শিক্ষা সহায়তা প্রাপ্তির আবেদন করার নিয়ম অনেক শিক্ষার্থীর কাছেই এখনও পরিষ্কার নয়। বিশেষ করে অসচ্ছল পরিবারের মেধাবী শিক্ষার্থীরা একাদশ শ্রেণিতে ভর্তি হওয়ার পর কীভাবে সহায়তা পাবেন, আবেদন কোথায় হবে, কোন কাগজ লাগবে—এসব বিষয়ে স্পষ্ট ধারণা না থাকায় অনেকেই প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে পারেন না।
প্রধানমন্ত্রীর শিক্ষা সহায়তা ট্রাস্ট প্রতিবছর দরিদ্র, মেধাবী ও যোগ্য শিক্ষার্থীদের আর্থিক সহায়তা দিয়ে থাকে, যাতে তারা বিনা বাধায় পড়াশোনা চালিয়ে যেতে পারে।
২০২৩–২৪ শিক্ষাবর্ষে সরকারি, বেসরকারি, কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষাব্যবস্থার অসচ্ছল শিক্ষার্থীরা ভর্তি সহায়তা পেতে পারবেন।
শিক্ষা সহায়তা প্রাপ্তির আবেদন করার নিয়ম সহজ করা হয়েছে, যাতে একটি ফর্ম ডাউনলোড থেকে শুরু করে অনলাইন সাবমিশন পর্যন্ত সব কিছু ঘরে বসে করা যায়। পাশাপাশি এতিম, প্রতিবন্ধী, ভূমিহীন পরিবার ও অসচ্ছল মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের সন্তানদের অগ্রাধিকার দেওয়া হবে।
এই পোস্টে বিস্তারিতভাবে তুলে ধরা হলো শিক্ষা সহায়তা প্রাপ্তির আবেদন করার নিয়ম, কারা আবেদন করতে পারবেন এবং আবেদন ফরম কোথায় পাওয়া যায়।
Content Summary
শিক্ষা সহায়তা প্রাপ্তির আবেদন কারা করতে পারবেন
এই সহায়তা মূলত অসচ্ছল পরিবারের মেধাবী শিক্ষার্থীদের জন্য। যারা ২০২৩–২৪ শিক্ষাবর্ষে একাদশ শ্রেণিতে ভর্তি হয়েছে তারা আবেদন করতে পারবে। মাদ্রাসার শিক্ষার্থীরাও একই নিয়মে আবেদন করতে পারবে।
এছাড়া আরও যাদের অগ্রাধিকার দেওয়া হবে:
- এতিম শিক্ষার্থী
- প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থী
- ভূমিহীন পরিবারের সন্তান
- অসচ্ছল মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের সন্তান
- প্রাকৃতিক দুর্যোগে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবার
- সরকারি চাকরিজীবীর সন্তান (১৩–২০ গ্রেড)
- অন্যান্য ক্ষেত্রে অভিভাবকের বাৎসরিক আয় ২ লাখ টাকার কম হলে আবেদন করা যাবে।
আরও পড়ুনঃ বিকাশ NFC পেমেন্ট কি
শিক্ষা সহায়তা প্রাপ্তির আবেদন করার নিয়ম
অনলাইনে আবেদন করার জন্য ধাপে ধাপে যা করতে হবে:
১. প্রতিষ্ঠানপ্রধানের সুপারিশ ফর্ম ডাউনলোড করুন। ফর্মটি প্রিন্ট করে পূরণ করে আপনার শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রধানের স্বাক্ষর নিন।
২. প্রয়োজনীয় কাগজপত্র প্রস্তুত করুন।
স্পষ্টভাবে ছবি তুলতে হবে:
- পাসপোর্ট সাইজ ছবি
- স্বাক্ষর
- জন্ম নিবন্ধন সনদ
- অভিভাবকের জাতীয় পরিচয়পত্র
- সুপারিশ ফর্ম
- প্রয়োজনে সরকারি চাকরিজীবীর প্রত্যয়ন পত্র
৩. অনলাইন রেজিস্ট্রেশন করুন। যদি আগে অ্যাকাউন্ট না থাকে তাহলে নতুন করে রেজিস্ট্রেশন করতে হবে।
৪. মোবাইল নম্বর ভেরিফিকেশন, ওটিপি দিয়ে নম্বর নিশ্চিত করুন।
৫. লগইন করে আবেদন ফর্ম পূরণ করুন, সমস্ত তথ্য সঠিকভাবে পূরণ করে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র আপলোড করুন।
৬. ড্যাশবোর্ডে আবেদন অবস্থা দেখুন, সাবমিটের পর আবেদন যাচাই অবস্থার আপডেট পাওয়া যাবে।
আবেদনের পর ৪–৬ মাসের মধ্যে সহায়তার টাকা পাঠানো হবে। নির্বাচিত হলে এসএমএসের মাধ্যমে জানানো হবে।
শিক্ষা সহায়তা প্রাপ্তির আবেদন ফরম কোথায় পাওয়া যায়
শিক্ষা সহায়তার আবেদন ফরম পাওয়া যায় ই-ভর্তি সহায়তা ব্যবস্থাপনা সফটওয়্যারের ওয়েবসাইটে।
আবেদন লিংক: https://www.eservice.pmeat.gov.bd/admission
সেখান থেকে—
- নির্ধারিত সুপারিশ ফর্ম ডাউনলোড
- প্রয়োজনীয় নির্দেশিকা পড়া
- অনলাইন আবেদন সম্পন্ন করা
সবই করা যাবে।
বর্তমানে মাধ্যমিক পর্যায়ে ৫,০০০ টাকা, উচ্চ মাধ্যমিক পর্যায়ে ৮,০০০ টাকা এবং স্নাতকে ১০,০০০ টাকা ভর্তি সহায়তা দেওয়া হচ্ছে।
আরও পড়ুনঃ প্রবাসীদের ভোটার হতে কি কি লাগে জানুন
FAQs
হ্যাঁ, সাধারণ, কারিগরি এবং মাদ্রাসা—সব শিক্ষা বোর্ডের শিক্ষার্থীরা আবেদন করতে পারেন।
জাতীয় বেতন স্কেল অনুযায়ী ১৩ থেকে ২০তম গ্রেডভুক্ত কর্মচারীর সন্তান যোগ্য।
২৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ রাত ১১:৫৯ পর্যন্ত আবেদন করা যাবে।
একাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থীদের ৮,০০০ টাকা প্রদান করা হয়।
আবেদন জমা দেওয়ার ৪–৬ মাসের মধ্যে টাকা পাঠানো হয়।
উপসংহার
শিক্ষা সহায়তা প্রাপ্তির আবেদন করার নিয়ম এখন আগের তুলনায় অনেক সহজ। অনলাইনে সব প্রক্রিয়া সম্পন্ন করা যায়, তাই শিক্ষার্থীদের আর শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ঘুরে বেড়াতে হয় না।
এ সহায়তা অসচ্ছল পরিবারের মেধাবী শিক্ষার্থীদের পড়াশোনা চালিয়ে যেতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে।
সময়মতো ফর্ম জমা দিলে ও কাগজপত্র ঠিকঠাক থাকলে সহায়তা পাওয়া যায়। তাই যারা যোগ্য, তারা নির্ধারিত সময়ের মধ্যেই আবেদন করে ফেলুন।
আরও পড়ুনঃ ৫০০ টাকা কিস্তিতে স্মার্টফোন দেবে বিটিসিল
বাংলাদেশের যেকোনো টেলিকম অপারেটর অফার সম্পর্কে জানতে ভিজিট করুন ডিজিটাল টাচ ওয়েবসাইট।
এবং জয়েন করুন আমাদের ফেসবুক পেজ।
ভিজিট করুন 👉
━ ━ ━ ━ ━ ━ ━ ━
ডিজিটাল টাচ ফেসবুক পেইজ লাইক করে সাথে থাকুনঃ এই পেজ ভিজিট করুন ।ডিজিটাল টাচ সাইটে বিজ্ঞাপন দিতে চাইলে যোগাযোগ করুনঃ এই লিংকে।


