ফুসফুসের সমস্যা ও সমাধান জানতে অনেকেই গুগল করে থাকেন। যেহেতু আমাদের শরীরের একটি অন্যতম অঙ্গ হচ্ছে ফুসফুস, তাই ফুসফুসের যত্ন নেয়া জরুরী।
আজকে আমারা জানবো ফুসফুসের সমস্যা ও সমাধান বিষয়ে। ফুসফুসের মাধ্যমেই আমরা শ্বাস-প্রশ্বাস নিয়ে বেঁচে থাকি।
কিন্তু এ অঙ্গটি প্রতিনিয়তই বাতাস থেকে বিভিন্ন দূষিত উপাদান গ্রহণ করে চলে।
বিশেষ করে যারা ধূমপান করেন এবং বেশি ধুলাবালি যুক্ত রাস্তায় বা স্থানে চলাচল করেন, তাদের ফুসফুস আরও বেশি দূষিত হওয়ার আশঙ্কা থাকে।
তবে অনেকেই বুঝতে পারেন তার ফুসফুস ক্রমশ কার্যকারিতা হারাচ্ছে। তাই তাদের উচিত হবে ফুসফুসের সমস্যার লক্ষণ ও প্রতিকার সম্পর্কে জানা।
Content Summary
ফুসফুসের কাজ কি?
ফুসফুস হচ্ছে মেরুদণ্ডী প্রাণীর একটি অঙ্গ যা শ্বাস-প্রশ্বাসের কাজে ব্যবহৃত হয়।
এই ফুসফুস শ্বাসযন্ত্রটির প্রধান কাজ হলো বাতাস থেকে অক্সিজেনকে রক্তপ্রবাহে নেওয়া এবং রক্তপ্রবাহ হতে কার্বন ডাই-অক্সাইডকে বাতাসে নিষ্কাশন করা।
আরও পড়ুনঃ
হরমোনের সমস্যা বোঝার উপায়? হরমোনের সমস্যা দূর করার উপায়?
কাগজ দিয়ে বানানো সবচেয়ে দামি জিনিস কি
ফুসফুসের সমস্যার লক্ষণ ও সমাধান করবেন কিভাবে
বুকে হালকা ব্যথা কিংবা মাঝে মধ্যেই ঠান্ডা লেগে যাওয়া অনেকেরই তো হয়ে থাকে।
তবে এসব লক্ষণ কিন্তু মোটেও ভালো নয়। এটি হতে পারে ফুসফুসের ক্যানসার কিংবা গুরুতর ব্রঙ্কাইটিস।
অল্পবয়সী অনেকেই ভাবেন, ফুসফুসের সমস্যা বোধ হয় বয়স্কদেরই হয়।
তবে এ ধারণা ভুল। মনে রাখবেন,রোগ-ব্যাধির কোনো বয়স নেই। এ কারণে সামান্য লক্ষণ দেখলেও সতর্ক হতে হবে।
ধূমপানের অভ্যাস না থাকলেও বুকে ব্যথা হলে সতর্ক হওয়া প্রয়োজন, কারণ এসব ফুসফুসের সমস্যার লক্ষণ।
জেনে নিন কোন কোন সঙ্কেত পেলে বুঝতে হবে আপনার ফুসফুসের সমস্যা হয়েছে।
সেই সাথে এখানে রয়েছে ফুসফুসের সমস্যার সমাধান সম্পর্কে সাধারণ জ্ঞান।
ফুসফুসে ইনফেকশনের লক্ষণ গুলো কি কি?
প্রায়ই সর্দি-কাশি হওয়া মোটেও ভালো লক্ষণ নয়। এমনটি হলে বুঝতে হবে শরীরের ভেতরে কোনো সমস্যা হচ্ছে।
অনেকের ক্ষেত্রে কাশি হলেও কমতে চায় না। এমন প্রবণতা দেখলে সাবধান হওয়া জরুরি।
>> ঘুম থেকে উঠেই কাঁধ ও পিঠে ব্যথা অনুভব করা কিন্তু সাধারণ ক্লান্তি নয়।
এর কারণ হলো শরীরের এক অংশে সমস্যা হলে অন্যান্য অংশেও অসুবিধা দেখা দেয়।
এ ধরনের ব্যথাকে চিকিৎসা পরিভাষায় বলে ‘রেফার্ড পেইন’।
>> শ্বাস নেওয়ার সময় যদি কষ্ট হয় তাহলে অবহেলা করবেন না।
এ সংকেতে বুঝতে হবে ফুসফুসে কোনো সমস্যা আছে। ফুসফুসের আশপাশে প্রদাহ সৃষ্টি হলে এমন হয়ে থাকে।
>> সারক্ষণ ক্লান্তবোধ করা, উদ্বেগ ও অবসাদ সাধারণ কোনো সমস্যা নয়।
ফুসফুস ঠিকভাবে কাজ না করলে শরীরে পর্যাপ্ত অক্সিজেন ঢোকে না। এর থেকেই ক্লান্তি আসতে পারে।
>> ইদানিং কি আপনার গলার আওয়াজে পরিবর্তন এসেছে?
অনেকেই মনে করেন সর্দি-কাশির কারণে হয়তো গলার স্বর বদলেছে।
তবে দিনের পর দিন এমনই চললে সমস্যা আরও মারাত্মক হতে পারে। যত দ্রুত সম্ভব চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া জরুরি।
>> বুকে কফ জমার সমস্যা একসময় কঠিন নিউমোনিয়ার কারণ হতে পারে।
ফলে ফুসফুস কার্যকারিতা হারায়। তাই বুকে কফ জমলে চিকিৎসকের কাছে যেতে হবে।
আরও পড়ুনঃ
বাংলাদেশের স্যাটেলাইট এখন কোথায়?
বঙ্গবন্ধু মেডিকেল কলেজ কোথায় অবস্থিত?
ফুসফুস ভালো রাখার উপায় কি?
আপনি যদি নিজেকে ভালো রাখতে চান তবে আপনাকে ফুসফুসের সমস্যা ও সমাধান উভয় বিষয়ে জানতে পারবেন।
ফুসফুসে সংক্রমণ হলে দেখা দেয় শ্বাসকষ্ট, যার ফলে মৃত্যুও হতে পারে। তাই ফুসফুসকে সুস্থ রাখা জরুরি।
ধূমপান না করা, ব্যায়াম করা, বায়ুদূষণ এড়িয়ে যাওয়া ইত্যাদি ফসুফুসকে সুরক্ষিত রাখতে সাহায্য করে।
তবে এর পাশাপাশি কিছু খাবার রয়েছে যেগুলো খাদ্য তালিকায় থাকলে ফুসফুস ভালো থাকে।
ফুসফুস সুস্থ রাখার বিষয়ে খাবারের রয়েছে বিশেষ ভূমিকা।
- পুষ্টিবিদদের মতে, শাক-সবজি, আলু, পটল, কুমড়া-গাজর বেশি করে খান।
- খোসা না ছাড়িয়ে তরকারি করে খেতে পারলে আরো ভালো।
- এছাড়া পটাশিয়াম সমৃদ্ধ খাবার ফুসফুসের জন্য ভালো।
- তাই সবুজ শাক, টমেটো, বিট, আলু, কলাখান নিয়মিত।
- আর প্রোটিনের জন্য মাছ, মাংস, ডিম, দুধ, দই, ডাল, ছোলা ইত্যাদি।
ফুসফুসের রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা ঠিক রাখতে দিনে ২ থেকে ৩ লিটার পানি অবশ্যই পান করতে হবে।
এছাড়াও কয়েকটি বিশেষ খাবার রয়েছে যা ফুসফুসের রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়।
আরও পড়ুনঃ
কি কি সমস্যা থাকলে সেনাবাহিনীর চাকরি হয় না?
নিয়মিত আপেল খাওয়া
আপেল খাওয়ার অনেক উপকারিতা রয়েছে। যুক্তরাজ্যের এক গবেষণায় বলা হয়
, সপ্তাহে যারা দুটি থেকে পাঁচটি আপেল খায়, তাদের অ্যাজমা হওয়ার ঝুঁকি ৩২ ভাগ কমে যায়।
আপেলের মধ্যে রয়েছে ফ্লাবোনয়েড। এটি শ্বাস নেয়ার পথকে পরিষ্কার রাখতে সাহায্য করে, ফুসফুসকে ভালো রাখে।
গাজর খাওয়া
গাজর বেটাক্যারোটিন এবং অন্যান্য অ্যান্টি অক্সিডেন্টের জন্য প্রসিদ্ধ। গবেষণায় বলা হয়,
বেটাক্যারোটিন শরীরেও গিয়ে ভিটামিন ‘এ’ তে রূপান্তরিত হয়। ফুসফুস ভালো রাখতে গাজর এশটি চমৎকার খাবার।
কফি ও গ্রিনটি পান করা
কতটুকু পরিমাণ কফি পান শরীরের জন্য ভালো- এ নিয়ে অনেক বিতর্ক রয়েছে।
তবে কফি ও গ্রিনটি কিন্তু ফুসফুস ভালো রাখতে সাহায্য করে, বিশেষ করে ব্ল্যাককফি।
কফিপানের চারঘণ্টা পর শ্বাসতন্ত্রের কার্যক্রম আরো ভালো হয়। তাই ফুসফুস সুরক্ষিত রাখতে এই কফিপান করতে পারেন।
রসুন খাওয়া
রসুনের মধ্যে রয়েছে অ্যান্টিইনফ্লামেটোরি উপাদান।
দীর্ঘকাল ধরে বিভিন্ন ভাইরাস জনিত সংক্রমণ প্রতিরোধে রসুন ব্যবহৃত হয়ে আসছে।
রসুন অ্যাজমা প্রতিরোধ করে, প্রতিরোধ করে ফুসফুসের ক্যানসারও।
ভিটামিন-ডি জাতীয় খাবার গ্রহন – ফুসফুসের সমস্যা ও সমাধান
ভিটামিন-ডি রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে থাকে। কিছু গবেষণায় দেখা গেছে, শরীরে ভিটামিন-ডি এর ঘাটতি দেখা দিলে ফুসফুসের রোগ আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকিও বেড়ে যায়।
সূর্যের আলো এর অন্যতম উৎস্য। পাশাপাশি দুধ, ডিম, দই, মাছ, মাংস ইত্যাদি থেকেও পাওয়া যায় প্রছুর পরিমানে ভিটামিন-ডি।
আরও পড়ুনঃ
জাতীয় পরিচয় পত্র অনুসন্ধান ও চেক পদ্ধিতি
কড়া গন্ধযুক্ত খাবার নিয়মিত খাবার তালিকায় যুক্ত করা
বিরক্তিকর মনে হলেও কড়া গন্ধযুক্ত খাবার যেমন রসুন, পেঁয়াজ ইত্যাদি খেলে কোলেস্টেরল কমাতে সাহায্য করে। ফলে ফুসফুসে প্রদাহ সৃষ্টিতে বাধা দেয়।
ক্যাপসিকাম- ক্যাপসিকামের ঝাল উপাদান রক্ত সঞ্চালন এবং প্রদাহ থেকে রক্ষা করতে সহায়ক।
বাদাম- বাদাম ও বীজজাতীয় খাবারে প্রচুর পরিমাণে ম্যাগনেসিয়াস থাকে।
যা খাদ্যাভ্যাসের জন্য বেশ উপকারী। এটি ফুসফুসের স্বাস্থ্যকর কার্যাবলী অক্ষুণ্ন রাখতে সাহায্য করে।
হলদি দুধ: প্রতি রাতে এক গ্লাস দুধে হলুদ মিশিয়ে খেলে ফুসফুসের প্রদাহ ও রোগবালাই দূরে থাকে।
আদা: আদায় আছে প্রদাহরোধী উপাদান যা ফুসফুস থেকে বিষাক্ত উপকরণ দূর করে। খেতে পারেন কাঁচা অথবা খাবারের সঙ্গে মিশিয়ে।
গুড় ও মধু- আয়ুর্বেদ শাস্ত্র মতে, গুড় ফুসফুসকে উষ্ণ রাখতে ও বিভিন্ন সংক্রমণ থেকে রক্ষা করতে সাহায্য করে থাকে।
আর মধু ফুসফুস পরিষ্কার রাখতে কার্যকর পাশাপাশি এটি এন্টিঅক্সিডেন্ট, এন্টিমাইক্রোবিয়াল ও এন্টিইনফ্ল্যামেটরি হিসেবে কাজ করে।
অ্যাভোকাডো- অ্যাভোকাডোর মধ্যে রয়েছে প্রয়োজনীয় অ্যান্টি অক্সিডেন্ট, এর মধ্যে রয়েছে রোগ নিরাময়কারী গুণ।
এটি ফ্রিরেডিকেলের ক্ষতিকর প্রভাব থেকে শরীরকে সুরক্ষিত রাখে। ফুসফুসকে ভালো রাখতে বেশ উপকারি খাবার অ্যাভোকাডো।
ফুসফুস ভালো রাখতে কালোজিরা অনেক ভালো কাজ করে।
এর অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট শ্বাসনালির প্রদাহ রোধ করতে সাহায্য করে। প্রতিদিন আধা চা চামচ কালোজিরার গুঁড়া এক চা চামচ মধুর সঙ্গে মিশিয়ে খেলে ফুসফুস ভালো থাকবে।
আরও পড়ুনঃ
বিদেশগামীদের করোনা টেস্ট কোথায় করা হয়?
ফুসফুস ভালো রাখার ব্যায়াম । ঘরোয়া ভাবে ফুসফুসের সমস্যা ও সমাধান
গভীরভাবে শ্বাস নেওয়া: শ্বাস নেওয়ার ক্ষমতা বাড়ানোর অন্যতম উপায় এটি, সবচাইতে সহজও। প্রতিদিন ‘ইয়োগা’ করাও এক্ষেত্রে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
সোজা হয়ে বসুন, আপনার হাত দুটি থাইয়ের ওপর রাখুন, মুখ খুলে যতটা সম্ভব বাতাস টেনে নিন, ঠোঁট চেপে রাখুন
শরীরচর্চা: সব ধরনের শরীরচর্চাই শ্বাস-প্রশ্বাসের ক্ষমতা বাড়াতে উপকারী।
এক্ষেত্রে সাঁতার কাটা, দৌড়ানো, ট্রেকিং ইত্যাদি কর্মকাণ্ডেও উপকার মিলবে।
ফুসফুস ভালো আছে বোঝার উপায়
যতক্ষণ সম্ভব ততক্ষণ শ্বাসটা শরীরের মধ্যে রেখে দিন। আপনি কতক্ষণ ধরে এটি আটকে রাখতে পারেন তার ওপর আপনার ফুসফুসের সুস্বাস্থ্যের দিকটি নিশ্চিত হয়।
যে কেউ এটি প্রথমে ঘন্টা খানেক ধরে পরে আরো বেশি সময় ধরে এই ব্যায়াক করতে পারেন। যাঁরা ২৫ সেকেন্ড শ্বাস আটকে রাখতে পারেন তাদের কোনো সমস্যা নেই।
Note: তবে ফুসফুসের সমস্যা ও সমাধান সম্পর্কে ১০০% সঠিক তথ্যের জন্য ডাক্তারের শরণাপন্ন হতে হবে। কেননা আমারা এখানে আপনাকে বেসিক ধারনা দেয়ার চেষ্টা করেছি। তাই আপনি ফুসফুসের সমস্যা দূর করার উপায় সম্পর্কে জানতে আপনার ডাক্তারের সাথে আলোচনা করুন।
আরও পড়ুনঃ
ডায়াবেটিস হলে কি কি সমস্যা হয় | কিভাবে নিজের ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ করবেন
শিক্ষানবিশ কেন্দ্র ব্যবস্থাপক এর কাজ কি
সম্পর্ক থেকে বেরিয়ে আসার উপায়
ফুসফুসের সমস্যা ও সমাধান FAQS
বুকে হালকা ব্যথা কিংবা মাঝে মধ্যেই ঠান্ডা লেগে যাওয়া ফুসফুসের সমস্যার লক্ষণ। তবে সকলের ক্ষেত্রে একি ধরণের লক্ষণ নাও হতে পারে।
সারক্ষণ ক্লান্তবোধ করা, উদ্বেগ ও অবসাদ সাধারণ কোনো সমস্যা নয়।ফুসফুস ঠিকভাবে কাজ না করলে শরীরে পর্যাপ্ত অক্সিজেন ঢোকে না। এর থেকেই ক্লান্তি আসতে পারে। ফুসফুসের সমস্যা হলে এমনটা হয়ে থাকে।
ফুসফুস সমস্যা থেকে পরিত্রাণ পেতে নিয়মিত গরম পানির ভাঁপ নিতে শুরু করুন। যখন গরম ভাঁপ নেবেন; তখন ফুসফুসের ড্রেনে জমে থাকা শ্লেষ্মা গলে যাবে এবং ভালোভাবে নিশ্বাস নিতে পারবেন। সেই সাথে আপনার খাবার তালিকায় যুক্ত করতে হবে সুষম খাবার।
ফুসফুসের সমস্যা ও সমাধান – সম্পর্কে শেষ কথা
আশা করি আপনি ফুসফুসের সমস্যা ও সমাধান সম্পর্কে জানতে পেরেছেন। আমাদের শারীরিক সমস্যাকে সর্বদা সবার আগে প্রাধান্য দিয়ে ফুসফুস থেকে শুরু করে যে কোন শারীরিক সমস্যায় হেলামি না করা উচিত।
কেননা খুদ্র খুদ্র শারীরিক সমস্যাকে অবহেলা করার কারণে শরীরে বাসা তৈরি হতে পারে বড় ধরণের রোগ।
ফুসফুস আমাদের শরীরের খুবি গুরুত্বপূর্ণ একটি অঙ্গ। তাই আমাদের উচিত হবে ফুসফুসের সমস্যা দূর করার উপায় জেনে সঠিক ভাবে চলা।
টেলিকম অফার, স্বাস্থ্য বার্তা, ইন্টারনেট থেকে টাকা আয় সম্পর্কে জানতে আমাদের ওয়েবসাইট নিয়মিত ভিজিট করুন।
আপনার মোবাইলে নিয়িমিত আমাদের আপডেট পেতে জয়েন করুন আমাদের ফেসবুক পেজ।
ডিজিটাল টাচ ফেসবুক পেইজ লাইক করে সাথে থাকুনঃ এই পেজ ভিজিট করুন ।
ডিজিটাল টাচ সাইটে বিজ্ঞাপন দিতে চাইলে যোগাযোগ করুনঃ এই লিংকে।
অনলাইনে টাকা ইনকাম সম্পর্কে জানতে ভিজিট করুনঃ www.digitaltuch.com সাইট ।