ভোটার আইডি কার্ডের ঠিকানা পরিবর্তন করার নিয়ম জানা থাকলে আপনি খুব সহজেই ঠিকানা পরিবর্তন করতে পারবেন। সঠিক নিয়মে nid কার্ডের ঠিকানা পরিবর্তন নিয়ম জেনে নিন এই নিবন্ধে।
বাংলাদেশে একজন নাগরিকের জন্য ভোটার আইডি কার্ড অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি পরিচয়পত্র। অনেক সময় চাকরি, পড়াশোনা, বা স্থায়ী বাসস্থান পরিবর্তনের কারণে আমাদের ভোটার আইডির ঠিকানাও পরিবর্তন করতে হয়।
সেক্ষেত্রে নির্বাচন কমিশনের নির্ধারিত নিয়ম মেনে আবেদন করতে হয়। আজকের এই পোস্টে জানবেন ভোটার আইডি কার্ডের ঠিকানা পরিবর্তন করার নিয়ম, প্রয়োজনীয় কাগজপত্র, ফরম সংগ্রহের স্থান এবং ফি সংক্রান্ত বিস্তারিত তথ্য।
Content Summary
ভোটার আইডি কার্ডের ঠিকানা পরিবর্তন করতে কি করবো?
ভোটার আইডি কার্ডের ঠিকানা পরিবর্তন করতে হলে প্রথমে আপনাকে ফরম-১৩ (Form 13) পূরণ করতে হবে। এই ফরমটি নির্বাচন কমিশনের ওয়েবসাইট থেকে ডাউনলোড করা যায় অথবা নিকটস্থ ফটোকপির দোকান থেকেও সংগ্রহ করা সম্ভব।
ফরম পূরণের পর, প্রয়োজনীয় কাগজপত্রসহ সেটি আপনার বর্তমান উপজেলা নির্বাচন অফিসে জমা দিতে হবে।
প্রয়োজনীয় কাগজপত্রের তালিকা:
- জাতীয় পরিচয়পত্রের ফটোকপি
- নতুন ঠিকানার নাগরিকত্ব সনদ
- নতুন ঠিকানার বিদ্যুৎ বা পানির বিল
- ফরম-১৩ এর দ্বিতীয় পৃষ্ঠায় স্থানীয় চেয়ারম্যান/ওয়ার্ড কাউন্সিলরের স্বাক্ষর ও সিল
ভোটার আইডি কার্ডের ঠিকানা পরিবর্তন করার নিয়ম
- ফরম সংগ্রহ করুন: নির্বাচন কমিশনের ওয়েবসাইট www.ecs.gov.bd থেকে ফরম-১৩ ডাউনলোড করুন অথবা স্থানীয় দোকান থেকে সংগ্রহ করুন।
- ফরম পূরণ করুন: ফরমটি সঠিকভাবে পূরণ করে সব তথ্য যাচাই করুন।
- স্বাক্ষর ও সিল সংগ্রহ করুন: নতুন ঠিকানার ওয়ার্ড কাউন্সিলর বা ইউনিয়ন চেয়ারম্যানের স্বাক্ষর ও সিল নিশ্চিত করুন।
- নির্বাচন অফিসে জমা দিন: পূর্ণাঙ্গ ফরম এবং প্রমাণপত্রসহ বর্তমান উপজেলা নির্বাচন অফিসে জমা দিন।
- নিশ্চিতকরণ প্রক্রিয়া: ১৫ থেকে ৩০ দিনের মধ্যে আবেদন যাচাই হবে এবং মোবাইলে এসএমএসের মাধ্যমে ফলাফল জানানো হবে।
আরও পড়ুনঃ টিসিবি ফ্যামিলি কার্ড আবেদন ফরম কোথায় পাওয়া যায়
ভোটার আইডি কার্ডের ঠিকানা পরিবর্তন ফরম কোথায় পাওয়া যাবে
২০২৫ সালে ভোটার আইডির ঠিকানা পরিবর্তনের জন্য ফরম-১৩ দুটি উপায়ে পাওয়া যায়:
- অনলাইনে: নির্বাচন কমিশনের অফিসিয়াল ওয়েবসাইট থেকে PDF আকারে ডাউনলোড করা যায়।
- অফলাইনে: ফটোকপির দোকান, ইউনিয়ন পরিষদ বা পৌরসভা কার্যালয় থেকেও ফরম সংগ্রহ করা যায়।
ভোটার আইডি কার্ডের ঠিকানা পরিবর্তন ফি কত টাকা
অফিসিয়ালি ভোটার আইডি কার্ডের ঠিকানা পরিবর্তনের জন্য কোনো সরকারি ফি লাগে না। এটি সম্পূর্ণ বিনামূল্যে সেবা। তবে ফরম প্রিন্ট বা ফটোকপি করতে হলে সামান্য খরচ (প্রায় ৫ থেকে ১০ টাকা) হতে পারে।
কি কি সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে?
- ফরম পূরণের সময় সব তথ্য সঠিকভাবে দিন, যেন কোনো তথ্যগত ভুল না থাকে।
- জাতীয় পরিচয়পত্রের নম্বর ও নাম অবশ্যই পুরনো আইডির সঙ্গে মিলিয়ে দেখুন।
- আবেদন জমা দেওয়ার আগে স্থানীয় চেয়ারম্যান বা কাউন্সিলরের স্বাক্ষর ও সিল থাকা বাধ্যতামূলক।
- আবেদন জমা দেওয়ার সময় একটি বৈধ মোবাইল নম্বর দিন, যাতে যাচাইয়ের সময় SMS নোটিফিকেশন পেতে পারেন।
FAQs – প্রশ্নোত্তর পর্ব
ফরম-১৩ (Form 13) প্রয়োজন। এটি নির্বাচন কমিশনের ওয়েবসাইট থেকে পাওয়া যায়।
সাধারণত ১৫ থেকে ৩০ দিনের মধ্যে প্রক্রিয়াটি সম্পন্ন হয়।
না, এটি সম্পূর্ণ বিনামূল্যে সেবা।
না, বর্তমানে ফরম পূরণ করে সরাসরি উপজেলা নির্বাচন অফিসে জমা দিতে হয়।
NID ফটোকপি, নাগরিকত্ব সনদ, বিদ্যুৎ বিল বা ভাড়ার রশিদ এবং চেয়ারম্যান/কাউন্সিলরের সিলসহ ফরম।
উপসংহার
ভোটার আইডি কার্ডের ঠিকানা পরিবর্তন প্রক্রিয়া এখন আগের তুলনায় অনেক সহজ। সঠিকভাবে ফরম পূরণ ও কাগজপত্র জমা দিলেই আপনি নতুন ঠিকানায় হালনাগাদ কার্ড পেয়ে যাবেন।
তবে আবেদন করার সময় সব তথ্য সঠিকভাবে যাচাই করা খুব জরুরি। ভোটার আইডি কার্ডের ঠিকানা পরিবর্তন করার নিয়ম জেনে সহজে কাজটি সম্পন্ন করুন।
আরও পড়ুনঃ টিসিবি ফ্যামিলি কার্ড বাতিল করা হয় কেন – জানুন সম্পূর্ণ কারণ ও সমাধান
টেক নিউজ আপডেট সবার আগে পেতে জয়েন করুন আমাদের ফেসবুক পেজ।
ভিজিট করুন 👉
━ ━ ━ ━ ━ ━ ━ ━
ডিজিটাল টাচ ফেসবুক পেইজ লাইক করে সাথে থাকুনঃ এই পেজ ভিজিট করুন ।ডিজিটাল টাচ সাইটে বিজ্ঞাপন দিতে চাইলে যোগাযোগ করুনঃ এই লিংকে।


