সুরা বাকারার শেষ তিন আয়াত ও পড়ার ফজিলত

সুপ্রিয় পাঠক বৃন্দ সুরা বাকারার শেষ তিন আয়াত জানতে আপনারা অনেকেই গুগল সার্চ করে থাকেন। আজ আমরা এই গুরুত্বপূর্ণ আর্টিকেলের মাধ্যমে আপনাদের সামনে উল্লেখ করবো সুরা বাকারার শেষ তিন আয়াত গুলো। সূরা বাকারার ফজিলত সম্পর্কে ইতিমধ্যেই আমরা অনেকেই জানি। 

আবার আপনারা অনেকেই হয়তো এ বিষয়ে তেমন জানেন না। সূরা আল-বাকারা কোরআন মাজিদের ২ নম্বার সূরা। এই সূরার মোট আয়াত সংখ্যা ২৮৬ টি। সূরা আল-বাকারা এর বাংলা অর্থ- বকনা-বাছুর। সূরা আল-বাকারা মাদীনায় অবতীর্ণ হয়েছে। আমাদের প্রিয় নবী হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এই সুরাটি বেশি বেশি পাঠ করতেন। 

আপনারা অনেকেই এই সূরার শেষ তিনটি আয়াত পড়তে আগ্রহ প্রকাশ করেছেন। তাই আজ আমরা এই আর্টিকেলের মাধ্যমে আপনাদেরকে সুরা বাকারার শেষ তিন আয়াত জানাবো। আশা করছি আজকের এই আর্টিকেলটি আপনাদের ভালো লাগবে এবং আপনারা আজকে এই আর্টিকেলটি শেষ পর্যন্ত পড়বেন। 

অর্থসহ সূরা বাকারার শেষ তিন আয়াত 

অর্থসহ সূরা বাকারার শেষ তিন আয়াত
অর্থসহ সূরা বাকারার শেষ তিন আয়াত 

(২৮৪) لِّلَّهِ مَا فِى ٱلسَّمَٰوَٰتِ وَمَا فِى ٱلْأَرْضِ وَإِن تُبْدُوا۟ مَا فِىٓ أَنفُسِكُمْ أَوْ تُخْفُوهُ يُحَاسِبْكُم بِهِ ٱللَّهُ فَيَغْفِرُ لِمَن يَشَآءُ وَيُعَذِّبُ مَن يَشَآءُ وَٱللَّهُ عَلَىٰ كُلِّ شَىْءٍ قَدِيرٌ

আরবি উচ্চারণঃ লিল্লা-হি মা ফিছ ছামা-ওয়া-তি ওয়ামা-ফিল আরদিওয়া ইন তুবদূমা-ফীআনফুছিকুম আও তুখফূহু ইউহা-ছিবকুম বিহিল্লা-হু ফাইয়াগফিরু লি মাইঁ ইয়াশাউ ওয়া ইউ‘আযযিবু মাইঁ ইয়াশাউ ওয়াল্লা-হু আলা-কুল্লি শাইয়িন কাদীর।(২৮৪)

(২৮৫) ءَامَنَ ٱلرَّسُولُ بِمَآ أُنزِلَ إِلَيْهِ مِن رَّبِّهِۦ وَٱلْمُؤْمِنُونَ كُلٌّ ءَامَنَ بِٱللَّهِ وَمَلَٰٓئِكَتِهِۦ وَكُتُبِهِۦ وَرُسُلِهِۦ لَا نُفَرِّقُ بَيْنَ أَحَدٍ مِّن رُّسُلِهِۦ وَقَالُوا۟ سَمِعْنَا وَأَطَعْنَا غُفْرَانَكَ رَبَّنَا وَإِلَيْكَ ٱلْمَصِيرُ

আরবি উচ্চারণঃ আ-মানাররাছূলু বিমাউনঝিলা ইলাইহি মির রাব্বিহী ওয়াল মু’মিনূনা কুল্লুন আ-মানা বিল্লাহি ওয়া মালাইকাতিহী ওয়া কুতুবিহী ওয়া রুছুলিহী লা-নুফাররিকুবাইনা আহাদিম মির রুছুলিহী ওয়া কা-লূ ছামি‘না ওয়াআতা‘না গুফরা-নাকা রাব্বানা-ওয়া ইলাইকাল মাসীর।(২৮৫)

(২৮৬) لَا يُكَلِّفُ ٱللَّهُ نَفْسًا إِلَّا وُسْعَهَا لَهَا مَا كَسَبَتْ وَعَلَيْهَا مَا ٱكْتَسَبَتْ رَبَّنَا لَا تُؤَاخِذْنَآ إِن نَّسِينَآ أَوْ أَخْطَأْنَا رَبَّنَا وَلَا تَحْمِلْ عَلَيْنَآ إِصْرًا كَمَا حَمَلْتَهُۥ عَلَى ٱلَّذِينَ مِن قَبْلِنَا رَبَّنَا وَلَا تُحَمِّلْنَا مَا لَا طَاقَةَ لَنَا بِهِۦ وَٱعْفُ عَنَّا وَٱغْفِرْ لَنَا وَٱرْحَمْنَآ أَنتَ مَوْلَىٰنَا فَٱنصُرْنَا عَلَى ٱلْقَوْمِ ٱلْكَٰفِرِينَ

আরবি উচ্চারণঃ লা-ইউকালিলফুল্লা-হু নাফছান ইল্লা-উছ‘আহা-লাহা-মা কাছাবাত ওয়া ‘আলাইহা-মাকতাছাবাত রাব্বানা-লা-তুআ-খিযনা ইন নাছীনা-আও আখতা’না-রাব্বানা ওয়ালা-তাহমিল ‘আলাইনা-ইসরান কামা-হামালতাহূ আলাল্লাযীনা মিন কাবলিনা-রাব্বানা-ওয়ালা তুহাম্মিলনা-মা-লা-তা-কাতা লানা-বিহী ওয়া‘ফু‘আন্না-ওয়াগফিরলানা-ওয়ারহামনা-আনতা মাওলা-না-ফানসুরনা-‘আলাল কাওমিল কা-ফিরীন।(২৮৬)

সূরা বাকারার শেষ তিন আয়াতের বাংলা অর্থ 

সুরা বাকারার শেষ তিন আয়াতের প্রথমটির বাংলা অর্থঃ যা কিছু আকাশসমূহে রয়েছে এবং যা কিছু যমীনে আছে, সব আল্লাহরই। যদি তোমরা মনের কথা প্রকাশ কর কিংবা গোপন কর, আল্লাহ তোমাদের কাছ থেকে তার হিসাব নেবেন। অতঃপর যাকে ইচ্ছা তিনি ক্ষমা করবেন এবং যাকে ইচ্ছা তিনি শাস্তি দেবেন। আল্লাহ সর্ববিষয়ে শক্তিমান।(২৮৪)

দ্বিতীয় সুরা বাকারার শেষ তিন আয়াতের বাংলা অর্থঃ রসূল বিশ্বাস রাখেন ঐ সমস্ত বিষয় সম্পর্কে যা তাঁর পালনকর্তার পক্ষ থেকে তাঁর কাছে অবতীর্ণ হয়েছে এবং মুসলমানরাও সবাই বিশ্বাস রাখে আল্লাহর প্রতি, তাঁর ফেরেশতাদের প্রতি, তাঁর গ্রন্থসমুহের প্রতি এবং তাঁর পয়গম্বরগণের প্রতি। তারা বলে আমরা তাঁর পয়গম্বরদের মধ্যে কোন তারতম্য করিনা। তারা বলে, আমরা শুনেছি এবং কবুল করেছি। আমরা তোমার ক্ষমা চাই, হে আমাদের পালনকর্তা। তোমারই দিকে প্রত্যাবর্তন করতে হবে।(২৮৫)

বাংলা অর্থঃ আল্লাহ কাউকে তার সাধ্যাতীত কোন কাজের ভার দেন না, সে তাই পায় যা সে উপার্জন করে এবং তাই তার উপর বর্তায় যা সে করে। হে আমাদের পালনকর্তা, যদি আমরা ভুলে যাই কিংবা ভুল করি, তবে আমাদেরকে অপরাধী করো না। হে আমাদের পালনকর্তা! 

এবং আমাদের উপর এমন দায়িত্ব অর্পণ করো না, যেমন আমাদের পূর্ববর্তীদের উপর অর্পণ করেছ, হে আমাদের প্রভূ! এবং আমাদের দ্বারা ঐ বোঝা বহন করিও না, যা বহন করার শক্তি আমাদের নাই। আমাদের পাপ মোচন কর। আমাদেরকে ক্ষমা কর এবং আমাদের প্রতি দয়া কর। তুমিই আমাদের প্রভু। সুতরাং কাফের সম্প্রদায়ের বিরুদ্ধে আমাদের কে সাহায্যে কর।(২৮৬) 

সুরা বাকারার শেষ তিন আয়াতের ফজিলত

নুমান বিন বাশীর (রা.) থেকে বর্ণিত। রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘আল্লাহ তাআলা আসমান-জমিন সৃষ্টির দুই হাজার বছর আগে একটি কিতাব লিখেছেন। সেই কিতাব হতে তিনি দুটি আয়াত নাজিল করেছেন।

এ দুটি আয়াতের মাধ্যমেই সূরা আল-বাকারা শেষ করেছেন। যে ঘরে তিন রাত এ দুই আয়াত তিলাওয়াত করা হয়, শয়তান সেই ঘরের কাছেও ঘেঁষতে পারে না।’ (তিরমিজি: ২৮৮২)

এক ব্যক্তি আরজ করল, ‘হে আল্লাহর নবী! কোরআনের কোন আয়াত এমন, যার বরকত আপনার ও আপনার উম্মতের কাছে পৌঁছতে আপনি ভালবাসেন?’ নবীজি (সা.) বললেন, সুরা আল-বাকারার শেষাংশ।

কেননা আল্লাহ তায়ালা তাঁর আরশের নিচের ভাণ্ডার হতে তা এই উম্মতকে দান করেছেন। দুনিয়া ও আখেরাতের এমন কোনো কল্যাণ নেই, যা এতে নেই। (মেশকাত: ২১৬৯, সহিহ ইবনে হিব্বান: ১৬৯৭)

উপসংহার 

সুপ্রিয় পাঠক বৃন্দ সুরা বাকারার শেষ তিন আয়াত আরবি এবং বাংলা আয়াতসহ আজকের এই আর্টিকেলের মাধ্যমে আপনাদের সামনে তুলে ধরা হয়েছে। 

আশা করছি আজকের এই আর্টিকেলটি আপনাদের ভালো লেগেছে এবং আপনারা আজকের এই আর্টিকেল থেকে সুরা বাকারার শেষ তিন আয়াত গুলো জানতে পেরেছেন। 

তবুও যদি আপনাদের এ বিষয়ে আরো কিছু জানার থাকে তাহলে অবশ্যই সেটি আমাদেরকে কমেন্ট করে জানাতে পারেন।

এছাড়াও আপনারা যারা অন্যান্য ধরনের অনলাইন ভিত্তিক কিংবা জ্ঞানমূলক আর্টিকেলগুলো পড়তে চান তারা অবশ্যই আমাদের ওয়েবসাইট ভিজিট করতে পারেন। 

কেননা আমাদের ওয়েবসাইটে আপনাদের সাহায্যে সকল সময় গুরুত্বপূর্ণ আর্টিকেলগুলো আপনাদের সামনে তুলে ধরার চেষ্টা করা হয়ে থাকে। 

অনলাইনে ঘরে বসে টাকা ইনকাম, টেলিকম অফার, মোবাইল ব্যাংকিং সেবা অফার ও ইন্টারনেট থেকে সঠিক তথ্য পেতে আমাদের সাথে থাকুন।

জয়েন করুন আমাদের ফেসবুক পেজ। 

আরও পড়ুনঃ

রকেট একাউন্ট দেখার নিয়ম

বিকাশ এজেন্ট একাউন্ট খোলার নিয়ম

কমদামে মিনিট, ইন্টারনেট ও বান্ডেল অফার কিনতে ভিজিট করুনঃ এখানে ক্লিক করুন
ডিজিটাল টাচ ফেসবুক পেইজ লাইক করে সাথে থাকুনঃ এই পেজ ভিজিট করুন
ডিজিটাল টাচ সাইটে বিজ্ঞাপন দিতে চাইলে যোগাযোগ করুনঃ এই লিংকে
অনলাইনে টাকা ইনকাম সম্পর্কে জানতে ভিজিট করুনঃ www.digitaltuch.com সাইট ।

আমি একজন ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী। বাংলা ভাষায় অনলাইন থেকে টাকা ইনকাম, টেলিকম অফার এবং মোবাইল ব্যাংকিং পরিষেবা সম্পর্কে সঠিক তথ্য প্রদানের জন্য এই ওয়েবসাইটটি তৈরি করা হয়েছে।

Leave a Comment