প্রিয় পাঠকবৃন্দ শেষের কবিতার কিছু বিখ্যাত লাইন সম্পর্কে জানার জন্য আপনারা অনেকেই গুগলের মাধ্যমে নিজেদের আগ্রহ প্রকাশ করেছেন। আজকে এই আর্টিকেল আমাদের সকলের প্রিয় কবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের লেখা শেষ কবিতার কিছু বিখ্যাত লাইন আপনাদের সামনে উপস্থাপন করা হবে।
আপনারা অনেকেই জানেন শেষ কবিতা সম্পর্কে নানান গুরুত্বপূর্ণ তথ্যগুলো। আবার অনেকের মধ্যেই এই সকল বিষয়গুলো তেমন বেশি ধারণা নেই।
তাই আজকের এই আর্টিকেলের মাধ্যমে আমি আপনাদের সামনে উল্লেখ করব রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের সর্বশেষ কবিতা “শেষ কবিতার” কিছু বিখ্যাত লাইন।
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ইতিপূর্বে যেসকল কবিতাগুলো রেখেছেন তার থেকে সবচেয়ে বেশি তারে শেষ কবিতাটি জনপ্রিয়তা লাভ করেছে।
Content Summary
শেষের কবিতার কিছু বিখ্যাত উক্তি
আপনাদের উদ্দেশ্যে নির্মাণ শেষ কবিতার কিছু বিখ্যাত লাইন উল্লেখ করা হলো-
পুরুষ আধিপত্য ছেড়ে দিলেই মেয়ে আধিপত্য শুরু করবে। দুর্বলের আধিপত্য অতি ভয়ংকর।
যে পক্ষের দখলে শিকল আছে সে শিকল দিয়েই পাখিকে বাঁধে, অর্থাৎ জোর দিয়ে।
শিকল নেই যার সে বাঁধে আফিম খাইয়ে, অর্থাৎ মায়া দিয়ে। শিকলওয়ালা বাঁধে বটে কিন্তু ভোলায় না, আফিমওয়ালী বাঁধেও বটে ভোলাও।
মেয়েদের কৌটো আফিমে ভরা, প্রকৃতি – শয়তানী তার জোগান দেয়।
পৃথিবীতে হয়তো দেখবার যোগ্য লোক পাওয়া যায়, তাকে দেখবার যোগ্য জায়গাটি পাওয়া যায় না।
মেনে নেওয়া আর মনে নেওয়া, এই দুইয়ের তফাৎ আছে।
ওর যেটাতে আপত্তি নেই সেটাতে আর কারো আপত্তি থাকতে পারে, অমিত সেই আশঙ্কাটাকে একেবারে উড়িয়ে দিয়ে কথাবার্তা কয়।
সেই জন্য তার প্রস্তাবে আপত্তি করা শক্ত।
আরও পড়ুনঃ
অধ্যক্ষ বরাবর দরখাস্ত কিভাবে লিখতে হয়?
যা আমার ভাল লাগে তাই আর একজনের ভাল লাগে না, এই নিয়েই পৃথিবীতে যত রক্তপাত।
নাম যার বড় তার সংসারটা ঘরে অল্প, বাইরেই বেশি… … … … নামজাদা মানুষের বিবাহ স্বল্প বিবাহ, বহুবিবাহের মতোই গর্হিত।
যে রত্নকে সস্তায় পাওয়া গেল তারও আসল মূল্য যে বোঝে সেই জানব জহুরি।
পড়ার সময় যারা ছুটি নিতে জানে না তারা পড়ে, পড়া হজম করে না।
যে ছুটি নিয়মিত, তাকে ভোগ ক্রয়া আর বাধা পশুকে শিকার করা একই কথা। ওতে ছুটির রস ফিকে হয়ে যায়।
পুরুষ তার সমস্ত শক্তিকে সার্থক করে সৃষ্টি করতে, সেই সৃষ্টি আপনাকে এগিয়ে দেবার জন্যই আপনাকে পদে পদে ভোলে।
মেয়ে তার সমস্ত শক্তিকে খাটায় রক্ষা করতে, পুরোনোকে রক্ষা করবার জন্যেই নতুন সৃষ্টিকে সে বাধা দেয়।
রক্ষার প্রতি সৃষ্টি নিষ্ঠুর, সৃষ্টির প্রতি রক্ষা বিঘ্ন … … … এক জায়গায় এরা পরস্পরকে আঘাত করবেই।
যেখানে খুব মিল সেখানেই মস্ত বিরুদ্ধতা … … … আমাদের সকলের চেয়ে বড়ো যে পাওনা সে মিলন নয়, সে মুক্তি।
ভালোবাসায় ট্রাজেডি সেখানেই ঘটে যেখানে পরস্পরকে স্বতন্ত্র জেনে মানুষ সন্তুষ্ট থাকতে পারে নি –
নিজের ইচ্ছা অন্যের ইচ্ছে করবার জন্যে যেখানে জুলুম –
যেখানে মনের করি, আপন মনের মত করে বদলিয়ে অন্যকে সৃষ্টি করে।
বিয়ের ফাঁদের জড়িয়ে পড়ে স্ত্রী-পুরুষ যে বড়ো বেশি কাছাকাছি এসে পড়ে, মাঝে ফাঁক থাকে না;
তখন একেবারে গোটা মানুষকে নিয়ে কারবার করতে হয় নিতান্ত নিকটে থেকে। কোন একটা অংশ ঢাকা রাখবার জো থাকে না।
মানুষের মৃত্যুর পরে তার জীবনী লেখা হয় তার কারণ, একদিকে সংসারে সে মরে, আর –এক দিকে মানুষের মনে সে নিবিড় করে বেঁচে ওঠে।
মানুষের কোনো কথাটাই সোজা নয়।
আমরা ডিক্শনারিতে যে কথার এক মানে বেঁধে দেই, মানব-জীবনের মধ্যে মানেটা সাতখানা হয়ে যায়;
সমুদ্রের কাছে এসে গঙ্গার মতো!
বিবাহের হাজারখানা মানে।
মানুষের সঙ্গে মিশে তার মানে হয়, মানুষকে বাদ দিয়ে তার মানে বের করতে গেলেই ধাঁ ধাঁ লাগে।
সহজকে সহজ রাখতে হলে শক্ত হতে হয়।
মেয়েদের ভালো-লাগা তার আদরের জিনিসকে আপন-অন্দর মহলে একলা নিজেরই করে রাখে,
ভিড়ের লোকের কোন খবরই রাখে না।
সে যত দাম দিতে পারে সব দিয়ে ফেলে, অন্য পাঁচজনের সঙ্গে মিলিয়ে বাজার যাচাই করতে তার মন নেই।
অবশেষে অমিতের কাছে লাবণ্যের ব্যক্তিত্ব কবি ফুটিয়ে তুলেছেন, এমন অসাধারণ ভাবে:
অমিত অনেক সুন্দরী মেয়েদেখেছে, তাদের সৌন্দর্য পূর্ণিমা-রাত্রির মতো, উজ্জ্বল অথচ আচ্ছন্ন; লাবন্যর সৌন্দর্য সকাল-বেলার মতো, তাতে অস্পষ্টতার মোহ নেই,
তার সমস্তটা বুদ্ধিতে পরিব্যাপ্ত। তাকে মেয়ে করে গড়বার সময় বিধাতা তার মধ্যে পুরুষের একটা ভাগ মিশিয়ে দিয়েছেন; তাকে দেখলেই বোঝা যায়, তার মধ্যে কেবল বেদনার শক্তি নয়, সেই সঙ্গে আছে মননের শক্তি।
এইটেতেই অমিতকে এত করে আকর্ষণ করেছে।
অমিতের নিজের মধ্যে বুদ্ধি আছে, ক্ষমা নেই, বিচার আছে ধৈর্য নেই; ও অনেক জেনেছে, শিখেছে, কিন্তু শান্তি পায় নি।
লাবণ্যর মুখে ও এমন একটি শান্তির রূপ দেখেছিল যে শান্তি হৃদয়ের তৃপ্তি থেকে নয়, যা ওর বিবেচনাশক্তির গভীরতায় অচঞ্চল।
আরও পড়ুনঃ
চাকরি থেকে অব্যাহতি দেওয়ার দরখাস্ত
শেষের কবিতার কিছু বিখ্যাত লাইন FAQS
পুরুষ আধিপত্য ছেড়ে দিলেই মেয়ে আধিপত্য শুরু করবে। দুর্বলের আধিপত্য অতি ভয়ংকর।
যে পক্ষের দখলে শিকল আছে সে শিকল দিয়েই পাখিকে বাঁধে, অর্থাৎ জোর দিয়ে। শিকল নেই যার সে বাঁধে আফিম খাইয়ে, অর্থাৎ মায়া দিয়ে। শিকলওয়ালা বাঁধে বটে কিন্তু ভোলায় না, আফিমওয়ালী বাঁধেও বটে ভোলাও। মেয়েদের কৌটো আফিমে ভরা, প্রকৃতি – শয়তানী তার জোগান দেয়।
উপসংহার
সুপ্রিয় পাঠকবৃন্দ শেষের কবিতার কিছু বিখ্যাত লাইন আজকে আপনাদের সামনে উল্লেখ করা হয়েছে।
বাংলার অত্যন্ত প্রিয় কবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের লেখা শেষ কবিতা জনপ্রিয়তা সম্পর্কে আমাদের সকলেরই জানা আছে।
আশা করি আজকের এই আর্টিকেলটি আপনাদের ভালো লাগবে এবং আজকের এই আর্টিকেল থেকে আপনারা শেষ কবিতার কিছু অংশ পাবেন।
আপনাদের যদি আজকের এই আর্টিকেল সংক্রান্ত কোনো প্রশ্ন অথবা মতামত থাকে সেটি আমাদেরকে কমেন্টের মাধ্যমে জানান।
আপনারা যারা ঘরে বসে অনলাইন থেকে আয় করতে ইচ্ছুক তাদের উদ্দেশ্যে আমাদের ওয়েবসাইটে অনলাইন ভিত্তিক অনেকগুলো আর্টিকেল রয়েছে।
তাই আমাদের ওয়েবসাইটে ভিজিট করুন এবং চোখ রাখুন আমাদের ফেসবুক পেইজে।
ধন্যবাদ।
ডিজিটাল টাচ ফেসবুক পেইজ লাইক করে সাথে থাকুনঃ এই পেজ ভিজিট করুন ।
ডিজিটাল টাচ সাইটে বিজ্ঞাপন দিতে চাইলে যোগাযোগ করুনঃ এই লিংকে।
অনলাইনে টাকা ইনকাম সম্পর্কে জানতে ভিজিট করুনঃ www.digitaltuch.com সাইট ।