আমেরিকার রাজধানীর নাম কি? | আমেরিকার জনসংখ্যা ও আয়তন কত

সুপ্রিয় পাঠকবৃন্দ আমেরিকার রাজধানীর নাম কি সেই সম্পর্কে জানতে আপনারা অনেকেই গুগলের মাধ্যমে নিজেদের আগ্রহ প্রকাশ করেছেন। আজকের এই আর্টিকেলের মাধ্যমে অত্যন্ত উন্নত একটি দেশ আমেরিকার রাজধানী সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য প্রদান করা হবে।

মূলত আমরা বিভিন্ন প্রয়োজনে বিভিন্ন দেশের রাজধানী গুলোর নাম জেনে নিতে চাই। তাই আপনাদের এই জানার আগ্রহকে গুরুত্ব দিয়ে আমরা আমাদের ওয়েবসাইটে আলাদা আলাদা ভাবে বিভিন্ন দেশের রাজধানী গুলোর সম্পর্কে বিস্তারিত ধারণা তুলে ধরার চেষ্টা করি।

আজকের এই আর্টিকেল থেকে আমরা আমেরিকার রাজধানীর নাম কি এবং আমেরিকার রাজধানীর সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য জানাবো।

আমেরিকার রাজধানীর নাম কী?

পাঠকবৃন্দ আমেরিকার রাজধানীর নাম হচ্ছে ওয়াশিংটন ডি.সি।

আপনারা অনেকেই ভেবে থাকেন যে আমেরিকার রাজধানী হচ্ছে নিউইয়র্ক।

আমরা আমেরিকান এই শহরটি সম্পর্কে সকলে অবগত রয়েছে কিন্তু এটি রাজধানী নয়।

জাতিসংঘের সদর দপ্তর সম্পর্কিত যেকোন সংবাদ বা টাইম স্কোর হোক না কেন এই দুটি গুরুত্বপূর্ণ জিনিসই নিউইয়র্ক শহরে বিদ্যমান।

তবে আপনি যদি ভেবে থাকেন যে এই শহরটি আমেরিকার রাজধানী তাহলে আপনি ভুল ভাবছেন।

ওয়াশিংটন ডিসি সম্পর্কে আরও গুরুত্বপূর্ণ তথ্যগুলো আপনাদের জানা অবশ্যই প্রয়োজন রয়েছে।

আমরা এখন আমেরিকার রাজধানী সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য গুলো আপনাদের সামনে তুলে ধরার চেষ্টা করব।

আমেরিকার রাজধানী ওয়াশিংটন ডিসি শহরটি আমেরিকার পূর্ব উপকূলীয় অঞ্চলে অবস্থিত।

আমেরিকার অত্যন্ত বিখ্যাত নদী পটোম্যাক নদীর তীরে অবস্থিত ওয়াশিংটন শহর।

এই শহরের আয়তন প্রায় ১৮১ বর্গ কিলোমিটার।

এই শহরের জনসংখ্যা ৭ লাখেরও কম। ওয়াশিংটন শহরটি রাজধানী হাওয়াতে এই শহরে কর্মস্থলের সুযোগ এবং চাহিদা অনেক বেশি।

সারাদিন এই শহরের জনসংখ্যার প্রায় ১০ লক্ষের মত থাকে এবং বেশিরভাগ লোক সন্ধ্যার সময় তাদের শহরে ফিরে যায়। 

১৫% ওয়াশিংটনিয়ান ইংরেজি ভাষা ছাড়া অন্য ভাষা ব্যবহার করে।

তাদের দ্বিতীয় ভাষায় কথা বলার একটি প্রধান কারণ হল এই শহরে প্রায় ১৭৫টি দূতাবাস রয়েছে।

এই শহরটি ছাড়া, শুধুমাত্র ব্রাসেলসে বিশ্বের সবচেয়ে বেশি সংখ্যক দূতাবাস রয়েছে।

আমেরিকার রাজধানী ওয়াশিংটন ডিসি কিভাবে গঠিত হয় 

ওয়াশিংটন ডিসি শহরটি গঠন করা হয়েছিল ১৭৯০ সালের দিকে।

এই শহরটি কোন মার্কিন রাজ্যের অংশ নয়। মূলত ওয়াশিংটন ডিসি একটি স্বাধীন শহর হিসেবে পরিচালিত হয়ে থাকে।

এই শহরটি মার্কিন পার্লামেন্টের অধীনে রয়েছে।

এস টি তৈরি করার ক্ষেত্রে আমেরিকা দুটি রাজ্য একই সঙ্গে জমি দান করেছিল এবং সেই দুটি রাজ্যের নাম ছিল ভার্জিনিয়া ও মেরিল্যান্ড।  

এত কিছুর পর, আলেকজান্দ্রিয়া এবং জর্জটাউনের দুটি ইতিমধ্যে বসতি স্থাপন করা শহরগুলিকে ওয়াশিংটন ডিসি শহর গঠনের জন্য একীভূত করা হয়েছিল।

কিছুকাল পরে, ভার্জিনিয়া রাজ্য তাদের সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করে এবং তাদের দান করা জমির সাথে তারা আলেকজান্দ্রিয়া শহরটিও ফিরিয়ে নেয়।

এরপরে, ওয়াশিংটন শহরটি কেবল মেরিল্যান্ড রাজ্যের দেওয়া জমিতে বসতি স্থাপন করে।

আরও পড়ুনঃ

অস্ট্রেলিয়ার রাজধানীর নাম কি?

রাশিয়ার রাজধানীর নাম কি?

আর্জেন্টিনা কোন মহাদেশে অবস্থিত?

ওয়াশিংটন মনুমেন্ট | আমেরিকান স্মৃতিস্তম্ভ 

আমেরিকার রাজধানী ওয়াশিংটন ডিসিতে কেন্দ্রস্থলের মাঝে একটি স্মৃতিস্তম্ভ রয়েছে।

সেই স্মৃতি স্তম্ভ কে নামকরণ করা হয় ওয়াশিংটন মনুমেন্ট।

এই ওয়াশিংটনের স্মৃতিস্তম্ভটি আমেরিকার সর্বপ্রথম প্রেসিডেন্ট জর্জ ওয়াশিংটনের নামে তৈরি করা হয়েছিল।

গুরুত্বপূর্ণ এই স্মৃতিস্তম্ভটি একটি টাওয়ারের আকারে রয়েছে এবং এই সৌধের উচ্চতা হচ্ছে ৫৫৫ ফুট।

এছাড়াও এটার প্রায় ৮৯৬ টি ধাপে প্রস্তুত করা হয়েছ।

এই স্তম্ভ টাওয়ারটি সম্পূর্ণ প্রস্তুত বা নির্মাণ হয়েছিল ১৮৮৪ সালে।

১৮৮৯ সাল পর্যন্ত, এই স্মৃতিস্তম্ভটি মানুষের দ্বারা নির্মিত বিশ্বের সবচেয়ে উঁচু স্মৃতিস্তম্ভ ছিল।

কিন্তু ১৮৮৯ সালে প্যারিসে নির্মিত একটি আইফেল টাওয়ার সবচেয়ে উঁচু স্মৃতিস্তম্ভ হওয়ার রেকর্ড ভেঙে দেয়।

কিভাবে ওয়াশিংটন ডিসি নামকরণ করা হয়?

ওয়াশিংটন এই শহরের নামকরণ করা হয়েছে দুই ব্যক্তির সম্মানে।

আমেরিকার প্রথম রাষ্ট্রপতি জর্জ ওয়াশিংটন এবং ক্রিস্টোফার কলম্বাস উভয়ের কারণেই ওয়াশিংটন এই নামটি নিয়েছে।

ওয়াশিংটন শহর একটি কেন্দ্রশাসিত জেলা এবং এই জেলার নাম হল ডিস্ট্রিক্ট অফ কলম্বিয়া। এ কারণে ওয়াশিংটন নামের সাথে D.Cও লেখা হয়।

এসব কারণেই ওয়াশিংটন নামের সাথে D.C শব্দটি মিশিয়ে সর্বত্র Washington D.C লেখা হয়।

ওয়াশিংটন সম্পর্কে আকর্ষণীয় তথ্য | আমেরিকার রাজধানীর নাম কি

• ওয়াশিংটন ডিসি হোয়াইট হাউস এই শহরে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রপতির সরকারি বাসভবন।
• হোয়াইট হাউসে, আমেরিকার শুধুমাত্র একজন রাষ্ট্রপতি সেখানে থাকতে পারেননি এবং আমেরিকার প্রথম রাষ্ট্রপতি ছিলেন। তার নাম জর্জ ওয়াশিংটন।
• হোয়াইট হাউসটি ১৭৯৯ সালে নির্মিত হয়েছিল এবং প্রথম রাষ্ট্রপতি জর্জ ওয়াশিংটন মারা যাওয়ার কিছুক্ষণ আগে।
• হোয়াইট হাউসে মোট ১৩২টি কক্ষ এবং ৩৫টি অ্যাপার্টমেন্ট রয়েছে। এই হোয়াইট হাউসে মোট ৪১২টি দরজা এবং ১৪৭টি জানালা রয়েছে। এই বিল্ডিংটি ৬টি ভিন্ন তলা নিয়ে গঠিত এবং এই বিল্ডিংটিতে ১টি বাঙ্কার সহ ২৭ টি ফায়ার ফাইটিং জোন রয়েছে। এই ভবনে মোট ৮টি সিঁড়ি ও ৩টি লিফট রয়েছে।
• বিশ্বের বৃহত্তম গ্রন্থাগারটি এই শহরে অবস্থিত এবং সেই গ্রন্থাগারটি লাইব্রেরি অফ কংগ্রেস নামে পরিচিত। সংসদ সদস্য ছাড়াও সাধারণ নাগরিকদের জন্যও এই পাঠাগারটি উন্মুক্ত।
• সারা বিশ্বের ৪৫০টি ভাষার গবেষণা সামগ্রী এই লাইব্রেরিতে রয়েছে এবং ৩৮ মিলিয়নেরও বেশি বই এবং মুদ্রিত উপাদানও এই লাইব্রেরিতে পাওয়া যায়। এছাড়াও এখানে ৩.৬ মিলিয়নেরও বেশি রেকর্ডিং রয়েছে। ১৪ মিলিয়নেরও বেশি ফটোগ্রাফ এবং ৫.৫ মিলিয়নেরও বেশি মানচিত্র পাওয়া যায়।
• ওয়াশিংটন ডিসি এই শহরের মানুষ মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে পারে না এবং এর প্রধান কারণ হল এটি একটি পূর্ণ রাষ্ট্র নয়। যেহেতু শহরটি একটি পূর্ণাঙ্গ রাষ্ট্র নয়, তাই ওয়াশিংটনের মনোনীত প্রার্থীদের কেউই সংসদ সদস্য নন।

আরও পড়ুনঃ

কত বছরের গড় আবহাওয়াকে জলবায়ু বলে?

ভারতের রাজধানীর নাম কি?

ইউক্রেনের রাজধানীর নাম কি?

আমেরিকার রাজধানীর নাম কি FAQS

উপসংহার 

সুপ্রিয় পাঠকবৃন্দ আমেরিকার রাজধানীর নাম কি সেই সম্পর্কে আজকের এই আর্টিকেল এর বিস্তারিত তথ্য দেয়া হয়েছে।

আশা করি আজকের এই আর্টিকেলটি আপনাদের ভালো লাগবে এবং আপনারা আজকের এই আর্টিকেল থেকে আমেরিকার রাজধানী সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য জানতে পারবেন।

তবুও যদি আপনাদের আজকের এই আর্টিকেল সংক্রান্ত কোন প্রশ্ন বা মতামত থেকে থাকে তাহলে অবশ্যই আমাদেরকে নিচে কমেন্টের মাধ্যমে জানান।

আমাদের ওয়েবসাইট থেকে যদি আপনারা বিভিন্ন ধরনের জ্ঞানমূলক এবং অনলাইন আয় সংক্রান্ত আর্টিকেল পড়তে চান তাহলে অবশ্যই ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইটে।

এছাড়াও আমাদের ওয়েবসাইট সংক্রান্ত সকল আপডেট পেতে চোখ রাখুন আমাদের ফেসবুক পেইজে।