কিভাবে সিম রেজিস্ট্রেশন বাতিল করব কিভাবে দেখে নিন

নিজের নামে ঠিকই পরিমাণ সিম রয়েছে এই বিষয়টি জানার পর অনেকেই কিভাবে সিম রেজিস্ট্রেশন বাতিল করব এই বিষয়টি নিয়ে ভাবনায় থাকেন তাদের সাহায্য করার উদ্দেশ্যে আমরা সিম রেজিস্ট্রেশন চেক পরবর্তী বাতিল করার বিষয়ে সম্পূর্ণ আলোচনা করব। 

(SIM) সিম মানে হচ্ছে সাবস্ক্রাইবার আইডেন্টিটি মডিউল, যাকে আমরা সংক্ষিপ্ত ভাষায় সিম বলে জেনে থাকি।

টেলিকম অপারেটর গুলো তাদের গ্রাহকদের সেবা প্রদানের উদ্দেশ্যে একটি সিম প্রদান করে থাকে এবং ঐ সিমের একটি আইএমই নাম্বার এবং ভিন্ন ইউনিক নাম্বার থাকে। 

সঠিক ভাবে বললে বলতে পারি বর্তমানে একটি সিম একজন গ্রাহকের আইডেন্টি স্বরূপ বা পরিচিতি শুরুপ কাজ করে।

কেননা সিম নাম্বারটি যখনই আমাদের কাছে থাকে তখন আমরা বলতে পারি নাম্বারটি কার এবং কে আমাদের কল করেছেন। 

সিম কার্ডের মাধ্যমে বর্তমানে কথোপকথন এসএমএস প্রেরণ ইন্টারনেট ব্রাউজার ভিডিও স্ট্রিমিং এবং বিভিন্ন মোবাইল ব্যাংকিং সেবা গ্রহণ করা যায়। 

সেই সাথে সাথে বর্তমানে একটি এনআইডি কার্ডের অধীনে অর্থাৎ একজন ব্যক্তি সর্বোচ্চ 15 টি সিম রেজিস্ট্রেশন করতে পারবেন।

এছাড়াও একজনের সিম ব্যবহার করে অন্যজন ব্যাবহার করে বিভিন্ন অপরাধমূলক কার্যক্রম পরিচালনা করে থাকে, যার প্রবণতা এখন বেশি দেখা যাচ্ছে।

বর্তমানে নিজের নামে কতটি সিম রয়েছে এই বিষয়ে জানা এবং সিমের নাম্বার সম্পর্কে অবগত থাকা অত্যন্ত জরুরী। 

তাই দেরি না করে আজই আপনার নামে কতটি সিম রেজিস্ট্রেশন করা আছে তা চেক করুন এবং অপ্রয়োজনীয় সিম গুলোকে ডিলিট করুন।

এখন প্রশ্ন হচ্ছে কিভাবে সিম রেজিস্ট্রেশন বাতিল করব বা করবেন

কিভাবে সিম রেজিস্ট্রেশন বাতিল করব
কিভাবে সিম রেজিস্ট্রেশন বাতিল করব

সিম রেজিস্ট্রেশন চেক পদ্ধতি ব্যবহার করে আপনি সঠিকভাবে নির্ণয় করবেন কোন অপারেটরের কতটি সিম আপনার নামে রয়েছে। 

আমরা ইতিমধ্যে সিম রেজিস্ট্রেশন চেক সম্পর্কে একটি পোস্ট করেছি প্রয়োজনে আপনি ওই পোস্টে ভিজিট করতে পারেন।

আপনি একটু সচেতন থাকলেই আপনার নামের সিম অন্য কেউ ব্যবহার করে অপরাধমূলক কাজকর্ম করে আপনাকে বিরক্ত করতে পারবে না।

তাই প্রথমে আপনাকে নির্ধারণ করতে হবে কোন অপারেটরে ঠিক কোন কোন নাম্বার গুলো আপনার কাছে রয়েছে।

আপনার কাছে থাকা নম্বরগুলো ব্যতীত অন্যান্য নম্বরগুলো আপনার জন্য অবাঞ্চিত এবং আপনাকে যেকোন সময় বিপদে ফেলতে পারে। 

ভাই আপনার উচিত দ্রুত সেই অবাঞ্চিত নম্বরগুলো আপনার নাম থেকে ডিলিট করে দেওয়া।

ডিসকাউন্টে সকল সিমের মিনিট, ইন্টারনেট ও বান্ডেল অফার
ক্রয় করতে DESH OFFER সাইটে ভিজিট করুন।

অতিরিক্ত সিমগুলো আপনার নাম থেকে অপশারন করার জন্য আপনি দুটি পদ্ধতির অবলম্বন করতে পারেন। 

কিভাবে সিম রেজিস্ট্রেশন বাতিল করব বললে আপনাকে বলবে আপনি টেলিকম অপারেটর হেল্পলাইনে কল করুন অথবা কাস্টমার কেয়ার সেন্টারে ভিজিট করুন।

সিম রেজিস্ট্রেশন বাতিল করার নিয়ম

সিম রেজিস্ট্রেশন বাতিল করার নিয়ম হচ্ছে প্রথমে আপনার নামে কয়টি সিম রয়েছে তা যাচাই করে নেয়া তারপর সংশ্লিষ্ট টেলিকম অপারেটরের হেল্পলাইন অথবা কাস্টমার কেয়ারে ভিজিট করে আবেদন করা।

  • নির্দিষ্ট টেলিকম অপারেটর হেল্পলাইনে কল করার মাধ্যমে।
  • সরাসরি সিম কোম্পানির কাস্টমার কেয়ার সেন্টারে ভিজিট করার মাধ্যমে।  

হেল্পলাইনে কল করে সিম বন্ধ করার নিয়ম 

হেল্পলাইনে কল করে সিম রেজিস্ট্রেশন বাতিল করার নিয়ম কিছুটা জটিল।  কেননা এই পদ্ধতিতে সঠিক গ্রাহক আইডেন্টিফিকেশন করতে কিছু সমস্যা হয়ে থাকে।

এছাড়াও এই পদ্ধতিতে আপনি ঠিক যে এই সিমটি বন্ধ করতে চাচ্ছেন ঐ সিমটি আপনার কাছে থাকা জরুরী এবং ঐ সিম থেকে আপনাকে তাদের হেল্প লাইনে কল করতে হবে।  

টেলিকম অপারেটর কাস্টমার কেয়ার অফিসার আপনার কাছ থেকে সিমের সর্বশেষ রিচার্জ সিমের মালিকের নাম আইডি কার্ড নাম্বার সহ কিছু তথ্য জানতে চাওয়া হবে।

যদি আপনি সঠিকভাবে তথ্যগুলো প্রদান করতে পারেন তবে আপনার সিমটি টেম্পোরারি অথবা পার্মানেন্টলি ব্লক করে দেয়া হবে।

তবে এই পদ্ধতিতে বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই সিম রেজিস্ট্রেশন বাতিল করতে কিছুটা সমস্যা হয়, তারা আপনাকে সাজেস্ট করবে তাদের কাস্টমার কেয়ারে গিয়ে সিমটি পুরোপুরি আপনার নাম থেকে বাতিল করার জন্য। 

ডিসকাউন্টে সকল সিমের মিনিট, ইন্টারনেট ও বান্ডেল অফার
ক্রয় করতে DESH OFFER সাইটে ভিজিট করুন।

টেলিকম কাস্টমার কেয়ারে ভিজিট করে সিম বন্ধ করার নিয়ম

সিম কোম্পানির কাস্টমার কেয়ারে গিয়ে সিম রেজিস্ট্রেশন বাতিল করার নিয়ম অনেক সহজ। 

অরিজিনাল ভোটার আইডি কার্ড সহকারে কাস্টমার কেয়ার এ উপস্থিত  হতে হবে। 

যদি আপনার কাঙ্খিত নম্বরটিতে জানা থাকে তাহলে তাদেরকে নাম্বারটি প্রদান করুন এবং বলুন যে আপনাকে এই নাম্বারটি আপনার নাম থেকে বাতিল করতে হবে।

আপনি যদি পুরো নম্বরটি না জানেন তবে আপনার নামে যে কয়টি সিম রয়েছে ঐ টেলিকম অপারেটর সেগুলোর মধ্য থেকে আপনার কাছে থাকা সিমগুলো ব্যতীত বাকি নম্বরগুলো বাতিল করে দেয়ার জন্য অনুরোধ করুন। 

টেলিকম কাস্টমার কেয়ার সার্ভিস অফিসারঃ আপনার দেয়া নাম্বার গুলো রেখে বাকি নম্বরগুলো আপনার নাম থেকে ডিলিট করে দিবে।

কাজটি করতে আপনার সর্বোচ্চ 10 থেকে 20 মিনিট সময় লাগতে পারে। 

অনলাইনে সিম রেজিস্ট্রেশন বাতিল করার নিয়ম

অনলাইনে সিম রেজিস্ট্রেশন বাতিল করার নিয়ম সম্পর্কে অনেকে জানতে চান তাদের অবগতির জন্য জানাচ্ছি যে অনলাইনে ঘরে বসে সিম রেজিস্ট্রেশন বাতিল করা সম্ভব নয়।

কেননা বাংলাদেশের টেলিকম অপারেটর গুলি সিমের রেজিস্ট্রেশন বাতিল করার জন্য গ্রাহকের স্বশরীরে উপস্থিতি চায়।

আরও পড়ুনঃ

রবিতে একসাথে মিনিট ও ইন্টারনেট কিনতে দেখুন

ব্লগ লিখে আয় বিকাশ পেমেন্ট

মনে রাখবেন এই পদ্ধতিতে সিম রেজিস্ট্রেশন বাতিল করার নিয়ম অনেক সহজ হলেও আপনাকে প্রতিটি অপারেটরের বিভিন্ন অফিস ভিজিট করার মাধ্যমে কাজটি সম্পন্ন করতে হবে।

সিম রেজিস্ট্রেশন বাতিল করতে কতদিন সময় লাগে

বলতো আমরা যে পদ্ধতিতে সিম রেজিস্ট্রেশন চেক করে থাকি ঐ পদ্ধতিতে সিম রেজিস্ট্রেশন বাতিল করার পরবর্তী ও বেশকিছু দিন পর্যন্ত সিমগুলো লিস্টে থেকে যায়।

তবে চিন্তার কোন কারণ নেই সর্বোচ্চ 30 দিনের মধ্যেই সিমগুলো নাম থেকে পুরোপুরি ডিলিট হয়ে যায়। 

ঘরে বসে কিভাবে সিম রেজিস্ট্রেশন বাতিল করব?

ঘরে বসে কিভাবে সিম রেজিস্ট্রেশন বাতিল করতে আপনার কাছে সিমটি থাকতে হবে। এবং ঐ সিম থেকে সিম অপারেটর হেল্পলাইনে কল করতে হবে।

সিম রেজিস্ট্রেশন বাতিল করতে কি টাকা লাগে?

না, আপনার নাম থেকে সিম রেজিস্ট্রেশন বাতিল করতে কোন ধরনের টাকা লাগেনা।

নাম থেকে সিম ডিলিট হতে কত দিন সময় লাগে?

নাম থেকে সিম রেজিস্ট্রেশন বাতিল করার আবেদন করলে, সিমটি সাথে সাথে ডিলিট করে দেয়া হয়। তবে লিস্ট থেকে ডিলিট হতে কিছুটা সময় লাগে।

সিম বাতিল করার নিয়ম?

সিম বাতিল করার নিয়ম হলো সংশ্লিষ্ট অপারেটর গুলোর সার্ভিস সেন্টারে ভিজিট করে সিম নিবন্ধন বাতিল করার জন্য আবেদন করা।

আরও পড়ুনঃ

SIM Registration Check Online Bangladesh (All SIM Update) 

Vidmate APK Download Latest Version | আসল ভিটমেট অ্যাপ ডাউনলোড 

Bangladesh National ID Card Check Online

উপসংহার,

আশা করি আপনি কিভাবে সিম রেজিস্ট্রেশন বাতিল করব সম্পর্কে জানতে পেরেছেন। 

যেহেতু বর্তমানে বাংলাদেশে বিভিন্ন সমস্যা সিম নম্বর থেকে সৃষ্টি হচ্ছে তাই আপনাকে এ বিষয়ে সচেতন থাকা উচিত।

এছাড়াও বর্তমানে সিম রেজিস্ট্রেশন করার সময় লক্ষ্য রাখবেন একবার যেন আপনার কাছ থেকে ফিঙ্গারপ্রিন্ট নেয়া হয়।

যদি কোন দোকানদার একাধিকবার আপনার কাছ থেকে নতুন সিম ক্রয় করার সময় ফিঙ্গারপ্রিন্ট গ্রহণ করে তবে ভাববেন অবশ্যই কোন না কোন সমস্যা আছে।

নতুন সিম ক্রয় করার সময় আপনি যদি একটু সচেতন থাকেন।

তবেই আপনার নামে অনাকাঙ্ক্ষিত সিম রেজিস্টার হতে পারবে না।

অনলাইনে ঘরে বসে টাকা ইনকাম, টেলিকম অফার, মোবাইল ব্যাংকিং সেবা অফার ও ইন্টারনেট থেকে সঠিক তথ্য পেতে আমাদের সাথে থাকুন।

জয়েন করুন আমাদের ফেসবুক পেজ। 

আরও পড়ুনঃ

রকেট একাউন্ট দেখার নিয়ম

বিকাশ এজেন্ট একাউন্ট খোলার নিয়ম

কমদামে মিনিট, ইন্টারনেট ও বান্ডেল অফার কিনতে ভিজিট করুনঃ এখানে ক্লিক করুন
ডিজিটাল টাচ ফেসবুক পেইজ লাইক করে সাথে থাকুনঃ এই পেজ ভিজিট করুন
ডিজিটাল টাচ সাইটে বিজ্ঞাপন দিতে চাইলে যোগাযোগ করুনঃ এই লিংকে
অনলাইনে টাকা ইনকাম সম্পর্কে জানতে ভিজিট করুনঃ www.digitaltuch.com সাইট ।

Leave a Comment