প্রিয় পাঠকগণ বিশ্বের সবচেয়ে নিকৃষ্ট ব্যক্তি কে? আপনাদের কি এই বিষয়ে কোন ধারণা আছে। পৃথিবীতে কিংবা পুরো বিশ্বে যত মানুষ এসেছেন এবং মারা গিয়েছেন তাদের মধ্যে কে সবচেয়ে নিকৃষ্ট কাজগুলো পৃথিবীতে করে গিয়েছে সে সম্পর্কে জানার আগ্রহ আমাদের সকলের রয়েছে’।
আজকের এই আর্টিকেলে আমরা জানবো পৃথিবীর সবচেয়ে নিকৃষ্ট ব্যক্তি এবং এই নিকৃষ্ট ব্যক্তি কারা সে সম্পর্কে ইসলাম কি বলে সে সম্পর্কে বিস্তারিত। একটি প্রবাদ বাক্য আমরা সকলেই বইয়ের মধ্যে পড়েছি সৎ সঙ্গে স্বর্গবাস, অসৎ সঙ্গে সর্বনাশ।
আর মানুষ যেহেতু সামাজিক জীব সে ক্ষেত্রে মানুষকে বিভিন্ন ধরনের মানুষ এর সাথে চলতে হয়। এখন আমরা জানবো কাজের ইসলাম সবচেয়ে নিকৃষ্ট ব্যক্তি হিসেবে আখ্যা দিয়েছে এবং দুনিয়াবী জীবনে কে সবচেয়ে নিকৃষ্ট ব্যক্তি ছিলেন।
বিশ্বের সবচেয়ে নিকৃষ্ট মানুষ কে? Who is the worst person in the world?
ইসলামের দৃষ্টিতে যদি আমরা ব্যাখ্যা করে তাহলে আমাদের প্রিয় নবী হযরত মুহাম্মদ (সা.) বলেছেন, সৎ সঙ্গী ও অসৎ সঙ্গীর উপমা হলো কস্তুরী বহনকারী (আতর বিক্রেতা) ও কামারের হাপরের মতো।
মৃগ কস্তুরী বহনকারী হয়তো তোমাকে কিছু দান করবে কিংবা তার কাছ থেকে তুমি কিছু খরিদ করবে কিংবা তার কাছ থেকে তুমি লাভ করবে সুবাস।
আর কামারের হাপর হয়তো তোমার কাপড় পুড়িয়ে দেবে কিংবা তুমি তার কাছ থেকে পাবে দুর্গন্ধ। (বুখারি, হাদিস : ৫১৩৬)
তাই আপনারা যখনই আপনাদের জীবনের জন্য কোন বন্ধু নির্বাচন করবেন সে ক্ষেত্রে সতর্ক তা অবশ্যই জরুরি।
রাসূল (সা.) এর হাদিসের মধ্যে কিছু ব্যক্তিকে নিকৃষ্ট বলে আখ্যা প্রদান করা হয়েছে।
আমাদের চারপাশে এমন অসংখ্য ব্যক্তি বা মানুষ রয়েছে যারা একই ধরনের অভ্যাস পাওয়া যায়।
আমাদের উচিত সবসময় তাদের থেকে দূরে থাকা।
নিচে সকল মানুষ গুলোর ব্যাখ্যা প্রদান করা হলো-
আরও পড়ুনঃ
দুমুখো মানুষ
আমাদের সমাজের মধ্যে এমন কিছু মানুষ পাওয়া যায় যারা দুই ধরনের হয়ে থাকে।
অর্থাৎ তারা একটি মানুষ কিন্তু তাদের মধ্যে দু’ধরনের আচরণ তারা বহন করে।
আবু হুরাইরা (রা.) থেকে বর্ণিত রাসুল (সা.) বলেন, কোন ব্যক্তি বা মানুষগুলোর মধ্যে ওই মানুষগুলো নিকৃষ্ট যারা দুই রূপ ধারী হয়।
যে কোন একটি দলের কাছে এক রূপ নিয়ে আসে আবার অন্য আরেকটি দলের কাছে অন্যরূপ নিয়ে যায়। (মুসলিম, হাদিস : ৬৫২৪)।
আমাদের আশেপাশেই কিংবা আমাদের সমাজের মধ্যে এমন অনেক মানুষ পাওয়া যাবে যারা বন্ধু বেশে আমাদের ক্ষতি করছে।
আমাদের প্রিয়নবী এদের থেকে দূরে থাকার নির্দেশ করেছেন।
যাদের অনিষ্টের ভয়ে মানুষ তাদের থেকে দূরে থাকে
আমাদের বর্তমান সময়ে আমাদের চারপাশে এমন কিছু মানুষ রয়েছে যাদের অনিষ্ট কিংবা খারাপ কাজের ভয়ে মানুষ সব সময় তাদের থেকে দূরে থাকার চেষ্টা করেন।
এমনকি এই নিকৃষ্ট মানুষগুলোর প্রিয়জন কিংবা পরিজন ও তাদের থেকে দূরে থাকার চেষ্টা করে।
এরা নিজেদের স্বার্থের জন্য নিজেদের পরিবারের মানুষের সাথে খারাপ আচরণ করতে পারেন।
আমাদের প্রিয় নবী এদের থেকে আমাদের কে দূরে থাকার নির্দেশ প্রদান করেছেন।
আয়েশা (রা.) থেকে বর্ণিত, এক ব্যক্তি নবী (সা.)-এর নিকট প্রবেশের অনুমতি চাইল।
তিনি বললেন, তাকে অনুমতি দাও। সে তার বংশের নিকৃষ্ট সন্তান।
অথবা বললেন, সে তার গোত্রের ঘৃণ্যতম ভাই। যখন সে প্রবেশ করল, তখন তিনি তার সঙ্গে নম্রভাবে কথাবার্তা বললেন।
আমি বললাম, হে আল্লাহর রাসুল! আপনি এর ব্যাপারে যা বলার তা বলেছেন।
এখন আপনি তার সঙ্গে নম্রভাবে কথা বললেন। তিনি বললেন, হে আয়েশা! আল্লাহর কাছে মর্যাদায় নিকৃষ্ট সেই ব্যক্তি, যার অশালীন ব্যবহার থেকে বেঁচে থাকার জন্য মানুষ তার সংসর্গ বর্জন করে চলে। (বুখারি, হাদিস : ৬১৩১)
আপনারা আপনাদের চারপাশের খুঁজলেই দেখতে পাবেন অনেক মানুষ রয়েছে যারা নিজেদের প্রভাব সমাজের উপর বিস্তার করার জন্য চেষ্টা করে।
তাদের পরিবার কিংবা সমাজের মানুষের সঙ্গে ভালো ব্যবহার বা ভাল সম্পর্ক থাকে না।
এ ধরনের মানুষগুলো সব সময় মানুষকে চাপে রাখার চেষ্টা করে এবং নিজেদের স্বার্থকে প্রাধান্য দেয়।
এদের মধ্যে যারা রয়েছেন তারা মানুষকে ভয় দেখিয়ে সম্মান আদায় করতে চায়।
তাদের মূল অবস্থান উপরোক্ত হাদীছ স্পষ্ট করা হয়েছে।
তাই প্রভাব বিস্তারের জন্য এমন বিষয়গুলো করা উচিত নয়।
ইলম অনুযায়ী আমল না করা
আমরা সকলেই একজন মুসলিম হিসেবে ছোটবেলা থেকেই কুরআন শিক্ষা অথবা ইসলামিক শিক্ষা তে বড় হয়ে।
এটি আমাদের সকলেরই জানা হয়ে যায় কীভাবে বা কোন পথে চলাফেরা করলে আমরা সঠিকভাবে বাঁচতে পারবো।
কিন্তু ব্যক্তিত্ব কিংবা পার্থিব স্বার্থে আমরা এই সকল বিষয়গুলো ধার ধারি না। অর্থাৎ এই সকল বিষয়গুলো আমরা মানার চেষ্টা করি না।
আর নিকৃষ্ট পাপাচারী ব্যক্তি, যে আল্লাহর কিতাব তিলাওয়াত করে, কিন্তু পাপের কাজে কোনো পরোয়া করে না। (নাসায়ি, হাদিস : ৩১০৬)।
আমাদেরকে পবিত্র কুরআনের মধ্যে হালাল এবং হারাম অথবা খারাপ ভালো সকল কাজের সুস্পষ্ট ধারণা দেয়া হয়েছে।
যে সকল ব্যক্তি মুসলমান ধর্মে থেকেও সকল বিষয়গুলো জেনেও খারাপ কাজে লিপ্ত থাকে তাদেরকে মহানবী পৃথিবীর সবচেয়ে নিকৃষ্ট ব্যক্তি হিসেবে আখ্যা দিয়েছেন।
এবং তিনি আরো বলেছেন আমাদের মধ্যে যদি এরকম অভ্যাস থাকে তাহলে সেটি ত্যাগ করতে।
এবং আমাদের সকলকে ঐ সকল ব্যক্তি থেকে দূরে থাকার নির্দেশ প্রদান করেছেন।
আরও পড়ুনঃ
যারা সব সময় সব ক্ষেত্রে দুনিয়াকে প্রাধান্য দেয়
একটি মানুষ যদি দুনিয়ার ওপর বিশ্বাস না রেখে আখেরাতে প্রাধান্য দিত তাহলে বর্তমান পৃথিবীতে কখনোই দুর্নীতি, ঘুষ, সন্ত্রাস কিংবা ধর্ষক থাকত না।
আবু উমামাহ (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুল (সা.) বলেন, যে ব্যক্তি অপরের পার্থিব স্বার্থে আখিরাত বরবাদ করেছে, কিয়ামতের দিন সে হবে আল্লাহর নিকট সর্বাপেক্ষা নিকৃষ্ট ব্যক্তি। (ইবনে মাজাহ, হাদিস : ৩৯৬৬)
সবাই শুধুমাত্র এই দুনিয়াকে প্রাধান্য দিয়ে আমরা আখিরাতের জন্য শুধুমাত্র কষ্ট অর্জন করছি।
মূলত এটি আমাদের সকলের মাঝে এই মাঝেমধ্যে লক্ষণীয়।
তাই আমি আপনি পৃথিবীর নিকৃষ্ট মানুষ হতে চাই না আমরা অবশ্যই আখিরাতকে নিয়ে সর্বপ্রথম ভাবো তারপর দুনিয়ার কথা চিন্তা করবো।
মহান আল্লাহ তায়ালা আমাদেরকে তাঁর ইবাদত করার জন্য দুনিয়াতে পাঠিয়েছেন।
আপনাদের সবাইকে আল্লাহ তা’আলা বেশি বেশি ইবাদত করার জন্য তৌফিক দান করুন। আমিন।
বিশ্বের সবচেয়ে নিকৃষ্ট ব্যক্তি
এতক্ষণ আমরা ইসলামিক উপায় পৃথিবীর সবচেয়ে নিকৃষ্ট ব্যক্তি কোনগুলো সে সম্পর্কে বিস্তারিত জেনেছি।
এখন আমরা জানবো মূলত পৃথিবী কিংবা দুনিয়াবী জীবনে কাকে সবচেয়ে নিকৃষ্ট ব্যক্তি বলা হয়ে থাকে।
বর্তমান সময়ে দাঁড়িয়ে পৃথিবীতে নিকৃষ্ট মানুষের শেষ নেই।
তবে সকলের মুখে অতি পরিচিত এবং সবচেয়ে খারাপ মানুষ কে হচ্ছেন এডলফ হিটলার।
এই এডলফ হিটলার একজন অস্ট্রীয় বংশোদ্ভূত জার্মান রাজনীতিবিদ ছিলেন।
তিনি জার্মানিতে ন্যাশনাল সোশালিস্ট জার্মান ওয়ার্কার্স পার্টির নেতৃত্বের দায়িত্ব পালন করেন।
হিটলার ১৯৩৩ থেকে ১৯৪৫ সাল পর্যন্ত জার্মানির চ্যান্সেলর এবং ১৯৩৪ থেকে ১৯৪৫ সাল পর্যন্ত সে দেশের ফিউরার ছিলেন।
তিনি ২০ শে মে, ১৮৮৯ সালে জন্মগ্রহণ করেন এবং ৩০শে এপ্রিল, ১৯৪৫ সালে মৃত্যুবরণ করেন।
ইতিহাসে তার বিভিন্ন ধরনের বর্বরতা এবং খারাপ কাজের নমুনা পাওয়া গেছে।
যার প্রেক্ষিতে তাকে পৃথিবীর সবচেয়ে নিকৃষ্ট ব্যক্তি হিসেবে আখ্যা দেয়া হয়।
আরও পড়ুনঃ
আল্লাহর পরিচয় সম্পর্কে দশটি বাক্য
বিশ্বের সবচেয়ে নিকৃষ্ট ব্যক্তি কে FAQS
বর্তমান সময়ে দাঁড়িয়ে পৃথিবীতে নিকৃষ্ট মানুষের শেষ নেই। তবে সকলের মুখে অতি পরিচিত এবং সবচেয়ে খারাপ মানুষ কে হচ্ছেন এডলফ হিটলার।
এডলফ হিটলার ২০ শে মে, ১৮৮৯ সালে জন্মগ্রহণ করেন।
উপসংহার
প্রিয় পাঠকগণ আজকের এই আর্টিকেলের বিশ্বের সবচেয়ে নিকৃষ্ট ব্যক্তি কে সে সম্পর্কে আপনাদেরকে বিস্তারিত জানানো হয়েছে।
পৃথিবীতে গঙ্গা পুরো বিশ্বে আমাদের নানান ধরনের খারাপ কিংবা নিকৃষ্ট মানুষদের সাথে পরিচয় হতে পারে কিন্তু আপনারা সবসময় তাদের থেকে দূরে থাকার চেষ্টা করবেন।
আশা করি আজকের এই আর্টিকেলটি আপনাদের ভাল লেগেছে এবং আপনারা নিজেদের কাঙ্ক্ষিত প্রশ্নের উত্তর পেয়ে গেছেন।
আপনাদের যদি এই বিষয়ে আর কোন প্রশ্ন তোমার মতামত থাকে তাহলে অবশ্যই আমাদেরকে কমেন্টের মাধ্যমে জানাবেন।
প্রতিদিন নিত্যনতুন আর্টিকেল পড়তে এবং গুরুত্বপূর্ণ শিক্ষামূলক বিষয়গুলো জানতে আমাদের ওয়েবসাইট ভিজিট করুন।
আমাদের ওয়েবসাইট থেকে আপনারা অনলাইন থেকে ঘরে বসে টাকা আয় সম্পর্কে আর্টিকেল পেয়ে যাবেন।
অনলাইন ভিত্তিক কাজগুলোর গাইলেন সহ আমাদের ওয়েবসাইটে আর্টিকেল প্রকাশ করা হয়েছে।
আপনারা চাইলে সে সকল আর্টিকেলগুলো পড়তে পারেন।
আমাদের ওয়েবসাইট সংক্রান্ত সকল আপডেট গুলো সবার আগে পেতে আমাদের ফেসবুক পেইজে ফলো করুন।
ডিজিটাল টাচ ফেসবুক পেইজ লাইক করে সাথে থাকুনঃ এই পেজ ভিজিট করুন ।
ডিজিটাল টাচ সাইটে বিজ্ঞাপন দিতে চাইলে যোগাযোগ করুনঃ এই লিংকে।
অনলাইনে টাকা ইনকাম সম্পর্কে জানতে ভিজিট করুনঃ www.digitaltuch.com সাইট ।