সহিংস পোস্ট দেখলে সরাসরি রিপোর্ট করুন, হোয়াটসঅ্যাপ নম্বর দিল সরকার

সোশ্যাল মিডিয়ায় সন্ত্রাস ও সহিংসতার আহ্বান জানানো পোস্ট ঠেকাতে কঠোর অবস্থান নিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার। এখন থেকে সহিংসতা উসকে দেওয়া যেকোনো পোস্ট সরাসরি রিপোর্ট করার আহ্বান জানানো হয়েছে সাধারণ নাগরিকদের প্রতি। এই উদ্যোগের অংশ হিসেবে জাতীয় সাইবার নিরাপত্তা এজেন্সি হোয়াটসঅ্যাপের মাধ্যমে সরাসরি অভিযোগ গ্রহণ শুরু করেছে।

শুক্রবার দিবাগত রাতে ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত বিশেষ সহকারী ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে দেওয়া এক পোস্টে বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

তিনি জানান, ২০ ডিসেম্বর থেকে সহিংসতা ও সন্ত্রাসের আহ্বানসংবলিত পোস্ট সরাসরি সরকারকে জানানো যাবে।

আপনি কি কমদামে মিনিট, ইন্টারনেট ও বান্ডেল অফার কিনতে ইচ্ছুক!

ভিজিট করুন 👉

এই সিদ্ধান্তের ফলে সহিংস কনটেন্ট দ্রুত শনাক্ত ও নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব হবে বলে মনে করছে সংশ্লিষ্টরা।

কিভাবে সহিংস পোস্ট রিপোর্ট করবেন

সরকার নির্দিষ্ট যোগাযোগ মাধ্যম চালু করেছে, যাতে নাগরিকরা সহজেই সহিংসতার আহ্বানসংবলিত পোস্ট রিপোর্ট করতে পারেন।

রিপোর্ট করার মাধ্যম

  • হোয়াটসঅ্যাপ নাম্বার: ০১৩০৮৩৩২৫৯২,
  • ইমেইল: [email protected]

রিপোর্ট পাওয়ার পর জাতীয় সাইবার নিরাপত্তা এজেন্সি প্রাথমিক যাচাই-বাছাই করবে। এরপর বিটিআরসির মাধ্যমে সংশ্লিষ্ট সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মে বিষয়টি জানানো হবে।

সরকার কি সরাসরি পোস্ট ডাউন করতে পারবে

এ বিষয়ে সরকার পরিষ্কারভাবে জানিয়েছে, তারা সরাসরি কোনো সোশ্যাল মিডিয়া পোস্ট মুছে ফেলতে পারে না।

তবে যৌক্তিক ও আইনি কারণ দেখিয়ে সহিংসতার সঙ্গে জড়িত পোস্টগুলো সংশ্লিষ্ট প্ল্যাটফর্মে রিপোর্ট করতে পারে।

এর ফলে ফেসবুক, ইউটিউব বা অন্যান্য প্ল্যাটফর্ম নিজস্ব নীতিমালা অনুযায়ী ব্যবস্থা নেবে।

হেট স্পিচ ও সহিংসতার আহ্বান আইন অনুযায়ী অপরাধ

জাতীয় সাইবার সুরক্ষা অধ্যাদেশ ২০২৫ অনুযায়ী,

  • সরাসরি সহিংসতার ডাক
  • দাঙ্গা, সন্ত্রাস বা আক্রমণ উসকে দেওয়া বক্তব্য
  • জীবন ও সম্পদের নিরাপত্তা বিঘ্নিত করে এমন কনটেন্ট

এসবই দণ্ডনীয় অপরাধ হিসেবে গণ্য হবে।

সরকার নাগরিকদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে, সোশ্যাল মিডিয়াকে যেন কখনোই সহিংসতা ছড়ানোর হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার না করা হয়।

কেন এই উদ্যোগ গুরুত্বপূর্ণ

বর্তমানে সোশ্যাল মিডিয়া দ্রুত গুজব ও সহিংস বার্তা ছড়ানোর বড় মাধ্যম হয়ে উঠেছে। সময়মতো রিপোর্ট না হলে এসব পোস্ট বাস্তব সহিংসতায় রূপ নিতে পারে। নতুন এই রিপোর্টিং ব্যবস্থার মাধ্যমে সাধারণ মানুষ সরাসরি রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তা ব্যবস্থার অংশ হতে পারবেন।

আরও পড়ুনঃ ব্যবসা নিবন্ধনে স্বস্তি: সরকারি অফিসের হয়রানি কমাতে চালু হচ্ছে নতুন অ্যাপ

FAQs (প্রশ্ন ও উত্তর)

কোন ধরনের পোস্ট রিপোর্ট করা যাবে?

সহিংসতা, সন্ত্রাস, দাঙ্গা বা হামলার আহ্বান জানানো যেকোনো পোস্ট রিপোর্ট করা যাবে।

রিপোর্ট করলে কি আমার পরিচয় প্রকাশ হবে?

না, প্রাথমিকভাবে রিপোর্টকারীর পরিচয় গোপন রাখা হবে।

সরকার কি সরাসরি ফেসবুক পোস্ট মুছে ফেলবে?

না, সরকার শুধু প্ল্যাটফর্মে রিপোর্ট করবে। চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত প্ল্যাটফর্ম নেবে।

হোয়াটসঅ্যাপে রিপোর্ট করতে কী পাঠাতে হবে?

পোস্টের স্ক্রিনশট, লিংক ও সংক্ষিপ্ত বিবরণ পাঠালেই যথেষ্ট।

মিথ্যা রিপোর্ট করলে কি সমস্যা হতে পারে?

ইচ্ছাকৃতভাবে মিথ্যা বা বিভ্রান্তিকর রিপোর্ট করলে আইনি জটিলতা তৈরি হতে পারে।

উপসংহার

সহিংসতা ও সন্ত্রাস প্রতিরোধে সরকারের এই উদ্যোগ সময়োপযোগী ও গুরুত্বপূর্ণ। সাধারণ নাগরিকদের সক্রিয় অংশগ্রহণের মাধ্যমে সোশ্যাল মিডিয়াকে নিরাপদ রাখা সম্ভব।

দায়িত্বশীল ব্যবহার ও সচেতন রিপোর্টিংই পারে অনলাইন ও বাস্তব জীবনে সহিংসতা কমাতে।

আরও পড়ুনঃ ৫ মিনিটে যাচাই করুন জমির মালিকানা আগে কার ছিল (১০০% নিশ্চিত গাইড)

এছাড়াও টেক নিউজ আপডেট নিয়মিত আপনার মোবাইলে পেতে জয়েন করুন আমাদের ফেসবুক পেজ।

WhatsApp Group Join Now
Telegram Group Join Now
আপনি কি কমদামে মিনিট, ইন্টারনেট ও বান্ডেল অফার খুঁজছেন!

ভিজিট করুন 👉

━ ━ ━ ━ ━ ━ ━ ━

ডিজিটাল টাচ
ফেসবুক পেইজ লাইক করে সাথে থাকুনঃ এই পেজ ভিজিট করুন
ডিজিটাল টাচ সাইটে বিজ্ঞাপন দিতে চাইলে যোগাযোগ করুনঃ এই লিংকে
Sharing Is Caring:

আমি শেখ মোঃ আমিনুল ইসলাম (সুজন)। ডিজিটাল টাচ ডটকম এর প্রতিষ্ঠাতা ও লেখক। এইচএসসি (বিজ্ঞান); চাঁদপুর সরকারি কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়।

Leave a Comment