কে প্রথম সিভিল সোসাইটির ধারনা দেন? সিভিল সোসাইটি কি এ সম্পর্কে জানতে অনেকের আগ্রহ লক্ষনীয়। আধুনিক সমাজ ব্যবস্থার একটি অংশ হচ্ছে সিভিল সোসাইট। অনেকেই নাগরিক অধিকারের ধারণার সঙ্গে সিভিল সোসাইটি কে এক করে ভাবতে শুরু করেন যা মোটেও ঠিক নয়.
দেশ স্বাধীনতার পূর্বে পাকিস্তান আমলে এমনকি ঔপনিবেশিক শাসনামলে ও নাগরিক অধিকারের আন্দোলন ছিল।
আপনাদের জানার সুবিধার্থে বলাই বাহুল্য যে ঐতিহ্যগতভাবে নাগরিক অধিকার আন্দোলন ভিত্তিভূমি উপর ভর করেই ব্যক্ত ও সাংগঠনিক শক্তি সংঘটিত হয়েছে।
এই সাংগঠনিক শক্তিই পরবর্তীতে রাজনৈতিক আন্দোলন, নাগরিক অধিকার এবং গণতান্ত্রিক আকাঙ্ক্ষা পুনর্জীবিত করেছে।
Content Summary
কে প্রথম সিভিল সোসাইটির ধারনা দেন?
সিভিল সোসাইটির প্রথম ধারণা দেন বা উদ্ভাবন করেন ডব্লিউ।
তবে ফ্রেডরিক হেগেল (১৭৭০-১৮৯১) নাগরিক অধিকার সম্বন্ধে নতুন ধারণা দেন এবং সেখানে ‘সিভিল সোসাইটি’ শব্দটি ব্যবহার করেন।
ফ্রেডরিক হেগেল সিভিল সোসাইটি বলতে এমন একটি সমাজতান্ত্রিক সমাজকে বোঝাতে চেয়েছেন, যা যুক্তিসিদ্ধ ও পরস্পর বিরোধী ভাবধারার সমন্বয় ও দ্বান্দ্বিক প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে রাষ্ট্রের বুর্জোয়া শক্তিকে প্রতিস্থাপন করবে।
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর ‘সিভিল সোসাইটি’ অভিধাটি নতুন অর্থে ব্যবহূত হয়।
এটিকে তখন ন্যূনতম সরকারি হস্তক্ষেপে চালিত একটি স্বশাসিত সমাজ ভাবা হতো।
সিভিল সোসাইটির কোন সর্বজনীন সংজ্ঞা নেই, তবে একটি ঐকমত্য আছে যে এটি রাষ্ট্রীয় নিয়ন্ত্রণমুক্ত একটি ঐচ্ছিক সংগঠন।
মনে করা হয় যে, স্বশাসিত পদ্ধতিতে পরিচালিত জনসংগঠন রাষ্ট্রীয় উদ্যোগের চেয়ে অনেক বেশি কল্যাণপ্রসূ হতে পারে।
১৯৭৫ সাল থেকে অনেক বিদেশী বেসরকারি সংস্থা বাংলাদেশে কর্মকান্ড পরিচালনার অনুমতি লাভ করে।
এরপর দেশে সিভিল সোসাইটি আন্দোলন গতিশীলতা লাভ করে।
এছাড়া অনেক স্থানীয় বেসরকারি সংস্থাও গড়ে ওঠে যেগুলো এক পর্যায়ে অ্যাসোসিয়েশন অব ডেভেলপমেন্ট এজেন্সিজ অব বাংলাদেশ (এডাব) নামে একটি কেন্দ্রীয় সমিতি গঠন করে।
আরও পড়ুনঃ
সিভিল সোসাইটির ধারনা
সিভিল সোসাইটি বা নাগরিক সমাজ সরকারি নিয়ন্ত্রণ মুক্ত সংস্থা হিসেবে সুস্থ জনজীবনের অনুকূল পরিবেশ সৃষ্টির ক্ষেত্রে সহায়তা প্রদানে মুখ্য ভূমিকা পালনের দাবি করে।
বাংলাদেশ সিভিল সোসাইটির কর্মীরা অভিন্ন সমস্যাবলির সমাধান, সামগ্রিক স্বার্থরক্ষা এবং যৌথ আকাঙ্ক্ষা পূরণের লক্ষ্যে অধিকার সচেতন ও দায়িত্বশীল নাগরিকদের স্বেচ্ছামূলক অনেক সমিতি গঠনের জন্য কার্যক্রম পরিচালনা করছে।
বিভিন্ন যৌথ সমস্যার সমাধান এবং জনকল্যাণ সাধনের উদ্দেশ্যে পরিকল্পিত সরকারি নীতিমালা গঠন ও প্রয়োগের ক্ষেত্রে সিভিল সোসাইটি রাষ্ট্র ও বাজার সংস্থাগুলোর পাশাপাশি কাজ করারও দাবি জানায়।
নতুন বিশ্বব্যবস্থা ও যোগাযোগ বিপবের কল্যাণে সিভিল সোসাইটি আন্দোলন বর্তমানে সারা দুনিয়ায় ছড়িয়ে পড়েছে।
এটি হলো বিভিন্ন জনগোষ্ঠীর যোগাযোগ ও সহযোগিতার এক বিশ্ব-আন্দোলন।
এই আন্দোলন এখন স্থানীয় সমিতি থেকে বিশ্বসঙ্ঘ পর্যন্ত বিস্তৃত।
রাষ্ট্রবিজ্ঞানীরা মনে করেন যে, বাংলাদেশের সিভিল সোসাইটির আদর্শ বিশ্ব সিভিল সোসাইটির আদর্শের সঙ্গে এই অর্থে ততটা সঙ্গতিপূর্ণ নয় যে,
বাংলাদেশের অনেকগুলো সিভিল সোসাইটিকে কোনো-না-কোনো জাতীয় রাজনৈতিক দলের সহযোগী হিসেবে রাজনৈতিক অঙ্গনে অবতীর্ণ হতে দেখা যায়।
এসব দুর্বলতা সত্ত্বেও বাংলাদেশের সিভিল সোসাইটি জনগণের অধিকার সংরক্ষণ এবং কল্যাণ নিশ্চিতকরণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে চলেছে।
সিভিল সোসাইটি কে অনেকে সুশীল সমাজ বলে ডেকে থাকেন।
তবে উদ্দেশ্য এবং লক্ষ্য যাই হোক না কেন আধুনিক সমাজ ব্যবস্থার অনেক গুরুত্বপূর্ণ প্রভাব রাখছে সুশীল সমাজ।
আরও পড়ুনঃ
কে প্রথম সিভিল সোসাইটির ধারনা দেন FAQS
সিভিল সোসাইটির প্রথম ধারণা দেন বা উদ্ভাবন করেন ডব্লিউ।
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর ‘সিভিল সোসাইটি’ অভিধাটি নতুন অর্থে ব্যবহূত হয়।
উপসংহার
আশা করি কে প্রথম সিভিল সোসাইটির ধারণা দেন এই সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পেরেছেন।
সিভিল সোসাইটি বা সুশীল সমাজের গুরুত্ব সমাজে এবং একটি দেশের উন্নয়ন ধারার অগ্রযাত্রাকে চলমান রাখতে এর অপরিহার্যতা দিনে দিনে বেড়েই চলেছে।
সিভিল সোসাইটির সুশীল সমাজ সম্পর্কে আপনার আরও জানার থাকলে আমাদের কমেন্ট করে।
আপনার মূল্যবান কমেন্টের মাধ্যমে এই পোস্টটিকে আরো ব্যবহার উপযোগী করে তোলা সম্ভব হবে।
টেলিকম অফার, ইন্টারনেট থেকে টাকা আয়, মোবাইল ব্যাংকিং অফার ও নতুন নতুন তথ্য নিয়মিত জানতে রেগুলার ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট এবং জয়েন করুন আমাদের ফেসবুক পেজ।
ডিজিটাল টাচ ফেসবুক পেইজ লাইক করে সাথে থাকুনঃ এই পেজ ভিজিট করুন ।
ডিজিটাল টাচ সাইটে বিজ্ঞাপন দিতে চাইলে যোগাযোগ করুনঃ এই লিংকে।
অনলাইনে টাকা ইনকাম সম্পর্কে জানতে ভিজিট করুনঃ www.digitaltuch.com সাইট ।