প্রিয় পাঠকগণ আজকের এই আর্টিকেলের ইউনিক আইডি কি? এবং ইউনিক আইডি তৈরীর জন্য কি কি প্রয়োজন সে সকল বিষয়ে আপনাদের সাথে আলোচনা করব।
আপনারা অনেকেই নানান ভাবে ইউনিক আইডি কি এবং ইউনিক আইডি কিভাবে তৈরি করতে হয় সে সকল বিষয়ে জানতে চান। তাই আজ আপনাদের জন্য এই আর্টিকেল। আমরা আশা করছি আজকের এই আর্টিকেলটি আপনি সম্পূর্ণ মনোযোগ সহকারে সম্পন্ন করবেন।
বাংলাদেশে বর্তমানে একটি ছোট উন্নয়নশীল দেশ হলেও প্রযুক্তিগত দিক থেকে বাংলাদেশ অনেক এগিয়ে যাচ্ছে। ইউনিক আইডি কার্ড প্রযুক্তিগত উন্নয়নের একটি নিদর্শন।
Content Summary
ইউনিক আইডি কি
বর্তমান বাংলাদেশ সরকারের উদ্যোগে শিক্ষামন্ত্রণালয় জাতীয়তা সনদের মতো প্রতিটি শিক্ষার্থীর জন্য একটি ডিজিটাল কার্ড (প্লাস্টিকের এটি এম/ স্মার্ট কার্ডের মতো) তৈরি করে দেয়ার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে।
পাঁচ বছর বয়সী প্রাক-প্রাথমিক শিক্ষার্থী থেকে ১৭ বয়সি দ্বাদশ শ্রেণীর ছাত্রছাত্রীরা ইউনিক আইডি কার্ডটি পাবে। মূলত একটি রোল নাম্বার এর মত ১০ থেকে ১৬ ডিজিটের একটি নম্বর থাকবে যেটি তারা শিক্ষার্থী শনাক্ত করা যাবে।
এবং সেটি ওই শিক্ষার্থী জাতীয় পরিচয় পত্র হিসেবে ব্যবহার হবে।
এতে করে জাতীয় পরিচয় পত্র তৈরিতে আলাদা করে কোনো ধরনের তথ্য সংগ্রহ বা প্রদান করতে হবে না।
বাংলাদেশ সরকার ঘোষিত এ কার্যক্রম শুরু হবে ২০২২ সাল থেকে এবং আইডি কার্ডটি এবছরই দেয়া হবে।
আরও পড়ুনঃ
নামিবিয়া ধর্ম কি? কোন ধর্ম নামিবিয়ায় প্রচলিত
ইউনিক আইডি নোটিশ
ইউনিক আইডি সংক্রান্ত নানা ধরনের নোটিশ এবং কি কি কাগজপত্র লাগবে সেই সকল বিষয়ে এখন আমরা জানবো। ইউনিক আইডি দেখতে অনেকটা ভোটার আইডি কার্ডের মতই লাগে।
এই আইডিতে ডিজিটালভাবে শিক্ষার্থীদের সকল যাবতীয় তথ্য উল্লেখ থাকবে।
এই আইডিটি নাম দেয়া হয়েছে ইউনিক আইডি বা স্টুডেন্ট ইউনিক আইডি কার্ড।
সেখানে প্রত্যেক শিক্ষার্থীদের জন্য আলাদা একটি রোল নাম্বার এর মত থাকবে।
রেড শিক্ষার্থীর এই রোল নাম্বার টি সারাজীবন প্রত্যেক ক্লাসে ব্যবহার করবে এবং নাম্বারটি কখনো পরিবর্তন হবে না একই থাকবে।
এখন থেকে কোন ক্লাসে রোল ১, ২, ৩ এভাবে থাকবে না।
এটি বিশাল বড় একটি রোল নাম্বার হতে পারে যা আপনার ফোন নাম্বার থেকেও বড় হতে পারে।
এ আইডি কার্ড পাবার জন্য চার পৃষ্ঠার একটি ফরম পূরণ করে আপনাদের ইস্কুলের যেখানে ডকুমেন্ট গ্রহন করে সেখানে জমা দিতে হবে।
আমাদের দেশের বিভিন্ন স্কুলে ইউনিক আইডি কাজ ইতিমধ্যে শুরু হয়ে গেছে।
আপনার আগে থেকে সকল কাগজপত্র প্রস্তুত করে রাখতে পারেন।
যখন আপনাদের স্কুলে বা কলেজে এই জিনিসগুলো চাওয়া হবে তখন আপনারা খুব তাড়াতাড়ি দিতে পারবেন।
unique id ki
আপনার সকল কাগজপত্র ঠিক থাকলে আপনি খুব সহজেই আপনার ইউনিক আইডি কার্ডটি তৈরি করতে পারবেন।
তবে একটি সমস্যার কথা আপনাদের কে জানিয়ে রাখা ভাল।
আমাদের মধ্যে অনেকেই রয়েছেন যাদের এখনও পর্যন্ত জন্ম নিবন্ধন অনলাইন করা হয়নি।
আপনাকে অবশ্যই আপনার জন্ম নিবন্ধন অনলাইন করাতে হবে।
এ বিষয়টি উল্লেখ করার কারণ হলো আপনাদের এখনো পর্যন্ত যাদের জন্ম নিবন্ধন অনলাইন করা হয়নি আপনারা খুব শীঘ্রই জন্ম নিবন্ধন অনলাইন করিয়ে নেবেন।
আরেকটি বিষয় মনে রাখতে হবে আপনি তাদেরকে যে ছবিটি প্রদান করবেন সেই ছবির ব্যাকগ্রাউন্ড অবশ্যই সাদা হতে হবে।
অর্থাৎ আপনার ছবির পিছনে সাদা কালার থাকবে।
এবং আপনার রক্তের গ্রুপ কি প্রমান করার জন্য মেডিকেল বা প্যাথলজি সার্টিফিকেট প্রয়োজন হবে।
তাই আপনারা আগে থেকে সবকিছু প্রস্তুত করে রাখাই উত্তম বলে আমি মনে করি।
আরও পড়ুনঃ
ভিটামিন এ জাতীয় খাবার গুলো কি কি?
ইউনিক আইডি প্রস্তুতির জন্য কি কি প্রয়োজন
প্রিয় পাঠকগণ এতক্ষণ আমরা ইউনিক আইডি সম্পর্কে নানান ধরনের তথ্য জেনেছি।
এখন আমরা ইউনিক আইডি ফরম পূরণ করার জন্য আপনার কি কি কাগজপত্র প্রয়োজন হবে সে সকল বিষয়ে আপনাদের সাথে আলোচনা করব।
১/ শিক্ষার্থীর পাস্পোর্ট সাইজের রঙিন ২ কপি ছবি। (ব্যাকগ্রাউন্ড অবশ্যই সাদা হতে হবে)
২/ শিক্ষার্থীর জন্ম নিবন্ধনের ফটোকপি ১ টি। (জন্ম নিবন্ধন অবশ্যই অনলাইন হতে হবে)
৩/ রক্তের গ্রুপ শনাক্তের মেডিকেল রিপোর্ট ১ টি।
৪/ শিক্ষার্থীর মাতার জাতীয় পরিচয় পত্রের ফটোকপি ১ টি। (পেছনে অবশ্যই আপনার মাথার ফোন নাম্বার উল্লেখ করতে হবে)
৫/ শিক্ষার্থীর পিতা জাতীয় পরিচয় পত্রের ফটোকপি ১ টি। (পেছনে অবশ্যই আপনার পিতার মোবাইল নাম্বার লিখে দিবেন)
৬/ আপনার মাতার অনলাইন জন্ম সনদের ফটোকপি ১ টি।
৭/ আপনার পিতার অনলাইন জন্ম সনদের ফটোকপি ১ টি।
৮/ আপনার পিতা-মাতার অবর্তমানে আপনার যে অভিভাবক বর্তমানে রয়েছে তার জাতীয় পরিচয় পত্রের ফটোকপি ১ টি।
৯/ শিক্ষার্থীদের রেজিস্ট্রেশন কার্ডের ফটোকপি ১ টি। (এটি শুধুমাত্র অষ্টম থেকে দ্বাদশ শ্রেণী পর্যন্ত প্রযোজ্য)
১০/ প্রাথমিক/ ইবতেদায়ী সমাপনী পরীক্ষার সনদের ফটোকপি ১ টি। ( এটি শুধুমাত্র ষষ্ঠ থেকে অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত প্রযোজ্য)
১১/ প্রাথমিক/ ইবতেদায়ী, জেএসসি/ জেডিসি, এসএসসি/ দাখিল/ ভোকেশনাল পরীক্ষার সার্টিফিকেট এর ফটোকপি ১ টি।
১২/ শিক্ষার্থী যদি প্রতিবন্ধী হয় তাহলে প্রতিবন্ধী সনদের ফটোকপি ১ টি।
প্রিয় পাঠকগণ বলে রাখা ভালো যে আপনার কলেজে বা স্কুলে কাগজপত্র ভিন্ন অথবা বেশি কম চাইতে পারে। আপনারাই স্কুল বা কলেজের নোটিশ বোর্ডে সে তথ্য পেয়ে যাবেন। তবে আমরা যে সকল বিষয়গুলো উল্লেখ করেছি এগুলোর অতিরিক্ত কোনো কিছুই আপনাদের কাছ থেকে চাওয়া হবে না।
আরও পড়ুনঃ
১৫ আগস্ট জাতীয় শোক দিবস ব্যানার
ইউনিক আইডি কি FAQS
বাংলাদেশ সরকার গৃহীত একটি উদ্যোগে ষষ্ঠ থেকে দ্বাদশ শ্রেণী পর্যন্ত সকল শিক্ষার্থীদের জন্য একটি আইডি কার্ড তৈরি করবে। যা ওই শিক্ষার্থীর আইডি কার্ড হিসেবে ব্যবহৃত হবে। এই কার্ডটি কেই ইউনিক আইডি বলা হয়।
ইউনিক আইডির জন্য শিক্ষার্থী জন্ম নিবন্ধন অবশ্যই অনলাইন থাকতে হবে। এ বিষয়টি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ কেননা আমাদের দেশের অনেকেরই এখনো পর্যন্ত অনলাইন জন্ম নিবন্ধন তৈরি হয়নি।
উপসংহার
আশা করছি আপনাদেরকে ইউনিক আইডি কি বা ইউনিক আইডির কাজ কি সে সকল বিষয় সম্পর্কে জানতে পেরেছি।
আমরা আপনাদেরকে ইউনিক আইডি সম্পর্কে সম্পূর্ণ তথ্য বিস্তারিত দেয়ার চেষ্টা করেছি। তবুও যদি এ বিষয়ে প্রশ্ন বা মতামত থাকে তাহলে অবশ্যই আমাদেরকে কমেন্টের মাধ্যমে জানাতে পারেন।
আমরা আশা করছি ২০২৩ সালের মধ্যে প্রতিটি স্কুল এবং কলেজ এর মধ্যেই ইউনিক আইডি ব্যবহার হবে।
অনলাইন থেকে ঘরে বসে টাকা আয় এবং নানান ধরনের শিক্ষামূলক আর্টিকেল গুলো পেতে আমাদের ওয়েবসাইট ভিজিট করুন।
অনলাইনের মাধ্যমে কিভাবে আপনি আপনার ক্যারিয়ার গঠন করতে পারেন সে সকল বিষয়ে আমাদের ওয়েবসাইটে আর্টিকেল রয়েছে।
আমাদের ওয়েব সাইট সম্পর্কিত সকল আপডেট পেতে চোখ রাখুন আমাদের ফেসবুক পেইজে।
ধন্যবাদ।
ডিজিটাল টাচ ফেসবুক পেইজ লাইক করে সাথে থাকুনঃ এই পেজ ভিজিট করুন ।
ডিজিটাল টাচ সাইটে বিজ্ঞাপন দিতে চাইলে যোগাযোগ করুনঃ এই লিংকে।
অনলাইনে টাকা ইনকাম সম্পর্কে জানতে ভিজিট করুনঃ www.digitaltuch.com সাইট ।