ভোটার আইডি কার্ড নাম সংশোধন করতে কি কি লাগে জানেন কি? আপনার জাতীয় পরিচয়পত্রে নামের বানান ভুল বা তথ্য ভুল থাকলে চিন্তার কিছু নেই। এখন অনলাইন থেকেই সহজে নাম সংশোধনের আবেদন করা যায়।
বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশনের নির্দেশনা অনুযায়ী ভোটার আইডি কার্ড নাম সংশোধনের জন্য কিছু নির্দিষ্ট কাগজপত্র প্রয়োজন হয়। নিচে ধাপে ধাপে জানুন কীভাবে নাম সংশোধন করতে হয় এবং কোন কোন ডকুমেন্ট দরকার হয়।
Content Summary
ভোটার আইডি কার্ড নাম সংশোধন করার নিয়ম
ভোটার আইডি কার্ড বা জাতীয় পরিচয়পত্রে নাম সংশোধনের জন্য অনলাইনেই আবেদন করা যায়। এজন্য প্রথমে services.nidw.gov.bd ওয়েবসাইটে গিয়ে লগইন করতে হবে।
এরপর “সংশোধন আবেদন” অপশন নির্বাচন করে ভুল তথ্য ঠিক করতে হবে। আবেদন জমা দেওয়ার পর স্থানীয় উপজেলা নির্বাচন অফিস যাচাই-বাছাই করে সংশোধিত এনআইডি কার্ড ইস্যু করে।
ভোটার আইডি কার্ড নাম সংশোধন করতে কি কি লাগে
ভোটার আইডি কার্ডে নাম সংশোধনের জন্য নিচের যেকোনো দুটি বা তার বেশি প্রমাণপত্র লাগবে:
- পিইসিই/জেএসসি/এসএসসি বা সমমান পরীক্ষার সনদ
 - জন্ম নিবন্ধন সনদ
 - পাসপোর্ট
 - ড্রাইভিং লাইসেন্স
 - এমপিও/সার্ভিস বইয়ের কপি
 - সন্তানদের পাবলিক পরীক্ষার সনদ বা জাতীয় পরিচয়পত্র
 - বিবাহের কাবিন নামা (যদি বিবাহিত হন)
 
নামের আংশিক পরিবর্তনের ক্ষেত্রে শিক্ষাগত সনদ ও জন্ম নিবন্ধন সাধারণত যথেষ্ট হয়।
সম্পূর্ণ নাম পরিবর্তন বা পিতা-মাতার নাম সংশোধনের ক্ষেত্রে উপজেলা নির্বাচন অফিসারের প্রতিবেদন প্রয়োজন হতে পারে।
আরও পড়ুনঃ আবারো বাড়লো ১২ কেজি গ্যাস সিলিন্ডারের দাম
কোথায় ভোটার আইডি কার্ড নাম সংশোধন করা হয়
ভোটার আইডি কার্ড নাম সংশোধন করা হয় উপজেলা নির্বাচন অফিসে। তবে অনলাইন আবেদন সম্পন্ন করার পর প্রিন্টেড কপি ও প্রমাণপত্র জমা দিতে হয় সংশ্লিষ্ট উপজেলা নির্বাচন অফিসে।
সেখানে যাচাই শেষে সংশোধিত কার্ডের তথ্য আপডেট হয়। তাই প্রথমে ভোটার আইডি কার্ড নাম সংশোধনের প্রয়োজনীয় কার্যক্রম সম্পন্ন করে উপজেলা নির্বাহী অফিসে যোগাযোগ করুন।
ভোটার আইডি কার্ড নাম সংশোধন করতে কত টাকা লাগে

সাধারণভাবে অনলাইন আবেদন করতে কোনো ফি লাগে না। তবে উপজেলা নির্বাচন অফিসে আবেদন যাচাইয়ের সময় ৩০ থেকে ৫০ টাকা পর্যন্ত সরকারি ফি নেওয়া হতে পারে।
অতিরিক্ত কপি বা পুনর্মুদ্রণের জন্য আলাদা চার্জ প্রযোজ্য হতে পারে।
আরও পড়ুনঃ টিসিবি কার্ড ডাউনলোড করার নিয়ম
সংক্ষেপে ভোটার আইডি কার্ড নাম সংশোধনে যা লাগে
| সংশোধনের ধরণ | প্রয়োজনীয় কাগজপত্র | 
| নামের বানান ভুল | শিক্ষাগত সনদ, জন্ম নিবন্ধন | 
| সম্পূর্ণ নাম পরিবর্তন | পাসপোর্ট, জন্ম নিবন্ধন, হলফনামা | 
| পিতা/মাতার নাম সংশোধন | তাদের এনআইডি, জন্ম নিবন্ধন, শিক্ষাগত সনদ | 
| স্বামী/স্ত্রীর নাম সংশোধন | কাবিননামা বা ডিভোর্স পেপার, সন্তানদের এনআইডি | 
আরও পড়ুনঃ
সাধারণ প্রশ্ন (FAQs):
উপজেলা নির্বাচন অফিসে এবং অনলাইনে NID ওয়েবসাইটের মাধ্যমে করা যায়।
কমপক্ষে দুটি প্রমাণপত্র যেমন শিক্ষাগত সনদ ও জন্ম নিবন্ধন সনদ প্রয়োজন হয়।
অনলাইন আবেদন বিনামূল্যে, তবে উপজেলা অফিসে ফি লাগতে পারে।
সাধারণত যাচাই শেষে ৩০ কার্যদিবসের মধ্যে সংশোধিত কার্ড পাওয়া যায়।
হ্যাঁ, তবে তাদের জাতীয় পরিচয়পত্র ও সম্পর্কিত প্রমাণপত্র জমা দিতে হয়।
উপসংহার
ভোটার আইডি কার্ডে নাম ভুল থাকলে যত দ্রুত সম্ভব তা সংশোধন করা উচিত। সঠিক নাম থাকলে ভবিষ্যতে পাসপোর্ট, ব্যাংক অ্যাকাউন্ট বা সরকারি সেবা গ্রহণে কোনো সমস্যা হবে না।
প্রয়োজনীয় কাগজপত্রসহ অনলাইনে আবেদন করে সহজেই নাম সংশোধনের প্রক্রিয়া সম্পন্ন করা যায়।
আশা করি আপনি জানতে পেরেছেন ভোটার আইডি কার্ড নাম সংশোধন করতে কি কি লাগে।
এছাড়াও আমরা আপনাদের জানানোর চেষ্টা করেছি অনলাইনে ভোটার আইডি কার্ড নাম সংশোধন করার নিয়ম সম্পর্কে।
আরও পড়ুনঃ এয়ারটেল বান্ডেল অফার ১৮০ দিন মেয়াদ
যদি আপনি আপনার ভোটার আইডি কার্ডের কোন ধরনের ভুল তথ্য পেয়ে থাকেন তাহলে কালক্ষেপণ না করে দ্রুত সময়ের মধ্যে সংশোধন করেননি।
টেক নিউজ আপডেট সবার আগে পেতে জয়েন করুন আমাদের ফেসবুক পেজ এবং নিয়মিত ভিজিট করুন ডিজিটাল টাচ ওয়েবসাইট।
ভিজিট করুন 👉
━ ━ ━ ━ ━ ━ ━ ━
ডিজিটাল টাচ ফেসবুক পেইজ লাইক করে সাথে থাকুনঃ এই পেজ ভিজিট করুন ।ডিজিটাল টাচ সাইটে বিজ্ঞাপন দিতে চাইলে যোগাযোগ করুনঃ এই লিংকে।
					
			
 

