সিম রিপ্লেস করতে কত টাকা লাগে: সব অপারেটরের নতুন চার্জ তালিকা

একটি পুরোনো বা নষ্ট সিম ঠিকমতো নেটওয়ার্ক না ধরলে, ফোনে সিম ইরর দেখালে বা নম্বর একই রেখে নতুন সিম নিতে হলে সিম রিপ্লেস করতে হয়। বাংলাদেশের সব অপারেটরই সিম রিপ্লেসমেন্ট সেবা দেয় এবং এই সেবার জন্য নির্দিষ্ট চার্জ নেওয়া হয়।

সাধারণত সিম রিপ্লেস করতে কত টাকা লাগে তা অপারেটর, অঞ্চল, সিমের ধরন এবং গ্রাহকের ক্যাটাগরি অনুযায়ী ভিন্ন হতে পারে।

এই পোস্টে সিম রিপ্লেসের খরচ থেকে শুরু করে প্রতিটি অপারেটরের চার্জ—সব তথ্য সহজ ভাষায় তুলে ধরা হলো।

আপনি কি কমদামে মিনিট, ইন্টারনেট ও বান্ডেল অফার কিনতে ইচ্ছুক!

ভিজিট করুন 👉

সিম রিপ্লেস কি?

সিম রিপ্লেস হলো একই নম্বর রেখে পুরোনো সিম পরিবর্তন করে নতুন সিম নেওয়ার প্রক্রিয়া। সিম নষ্ট হয়ে গেলে, নেটওয়ার্ক সমস্যা হলে, ফোনে রিড না করলে বা ই-সিমে পরিবর্তন করতে হলে রিপ্লেস করা হয়।

বর্তমানে এর জন্য গ্রাহকের জাতীয় পরিচয়পত্র এবং বায়োমেট্রিক ভেরিফিকেশন প্রয়োজন হয়।

সিম রিপ্লেস করতে কত টাকা লাগে

বাংলাদেশে সাধারণত সিম রিপ্লেস করতে ৩৫০ টাকা চার্জ নেওয়া হয়। তবে কিছু ক্ষেত্রে দোকানভেদে বা অপারেটরভেদে সার্ভিস চার্জ যুক্ত হয়ে ৪০০ টাকা পর্যন্ত লাগতে পারে। বিশেষ গ্রাহক (গোল্ড, প্ল্যাটিনাম, স্টার) হলে অনেক সময় এই সেবা ফ্রি হয়। ই-সিমের ক্ষেত্রে আলাদা মূল্যও থাকতে পারে।

বাংলালিংক সিম রিপ্লেসমেন্ট কত টাকা

বাংলালিংক প্রিপেইড এবং পোস্টপেইড উভয় গ্রাহকের জন্য সিম রিপ্লেসমেন্ট চার্জ ৩৫০ টাকা। সাধারণ ব্যবহারকারীর ক্ষেত্রে এই চার্জ একই থাকে। কোন ধরনের অতিরিক্ত সার্ভিস চার্জ নেই।

রবি সিম রিপ্লেসমেন্ট কত টাকা

রবিতে সাধারণত সিম রিপ্লেসমেন্ট চার্জ ৩৫০ টাকা হলেও কিছু অঞ্চলে সার্ভিস চার্জ যুক্ত হয়ে ৪০০ টাকা পর্যন্ত লাগতে পারে। রবি কাস্টমার কেয়ারে গেলে সাধারণত নির্দিষ্ট চার্জই নেওয়া হয়।

জিপি সিম রিপ্লেসমেন্ট কত টাকা লাগে

জিপি সিম রিপ্লেসমেন্ট কত টাকা লাগে

গ্রামীণফোনে সিম রিপ্লেস করতে সাধারণ চার্জ ৩৫০ টাকা

  • ই-সিম রিপ্লেস চার্জ: ২৯৯ টাকা
  • গোল্ড, প্ল্যাটিনাম ও সিগনেচার স্টার গ্রাহকদের জন্য: সম্পূর্ণ ফ্রি

এয়ারটেল সিম রিপ্লেসমেন্ট কত টাকা

এয়ারটেলের সিম রিপ্লেসমেন্ট চার্জ সাধারণত ৩৫০ টাকা হলেও কিছু এলাকায় (যেমন কুমিল্লা) ৪৫০ টাকা পর্যন্ত নেওয়া হয়। দোকান অনুযায়ী সার্ভিস চার্জ ভিন্ন হতে পারে।

টেলিটক সিম রিপ্লেসমেন্ট কত টাকা

টেলিটকের অফিসিয়াল চার্জ ২০০–৩০০ টাকার মধ্যে থাকে। তবে অনেক ক্ষেত্রে ভোক্তা পর্যায়ে ৩০০–৩৫০ টাকা পর্যন্ত দিতে হতে পারে। বন্ধ সিম (১৫ মাসের বেশি) রিপ্লেস করতে হলে অবশ্যই কাস্টমার কেয়ারে যেতে হয়।

আরও পড়ুনঃ কেন লোগো পরিবর্তন করল বাংলালিংক: নতুন ব্র্যান্ড লুকের আসল কারণ

কেন সিম রিপ্লেস করতে এতো বেশি টাকা লাগে?

সিম রিপ্লেস করতে তুলনামূলক বেশি টাকা লাগে কারণ পুরো প্রক্রিয়াটি নিরাপত্তার ওপর নির্ভর করে।

হারানো বা ক্ষতিগ্রস্ত সিম নতুন করে ইস্যু করতে অপারেটরকে আপনার পরিচয় যাচাই করতে হয়, যা বায়োমেট্রিক, ডাটাবেস মিলানো এবং নেটওয়ার্কে নতুন একটি সিম সক্রিয় করার কাজ সম্পন্ন করে। এতে প্রযুক্তিগত খরচ, রিস্ক ম্যানেজমেন্ট এবং কাস্টমার সার্ভিস ব্যয়ের বিষয়গুলো যুক্ত হয়।

পাশাপাশি অঞ্চলভেদে সার্ভিস চার্জ বা দোকানের অতিরিক্ত ফি যুক্ত হওয়ায় মোট খরচ আরও বাড়তে পারে।

তাই পুরো নিরাপত্তা ও যাচাইকরণ প্রক্রিয়ার জন্য সিম রিপ্লেসমেন্টে তুলনামূলক বেশি খরচ নেওয়া হয়।

আরও পড়ুনঃ নতুন জন্ম নিবন্ধন করতে কি কি লাগে: সম্পূর্ণ গাইড

নতুন সিমের তুলনায় সিম রিপ্লেস করার খরচ অনেক বেশি কেন?

বাংলাদেশে নতুন সিমের তুলনায় সিম রিপ্লেস করার খরচ বেশি হওয়ার মূল কারণ হলো নিরাপত্তা যাচাই এবং গ্রাহকের পরিচয় নিশ্চিত করার অতিরিক্ত প্রক্রিয়া।

নতুন সিম কিনলে শুধু রেজিস্ট্রেশন করলেই হয়, কিন্তু পুরোনো নম্বর পুনরায় ইস্যু করতে অপারেটরকে বায়োমেট্রিক মিলানো, মালিকানা যাচাই, আগের সিম ব্লক করা, নেটওয়ার্কে নতুন সিম সক্রিয় করা এবং ডাটাবেস আপডেট করার মতো একাধিক ধাপ সম্পন্ন করতে হয়।

এসব প্রক্রিয়া পরিচালনার জন্য আলাদা ব্যয় হয়, আর বেশিরভাগ ক্ষেত্রে দোকান বা সার্ভিস পয়েন্টও অতিরিক্ত চার্জ নিয়ে থাকে।

তাই নতুন সিমের তুলনায় সিম রিপ্লেস করার খরচ স্বাভাবিকভাবেই বেশি পড়ে।

আরও পড়ুনঃ হোয়াটসঅ্যাপ থেকে টাকা পাঠানোর নিয়ম: সহজ গাইড ২০২৫

গুরুত্বপূর্ণ FAQs –

সিম রিপ্লেস করতে কি কি লাগবে?

জাতীয় পরিচয়পত্র, ফিঙ্গারপ্রিন্ট ভেরিফিকেশন, এবং ফোন নম্বরটি যাঁর নামে নিবন্ধিত তাঁর উপস্থিতি প্রয়োজন।

কত দিনে সিম রিপ্লেস হয়?

সাধারণত সঙ্গে সঙ্গেই নতুন সিম দিয়ে দেয়। কিছু ক্ষেত্রে ৩০ মিনিট পর্যন্ত সময় লাগতে পারে।

ই-সিম রিপ্লেস করতে কত টাকা লাগে?

গ্রামীণফোনে ২৯৯ টাকা। অন্যান্য অপারেটরে এখনো অফিসিয়াল রেট স্থির নয়।

বন্ধ সিম রিপ্লেস করতে কি অফিসে যেতে হয়?

হ্যাঁ, ১৫ মাসের বেশি সময় বন্ধ থাকলে অপারেটর কাস্টমার কেয়ারে গিয়ে রিপ্লেস করতে হয়।

দোকানে বেশি টাকা কেন নেয়?

অনেক দোকান সার্ভিস চার্জ যোগ করে। তাই সঠিক চার্জ দিতে চাইলে অফিসিয়াল কাস্টমার কেয়ারে যাওয়া ভালো।

উপসংহার

সিম রিপ্লেস করতে কত টাকা লাগে জানতে পেরেছেন বলে মনে করি।

বাংলাদেশে সিম রিপ্লেসমেন্ট খরচ সাধারণত ৩৫০ টাকার মধ্যে হলেও অপারেটরভেদে এবং দোকানভেদে কিছুটা পরিবর্তন হতে পারে।

গ্রাহকের ক্যাটাগরি ও সিমের ধরনও মূল্যের ওপর প্রভাব ফেলে।

প্রয়োজন হলে কাস্টমার কেয়ার থেকে রিপ্লেস করাই সবচেয়ে নিরাপদ এবং সাশ্রয়ী।

আরও পড়ুনঃ পাসওয়ার্ড ছাড়া ওয়াইফাই কানেক্ট করার নিয়ম

নিয়মিত আপনার মোবাইলে টেক নিউজ আপডেট পেতে জয়েন করুন আমাদের ফেসবুক পেজ।

WhatsApp Group Join Now
Telegram Group Join Now
আপনি কি কমদামে মিনিট, ইন্টারনেট ও বান্ডেল অফার খুঁজছেন!

ভিজিট করুন 👉

━ ━ ━ ━ ━ ━ ━ ━

ডিজিটাল টাচ
ফেসবুক পেইজ লাইক করে সাথে থাকুনঃ এই পেজ ভিজিট করুন
ডিজিটাল টাচ সাইটে বিজ্ঞাপন দিতে চাইলে যোগাযোগ করুনঃ এই লিংকে
Sharing Is Caring:

আমি শেখ মোঃ আমিনুল ইসলাম (সুজন)। ডিজিটাল টাচ ডটকম এর প্রতিষ্ঠাতা ও লেখক। এইচএসসি (বিজ্ঞান); চাঁদপুর সরকারি কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়।

Leave a Comment