বাংলাদেশে বিভাগ কয়টি ও কি কি এ সম্পর্কে আপনি জানেন কি? নিজের দেশ সম্পর্কে আমাদের প্রত্যেকেরই স্বচ্ছ ধারণা থাকা প্রয়োজন। আজকের আর্টিকেলে বাংলাদেশে বিভাগ কয়টি ও কি কি এ সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করব।
বাংলাদেশের বিভাগ কয়টি এ নিয়ে অনেক বিতর্ক রয়েছে। আমরা ছোটবেলায় পড়ে এসেছি যে বাংলাদেশের বিভাগ ৬টি। কিন্তু বর্তমান সময়ে বাংলাদেশের বিভাগ আরও বৃদ্ধি পেয়েছে।
ভাষা আন্দোলনের পূর্ববর্তী সময় পর্যন্ত বাংলাদেশে বিভাগ ছিল মাত্র ৩টি। বাংলাদেশের পূর্বের ৩ টি বিভাগের নাম হচ্ছে ঢাকা, চট্টগ্রাম ও রাজশাহী। তবে সময়ের সাথে সাথে বাংলাদেশে বিভাগের সংখ্যা বাড়তে থাকে।
পরবর্তীতে ১৯৫৪ সালে সিলেট বিভাগ ও ১৯৬০ সালে খুলনা বিভাগ গঠিত হয়। তারপর, ১৯৯৩ সালে খুলনা বিভাগের একাংশ নিয়ে বরিশাল বিভাগ গঠিত হয়। অতঃপর, ২০১০ সালে বাংলাদেশের রংপুর ও দিনাজপুর অঞ্চল নিয়ে রংপুর বিভাগ গঠিত হয়, যেটি আগে রাজশাহীর আন্ডারে ছিল।
সর্বশেষ, ঢাকা বিভাগের পশ্চিমাংশকে ভেঙে বাংলাদেশের শেষ বিভাগ হিসেবে ময়মনসিংহ বিভাগ গঠন করা হয় ২০১৫ সালে (৮ম বিভাগ)। এটি বাংলাদেশের সর্বশেষ বিভাগ।
এখন আরও দুটি বিভাগ গঠনের প্রস্তাবনা সংসদে উত্থাপিত হয়েছে। সেগুলো হলো – মেঘনা (কুমিল্লা) বিভাগ ও পদ্মা বিভাগ। তা সম্পর্কে এখনও স্বচ্ছ ধারণা পাওয়া যায়নি।
বাংলাদেশের প্রস্তাবিত নবম বিভাগ হবে মেঘনা বিভাগ, যার নাম হতে পারে ময়নামতি ব্বিভাগ বা কুমিল্লা বিভাগ।
বাংলাদেশে বিভাগ কয়টি ও কি কি আরটিকেলে বাংলাদেশের ১০ম প্রস্তাবিত বিভাগ হচ্ছে পদ্মা বিভাগ।
পদ্মা সেতুকে কেন্দ্র করে ফরিদপুর, মাদারীপুর, রাজবাড়ী, গোপালগঞ্জ ও শরীয়তপুর এই পাঁচটি জেলা নিয়ে পদ্মা বিভাগ গঠিত হয়ার কথা রয়েছে। যেটির সদর দপ্তর হবে ফরিদপুর জেলায়।
Content Summary
বাংলাদেশে বিভাগ কয়টি ও কি কি?
প্রথমেই বাংলাদেশে বিভাগ কয়টি ও কি কি তা আমরা উপরেই আলোচনা করেছি। নিচে সিরিয়াল অনুযায়ী এর বিস্তারিত বর্ণনা করা হলো —
এখন পর্যন্ত বাংলাদেশের বিভাগ সংখ্যা ৮টি। খুব শীঘই প্রস্তাবিত বিভাগ দুইটি (মেঘনা ও পদ্মা) যুক্ত হতে পারে।
বাংলাদেশের ৮ টি বিভাগের নাম হচ্ছে –
- ঢাকা
- চট্টগ্রাম
- রাজশাহী
- খুলনা
- বরিশাল
- সিলেট
- রংপুর
- ময়মনসিংহ
বর্তমানে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের হিসাব অনুযায়ী বাংলাদেশে ৮টি বিভাগ রয়েছে, বিভাগ গুলি হচ্ছে ঢাকা, চট্টগ্রাম, রাজশাহী, খুলনা, বরিশাল, সিলেট, রংপুর ও ময়মনসিংহ। তবে বাংলাদেশ সরকারের ঊর্ধ্ব মহলে আরো দুইটি নতুন বিভাগ করার আলোচনা চলছে।
নতুন দুইটি বিভাগের নাম হতে পারে পদ্মা ও মেঘনা, অবশ্য বাংলাদেশের স্বনামধন্য জেলা নোয়াখালী তাদেরকে বিভাগের আওতায় আনার জন্য অনুরোধ করছে।
বাংলাদেশের বিভাগ কয়টি ও কি কি ২০২৩
বাংলাদেশের প্রতিটি বিভাগেই কোন না কোন সৌন্দর্যের লীলাভূমি। দেশের দক্ষিণাঞ্চল থেকে শুরু করে পশ্চিমাঞ্চল যেখানেই যান সবুজের সমারোহ লক্ষণীয়।
অপরূপ সৌন্দর্যের লীলাভূমি বাংলাদেশকে নিয়ে লিখে সহজে শেষ করা যাবেনা তথাপিও আমরা চেষ্টা করব বাংলাদেশে বিভাগ কয়টি ও কী কী এই পোস্টে আপনাদের বাংলাদেশের বিভাগ সমূহ সম্পর্কে কিছু সংক্ষিপ্ত ধারণা দেওয়ার জন্য।
ঢাকা বিভাগ
বাংলাদেশে বিভাগ কয়টি ও কি কি আর্টিকেলে বাংলাদেশের ৮টি বিভাগের মধ্যে সর্বপ্রথম বিভাগ হলো ঢাকা বিভাগ।
ঢাকা বাংলাদেশের রাজধানী বা কেন্দ্রবিন্দু। ১৬১০ সালে বুড়িগঙ্গার তীরে এই ঢাকা শহর গড়ে ওঠে এবং ১৮২৯ সালে ঢাকা বিভাগ প্রতিষ্ঠিত হয়। ঢাকা বিভাগের আয়তন মোট আয়তন ৩১,০৫১ (একত্রিশ হাজার একান্ন) বর্গ কি. মি।
- ঢাকার বিভাগের মধ্যে মোট জেলা আছে – ১৩ টি
- পৌরসভা রয়েছে – ৫৮ টি
- উপজেলা রয়েছে – ১২৩ টি
- ইউনিয়ন পরিষদ রয়েছে – ১২৩৯ টি
- ঢাকায় ওয়ার্ড রয়েছে – ৫৪৯ টি ।
রংপুর বিভাগ ছাড়া অন্য সকল বিভাগের সাথে ঢাকা বিভাগের সীমানা রয়েছে। এর উত্তরে রয়েছে ময়মনসিংহ বিভাগ, দক্ষিণে আছে বরিশাল বিভাগ, পূর্ব ও দক্ষিণ-পূর্বে রয়্যেছে চট্টগ্রাম বিভাগ, উত্তর-পূর্বে সিলেট বিভাগ, পশ্চিমে রাজশাহী বিভাগ এবং দক্ষিণ-পশ্চিমে খুলনা বিভাগ অবস্থিত।
ঢাকা বিভাগে সর্বমোট ১৩ টি জেলা রয়েছে। তার মধ্যে সবচেয়ে বড় জেলা হলো – টাঙ্গাইল জেলা।
ঢাকাকে বাংলাদেশের‘মেগাসিটি’ বলা হয়। এক কথায় যদি কোনো এলাকায় বা অঞ্চলে এক কোটিরও বেশি মানুষ বাস করে, তাহলে সেই এলাকা বা অঞ্চলকে মেগাসিটি বলা হয়ে থাকে।
ঢাকাতেও এক কোটিরও বেশি মানুষের বসবাস। বর্তমান সারা পৃথিবীতে ২৬ টির মত মেগাসিটি রয়েছে। তার মধ্যে ঢাকা হচ্ছে ১১ তম।
চট্টগ্রাম বিভাগ
বাংলাদেশের দক্ষিণ-পূর্ব অঞ্চলে অবস্থিত ২য় বৃহত্তম বিভাগ হলো চট্টগ্রাম বিভাগ। বাংলাদেশের বৃহত্তম বন্দর এখানেই অবস্থিত। একে বন্দর নগরীও বলা হয়। ১৬৬৬ সালে চট্টগ্রাম জেলা প্রতিষ্ঠিত হয়। ঢাকা ও চট্টগ্রাম বিভাগ ১৮২৯ সালের প্রতিষ্ঠিত হয়।
১৯৯৫ সালের পূর্বে বাংলাদেশের সিলেট বিভাগও এই চট্টগ্রাম বিভাগের মধ্যে ছিল। চট্টগ্রাম বিভাগের মোট আয়তন প্রায় ৩৪,৫২৯.৯৭ বর্গ কি.মি.। চট্টগ্রাম বিভাগের মোট ১১টি জেলা এবং ৯৯টি উপজেলা রয়েছে।
চট্টগ্রাম বিভাগের অন্তর্ভুক্ত বান্দরবান, খাগড়াছড়ি ও রাঙ্গামাটি ৩টি পার্বত্য জেলাকে “পার্বত্য চট্টগ্রাম” নামে অভিহিত করা হয়।
চট্টগ্রামকে বাণিজ্যিক রাজধানীও বলা হয়ে থাকে। কারণ, বাংলাদেশের প্রধান সমুদ্র বন্দর হলো এই চট্টগ্রামে বন্দর। আমাদের দেশের অধিকাংশ বৈদেশিক বাণিজ্য, আমদানি-রপ্তানি সংগঠিত হয় এই চট্টগ্রাম বন্দরের মাধ্যমেই।
এই চট্টগ্রামকে কেন্দ্র করে অনেক ভারি শিল্পকারখানা, গার্মেন্টস ফ্যাটরি গড়ে উঠেছে। সেজন্যই চট্টগ্রামকে বাংলাদেশের বাণিজ্যিক রাজধানী বলা হয়।
রাজশাহী বিভাগ
বাংলাদেশের ৩য় বৃহত্তম বিভাগ হলো রাজশাহী বিভাগ। রাজশাহী বিভাগের মোট আয়তন প্রায় ১৮,১৫৪ বর্গ কি. মি.। ১৭৭২ সালে রাজশাহী জেলা গঠন হয়।১৯৪৭ সালে রাজশাহী বিভাগ প্রতিষ্ঠিত হয়।
প্রিয় পাঠক রাজশাহী বিভাগ ৮টি জেলা রয়েছে।
রাজশাহী বিভাগের ৮টি জেলার নাম হচ্ছে –
- রাজশাহী জেলা
- নাটোর জেলা
- চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা
- জয়পুরহাট জেলা
- পাবনা জেলা
- নওগাঁ জেলা
- বগুড়া জেলা
- সিরাজগঞ্জ জেলা
আমাদের রাজশাহী বিভাগ রেশমের জন্য বিখ্যাত। এছাড়াও রাজশাহী আম, খেজুরের গুড়, সিল্কের শাড়ি এবং চমচমের জন্য বেশ জনপ্রিয়। কে কে রাজশাহীকে শান্তির শহর বলে থাকেন।
খুলনা বিভাগ
বাংলাদেশের বিভাগগুলোর মধ্যে ৪র্থ বিভাগ হচ্ছে খুলনা বিভাগ। খুলনা বিভাগ বাংলাদেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলে অবস্থিত।
আজকের এই খুলনা বিভাগ পূর্বে রাজশাহী বিভাগের অন্তর্ভূক্ত ছিলো। আর বরিশাল বিভাগ পূর্বে ঢাকা বিভাগের অন্তর্ভূক্ত ছিলো।
এরপর ১৯৬০ সালে পূর্বের রাজশাহী বিভাগের ‘কুষ্টিয়া, খুলনা ও যশোর’ এবং পূর্বের ঢাকা বিভাগের ফরিদপুর ও বরিশাল নিয়ে বর্তমানের খুলনা বিভাগ গঠিত হয়। তবে ১৮৮২ সালে খুলনা জেলা প্রতিষ্ঠিত হয়।
খুলনা বিভাগে ১০ টি জেলা ও ৫৯ টি উপজেলা রয়েছে। খুলনা বিভাগের মোট আয়তন প্রায় ২২,২৮৫ বর্গ কি. মি.।
বরিশাল বিভাগ
বাংলাদেশে বিভাগ কয়টি ও কি কি আর্টিকেলে বাংলাদেশের ৫ম বৃহত্তম বিভাগ হচ্ছে বরিশাল বিভাগ। বরিশাল বিভাগের মানুষ তাদের আঞ্চলিক ভাষায় জন্য বিখ্যাত। তবে সব আঞ্চলিক ভাষাই সম্মানজনক। এই বিভাগ টি পূর্বে ঢাকা এবং খুলনা বিভাগের মধ্যে ছিল।
১৯৯৩ সালে বরিশাল বিভাগকে ঢাকা এবং খুলনা থেকে আলাদা করে নিজস্ব বিভাগে পরিণত করা হয়। বরিশাল বিভাগের মোট আয়তন প্রায় ১৩,৬৪৪ বর্গ কি.মি.। বর্তমানে বরিশাল বিভাগে মোট জেলা রয়েছে ৬টি এবং উপজেলা রয়েছে ১০ টি।
আরও পড়ুনঃ
বরিশাল বিভাগের জেলাগুলোর নাম –
- বরিশাল জেলা
- পিরোজপুর জেলা
- পটুয়াখালী জেলা
- ভোলা জেলা
- ঝালকাঠি জেলা
- বরগুনা জেলা।
বাংলাদেশের দক্ষিণাঞ্চলে অবস্থিত সমুদ্রের উপকূলবর্তী এই বরিশাল বিভাগ প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে ভরপুর। বরিশাল বিভাগের প্রত্যেকটা জেলাতেই অসংখ্য দর্শনীয় স্থান রয়েছে। এছাড়াও সুস্বাদু ইলিশ মাছের জন্য বরিশাল বিভাগের নাম সকলেরই জানা।
আরও পড়ুনঃ
শিক্ষা সফরে যাওয়ার জন্য আবেদন
আইনস্টাইন কিসের জন্য নোবেল পান?
বরিশাল কেনো বিখ্যাত?
বরিশালের আমড়া সারা বাংলাদেশে খুবই জনপ্রিয়। এছাড়াও বরিশালে রয়েছে অপরূপ মনোমুগ্ধকর বিভিন্ন পর্যটন স্পট। তার মধ্যে কিছু পর্যটন স্পট হচ্ছে –
- কুয়াকাটা সমুদ্র সৈকত
- মনপুরা দ্বীপ
- দূর্গা সাগর
- সোনারচরসহ প্রভৃতি।
সিলেট বিভাগ
বাংলাদেশের ৬ষ্ঠ বৃহত্তম বিভাগ হচ্ছে সিলেট বিভাগ। সিলেটের অবস্থান বাংলাদেশের উত্তরে। তাই একে উত্তরাঞ্চলও বলা হয়।
১৯৯৫ সালে সিলেট বিভাগ ৪টি জেলা নিয়ে গঠিত হয়। সিলেটকে অনেকেই দ্বিতীয় লন্ডন এবং অনেকেই মাজার শরীফের দেশও বলে থাকে। সিলেট বিভাগের মোট আয়তন প্রায় ১২,৫৯৫ বর্গ কি. মি.।
সিলেট কেনো বিখ্যাত?
সিলেট বিভাগ দর্শনীয় স্থানের জন্য বিখ্য্যাত। যেমন – শ্রীমঙ্গল চা-বাগান, জাফলং,, মাধবকুণ্ড ইত্যাদি। বাংলাদেশের GDP তে সিলেট জেলার সবচেয়ে বেশি অবদান রয়েছে। বাংলাদেশের মোট অর্থনীতির প্রায় ২৩% এ জেলা থেকে আসছে।
রংপুর বিভাগ
বাংলাদেশের ৭ম বিভাগ হলো রংপুর বিভাগ। ২০১০ সালে এই রংপুর বিভাগ প্রতিষ্ঠিত হয়। রংপুর বিভাগে সর্বমোট ৮ টি জেলা ও ৫৮ টি উপজেলা রয়েছে। রংপুর বিভাগের মোট আয়তন প্রায় ১৬,৩১৭ বর্গ কি.মি.। রংপুর মূলত তামাক, ইক্ষু, হাড়িভাঙা আম ইত্যাদির জন্য বিখ্যাত।
ময়মনসিংহ বিভাগ
বাংলাদেশের সর্বশেষ ও ৮ম বিভাগ হচ্ছে ময়মনসিংহ বিভাগ। ২০১৫ সালে ময়মনসিংহ বিভাগ প্রতিষ্ঠিত হয়।
ময়মনসিংহ বিভাগের এর মোট আয়তন প্রায় ১০,৪৮৫ বর্গ কি. মি.। ময়মনসিংহ বিভাগে সর্বমোট ৪টি জেলা ও ৩৪টি উপজেলা রয়েছে।
আরও পড়ুনঃ
পুলিশের চাকরির জন্য কত টাকা লাগে?
চাকরি থেকে অব্যাহতির জন্য আবেদন
বাংলাদেশে বিভাগ কয়টি ও কি কি FAQ
বর্তমানে বাংলাদেশের বিভাগ সংখ্যা মোট ৮ টি।
বাংলাদেশের বিভাগ সংখ্যা ৮ টি ও বিভাগ গুলির নাম হচ্ছে ঢাকা, চট্টগ্রাম, রাজশাহী, খুলনা, বরিশাল, সিলেট, রংপুর, ময়মনসিংহ।
বাংলা দেশের বিভাগ সংখ্যা ৮ টি।
শেষ কথা
আশা করছি বাংলাদেশে বিভাগ কয়টি ও কি কি আরটিকেলটি শেষ পর্যন্ত পরেছেন। যদি পরে থাকেন তাহলে আপনার এই বিষয়ে আর কোনো প্রশ্ন থাকার কথা না।
তারপরও যদি আপনার কোনো মতামত থাকে তাহলে অবশ্যই কমেন্ট বক্সে কমেন্ট করবেন।
অনেকেই অনলাইন ইনকাম সম্পর্কে ধারণা রাখলেও কিভাবে অনলাইনে কাজ করতে হয় সে সম্পর্কে জানা নেই। সব বিষয়ে নিত্য নতুন আর্টিকেল পেতে নিয়মিত ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট।
চোখ রাখুন আমাদের ফেসবুক পেজে।
ডিজিটাল টাচ ফেসবুক পেইজ লাইক করে সাথে থাকুনঃ এই পেজ ভিজিট করুন ।
ডিজিটাল টাচ সাইটে বিজ্ঞাপন দিতে চাইলে যোগাযোগ করুনঃ এই লিংকে।
অনলাইনে টাকা ইনকাম সম্পর্কে জানতে ভিজিট করুনঃ www.digitaltuch.com সাইট ।