সরকারি কর্মচারীদের সন্তানদের পড়াশোনার খরচ সামলানো অনেক সময় কঠিন হয়ে পড়ে। এই খরচ কমানোর জন্য সরকার দীর্ঘদিন ধরে “সরকারি কর্মচারীদের সন্তানদের জন্য শিক্ষা সহায়ক ভাতা ২০২৫” সুবিধাটি চালু রেখেছে।
প্রতি মাসে নির্দিষ্ট অঙ্কের অর্থ সন্তানপ্রতি ভাতা হিসেবে দেওয়া হয়, যা স্কুল, কলেজ বা বিশ্ববিদ্যালয় স্তরের শিক্ষায় কিছুটা সাপোর্ট দেয়। সরকারি, স্বায়ত্তশাসিত ও রাষ্ট্রায়ত্ত প্রতিষ্ঠানের কর্মচারীরা নির্দিষ্ট শর্ত পূরণ করে এই ভাতা পেতে পারেন।
“সরকারি কর্মচারীদের সন্তানদের জন্য শিক্ষা সহায়ক ভাতা ২০২৫” তাই এখন অনেকের কাছেই জরুরি তথ্য। এই পোস্টে আবেদন পদ্ধতি, শর্ত, কাগজপত্র, ভাতার পরিমাণসহ সবকিছু সহজ ভাষায় তুলে ধরা হলো।
Content Summary
সরকারি কর্মচারীদের সন্তানদের জন্য শিক্ষা সহায়ক ভাতা আবেদন করার নিয়ম
শিক্ষা সহায়ক ভাতা পাওয়ার জন্য প্রথমে নিজের দপ্তরে আবেদন করতে হয়। সাধারণত নিজ নিজ অফিসের প্রশাসনিক শাখায় নির্ধারিত ফরম পূরণ করে জমা দিতে হয়। সন্তানের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকে নেওয়া ভর্তি সার্টিফিকেট এবং জন্ম নিবন্ধন জমা দিতে হবে।
আবেদনটি অফিস প্রধান যাচাই করে হিসাব শাখায় পাঠান। এরপর মাসিক বেতনের সঙ্গে ভাতাটি যুক্ত হয়।
কোনো অনলাইন আবেদন পদ্ধতি এখনো চালু না থাকলেও ভবিষ্যতে ডিজিটাল প্রক্রিয়া যোগ হতে পারে।
তাই ভাতা পাওয়ার জন্য অবশ্যই সব কাগজপত্র সঠিকভাবে প্রস্তুত রাখতে হয়।
শিক্ষা সহায়ক ভাতা কত টাকা

সরকারি প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী একজন কর্মচারী প্রতি সন্তান মাসে ৫০০ টাকা করে ভাতা পান। সর্বোচ্চ দুই সন্তানের জন্য ১০০০ টাকা পর্যন্ত এই সুবিধা পাওয়া যায়।
অর্থাৎ, এক সন্তান থাকলে ৫০০ টাকা এবং দু’জন সন্তান থাকলে ১০০০ টাকা ভাতা দেওয়া হয়। এই ভাতা মাসিক বেতনের সঙ্গে যুক্ত করে প্রদান করা হয়। কোনো অতিরিক্ত শুল্ক বা চার্জ লাগে না।
ভাতার পরিমাণ বহু বছর ধরে একই আছে, তবে ভবিষ্যতে এটি বাড়ানো হবে কি না তা মন্ত্রণালয়ের সিদ্ধান্তের ওপর নির্ভর করবে।
সরকারি শিক্ষা সহায়ক ভাতা পাওয়ার যোগ্যতা
এই ভাতা পেতে হলে প্রথম শর্ত হলো কর্মচারীর সরকারি, স্বায়ত্তশাসিত বা রাষ্ট্রায়ত্ত প্রতিষ্ঠানে চাকরি থাকা। সন্তানের বয়স জন্ম নিবন্ধন অনুযায়ী সর্বোচ্চ ২৩ বছর হতে হবে। সন্তানের অবশ্যই কোনো শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে অধ্যয়নরত থাকতে হবে।
স্বামী-স্ত্রী দুজনই চাকরিজীবী হলে সন্তান সংখ্যা ধরে কেবল একজনই ভাতা পাবেন।
বিদেশে মিশনে কর্মরত কর্মচারীদের ক্ষেত্রে সন্তানের সর্বনিম্ন বয়স ৫ বছর হতে হয়। এই যোগ্যতাগুলো পূরণ হলে ভাতা পাওয়ার সুযোগ থাকে।
আরও পড়ুনঃ ওয়ালটনের নামে প্রতারণা: ভুয়া উপহারের স্ক্যাম লিংক থেকে সাবধান
ভাতা পাওয়ার শর্ত সমূহ কি কি
ভাতা পাওয়ার জন্য কিছু নির্দিষ্ট শর্ত পূরণ করা বাধ্যতামূলক। সন্তানের স্কুলে ভর্তি প্রমাণপত্র জমা দিতে হবে। জন্ম নিবন্ধন কপি সংযুক্ত থাকতে হবে।
সন্তানের বয়স ২৩ বছরের নিচে হলে তবেই ভাতা অনুমোদন হয়। সন্তানের সর্বনিম্ন স্তর প্রথম শ্রেণি হতে হবে। কোনো কর্মচারী ভাতা পেতে ছেলেমেয়ে সংখ্যা গোপন করতে পারবেন না।
এছাড়া একই সন্তানের জন্য মা-বাবা দুজনই ভাতা দাবি করতে পারবেন না। এসব বিষয় যাচাই করে দপ্তর ভাতা অনুমোদন করে।
প্রয়োজনীয় কাগজপত্র
ভাতা আবেদন করতে যেসব কাগজপত্র দরকার হয় সেগুলো হলো:
- শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রধানের ভর্তি প্রত্যয়নপত্র
- সন্তানের জন্ম নিবন্ধন সনদের কপি
- আবেদনকারীর চাকরিস্থলের প্রয়োজনীয় ফরম
- সন্তানের শ্রেণি উল্লেখপত্র (প্রযোজ্য ক্ষেত্রে)
- প্রয়োজন হলে পূর্বের ভাতার কপি বা অফিস অর্ডার
এই কাগজপত্র জমা দেওয়ার পর কর্মকর্তা যাচাই করে ভাতা সংযোজন করেন।
আরও পড়ুনঃ কেন লোগো পরিবর্তন করল বাংলালিংক: নতুন ব্র্যান্ড লুকের আসল কারণ
সাধারণ প্রশ্ন (FAQs)
প্রতি সন্তান মাসে ৫০০ টাকা এবং সর্বোচ্চ দুই সন্তানের জন্য ১০০০ টাকা পাওয়া যায়।
হ্যাঁ, স্কুল বা কলেজে ভর্তি প্রমাণপত্র দিতে হবে। ভর্তি সার্টিফিকেট ছাড়া ভাতা অনুমোদন হয় না।
জন্ম নিবন্ধন অনুযায়ী সন্তানের বয়স সর্বোচ্চ ২৩ বছর হতে হবে।
দুজনের মধ্যে একজনই ভাতা নিতে পারবেন। একই সন্তান দুইজনের নামে ভাতা পাওয়া যাবে না।
নিজ নিজ অফিসের প্রশাসনিক বা হিসাব শাখায় আবেদন করতে হয়। অনলাইনে আবেদন ব্যবস্থা এখনো চালু নেই।
উপসংহার
সরকারি কর্মচারীদের সন্তানের পড়াশোনায় সহায়তা দিতে সরকার যে ভাতা প্রদান করে তা অনেক পরিবারকে আর্থিকভাবে স্বস্তি দেয়।
শিক্ষা সহায়ক ভাতা ২০২৫ পাওয়ার শর্ত, কাগজপত্র ও নিয়ম জানা থাকলে সহজেই আবেদন করা যায়।
সরকারি কর্মচারীদের সন্তানদের জন্য শিক্ষা সহায়ক ভাতা ২০২৫ তাদের শিক্ষাগত উন্নয়নে বাস্তব সহায়ক ভূমিকা রাখে।
সঠিক টেক নিউজ সবার আগে পেতে জয়েন করুন আমাদের ফেসবুক পেজ।
ভিজিট করুন 👉
━ ━ ━ ━ ━ ━ ━ ━
ডিজিটাল টাচ ফেসবুক পেইজ লাইক করে সাথে থাকুনঃ এই পেজ ভিজিট করুন ।ডিজিটাল টাচ সাইটে বিজ্ঞাপন দিতে চাইলে যোগাযোগ করুনঃ এই লিংকে।


