প্রিয় পাঠকগণ স্বপ্নের পদ্মা সেতু সম্পর্কে ১০টি বাক্য জানতে আপনারা অনেকেই গুগলের মাধ্যমে সার্চ করে থাকেন। আজকের এই আর্টিকেল এর মাধ্যমে আমি আপনাদেরকে স্বপ্নের পদ্মা সেতু সম্পর্কে ১০ টি বাক্য এবং এর পাশাপাশি পদ্মা সেতুর সকল বিষয়গুলো আপনাদের সামনে তুলে ধরার চেষ্টা করব।
পদ্মা সেতু বাংলাদেশের কত বড় অর্জন সে বিষয়ে আমরা সকলেই জানি। ইতিমধ্যেই বাংলাদেশের নিজস্ব টাকায় পদ্মা সেতুর উদ্বোধন হয়ে গিয়েছে এবং পদ্মা সেতু সাধারণ মানুষের জন্য স্বপ্নের পদ্মা সেতুতে রূপ নিয়েছে।
বাংলার মানুষের দুর্ভোগ এবং দেশের মানুষের সঠিকভাবে চলাফেরা করার জন্য স্বপ্নের পদ্মা সেতু যেন নতুন এক মাধ্যম। বিশেষ করে পদ্মা সেতু যে সকল অঞ্চলের সাথে মিলিত হয়েছে সে সকল মানুষরা সবচেয়ে বেশি খুশি হবেন।
আমাদের এই স্বপ্নের পদ্মা সেতুর অর্জনে আমরা সকলেই খুশি এবং আজ আমরা এই আর্টিকেলে স্বপ্নের পদ্মা সেতু সম্পর্কে ১০টি বাক্য আপনাদের সামনে তুলে ধরব।
Content Summary
পদ্মা সেতু সম্পর্কে ১০টি বাক্য | 10 sentences about the dream Padma Setu
০১. স্বপ্নের পদ্মা সেতুর নির্মাণ কাজ শুরু হয়েছিল ৭ ডিসেম্বর ২০১৪ সাল থেকে এবং এই প্রকল্পের শেষ হয় ১৬ই ডিসেম্বর ২০২২ সালে।
০২. স্বপ্নের বাতাসে তোর উদ্বোধন করেছিলেন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২৫ শে জুন ২০২২ সালে।
০৩. স্বপ্নের পদ্মা সেতুর সর্বমোট পাইলিং এর সংখ্যা ২৬৪ টি।
০৪. পদ্মা সেতুর প্রকল্পের নাম পদ্মা বহুমুখী সেতু বলা হয়।
০৫. স্বপ্নের পদ্মা সেতুর অবস্থান সর্বমোট তিনটি জেলা নিয়ে( মুন্সিগঞ্জ, শরীয়তপুর এবং মাদারীপুর)
০৬. পদ্মা সেতু প্রকল্পের মধ্যে চুক্তিবদ্ধ কোম্পানির নাম হচ্ছে চায়না রেলওয়ে গ্রুপ লিমিটেড।
০৭. পদ্মা সেতুর দৈর্ঘ্য ৬.১৫ কিলোমিটার এবং এর প্রস্থ ১৮.১০ কিলোমিটার।
০৮. পদ্মা সেতুর পিলার সংখ্যা সর্বমোট 42 টি এবং স্প্যান হল ৪১ টি।
০৯. ২০১২ সালে বিশ্ব ব্যাংক পদ্মা সেতুর চুক্তি বাতিল করেছিল।
১০. পদ্মা সেতুর সম্পন্ন কাজগুলো পরিচালনা করেছিলেন মোঃ শফিকুল ইসলাম।
পদ্মা সেতুর সম্পর্কে গুরুত্বপূর্ণ আরো কিছু বাক্য
- স্বপ্নের পদ্মা সেতুটি সংযোগ স্থাপন করবে দেশের দক্ষিণ এবং পশ্চিম অঞ্চলের সাথে।
- বাংলাদেশের সবচেয়ে দীর্ঘতম সেতু হচ্ছে পদ্মা সেতু।
- সম্পূর্ণ পদ্মা সেতু বাংলাদেশের নিজস্ব অর্থায়নে নির্মাণ করা হয়েছে এবং এর বাজেট ছিল ২৮ হাজার ৭৯৩ কোটি টাকা।
- তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে সর্বপ্রথম পদ্মা সেতুর প্রথম উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছিল। সে সময় পদ আছে তোর বাজার ধরা হয়েছিল ১০ হাজার১৬১ কোটি টাকা।
- পদ্মা সেতুর বাজেট সংশোধন করা হয় মোট ৩ বার। প্রথম বার বাজেট করা ধরা হয় ১০ হাজার ১৬১ কোটি টাকা। ২০১১ সালে এই বাজেট সংশোধন ব্যয় ধরা হয় ২০ হাজার ৫০৭ কোটি টাকা। পূণরায় ২০১৬ সালে সংশোধন করে ব্যয় ধরা হয় ২৮ হাজার ৭৯৩ কোটি টাকা।
- পদ্মা সেতুর অর্থায়নের ঋণ দিতে অস্বীকার করে বিশ্ব ব্যাংক।
- পদ্মা সেতু সম্পন্ন নির্মাণ করতে কাজ করেছিল দেশি-বিদেশি সর্বমোট ২৭ জন ইঞ্জিনিয়ার এবং ১৩ হাজারেরও বেশি শ্রমিক।
- পদ্মা সেতু সর্বমোট ২১ টি জেলাকে সংযুক্ত করবে বিশেষ করে বরিশালকে সংযুক্ত করবে রাজধানী ঢাকার সঙ্গে।
- স্বপ্নের পদ্মা সেতুর অর্থনৈতিক গুরুত্ব অপরিসীম এবং বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে এটি বেকারত্ব দূর করতে সাহায্য করবে।
- পদ্মা একটি বহুমুখী সেতু কারণ এতে রয়েছে রেল ও সড়ক পথ।
- পদ্মা সেতুর উপরের সড়ক ৪ লেইন বিশিষ্ট। যা দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের সাথে যোগাযোগ কে দ্রুত করবে।
- চীনের চায়না ব্রিজ কোম্পানির সাথে ২০১৪ সালে ১৭ জুন পদ্মা বহুমুখী সেতু নির্মাণের চুক্তি করা হয়।
- পদ্মা বিশ্বের ১২২ তম বড় সেতু এবং দেশের সর্ব্বোচ্চ বড় সেতু।
আরও পড়ুনঃ
পদ্মা সেতুর টোল কোন যানবাহনে কত?
স্বপ্নের পদ্মা সেতু সম্পর্কে ১০টি বাক্য FAQS
বাংলাদেশের সকল অর্জন গুলোর মধ্যে স্বপ্নের পদ্মা সেতু অন্যতম। আমরা আর্টিকেলে স্বপ্নের পদ্মা সেতু সম্পর্কে ১০ টিরও বেশি বাক্য তুলে ধরেছি।
২০২২ সালের ২৫ শে জুন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পদ্মা সেতু উদ্বোধন করেন।
৭ ডিসেম্বর ২০১৪ সালে পদ্মা সেতুর নির্মাণ কাজ শুরু হয়।
উপসংহার
আমরা আজকের এই আর্টিকেলে স্বপ্নের পদ্মা সেতু সম্পর্কে ১০টি বাক্য আপনাদেরকে জানানোর চেষ্টা করেছে এবং এর পাশাপাশি আরো কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্যগুলো আপনাদের সামনে তুলে ধরেছি।
পদ্মা সেতু সম্পর্কে বলতে গেলে কখনোই দশটি বাক্য এর মাধ্যমে শেষ করা সম্ভব নয়।
পদ্মা সেতু বাংলাদেশের অর্থনৈতিক এবং সমাজব্যবস্থার উন্নতি করতে সক্ষম হবে বলে আশা করছি সকলেই।
আপনাদের যদি আজকের এই আর্টিকেল সংক্রান্ত কোনো প্রশ্ন অথবা কোন মতামত জানানোর থাকে পদ্মা সেতু সম্পর্কে তাহলে অবশ্যই আমাদেরকে কমেন্টের মাধ্যমে জানাতে পারেন।
আমাদের ওয়েবসাইটে আমরা অনলাইন থেকে ঘরে বসে টাকা ইনকাম এবং এছাড়াও খেলাধুলা ও জ্ঞানমূলক পোস্টগুলো আপনাদের সাথে শেয়ার করে থাকি।
তাই আমাদের ওয়েবসাইট থেকে এই ধরনের সকল আর্টিকেলগুলো পড়তে আমাদের ওয়েবসাইটটি ঘুরে দেখতে পারেন।
আমাদের ওয়েবসাইটের সকল আপডেটগুলো সবার আগে নিজের মোবাইল ফোনে নোটিফিকেশন পেতে জয়েন করুন আমাদের ফেসবুক পেইজে।
আরও পড়ুনঃ
ডিজিটাল টাচ ফেসবুক পেইজ লাইক করে সাথে থাকুনঃ এই পেজ ভিজিট করুন ।
ডিজিটাল টাচ সাইটে বিজ্ঞাপন দিতে চাইলে যোগাযোগ করুনঃ এই লিংকে।
অনলাইনে টাকা ইনকাম সম্পর্কে জানতে ভিজিট করুনঃ www.digitaltuch.com সাইট ।