আনঅফিশিয়াল মোবাইল ফোন বিক্রির সময় বাড়লো, মোবাইল ব্যবসায়ীদের জন্য বড় একটি আপডেট এসেছে। দেশের বাজারে থাকা আনঅফিশিয়াল মোবাইল ফোন নিয়ে নতুন সিদ্ধান্ত দিয়েছে সংশ্লিষ্ট দপ্তর। এনইআইআর (NEIR) সিস্টেম চালু হওয়ার আগে যেসব মোবাইল বিক্রি করা নিয়ে ব্যবসায়ীরা উদ্বিগ্ন ছিলেন, সেই সময় আরও কিছুদিন বাড়ানো হয়েছে।
মূলত বাজারে থাকা আনঅফিশিয়াল ফোন যাতে সম্পূর্ণভাবে সেল হয়ে যায়, সে সুযোগই দেওয়া হয়েছে। নতুন সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, মার্চ মাস পর্যন্ত যেকোনো আনঅফিশিয়াল মোবাইল ফোন স্বয়ংক্রিয়ভাবে রেজিস্ট্রেশন হয়ে যাবে।
সরকারিভাবে জানানো হয়েছে যে মার্চের পর থেকে আর কোনো আনঅফিশিয়াল মোবাইল বিক্রির সুযোগ থাকবে না।
দেশে আনঅফিশিয়াল মোবাইল নিষিদ্ধ করার মূল উদ্দেশ্য হলো গ্রাহক সুরক্ষা নিশ্চিত করা, চুরি করা ফোন বন্ধ করা এবং স্মার্টফোন আমদানির ক্ষেত্রে আইন কাঠামো আরও কঠোর করা।
তাই এখন যারা আনঅফিশিয়াল ফোন কিনতে চান, তাদের হাতে সীমিত সময় রয়েছে।
এই সময়ের মধ্যেই বিক্রেতা ও ক্রেতারা আনঅফিশিয়াল ডিভাইস কিনে ব্যবহার করতে পারবেন, এবং ফোনটি স্বয়ংক্রিয়ভাবে রেজিস্টার হয়ে যাবে।
Content Summary
আনঅফিশিয়াল মোবাইল ফোন বিক্রির সময় কত দিন বাড়লো
বাজারে থাকা আনঅফিশিয়াল ফোন যেন বিক্রি হয়ে যায়, সেই সুযোগ হিসেবে ব্যবসায়ীদের মার্চ পর্যন্ত সময় দেওয়া হয়েছে। অর্থাৎ ডিসেম্বর থেকে মার্চ পর্যন্ত মোবাইল ফোন বিক্রি করলে সেগুলো NEIR সিস্টেমে স্বয়ংক্রিয়ভাবে রেজিস্টার হবে।
মার্চ মাসের পর থেকে এসব ডিভাইস আর বিক্রির সুযোগ থাকবে না এবং অনিবন্ধিত ফোন নেটওয়ার্কে চালু করা যাবে না।
এখানেই মূল সুযোগ—যারা অনলাইনে, পাইপলাইনে বা স্টকে ফোন রেখে দিয়েছিলেন, তারা সহজেই ক্রেতার কাছে পৌঁছে দিতে পারবেন।
তবে এরপর থেকে শুধুমাত্র অফিসিয়াল ও অনুমোদিত সেটই ব্যবহার করা যাবে।
আরও পড়ুনঃ মোবাইল সিম হারিয়ে গেলে করণীয় কি?
আনঅফিশিয়াল মোবাইল কি?
আনঅফিশিয়াল মোবাইল বলতে এমন ডিভাইসকে বোঝায়, যেগুলো দেশের অনুমোদিত মাধ্যমে আমদানি করা হয়নি বা যার IMEI নম্বর নিয়ন্ত্রক সংস্থার ডাটাবেসে নেই।
এগুলোর বৈশিষ্ট্য সাধারণত এমন হয়:
• বিদেশ থেকে অনানুষ্ঠানিকভাবে আনা
• অনুমোদিত ট্যাক্স বা ডিউটি না দেওয়া
• IMEI সিস্টেমে নিবন্ধন না থাকা
• সার্ভিস ও ওয়ারেন্টি অপ্রাপ্ত
এগুলোর কারণে বড় ক্ষতি হয় গ্রাহক ও সরকার উভয়ের। সেই কারণেই এ ধরনের মোবাইল নিয়ন্ত্রণে নেওয়া হচ্ছে।
আরও পড়ুনঃ সিম কার্ডের পুরো নাম জানেন, কীভাবে কাজ করে এই প্রযুক্তি?
কেন বন্ধ করা হবে আনঅফিশিয়াল মোবাইল ফোন
আনঅফিশিয়াল ফোন বন্ধ করার পেছনে রয়েছে বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ কারণ। প্রথমত, অনেক সময় এসব ফোনের IMEI নম্বর ফেইক থাকে।
ফলে কোনো ফোন চুরি হলে বা অপব্যবহার হলে ট্র্যাক করা যায় না। দ্বিতীয়ত, অনুমোদন ছাড়া আনা এসব ফোনে ভ্যাট ও ট্যাক্স নেই, ফলে সরকারি রাজস্ব কমে যায়।
এছাড়া ব্যবহারকারীর নিরাপত্তা এবং ফোনের গুণগত মানের ওপরও প্রভাব পড়ে।
অনুমোদিত সেটে সঠিক ওয়ারেন্টি সুবিধা থাকে, অথচ আনঅফিশিয়াল ফোনে সে সুবিধা প্রায় অনুপস্থিত থাকে।
সব মিলিয়ে নিয়ন্ত্রণে আনার ফলে বাজারে স্বচ্ছতা ফিরে আসবে বলে আশা করা হচ্ছে।
FAQs
কারণ মার্চ পর্যন্ত কেনা ফোন স্বয়ংক্রিয়ভাবে রেজিস্ট্রেশন হয়ে যাবে। এর পর আর সুযোগ মিলবে না।
না। মার্চের পর ক্রয় করা আনঅফিশিয়াল ফোন নেটওয়ার্কে সক্রিয় হবে না।
না। যে ফোনগুলো আগে থেকেই ব্যবহৃত হচ্ছে এবং নেটওয়ার্কে চালু আছে, সেগুলো চালু থাকবে।
ওয়ারেন্টি পাওয়া যায় না, অপব্যবহার হলে দায়ভার মালিকের ওপর পড়ে এবং চুরি হলে ট্র্যাক করা কঠিন।
IMEI নম্বর *#06# ডায়াল করে দেখে জেনে নিন ওয়ারেন্টি কার্ড এবং কাস্টমস স্টিকার আছে কি না।
উপসংহার
আনঅফিশিয়াল মোবাইল ফোন বিক্রির সময় বাড়লো – এটি মূলত ব্যবসায়ীদের সুযোগ
বর্তমানে আনঅফিশিয়াল মোবাইল বিক্রির সুযোগ বাড়ানো হয়েছে মার্চ পর্যন্ত। এর পরে শুধুমাত্র অফিসিয়াল, আনুষ্ঠানিকভাবে আমদানি করা ফোনই ব্যবহারযোগ্য হবে।
এনইআইআর সিস্টেম কার্যকর হলে ব্যবহারকারীর নিরাপত্তা বৃদ্ধি পাবে এবং ফোন ট্র্যাকিং আরও সহজ হবে।
তাই যারা এখনো আনঅফিশিয়াল ফোন কিনতে চাইছেন বা ব্যবসায়ে বিক্রি করতে চান, তাদের হাতে সীমিত সময় রয়েছে।
আরও পড়ুনঃ ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশন ডাক্তার তালিকা ঢাকা
টেলিকম অফার ও টেক দুনিয়ার খবর সবার আগে জানতে জয়েন করুন আমাদের ফেসবুক পেজ।
আনঅফিশিয়াল মোবাইল ফোন বিক্রির সময় বাড়লো এতে গ্রাহকরা কমদামে মোবাইল কেনার সময় পেল।
ভিজিট করুন 👉
━ ━ ━ ━ ━ ━ ━ ━
ডিজিটাল টাচ ফেসবুক পেইজ লাইক করে সাথে থাকুনঃ এই পেজ ভিজিট করুন ।ডিজিটাল টাচ সাইটে বিজ্ঞাপন দিতে চাইলে যোগাযোগ করুনঃ এই লিংকে।


