউটারের দাম কত? সম্পূর্ণ তথ্য ও অফার
টেক নিউজ আপডেট সবার আগে পেতে জয়েন করুন আমাদের ফেসবুক পেজ।
ভিজিট করুন 👉
━ ━ ━ ━ ━ ━ ━ ━
ডিজিটাল টাচ ফেসবুক পেইজ লাইক করে সাথে থাকুনঃ এই পেজ ভিজিট করুন ।ডিজিটাল টাচ সাইটে বিজ্ঞাপন দিতে চাইলে যোগাযোগ করুনঃ এই লিংকে।


