সুপ্রিয় পাঠকগণ বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট ১ সম্পর্কে তথ্য জানতে আপনারা অনেকেই গুগল সার্চ করে থাকেন। আজকের এই আর্টিকেলের মাধ্যমে আমরা আপনাদের সামনে বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট ১ সম্পর্কে তথ্য তুলে ধরবা এবং আপনারা বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট ১ সম্পর্কে তথ্য গুলো খুব সহজেই এই আর্টিকেল থেকে পেয়ে যাবেন।
বাংলাদেশের অন্যান্য সকল গুরুত্বপূর্ণ অর্জন গুলোর মধ্যে বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট ১ অন্যতম। বাংলাদেশি বিভিন্ন নেটওয়ার্কিং সিস্টেম এবং টিভি চ্যানেলগুলোর সংস্থা ছিল বিদেশি কোন কোম্পানি কিংবা অন্যান্য দেশের বিভিন্ন কোম্পানিগুলো।
তবে বর্তমানে বাংলাদেশের নিজস্ব স্যাটেলাইটের মাধ্যমে টিভি চ্যানেলের এবং মোবাইল নেটওয়ার্কিং সিস্টেমের অপারেটিং করতে সক্ষম।
তবে এর পাশাপাশি বিভিন্ন বিদেশি স্যাটেলাইট ব্যবহার করা হয়ে থাকে তবে বাংলাদেশের অত্যন্ত গর্বের একটি বিষয় হচ্ছে নিজস্ব স্যাটেলাইট তৈরি করে সেটি মহাকাশে পাঠানো।
আজ আমরা মূলত বাংলাদেশের বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট ১ সম্পর্কে তথ্য গুলো আপনাদের সামনে তুলে ধরব।
Content Summary
বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট এর কাজ কি? – What is the function of Bangabandhu satellite in Bangladesh?
বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট-১ বাংলাদেশের প্রথম ভূস্থির যোগাযোগ ও সম্প্রচার উপগ্রহ।
বাংলাদেশের এই স্যাটেলাইট ২০১৮ সালের ১১ মে (বাংলাদেশের সময় অনুযায়ী ১২ই মে) কেনেডি স্পেস সেন্টার থেকে উৎক্ষেপণ করা হয়েছিল।
এই উৎক্ষেপণের মধ্যে দিয়ে ৫৭ তম দেশ হিসেবে বাংলাদেশ নিজস্ব স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণকারী হিসেবে তালিকায় যোগ হয়।
এই প্রকল্পের মাধ্যমে ডাক এবং টেলিযোগাযোগ বিভাগের ও দিন বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন কর্তৃক বাস্তবায়িত হয়েছিল।
এবং এটি ফ্যালকন ৯ ব্লক ৫ রকেটের প্রথম পেলোড উৎক্ষেপণ ছিল।
২০০৮ সালে বাংলাদেশে টেলিযোগাযোগ খাতের নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিটিআরসি কৃত্রিম উপগ্রহ নির্মাণ বিষয়ে একটি কমিটি গঠন করে।
এর পরবর্তীতে ২০০৯ সালে জাতীয় তথ্যপ্রযুক্তি নীতিমালার মাধ্যমে রাষ্ট্রীয় কৃত্রিম উপগ্রহ মহাকাশে উৎক্ষেপণের বিষয়টি যুক্ত করা হয়েছিল।
বাংলাদেশের এই স্যাটেলাইট অথবা কৃত্রিম উপগ্রহ উৎক্ষেপন করার জন্য আন্তর্জাতিক টেলিকমিউনিকেশন ইউনিটের কাছ থেকে ইলেকট্রনিক আবেদন করেছিল বাংলাদেশ।
নিজস্ব এই কৃত্রিম উপগ্রহের ব্যবস্থার নকশা তৈরির জন্য ২০১২ সালের মার্চ মাসের দিকে প্রকল্পের মূল পরামর্শ হিসেবে যুক্তরাষ্ট্র ভিত্তিক প্রতিষ্ঠান ‘স্পেস পার্টনারশিপ ইন্টারন্যাশনাল’ কে নিয়োগ দেওয়া হয়।
এই স্যাটেলাইট সিস্টেম ক্রয় করার জন্য ফ্রান্সের একটি কোম্পানি থ্যালাস অ্যালেনিয়া স্পেসের সঙ্গে এক হাজার ৯৫১ কোটি ৭৫ লাখ ৩৪ হাজার টাকার চুক্তি করে বিটিআরসি।
এর পরবর্তীতে ২০১৫ সালে বিটিআরসি রাশিয়ার উপগ্রহ একটি কোম্পানি ইন্টারস্পুটনিকের কাছ থেকে কক্ষপথ (অরবিটাল স্লট) কেনার আনুষ্ঠানিক চুক্তি করে।
২০১৭ সালে কৃত্রিম উপগ্রহের সার্বিক ব্যবস্থাপনার জন্য ‘বাংলাদেশ কমিউনিকেশন স্যাটেলাইট কোম্পানী লিমিটেড’ নামে একটি সংস্থা গঠন করা হয়।
এই সংস্থার প্রাথমিক মূলধন হিসেবে অনুমোদন দেওয়া হয় পাঁচ হাজার কোটি টাকা।
বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট ১ তৈরিতে নির্মাণ ব্যয়
বাংলাদেশ হচ্ছে পৃথিবীর মধ্যে ৫৭ তম দেশ যারা নিজস্ব কৃত্রিম উপগ্রহ চিত্র সৃষ্টি করে মহাকাশে পাঠিয়েছে এবং সেখান থেকে সুবিধা ভোগ করছে।
এই কৃত্রিম উপগ্রহ বা বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট ১ তৈরিতে কি পরিমাণে নির্মাণ ব্যয় বা খরচ হয়েছে সেই সম্পর্কে অনেকেই নানান ভাবে জানার আগ্রহ করেন।
বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট ১ তৈরিতে কি পরিমাণে খরচ হয়েছিল সেই সম্পর্কে চলুন বিস্তারিত সকল তথ্য গুলো জেনে নেয়া যাক।
বাংলাদেশের সম্প্রচার এবং টেলিযোগাযোগ সেবা পরিচালনা করার জন্য কৃত্রিম উপগ্রহ উৎক্ষেপণ করতে ২০১৪ সালের সেপ্টেম্বর মাসে একনেক সভায় দুই হাজার ৯৬৮ কোটি টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়।
এরই মধ্যে বাংলাদেশের সরকারের নিজস্ব তহবিল থেকে বরাদ্দ প্রদান করা হয়েছিল ১ হাজার ৩১৫ কোটি ৫১ লক্ষ টাকা।
এটি ছিল মোট ব্যয়ের প্রায় ৪৪ শতাংশ।
এ ছাড়া ‘বিডার্স ফাইন্যান্সিং’ এর মাধ্যমে এ প্রকল্পের জন্য এক হাজার ৬৫২ কোটি ৪৪ লাখ টাকা সংগ্রহের পরিকল্পনা নেওয়া হয়।
২০১৬ সালের সেপ্টেম্বরে হংক সাংহাই ব্যাংকিং করপোরেশনের (এইচএসবিসি) সাথে সরকারের প্রায় একহাজার ৪০০ কোটি টাকার ঋণচুক্তি হয়।
এক দশমিক ৫১ শতাংশ হার সুদসহ ১২ বছরে ২০ কিস্তিতে এই অর্থ পরিশোধ করতে হবে।
২০১৪ সালের ডিসেম্বর মাসে রাশিয়ার সংস্থা ইন্টারস্পুটনিকের কাছ থেকে অরবিটাল স্লট অনুমোদন দেওয়া হয়। এর অর্থমূল্য ২১৮ কোটি ৯৬ লাখ টাকা।
আরও পড়ুনঃ
বাংলাদেশের স্যাটেলাইট এখন কোথায়?
বঙ্গবন্ধু দ্বীপ কোথায় অবস্থিত?
বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট ১ সম্পর্কে তথ্য FAQS
বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট ১, ২০১৮ সালের ১১ মে (বাংলাদেশের সময় অনুযায়ী ১২ই মে) কেনেডি স্পেস সেন্টার থেকে উৎক্ষেপণ করা হয়েছিল।
স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণের তালিকায় বাংলাদেশ ৫৭ তম দেশ।
উপসংহার
সুপ্রিয় পাঠাকবৃন্দ বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট ১ সম্পর্কে তথ্য গুলো আপনাদেরকে আজকের এই আর্টিকেল এর মাধ্যমে বিস্তারিত ভাবে জানানো হয়েছে।
আশা করছি আজকের এই গুরুত্বপূর্ণ আর্টিকেলটি আপনাদের ভালো লেগেছে এবং আপনারা এই আর্টিকেল থেকে জানতে পেরেছেন বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট ১ সম্পর্কে।
আপনাদের যদি এ বিষয়ে আরো কোন তথ্য বা প্রশ্ন করার থাকে তাহলে অবশ্যই আমাদেরকে কমেন্ট করে জানাতে পারেন।
আমাদের ওয়েবসাইট থেকে আপনারা এ ধরনের গুরুত্বপূর্ণ পোস্টগুলোর পাশাপাশি খেলাধুলা বিষয়ক বা অন্যান্য জ্ঞানমূলক পোস্টগুলো পেয়ে যাবেন।
তাই অবশ্যই ভিজিট করতে পারেন আমাদের ওয়েবসাইট এবং এর পাশাপাশি জয়েন করতে পারেন আমাদের অফিসিয়াল ফেসবুক পেইজে।
আরও পড়ুনঃ
মেট্রোরেল সম্পর্কে ১৫ টি বাক্য
স্বপ্নের পদ্মা সেতু সম্পর্কে ১০টি বাক্য
ডিজিটাল টাচ ফেসবুক পেইজ লাইক করে সাথে থাকুনঃ এই পেজ ভিজিট করুন ।
ডিজিটাল টাচ সাইটে বিজ্ঞাপন দিতে চাইলে যোগাযোগ করুনঃ এই লিংকে।
অনলাইনে টাকা ইনকাম সম্পর্কে জানতে ভিজিট করুনঃ www.digitaltuch.com সাইট ।