বায়োগ্যাস কি? | বায়োগ্যাস প্লান্ট তৈরির পদ্ধতি

সুপ্রিয় পাঠকবৃন্দ বায়োগ্যাস কি সে সম্পর্কে জানার জন্য আপনারা অনেকে গুগলের মাধ্যমে সার্চ করে থাকেন। মূলত আজকের এই আর্টিকেলের বায়োগ্যাস কি এবং বায়োগ্যাস সম্পর্কিত নানান গুরুত্বপূর্ণ তথ্য আপনাদের সামনে উপস্থাপন করা হবে। বিভিন্ন ধরনের প্রশ্ন কিংবা বোর্ড প্রশ্নের মাঝে এই সকল প্রশ্নগুলো অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এবং প্রায় সময়ই দেখা যায়।

আপনারা যদি আজকের এই আর্টিকেল থেকে বায়োগ্যাস সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য জানেন তাহলে অবশ্যই আপনারা পরবর্তী সময়ে এর উত্তর প্রদান করতে খুব সহজেই পারবেন।

কিভাবে এবং কেন এই সকল গ্যাস গুলো ব্যবহার করা হয় সেই সংক্রান্ত বিষয়গুলো আজকের এই আর্টিকেলে তুলে ধরা হবে। তাই অবশ্যই আজকের এই আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে শেষ পর্যন্ত পড়ুন।

বায়োগ্যাস কাকে বলে

বায়োগ্যাস কাকে বলে
বায়োগ্যাস কাকে বলে

বিকল্প জ্বালানি হিসেবে বায়োগ্যাস হচ্ছে একটি অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ উৎপাদিত পণ্য।

বিভিন্ন ধরনের পচনশীল জৈব পদার্থ কিংবা বজ্র পদার্থ থেকে যেমন গোবর, হাঁস-মুরগির মলমূত্র, গৃহপালিত বা বাণিজ্যিক ভাবে পালিত পশু পাখি এবং মানব মল সহজলভ্য বলে এগুলো বায়ো গ্যাস তৈরিতে কাজে লাগানো হয়।

মূলত এই সকল জিনিসগুলো দ্বারা যে গ্যাস তৈরি করা হয় তাকে বায়োগ্যাস বলে।

তবে এ ক্ষেত্রে গৃহপালিত অথবা বাণিজ্যিকভাবে পালিত পশু পাখি এবং সহজলভ্য বলে এগুলো সবচেয়ে বেশি ব্যবহার করা হয়।

মূলত এই সকল জাতীয় গ্যাসের মাঝে অধিকাংশ পরিমাণে থাকে (৬০-৭০ ভাগ) থাকে মিথেন গ্যাস।

আমাদের প্রাত্যহিক জীবনে বায়োগ্যাস খুবই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে তবে বিশেষ করে গ্রামের জীবন মান উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারবে।

আরও পড়ুনঃ

ঢাকা থেকে চট্টগ্রাম কত কিলোমিটার?

ই ক্যাপ কিসের ঔষধ?

ডক্সিসাইক্লিন কিসের ঔষধ?

বায়োগ্যাস ব্যবহারের সুবিধা

নবায়নযোগ্য শক্তির উৎস হিসাবে বায়োগ্যাসের অনেক ধরনের সুবিধা রয়েছে। যেমন-

  • বায়োগাস ব্যবহারের মাধ্যমে  জ্বালানি  হিসেবে  কাঠ  ব্যবহার কমবে এবং গাছপালা রক্ষা করা সম্ভব হবে।
  • বায়োগ্যাস তৈরীর পর অবশিষ্ট বর্জ্য,  আবাদি জমির জৈব সার হিসাবে ব্যবহার করা যাবে।
  • জ্বালানি সঙ্কট মোকাবিলায় বিকল্প জ্বালানির উৎস হতে পারে বায়োগ্যাস।
  • বায়োগ্যাস ব্যবহারের ফলে আমরা পচনশীল বর্জ্যগুলোকে কাজে লাগিয়ে আবর্জনা ও দুর্গন্ধমুক্ত  স্বাস্থ্যকর পরিবেশ ও উন্নত  জীবনযাত্রার ব্যবস্থা করা সম্ভব।  
  • পরিবারের চাহিদা অনুযায়ী অল্প জায়গায়তেও এই প্ল্যান্ট তৈরি করা যায়৷
  • বায়োগ্যাস তৈরিতে প্রথমে একটু বেশী পরিমানের টাকার প্রয়োজন হলেও এই  প্ল্যান্ট অনেকদিন  টিকে, তাই বায়োগ্যাস প্ল্যান্ট অবশ্যই একটি সঠিক বিনিয়োগ।  
  • যারা মাছের চাষ করেন তারা বায়োগ্যাস থেকে পাওয়া  বর্জ্য  মাছের  খাদ্য  হিসাবে  ব্যবহার  করতে পারেন। 

বায়োগ্যাস তৈরিতে ব্যবহৃত কাঁচামাল | বায়োগ্যাস কি

প্রতিদিনের যেকোনো পচনশীল বস্তুগুলো বায়োগ্যাস তৈরির কাঁচামাল হিসেবে ব্যবহার করা যেতে পারে।

তবে বেশিরভাগ সময় বায়োগ্যাস তৈরির জন্য কাঁচামাল হিসেবে ব্যবহৃত জিনিস গুলো নিচে উল্লেখ করা হলো-

ডিসকাউন্টে সকল সিমের মিনিট, ইন্টারনেট ও বান্ডেল অফার
ক্রয় করতে DESH OFFER সাইটে ভিজিট করুন।

মলমূত্র- মানুষ, গরু, মহিষ, ছাগল, ভেড়া, হাঁস, মুরগী ইত্যাদির।

তরকারি, ফল-মূল ও মাছ-মাংসের ফেলনা অংশ।

লতাপাতা, বিভিন্ন আবর্জনা ও কচুরিপানা ব্যবহার হয়।

বায়োগ্যাসের ব্যবহার-

  • রান্নার কাজে জ্বালানি হিসাবে ব্যবহার করা যায় বায়োগ্যাস।
  • বিদ্যুৎ উৎপাদন করা যায়।
  • অবশিষ্ট বর্জ্য জমিতে সার হিসাবে ব্যবহার করা যায়।

বায়োগ্যাস প্ল্যান্টের ধরণ

বায়োগ্যাস উৎপাদনের জন্য প্রধানত দুধরণের প্ল্যান্ট ব্যবহৃত হয়।

১। ফিক্সড ডোম বায়োগ্যাস প্ল্যান্ট।   

২। ভাসমান ডোম বায়োগ্যাস প্ল্যান্ট।

ডিসকাউন্টে সকল সিমের মিনিট, ইন্টারনেট ও বান্ডেল অফার
ক্রয় করতে DESH OFFER সাইটে ভিজিট করুন।

এছাড়াও আরও কয়েক ধরনের বায়োগ্যাস প্ল্যান্ট রয়েছে। যেমন-

  • বেলুন প্ল্যান্ট
  • অনুভূমিক প্ল্যান্ট
  • আর্থ পিট প্ল্যান্ট
  • ফেরোসিমেন্ট প্ল্যান্ট  

অর্থাৎ এ ক্ষেত্রে দেখা যাচ্ছে যে একাধিক ভাবে ব্যবহৃত হওয়া বায়োগ্যাস আমাদের জীবন মান উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারবে।

বায়ো গ্যাস ব্যবহারের পরে যেমন জ্বালানির সহজ উপায় হবে তেমনি বিদ্যুতের ওপর অতিরিক্ত চাপ অনেকাংশে কমে যাবে।

তাই আমাদের সকলের উচিত প্রাকৃতিক গ্যাসের ওপর নির্ভরশীল হওয়া।

এতে করে বর্তমান সময় আমাদের দেশের পরিবেশের পাশাপাশি জীবনযাত্রার মান অনেক উন্নত হবে।

আরও পড়ুনঃ

কান্তজির মন্দির কোথায় অবস্থিত?

zimax 500 কিসের ঔষধ?

fexo 120 কিসের ঔষধ?

বায়োগ্যাস কি FAQS

বায়োগ্যাস কি?

বিভিন্ন ধরনের পচনশীল জৈব পদার্থ কিংবা বজ্র পদার্থ থেকে যেমন গোবর, হাঁস-মুরগির মলমূত্র, গৃহপালিত বা বাণিজ্যিক ভাবে পালিত পশু পাখি এবং মানব মল সহজলভ্য বলে এগুলো বায়ো গ্যাস তৈরিতে কাজে লাগানো হয়।
মূলত এই সকল জিনিসগুলো দ্বারা যে গ্যাস তৈরি করা হয় তাকে বায়োগ্যাস বলে।

বায়োগ্যাস কি কাজে লাগানো সম্ভব?

মূলত বায়োগ্যাস নানান কাজে জ্বালানি হিসেবে কাজে লাগানো যায়, তবে এটি বিদ্যুৎ তৈরিতে কাজে লাগানো সবচেয়ে সুবিধার।

উপসংহার 

সুপ্রিয় পাঠকবৃন্দ বায়োগ্যাস কি সে সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য আজকের এই আর্টিকেলে আপনাদেরকে প্রদান করা হয়েছে।

আশা করছি আজকের এই আর্টিকেলটি আপনাদের ভাল লেগেছে এবং আপনারা আজকের এই আর্টিকেল থেকে বায়োগ্যাস সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য জানতে পেরেছেন।

আপনাদের যদি এখন কোন জায়গায় আরো কিছু জানার থাকে তাহলে অবশ্যই আমাদেরকে কমেন্টের মাধ্যমে জানাতে পারেন।

এছাড়াও আপনারা যদি অনলাইন থেকে ঘরে বসে আয় করতে চান সে ক্ষেত্রে আমাদের ওয়েবসাইটে এই সংক্রান্ত আর্টিকেলগুলো পড়তে পারেন।

আমাদের ওয়েবসাইটে অনলাইন ভিত্তিক কাজের গাইডলাইন সহকারে আর্টিকেল রয়েছে।

তাই অবশ্যই ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট এবং এর পাশাপাশি জয়েন করুন আমাদের ফেসবুক পেইজে

ধন্যবাদ।

কমদামে মিনিট, ইন্টারনেট ও বান্ডেল অফার কিনতে ভিজিট করুনঃ এখানে ক্লিক করুন
ডিজিটাল টাচ ফেসবুক পেইজ লাইক করে সাথে থাকুনঃ এই পেজ ভিজিট করুন
ডিজিটাল টাচ সাইটে বিজ্ঞাপন দিতে চাইলে যোগাযোগ করুনঃ এই লিংকে
অনলাইনে টাকা ইনকাম সম্পর্কে জানতে ভিজিট করুনঃ www.digitaltuch.com সাইট ।

Leave a Comment