জাতীয় সংগীত পুরোটা ২৫ লাইন আপনারা অনেকেই জানেন আবার অনেকেই হয়তো জানেন না। বাংলাদেশের জাতীয় সংগীত pdf পাবেন এখানে, প্রত্যেকটি স্বাধীন সার্বভৌম দেশের জাতীয় সংগীত রয়েছে। ঠিক তেমনি আমাদেরও একটি স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে জাতীয় সংগীত রয়েছে।
আজকের এই আর্টিকেলটি গঠন করা হয়েছে আমাদের জাতীয় সংগীত সম্পর্কে। আমরা আজকের এই আর্টিকেলে আপনাদেরকে জাতীয় সংগীতের পঁচিশটা লাইন উল্লেখ করব। সেইসাথে জাতীয় সংগীত সম্পর্কিত সকল তথ্য বিস্তারিত আপনাদের সামনে তুলে ধরার চেষ্টা করব।
আমরা একটি স্বাধীন জাতি হিসেবে নিজেদের জাতীয় সম্পদ সম্পর্কে জানা এবং জাতীয় সংগীতের প্রতি সম্মান প্রদান করা আমাদের অত্যন্ত জরুরী। তার থেকে বেশি জরুরি হলো আমাদের জাতীয় সংগীত পুরোটা নিজের আয়ত্তে রাখা। সে জন্যই আজকের এই আর্টিকেলটি গঠন করা হয়েছে।
Content Summary
জাতীয় সংগীত পুরোটা ২৫ লাইন – বাংলাদেশের জাতীয় সংগীত pdf
বাংলাদেশের জাতীয় সংগীত মোট কত লাইনে নিয়ে অনেকে দ্বিধার মধ্যে থাকেন।
মূলত আমরা যে ছোটবেলা থেকে জাতীয় সংগীত গেয়ে আসছি সেটি ১০ লাইন।
তবে ১৯৭২ সালের ১৩ জানুয়ারী বাংলাদেশ সরকার গানটির প্রথম দশ লাইন জাতীয় সঙ্গীত হিসেবে গাওয়ার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে (মোট চরণ সংখ্যা পঁচিশটি)।
যন্ত্রসঙ্গীতে ও সামরিক বাহিনী ব্যবহার করা হয় প্রথম চারটি লাইন।
একই বছর বাংলাদেশের জাতীয় সংগীত হিসেবে ব্যবহার করা “আমার সোনার বাংলা” গানটির স্বরলিপি বিশ্বভারতী সংগীতবোর্ড কর্তৃক অনুমোদিত করা হয়।
বাংলাদেশের জাতীয় সংগীত প্রথম ১০ লাইন
আমার সোনার বাংলা, আমি তোমায় ভালোবাসি।
চিরদিন তোমার আকাশ, তোমার বাতাস, আমার প্রাণে বাজায় বাঁশি।
ও মা, ফাগুনে তোর আমের বনে ঘ্রাণে পাগল করে,
মরি হায়, হায় রে_
ও মা, অঘ্রাণে তোর ভরা ক্ষেতে আমি কী দেখেছি মধুর হাসি।
কী শোভা, কী ছায়া গো, কী স্নেহ, কী মায়া গো
কী আঁচল বিছায়েছ বটের মূলে, নদীর কূলে কূলে।
মা, তোর মুখের বাণী আমার কানে লাগে সুধার মতো,
মরি হায়, হায় রে_
মা, তোর বদনখানি মলিন হলে, ও মা, আমি নয়নজলে ভাসি।
জাতীয় সংগীতের ২৫ লাইন
আমার সোনার বাংলা, আমি তোমায় ভালোবাসি।
চিরদিন তোমার আকাশ, তোমার বাতাস, আমার প্রাণে বাজায় বাঁশি।
ও মা, ফাগুনে তোর আমের বনে ঘ্রাণে পাগল করে,
মরি হায়, হায় রে
ও মা, অঘ্রাণে তোর ভরা ক্ষেতে আমি কী দেখেছি মধুর হাসি।
কী শোভা, কী ছায়া গো, কী স্নেহ, কী মায়া গো
কী আঁচল বিছায়েছ বটের মূলে, নদীর কূলে কূলে।
মা, তোর মুখের বাণী আমার কানে লাগে সুধার মতো,
মরি হায়, হায় রে
মা, তোর বদনখানি মলিন হলে, ও মা, আমি নয়নজলে ভাসি।
তোমার এই খেলাঘরে শিশুকাল কাটিল রে,
তোমারি ধুলামাটি অঙ্গে মাখি ধন্য জীবন মানি।
তুই দিন ফুরালে সন্ধ্যাকালে কী দীপ জ্বালিস ঘরে,
মরি হায়, হায় রে
তখন খেলাধুলা সকল ফেলে, ও মা, তোমার কোলে ছুটে আসি।
ধেনু-চরা তোমার মাঠে, পারে যাবার খেয়াঘাটে,
সারাদিন পাখি-ডাকা ছায়ায়-ঢাকা তোমার পল্লীবাটে,
তোমার ধানে-ভরা আঙিনাতে জীবনের দিন কাটে,
মরি হায়, হায় রে
ও মা, আমার যে ভাই তারা সবাই, তোমার রাখাল তোমার চাষি।
ও মা, তোর চরণেতে দিলেম এই মাথা পেতে
দে গো তোর পায়ের ধূলা, সে যে আমার মাথার মানিক হবে।
ও মা, গরিবের ধন যা আছে তাই দিব চরণতলে,
মরি হায়, হায় রে
আমি পরের ঘরে কিনব না আর, মা, তোর ভূষণ বলে গলার ফাঁসি।
আরও পড়ুনঃ
১৫ অগাস্ট বাংলাদেশ – শোক দিবস।
পৃথিবীতে কয়টি মুসলিম দেশ আছে?
জাতীয় সংগীত এর রচয়িতা কে
জাতীয় সংগীত এর রচয়িতা রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ১৮৮৯-১৯০১ পর্যন্ত ১২ বছর পূর্ববঙ্গের শিলাইদহ শাহজাদপুরে জমিদারের কাজের থাকাকালীন সময়ে আমাদের জাতীয় “সংগীত আমার সোনার বাংলা” কবিতাটি লিখেছিলেন।
১৯০৫ সালের সঞ্জীবনী পত্রিকায় ও বঙ্গদর্শন পত্রিকায় গানটি প্রকাশিত হয়।
২০০৬ সালে বিবিসি’র শ্রোতা জরিপে ‘আমার সোনার বাংলা’ গানটিকে ‘শ্রেষ্ঠ বাংলা গান’ হিসেবে নির্বাচিত হয়।
আরও পড়ুনঃ
পৃথিবীর সবচেয়ে জ্ঞানী ব্যক্তি কে?
১৫ আগস্ট জাতীয় শোক দিবস ২০২২ গুরুত্ব ও তাৎপর্য
জাতীয় সংগীত পুরোটা ২৫ লাইন FAQS
মূলত আমাদের জাতীয় সঙ্গীত ১০ লাইন। তবে বাংলাদেশের পূর্ণাঙ্গ জাতীয় সংগীত মোট লাইন সংখ্যা ২৫ টি। অর্থাৎ ২৫ লাইনে গাওয়া হয়ে থাকে বাংলাদেশের জাতীয় সংগীত।
বাংলাদেশের জাতীয় সঙ্গীত লিখেছেন রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর।
কত সালে বিবিসি’র শ্রোতা জরিপে ‘আমার সোনার বাংলা’ গানটিকে ‘শ্রেষ্ঠ বাংলা গান’ হিসেবে নির্বাচিত হয়?
২০০৬ সালে বিবিসি’র শ্রোতা জরিপে ‘আমার সোনার বাংলা’ গানটিকে ‘শ্রেষ্ঠ বাংলা গান’ হিসেবে নির্বাচিত হয়।
উপসংহার
সুপ্রিয় পাঠকগণ আমাদের আজকের এই আর্টিকেলটি আপনাদের বাংলাদেশের জাতীয় সংগীত সম্পর্কে জানানোর জন্য তৈরি করা হয়েছে।
আশা করছি আপনাদের আজকেরে আর্টিকেলটি ভালো লেগেছে। জাতীয় সংগীত পুরোটা ২৫ লাইন কি কি আপনাকে বিস্তারিত জানানো হয়েছে।
বাংলাদেশের জাতীয় সংগীত পুরোটা ২৫ লাইন আমরা আপনাদের সামনে উল্লেখ করেছি। এখানে বাংলাদেশের জাতীয় সংগীত pdf আকারে দেয়া হয়েছে।
আপনাদের যদি এই বিষয়ে কোন প্রশ্ন বা মতামত থাকে তাহলে আমাদের সাথে কমেন্ট বক্স এর মাধ্যমে শেয়ার করতে পারেন।
অনলাইন থেকে ঘরে বসে টাকা আয় ও নানান ধরনের শিক্ষামূলক আর্টিকেল সম্পর্কে পড়তে আমাদের ওয়েবসাইট ভিজিট করুন।
আমাদের ওয়েব সাইট সম্পর্কিত সকল আপডেট পেতে ফলো করুন আমাদের ফেসবুক পেজটি।
ধন্যবাদ।
ডিজিটাল টাচ ফেসবুক পেইজ লাইক করে সাথে থাকুনঃ এই পেজ ভিজিট করুন ।
ডিজিটাল টাচ সাইটে বিজ্ঞাপন দিতে চাইলে যোগাযোগ করুনঃ এই লিংকে।
অনলাইনে টাকা ইনকাম সম্পর্কে জানতে ভিজিট করুনঃ www.digitaltuch.com সাইট ।