আমরা প্রতিদিন মোবাইল ফোন ব্যবহার করি, আর প্রয়োজনের মুহূর্তে অনেকেই ইমার্জেন্সি ব্যালেন্স নিয়ে থাকি। কিন্তু অনেকের মনে একটি প্রশ্ন ঘুরপাক খায় যে মোবাইল ফোনে ইমার্জেন্সি ব্যালেন্স নিয়ে মারা গেলে গুনাহ হবে কি? এই বিষয়টি ধর্মীয় দায়িত্ব, ঋণ এবং দায়মুক্তি সম্পর্কিত হওয়ায় মানুষের মনে উদ্বেগ তৈরি করাটা স্বাভাবিক।
ইসলামে ঋণ বা ধার নেওয়াকে অত্যন্ত গুরুত্ব সহকারে দেখা হয়। তাই মোবাইল কোম্পানির কাছ থেকে নেওয়া অগ্রিম ব্যালেন্সও এক ধরনের ঋণ হিসেবেই বিবেচিত হয়।
এজন্যই আলোচনার সময় মোবাইল ফোনে ইমার্জেন্সি ব্যালেন্স নিয়ে মারা গেলে গুনাহ হবে কি?—এই প্রশ্নটি আরও গুরুত্বপূর্ণ হয়ে ওঠে, কারণ ঋণ না পরিশোধ করে মারা গেলে তার দায় পরকালে বহন করতে হতে পারে।
এ বিষয়ে ইসলামি দৃষ্টিভঙ্গি, পরিবার বা উত্তরাধিকারীদের দায়িত্ব এবং ইমার্জেন্সি ব্যালেন্স পরিশোধের প্রক্রিয়া সম্পর্কে পরিষ্কার ধারণা থাকলে মানুষের উদ্বেগ কমে যায়।
চলুন বিষয়টি বিস্তারিতভাবে জেনে নেওয়া যাক।
Content Summary
মোবাইল ফোনে ইমার্জেন্সি ব্যালেন্স নিয়ে মারা গেলে গুনাহ হবে কি?
মোবাইল ফোনে নেওয়া ইমার্জেন্সি ব্যালেন্স প্রকৃত অর্থেই মোবাইল কোম্পানির কাছ থেকে নেওয়া ঋণ। ইসলামে ঋণ পরিশোধ করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এবং ঋণ রেখে মারা গেলে তার জবাবদিহিতা আল্লাহর কাছে করতে হবে। হাদিসে এসেছে, ঋণের দায় পরিশোধ না করলে হাশরের ময়দানে নিজের নেক আমল থেকে আদায় করা হবে।
তাই কেউ ইমার্জেন্সি ব্যালেন্স নিয়ে মারা গেলে সেটি তার ‘দেনা’ হিসেবে বিবেচিত হবে। তবে স্বাভাবিকভাবে মৃত্যুর পর পরিবারের সদস্যরা ওই মোবাইল ব্যবহার করলে রিচার্জের সময় ইমার্জেন্সি ব্যালেন্স স্বয়ংক্রিয়ভাবে কেটে নেওয়া হয়।
এর মাধ্যমে মৃত ব্যক্তি দায়মুক্ত হয়ে যান। অর্থাৎ পরিবার তা পরিশোধ করে দিলে কোনো গুনাহ থাকবে না।
মোবাইল ফোনে ইমার্জেন্সি ব্যালেন্স নেয়ার নিয়ম
মোবাইল ফোনে ইমার্জেন্সি ব্যালেন্স নেওয়ার নিয়ম অপারেটরভেদে ভিন্ন হতে পারে।
সাধারণত গ্রাহক যখন ব্যালেন্সহীন অবস্থায় থাকেন তখন নির্দিষ্ট কোড ডায়াল করে বা অ্যাপের মাধ্যমে অগ্রিম ব্যালেন্স নেওয়া যায়। এটি পরবর্তী রিচার্জে কেটে নেওয়া হয়।
গ্রামীণফোন, রবি, এয়ারটেল, বাংলালিংক—প্রত্যেক অপারেটরের নিজস্ব ইমার্জেন্সি ব্যালেন্স কোড রয়েছে।
গ্রাহক চাইলে জরুরি অবস্থায় সেই কোড ব্যবহার করে মিনিট, এসএমএস বা ডাটা অগ্রিম পেতে পারেন। এটি সহজ সুবিধা হলেও এটিকে ঋণ হিসেবে গণ্য করতে ভুললে হবে না।
আরও পড়ুনঃ
GP Emergency Balance Code 2025 | জিপি ইমার্জেন্সি ব্যালেন্স কোড
How To Get Emergency Balance in Airtel | এয়ারটেল ইমার্জেন্সি
Banglalink Emergency Balance Code 2025 | BL Emergency Loan
Airtel Emergency Balance Code In Bangladesh BD 2025
FAQs
হ্যাঁ, কারণ এটি অপারেটরের কাছ থেকে নেওয়া অগ্রিম সুবিধা, যা পরিশোধ করার বাধ্যবাধকতা রয়েছে।
মৃত ব্যক্তির পরিবার বা উত্তরাধিকারীরা রিচার্জের মাধ্যমে ব্যালেন্স পরিশোধ করলে দায়মুক্ত হবে।
হাদিস অনুযায়ী ঋণ পরিশোধ না করলে জবাবদিহিতা হবে। তবে পরিবার এটি পরিশোধ করলে ব্যক্তি দায়মুক্ত হবেন।
সেক্ষেত্রে শেষ ব্যবহৃত নম্বরটি রিচার্জ করে বাকি ইমার্জেন্সি ব্যালেন্স পরিশোধ করা উত্তম।
না, প্রতিটি অপারেটরের কোড ও শর্ত ভিন্ন। তবে মূল প্রক্রিয়া একই—রিচার্জে কেটে নেওয়া হয়।
উপসংহার
মোবাইল ফোনে ইমার্জেন্সি ব্যালেন্স নেওয়া আমাদের দৈনন্দিন জীবনের সহজ একটি সুবিধা হলেও ইসলামী দৃষ্টিকোণ থেকে এটি ঋণ হিসেবে বিবেচিত।
তাই মৃত্যুর পর এটি পরিশোধ করা গুরুত্বপূর্ণ, যাতে কোনো দায় থেকে না যায়।
পরিবার রিচার্জের মাধ্যমে তা পরিশোধ করে দিলে মৃত ব্যক্তি গুনাহ থেকে মুক্ত থাকেন।
অতএব, ইমার্জেন্সি ব্যালেন্স ব্যবহারের পরে পরিশোধ করে দেওয়া একটি ধর্মীয় দায়িত্বও বটে।
সচেতনভাবে ব্যবহার করলে এবং দায়িত্ব পালন করলে কোনো ধরনের পাপ বা দুশ্চিন্তার বিষয় নেই।
আরো পড়ুনঃ জমির ১০ ধরনের নামজারি বাতিল | নতুন নিয়ম জানুন এখনই
নিয়মিত টেক নিউজ আপডেট পেতে জয়েন করুন আমাদের ফেসবুক পেজ।
ভিজিট করুন 👉
━ ━ ━ ━ ━ ━ ━ ━
ডিজিটাল টাচ ফেসবুক পেইজ লাইক করে সাথে থাকুনঃ এই পেজ ভিজিট করুন ।ডিজিটাল টাচ সাইটে বিজ্ঞাপন দিতে চাইলে যোগাযোগ করুনঃ এই লিংকে।


