বাংলাদেশে ভাতা পাওয়ার নিয়মে বড় পরিবর্তন এসেছে। এখন থেকে নিজের জাতীয় পরিচয়পত্র (NID) দিয়ে নিবন্ধিত মোবাইল সিম কার্ডে সরাসরি ভাতার টাকা পাওয়া যাবে। অর্থাৎ আর শুধু নগদ বা বিকাশ নয়, যেকোনো মোবাইল ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিস (MFS) বা এজেন্ট ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমেও ভাতা গ্রহণ করা যাবে।
এই নতুন নিয়ম কার্যকর করেছে সমাজসেবা অধিদপ্তর। এর লক্ষ্য হলো, ভাতাভোগী যেন নিজে তার পাওনা টাকা পান, অন্য কেউ যেন তা তুলতে না পারে।
আগে অনেক সময় পরিবারের অন্য সদস্যরা বয়স্ক বা অসহায় ব্যক্তিদের ভাতার টাকা তুলে নিতেন। এখন থেকে সেই সুযোগ আর থাকবে না।
Content Summary
সরকারি ভাতা নেয়ার নতুন নিয়ম কি?

২০২৫ সাল থেকে বয়স্ক ভাতা নিতে হলে নিজের নামে নিবন্ধিত সিম ব্যবহার বাধ্যতামূলক। এই সিম অবশ্যই ভাতাভোগীর জাতীয় পরিচয়পত্রের সঙ্গে মিল থাকতে হবে।
- যেভাবে কাজ করবে: নিজের NID ও আঙুলের ছাপ ব্যবহার করে ওই সিমে বিকাশ, নগদ বা অন্য কোনো আর্থিক প্রতিষ্ঠানের একাউন্ট খুলতে হবে। এরপর সরকার সেই নিবন্ধিত একাউন্টেই সরাসরি টাকা পাঠাবে।
- উদ্দেশ্য: ভাতার টাকা যেন সরাসরি প্রকৃত উপকারভোগীর কাছে পৌঁছায় এবং পরিবারের অন্য কেউ তা না তুলতে পারে।
আরও পড়ুনঃ প্রতিবন্ধী ভাতা অনলাইন আবেদন করার নিয়ম
সরকারি ভাতা এর নতুন নিয়ম কবে চালু হবে?
সমাজসেবা অধিদপ্তরের পরিচালক মো. মোশাররফ হোসেন জানিয়েছেন, এই নতুন নিয়ম ২০২৫ সালের জুলাই মাস থেকে কার্যকর হয়েছে।
আগে যারা তালিকাভুক্ত হয়েছেন, তাদেরও ধীরে ধীরে নতুন নিয়মে নিবন্ধন করতে হবে।
তবে অনেক বয়স্ক ব্যক্তির আঙুলের ছাপ না পাওয়া গেলে, তাদের জন্য কিছু শিথিলতা দেওয়া হবে। যারা একেবারেই মোবাইল ব্যবহার করতে পারেন না, তাদের ক্ষেত্রে স্থানীয় সমাজসেবা অফিস বিশেষ তত্ত্বাবধানে রাখবে।
আরও পড়ুনঃ সার্বজনীন পেনশন ব্যবস্থা কি
কাদের জন্য এই ভাতা?
সমাজসেবা অধিদপ্তর বর্তমানে বাংলাদেশের ১ কোটি ২৮ লাখের বেশি মানুষকে বিভিন্ন ভাতা প্রদান করছে।
নিচে প্রধান ভাতার ধরনগুলো দেওয়া হলো:
| ভাতার নাম | উপকারভোগী |
|---|---|
| বয়স্ক ভাতা | ৬৫ বছরের বেশি বয়সী দরিদ্র নাগরিক |
| বিধবা ও স্বামী নিগৃহীতা মহিলা ভাতা | স্বামী হারানো বা নিগৃহীত নারী |
| প্রতিবন্ধী ভাতা | শারীরিক বা মানসিক প্রতিবন্ধী ব্যক্তি |
| প্রতিবন্ধী শিক্ষা উপবৃত্তি | শিক্ষার্থী প্রতিবন্ধীদের জন্য |
| বেদে, হিজড়া, চা ও অনগ্রসর জনগোষ্ঠীর উন্নয়ন ভাতা | বিশেষ জনগোষ্ঠী উন্নয়ন কর্মসূচি |
কেন বদলানো হলো এই নিয়ম
আগে ভাতার আবেদনপত্রে পরিবারের যেকোনো সদস্যের মোবাইল নম্বর ব্যবহার করা যেত।
এর ফলে অনেক সময় দেখা গেছে, ভাতাভোগী নিজে টাকা পাননি, পরিবারের অন্য কেউ তা তুলে নিয়েছেন।
এমন হাজারও অভিযোগের পর সমাজসেবা অধিদপ্তর নতুন নিয়ম চালু করেছে, যাতে শুধু ভাতাভোগীর নিজের নামে থাকা সিমেই টাকা পাঠানো হয়।
ভাতা নেওয়ার মাধ্যম এখন আরও সহজ
আগে কেবল নগদ, বিকাশ ও এজেন্ট ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে টাকা বিতরণ করা হতো।
এখন থেকে আপনি নিজেই ঠিক করবেন কোন প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে ভাতা নিতে চান, যেমনঃ নগদ, বিকাশ, রকেট, উপায়, মোবিক্যাশ ইত্যাদি।
এই নিয়মে সুবিধাভোগীরা আরও স্বাধীনভাবে তাদের পছন্দমতো আর্থিক প্রতিষ্ঠান ব্যবহার করতে পারবেন।
আরও পড়ুনঃ নামজারি প্রথা বাতিল, দলিল রেজিস্ট্রেশনেই মালিকানা হস্তান্তর
FAQs (প্রশ্নোত্তর)
না। এখন যেকোনো মোবাইল ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিস বা ব্যাংক একাউন্টে ভাতা পাওয়া যাবে, যদি সেটা আপনার নিজের নামে নিবন্ধিত হয়।
ভাতা পেতে হলে নিজের NID অনুযায়ী সিম রেজিস্ট্রেশন করতে হবে। অন্যের নামে সিমে টাকা পাঠানো হবে না।
এমন ক্ষেত্রে স্থানীয় সমাজসেবা অফিস বিশেষ তত্ত্বাবধান করবে এবং কিছু ক্ষেত্রে নিয়ম শিথিল করা হবে।
২০২৫ সালের জুলাই মাস থেকে নতুন নিয়ম কার্যকর হয়েছে।
নগদ, বিকাশ, উপায়, রকেটসহ যেকোনো অনুমোদিত আর্থিক সেবা প্রতিষ্ঠান ব্যবহার করা যাবে।
উপসংহার
নতুন এই নিয়মে সরকারি ভাতা নেওয়ার পদ্ধতি আরও নিরাপদ ও স্বচ্ছ হয়েছে।
এখন ভাতাভোগীরা তাদের নিজের নিবন্ধিত সিমে সরাসরি টাকা পাবেন, ফলে অন্যের মাধ্যমে প্রতারণা বা অনিয়মের সুযোগ থাকবে না।
আপনি সরকারি ভাতা নেওয়ার নতুন নিয়ম সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পেরেছেন বলে মনে করি।
নিত্য নতুন টেক নিউজ আপডেট সবার আগে পেতে ভিজিট করুন আমাদের ফেসবুক পেজ।
ভিজিট করুন 👉
━ ━ ━ ━ ━ ━ ━ ━
ডিজিটাল টাচ ফেসবুক পেইজ লাইক করে সাথে থাকুনঃ এই পেজ ভিজিট করুন ।ডিজিটাল টাচ সাইটে বিজ্ঞাপন দিতে চাইলে যোগাযোগ করুনঃ এই লিংকে।


