সিটিসেল সিম কবে চালু হবে? চমক নিয়ে ফিরছে সিটিসেল

বাংলাদেশের প্রথম মোবাইল ফোন অপারেটর সিটিসেল সিম কবে চালু হবে? এই প্রশ্ন এখন অনেকের মুখে মুখে। সাত বছর পর অবশেষে প্রতিষ্ঠানটি আবারও বাজারে ফিরতে যাচ্ছে। দীর্ঘ বিরতির পর আধুনিক প্রযুক্তি আর নতুন প্রতিশ্রুতি নিয়ে গ্রাহকদের কাছে ফিরতে প্রস্তুত সিটিসেল।

সিটিসেল সিম কবে চালু হবে তা নিয়ে আগ্রহ দিন দিন বাড়ছে। কারণ, এই কোম্পানিই একসময় দেশে মোবাইল ফোনের পথিকৃৎ ছিল। এবার তারা ফিরছে আরও উন্নত প্রযুক্তি, কম কলরেট ও মেয়াদবিহীন ইন্টারনেট প্যাকেজ নিয়ে।

অনেকেই জানতে চাচ্ছেন, সিটিসেল সিম কবে চালু হবে, ঠিক কখন আবার ফোনে দেখা যাবে সেই পরিচিত নীল লোগো। কোম্পানির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, সব প্রস্তুতি শেষ হলে আগামী মাসেই শুরু হবে নতুন সেবা।

আপনি কি কমদামে মিনিট, ইন্টারনেট ও বান্ডেল অফার কিনতে ইচ্ছুক!

ভিজিট করুন 👉

সিটিসেল সিম কবে চালু হবে?

সিটিসেল সিম কবে চালু হবে

সিটিসেল আগামী মাসে তাদের বাণিজ্যিক কার্যক্রম শুরু করতে যাচ্ছে। লাইসেন্স ও তরঙ্গ ফেরত পাওয়ার পর প্রতিষ্ঠানটি এখন প্রস্তুতি নিচ্ছে নতুন জিএসএমএ প্রযুক্তি নিয়ে পুনরায় বাজারে ফেরার।

সাত বছর পর সিটিসেল ফিরছে আধুনিক জিএসএমএ (GSMA) প্রযুক্তি নিয়ে। ফলে যেকোনো স্মার্টফোন বা সাধারণ মোবাইলেই এখন ব্যবহার করা যাবে সিটিসেল সিম।

কোম্পানিটি ঘোষণা দিয়েছে, তারা সর্বনিম্ন কলরেট ও মেয়াদবিহীন ইন্টারনেট অফার দেবে যাতে আবারও জনপ্রিয়তা ফিরে পায়।

নতুন প্রযুক্তির পাশাপাশি তারা ৪জি ও ৫জি নেটওয়ার্কে সেবা চালুর পরিকল্পনাও করেছে। কোম্পানির কর্মকর্তাদের আশা, এবার তারা আগের মতোই মানুষের বিশ্বাস ফিরে পাবে।

আরও পড়ুনঃ জিপি ১ পয়সা কল রেট অফার (আপডেটেড)

কিভাবে ও কোবে ফিরছে সিটিসেল

বাংলাদেশের মোবাইল ফোন ইতিহাসে সিটিসেল একটি যুগান্তকারী নাম।

১৯৮৯ সালে যাত্রা শুরু করে ১৯৯৩ সালে প্যাসিফিক বাংলাদেশ টেলিকম লিমিটেড নামে ব্র্যান্ডিং করে সিটিসেল হয়ে ওঠে দেশের প্রথম মোবাইল অপারেটর।

সাত বছরের বিরতির পর প্রতিষ্ঠানটি আবারও বাজারে ফিরছে। এবার তারা জিএসএম নেটওয়ার্কে কাজ করবে, যা আগের সিডিএমএ প্রযুক্তির চেয়ে অনেক বেশি উন্নত ও ব্যবহারবান্ধব।

নতুন এই যাত্রায় সিটিসেল কম কলরেট, সাশ্রয়ী ইন্টারনেট প্যাক এবং গ্রাহক সেবায় গুরুত্ব দিতে চায়। লক্ষ্য একটাই দেশের মানুষের আস্থা ফেরানো।

২৫ পয়সা কলরেটে ফিরছে সিটিসেল?

হ্যাঁ, শোনা যাচ্ছে সিটিসেল ফিরতে পারে তাদের বিখ্যাত ২৫ পয়সা কলরেট অফার নিয়ে। আগের মতোই গ্রাহকরা কম খরচে কথা বলতে পারবেন এমন পরিকল্পনা করছে কোম্পানি।

প্রাথমিক পর্যায়ে পরীক্ষামূলকভাবে কিছু অফার চালু করা হতে পারে, যেখানে কম কলরেট ও মেয়াদবিহীন ইন্টারনেট প্যাকেজ থাকবে।

তবে এখনো আনুষ্ঠানিক ঘোষণা আসেনি। তবুও গ্রাহকদের আশাবাদ, আগের মতো সাশ্রয়ী অফার ফিরবে বাজারে।

আরও পড়ুনঃ তার ছাড়াই সুপার ফাস্ট ইন্টারনেট দিচ্ছে রবি

সিটিসেল বন্ধ হওয়ার কারণ

২০১৬ সালে সিটিসেল হঠাৎ বন্ধ হয়ে যায়। কোম্পানির পক্ষ থেকে তখন অভিযোগ করা হয়, রাজনৈতিক প্রতিহিংসার কারণে তাদের কার্যক্রম বন্ধ করা হয়েছে।

তাদের দাবি ছিল, সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোরশেদ খানের পরিবারের সম্পৃক্ততার কারণে বিটিআরসি ইচ্ছাকৃতভাবে লাইসেন্স ও তরঙ্গ বাতিল করে দেয়।

যদিও বিটিআরসি জানায়, বিশাল অঙ্কের বকেয়া পরিশোধ না করাই ছিল বন্ধের মূল কারণ।

আইনি প্রক্রিয়ার পর সিটিসেল প্রায় ২৪৪ কোটি টাকা পরিশোধ করে এবং সর্বশেষ বকেয়া ১২৮ কোটি টাকায় নামিয়ে আনে। এই সমাধান পাওয়ার পরই তাদের লাইসেন্স ফেরত দেওয়া হয়।

সিটিসেল এর মালিক কে?

সিটিসেলের মালিক প্রতিষ্ঠান Pacific Bangladesh Telecom Limited (PBTL)। এই কোম্পানির সাথে যুক্ত ছিলেন সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোরশেদ খান ও তার পরিবার।

বর্তমানে কোম্পানির হেড অফ রেগুলেটরি অ্যান্ড কর্পোরেট অ্যাফেয়ার্স নিশাদ আলী খান জানান, তারা এখন নতুন বিনিয়োগ ও আধুনিক প্রযুক্তির মাধ্যমে সেবা দিতে প্রস্তুত। তার ভাষায়, “আমরা কম লাভে গ্রাহকদের সর্বোচ্চ সেবা দিতে চাই।”

সিটিসেলের ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা

সিটিসেল এবার ৪জি ও ৫জি নেটওয়ার্কে কাজ শুরু করতে যাচ্ছে।

তারা দেশের অন্যান্য অপারেটরের সঙ্গে প্রতিযোগিতা করতে চায় এবং বিশেষ করে গ্রামীণ এলাকায় উন্নত সংযোগ নিশ্চিত করতে চায়।

নিশাদ আলী খান বলেন, “আমাদের লক্ষ্য দেশজুড়ে নিরবচ্ছিন্ন নেটওয়ার্ক তৈরি করা।

আধুনিক অবকাঠামো নির্মাণের কাজ চলছে, এবং আমরা চাই সবাই আবারও সিটিসেলের প্রতি বিশ্বাস স্থাপন করুক।”

আরও পড়ুনঃ বিকাশে সর্বোচ্চ কত টাকা ক্যাশ আউট করা যায় দিনে ও মাসে জেনে নিন

CityCell সম্পর্কে সাধারণ প্রশ্ন (FAQs)

সিটিসেল কবে থেকে আবার চালু হবে?

আগামী মাস থেকে বাণিজ্যিকভাবে কার্যক্রম শুরু করার কথা রয়েছে।

সিটিসেল কি এখন ৪জি নাকি ৫জি সেবা দেবে?

প্রথমে ৪জি দিয়ে শুরু হলেও ভবিষ্যতে ৫জি প্রযুক্তি যুক্ত করা হবে।

সিটিসেলের পুরনো সিম কি চালু হবে?

পুরনো সিমগুলো আপডেট করতে হবে। কোম্পানি নতুন সিম রি-ইস্যু করার পরিকল্পনা করছে।

সিটিসেল কেন বন্ধ হয়ে গিয়েছিল?

বিটিআরসি অনুযায়ী, বকেয়া টাকা পরিশোধ না করার কারণে সেবা বন্ধ হয়েছিল।

সিটিসেলের মালিক কারা?

Pacific Bangladesh Telecom Limited (PBTL), যার নেতৃত্বে আছেন মোরশেদ খানের পরিবার।

উপসংহার,

আশা করি আপনারা জানতে পেরেছেন সিটি সিম কবে চালু হবে? বাংলাদেশ টেলিকমিউনিকেশন অথরিটি বিআরটিসি কিছু পাওনা পরিশোধ করে সিটি সেল আবারও নতুন উদ্যোগে কাজ শুরু করেছে।

২২ অক্টোবর এই লেখাটি প্রকাশিত হবে। ধারণা করা হচ্ছে নভেম্বর মাস থেকে সিটিসেল বাংলাদেশের বাজারে আবারও চলে আসবে।

সেই সাথে সিটি সেল গ্রাহকদের দুর্দান্ত কল রেট অফার প্রদান করবে, যা বাংলাদেশের ইতিহাসে সেরা হবে।

এখন বাংলাদেশের সকল গ্রাহকদের অপেক্ষা সিটি সেল সিম কবে চালু হবে এবং তারা কি তাদের পুরনো সিমটি ব্যবহার করতে পারবেন।

দেখে নেয়া যাক কবে পর্যন্ত সিটি সেল চালু হয় ততক্ষণ আমাদের সাথে থাকুন এবং জয়েন করুন আমাদের ফেসবুক পেজ।

WhatsApp Group Join Now
Telegram Group Join Now
আপনি কি কমদামে মিনিট, ইন্টারনেট ও বান্ডেল অফার খুঁজছেন!

ভিজিট করুন 👉

━ ━ ━ ━ ━ ━ ━ ━

ডিজিটাল টাচ
ফেসবুক পেইজ লাইক করে সাথে থাকুনঃ এই পেজ ভিজিট করুন
ডিজিটাল টাচ সাইটে বিজ্ঞাপন দিতে চাইলে যোগাযোগ করুনঃ এই লিংকে
Sharing Is Caring:

আমি শেখ মোঃ আমিনুল ইসলাম (সুজন)। ডিজিটাল টাচ ডটকম এর প্রতিষ্ঠাতা ও লেখক। এইচএসসি (বিজ্ঞান); চাঁদপুর সরকারি কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়।

Leave a Comment