বন্ধুরা আজকে আপনাদের জানাব বিকাশ এজেন্ট একাউন্ট খোলার নিয়ম বা বিকাশ এজেন্ট হওয়ার নিয়ম সম্পর্কে। আসসালা-মু-আলাইকুম কেমন আছেন সবাই। বাংলাদেশের জনপ্রিয় মোবাইল ব্যাংকিং সেবা বিকাশ বর্তমানে অনেককেই তাদের সাথে একটি ব্যবসায় করার সুযোগ দিচ্ছে। বর্তমানে টেলিকম দোকান ছাড়াও অন্যান্য ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরা বিকাশ এজেন্ট ব্যবসা করে আসছেন।
আপনি যদি কোন ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী হন অথবা আপনি যদি নতুন করে বিকাশ এজেন্ট ব্যবসা চালু করতে চান তবে বিকাশ এজেন্ট হওয়ার নিয়ম এবং কিভাবে খুলতে হয় সকল বিষয় সম্পর্কে আপনাকে জানাবো।
আড়ও পড়ুন –
বর্তমানে টেলিকম দোকান, ফার্মেসি ও অন্যান্য ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী বিকাশ এজেন্ট ব্যবসার সাথে জড়িত।
ব্যবসায়ীরা তার মূল ব্যবসার পাশাপাশি বিকাশ এজেন্ট ব্যবসা করে লাভবান হচ্ছেন।
তাই বিকাশ এজেন্ট ব্যবসার প্রসার দিনে দিনে বেড়েই চলেছে, দেরি না করে ইচ্ছা থাকলে আপনিও শুরু করতে পারেন বিকাশ এজেন্ট ব্যবসা।
চলুন দেখে নেয়া যাক কিভাবে বিকাশ এজেন্ট ব্যবসা শুরু করবেন এ সম্পর্কে বিস্তারিত।
Content Summary
- 1 বিকাশ এজেন্ট একাউন্ট খোলার নিয়ম | বর্তমানে বিকাশ এজেন্ট হওয়ার নিয়ম
- 1.1 বিকাশ এজেন্ট ব্যবসা কি?
- 1.2 ট্রেড লাইসেন্স কি?
- 1.3 ট্রেড লাইসেন্স আবেদন ফরম
- 1.4 বিকাশ এজেন্ট একাউন্ট খোলার ট্রেড লাইসেন্স করতে কি কি প্রয়োজন
- 1.5 টিন সার্টিফিকেট কি?
- 1.6 বিকাশ এজেন্ট সিম | বিকাশ এজেন্ট অ্যাপস
- 1.7 বিকাশ এজেন্ট হতে কত টাকা লাগে
- 1.8 বিকাশ এজেন্ট একাউন্ট খোলার নিয়ম । বিকাশ এজেন্ট ব্যবসা
- 1.9 বিকাশ এজেন্ট হওয়ার নিয়ম সম্পর্কে কিছু কথা
- 1.10 উপসংহার
- 1.11 Share this:
বিকাশ এজেন্ট একাউন্ট খোলার নিয়ম | বর্তমানে বিকাশ এজেন্ট হওয়ার নিয়ম
প্রথমত একটি বিকাশ এজেন্ট একাউন্ট খোলার নিয়ম হল আপনার ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের ট্রেড লাইসেন্স এবং টিন সার্টিফিকেট থাকতে হবে।
বন্ধুরা বিকাশ এজেন্ট খোলার নিয়ম খুবই সহজ। তবে এক্ষেত্রে আপনার প্রয়োজনীয় কাগজপত্র থাকতে হবে।
আপনি যদি কোন ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী বা প্রতিষ্ঠানের মালিক হন তবে ঐ প্রতিষ্ঠানের ঠিকানা অনুযায়ী প্রতিষ্ঠানটির নামে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র করেতে হবে।
আরও পড়ুনঃ
উক্ত কাগজপত্র গুলি আপনি প্রস্তুত করে ফেললে আপনার এলাকায় বিকাশের মাঠ পর্যায়ের কর্মী বা এসআর এর সাথে যোগাযোগ করুন।
Bkash SR প্রতিদিন বর্তমান এজেন্ট পয়েন্ট গুলি থেকে টাকা সংগ্রহ করে থাকেন।
আপনি চাইলে বর্তমানে বিকাশ এজেন্টদের সাথে যোগাযোগ করে বিকাশ এসআর এর সাথে যোগাযোগ করতে পারেন।
অন্যথায় আপনি বিকাশ ডিস্ট্রিবিউটর হাউজে সরাসরি উপস্থিত হয় আপনার কাগজপত্র জমা দিতে পারেন।
এক্ষেত্রে আপনি যদি কারো কোন কারণে উভয় পদ্ধতি অনুসরণের ব্যর্থ হন তবে আপনি Bkash customer care number এ কল করুন এবং আপনার এলাকার ঠিকানা দিয়ে আপনার কাছাকাছি ডিস্ট্রিবিউশন হাউজের ঠিকানা নিয়ে নিন।
আড়ও পড়ুন –
বিকাশ এজেন্ট ব্যবসা কি?
বন্ধুরা একটি ব্যবসাকে বৃহত্তর করতে এবং অধিক মুনাফা করতে চাইলে ব্যবসাটি উক্ত কোম্পানীর পক্ষে একা পরিচালনা করা সম্ভব নয়, তাই তারা তাদের কিছু প্রতিনিধির মাধ্যমে ব্যবসাটিকে ভাগ করে নেয়।
এই পদ্ধতিতে যাকে ব্যবসার এজেন্ট দেয়া হয় বা প্রতিনিধি রাখা হয় তিনি নিজে ইনকাম করেন এবং সেইসাথে কোম্পানির বেনিফিট রয়েছে। এভাবেই ব্যবসার প্রসার ঘটে।
বিকাশের ক্ষেত্র ঠিক একই রকম বিকাশ তার ব্যবসা প্রসারের লক্ষ্যে বাংলাদেশের গ্রামে গঞ্জে শহরে সব জায়গায় তাদের এজেন্ট নিয়োগ দিচ্ছে।
শুরুতে বিকাশ টেলিকম দোকান, ফার্মেসী গুলোতে গিয়ে নিজ থেকে বিকাশ নেওয়ার জন্য আমন্ত্রণ জানালেও বর্তমানে আগ্রহী ব্যক্তিকে বিকাশের সাথে যোগাযোগ করতে হয় বিকাশের এজেন্ট নেওয়ার জন্য।
তাহলে বুঝতে পেরেছেন বিকাশ কতটুকু উন্নতি সাধন করেছে এখন বিকাশ এজেন্ট একাউন্ট খোলার জন্য ব্যবসায়ীরা তাদের কাছে পৌঁছে যাচ্ছে।
See More Article
ট্রেড লাইসেন্স কি?
সিটি কর্পোরেশন [কর] বিধি, ২০০৯ এর মাধ্যমে ট্রেড লাইসেন্স পদ্দতির আগমন ঘটে। এই বিধি অনুসারে বৈধভাবে যেকোনো ব্যবসা পরিচালনার জন্য একটি ট্রেড লাইসেন্স প্রয়োজন।
ট্রেড লাইসেন্স সিটি কর্পোরেশন থেকে উদ্যোক্তাদের আবেদনের ভিত্তিতে প্রদান করা হয়।
ব্যবসায়িক উদ্দেশ্য ছাড়া অন্য কোনো উদ্দেশ্যে ট্রেড লাইসেন্স ব্যবহৃত হয় না।
একটি ট্রেড লাইসেন্স শুধুমাত্র লাইসেন্সধারী ব্যক্তি ও তার ব্যবসা প্রতিস্থানের নামে প্রদান করা হয় এবং এটা কোনোভাবে হস্তান্তরযোগ্য নয়।
ট্রেড লাইসেন্স আবেদন ফরম
ট্রেড লাইসেন্স অনেক প্রকারের হয়ে থাকে।
আপনাকে বিকাশ এজেন্ট ব্যবসা করার জন্য আপনার যে ধরনের ট্রেড লাইসেন্স প্রয়োজন হবে সেটি হল একটি ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী অথবা একটি টেলিকম ব্যবসা ট্রেড লাইসেন্স হতে পারে।
এছাড়া আপনি অন্যা কোন ব্যবসায়ী হলেও সেই ট্রেড লাইসেন্স ব্যবহার করতে পারবেন বিকাশ এজেন্ট একাউন্ট খোলার জন্য তাতে কোন সমস্যা নেই।
ট্রেড লাইসেন্স করার জন্য আবেদন ফরম টি আপনার নিকটস্থ সিটি কর্পোরেশন অফিস অথবা ইউনিয়ন পরিষদে থেকে সংগ্রহ করতে পারবেন।
এছাড়াও বর্তমানে অনলাইনে ট্রেড লাইসেন্স এর আবেদন জমা নেয়া হয়।
বিকাশ এজেন্ট একাউন্ট খোলার ট্রেড লাইসেন্স করতে কি কি প্রয়োজন
সাধারণ ট্রেড লাইসেন্স করতে যে সকল তথ্য প্রয়োজন, বিকাশ এজেন্ট একাউন্ট খোলার নিয়মে ও অতটাই যথেষ্ট।
যে প্রতিষ্ঠান ব্যবসা পরিচালনা করবেন তার ভাড়ার রশিদ অথবা চুক্তিপত্রের সত্যায়িত কপি, এবং হোল্ডিং ট্যাক্স পরিশোধের রশিদের কপি।
আপনার ভোটার আইডি কার্ডের কপি। বাস এতটুকুই।
টিন সার্টিফিকেট কি?
বন্ধুরা টিন সার্টিফিকেট/টিআইএন বা ট্যাক্স আইডেন্টিফিকেশন নাম্বার একটি বিশেষ নম্বর, যা দিয়ে করদাতাকে শনাক্ত করা হয়।
বর্তমানে বিকাশ এজেন্ট হওয়ার নিয়মে এটি আবশ্যক।বিকাশ এজেন্ট নিয়ে ব্যবসা করতে হলে টিআইএন লাগবে।
বন্ধুরা টিন সার্টিফিকেট তৈরিতে আপনার খুব বেশি ঝামেলা পোহাতে হবে না।
আপনি নিজে থেকে অনলাইনে টিন সার্টিফিকেট তৈরি করতে পারেন অথবা নিকটস্থ কোনো শপে গিয়ে আপনার আইডি কার্ড দিয়ে সিম সেটিংটিন সার্টিফিকেট খুলে নিতে পারবেন।
নিজের মোবাইল নাম্বার দিয়ে টিআইএন ভেরিফাই করে নিতে ভুলবেন না। কেননা একজন গ্রাহকের নামে একটি মাত্র তিন তৈরি হয়।
আড়ও পড়ুন –
বিকাশ এজেন্ট সিম | বিকাশ এজেন্ট অ্যাপস
বন্ধুরা বিকাশ ব্যবসা পরিচালনা করার জন্য একটি বিকাশ এজেন্ট সিম প্রয়োজন।
বিকাশ ব্যবসা পরিচালনা করতে হলে কি রকম সিম হতে হবে সম্পর্কেও জানা কিছুটা জরুরী বলে মনে করি।
বিকাশ এজেন্ট সিম নির্বাচন করবেন নাম্বারটি সহজ দেখে, শুধু আপনার জন্য নয় আপনার গ্রাহকের মনে রাখতে যাতে সহজ হয় এরকম নাম্বার নির্বাচন করুন।
বন্ধুর বিকাশ এজেন্ট সিম নাম্বার নির্বাচন, পূর্বে কনফার্ম হয়ে নিন ওই নাম্বারে যাতে কোনো ধরনের বিকাশ পার্সোনাল একাউন্ট খোলা না থাকে।
প্রয়োজনে আপনি একটি সহজ নম্বরের নতুন সিম ক্রয় করে ব্যবহার করতে পারেন।
বিকাশ এজেন্ট হতে কত টাকা লাগে
বন্ধুরা বিকাশ এজেন্ট একাউন্ট খোলার নিয়ম জানার পর অনেকের মনেই প্রশ্ন থাকে বিকাশ এজেন্ট হতে কত টাকা লাগে। বন্ধুরা বিকাশ এজেন্ট হতে কোন ধরনের টাকা প্রয়োজন হয়না।
আপনার প্রয়োজনীয় কাগজপত্র থাকলে বিকাশ আপনাকে ফ্রিতেই এজেন্ট সিম দিয়ে থাকে।
বিকাশ এজেন্ট একাউন্ট খোলার নিয়ম । বিকাশ এজেন্ট ব্যবসা
বন্ধুরা আশাকরি আপনি বিকাশ এজেন্ট ব্যবসা ও বিকাশ এজেন্ট একাউন্ট খোলার নিয়ম সম্পর্কে বুঝতে পেরেছেন।
আমরা জানি এজেন্ট ব্যবসা কিভাবে শুরু করবেন এর থেকে গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে এজেন্ট ব্যবসা কমিশন কত।
এজেন্ট ব্যবসা পরিচালনার কিছু ট্রিকস অনেকেরই প্রয়োজন।
আমরা পরবর্তী কোন পোস্টে আপনাদের বিকাশ এজেন্ট কমিশন লাভ সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করার চেষ্টা কর।
আরও পড়ুনঃ
নগদ মোবাইল ব্যাংকিং এজেন্ট কমিশন
বিকাশ এজেন্ট হওয়ার নিয়ম সম্পর্কে কিছু কথা
মনে রাখবেন বিকাশ এজেন্ট হওয়ার নিয়ম হিচ্ছে আপনার একটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান থাকতে হবে এবং উক্ত ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ট্রেড লাইসেন্স করতে হবে। ট্রেড লাইসেন্স, ২ কপি ছবি ও প্রয়োজনীয় কাগজপত্রসহ বিকাশ ডিস্ট্রিবিউশন হাউজের যোগাযোগের মাধ্যমে সহজেই একটি বিকাশ এজেন্ট একাউন্ট খুলতে পারেন।
বর্তমানে বিকাশ এজেন্ট হওয়ার জন্য বিকাশ কোন ধরনের চার্জ করে না। তার মানে হচ্ছে বিকাশ এজেন্ট একদম ফ্রি। তবে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র আপনার কাছে থাকতে হবে তবেই আপনি বিকাশ এজেন্ট হতে পারবেন।
একজন সাধারন বিকাশ পার্সোনাল গ্রাহক তার প্রয়োজনে বাংলাদেশের এ প্রান্ত থেকে ও প্রান্তে টাকা ক্যাশ ইন করতে পারবেন। বিকাশ এজেন্ট দের কাছ থেকে টাকা পাঠানোর জন্য আপনাকে cash in করতে হবে। আপনি যদি আপনার কাংখিত ব্যক্তিকে খরচ দিতে চান তবে ক্যাশ করা পরিমাণ এর সাথে প্রতি হাজারে 20 টাকা যোগ করে সহজেই ক্যাশ ইন করে দিতে পারেন যেকোনো বিকাশ পার্সোনাল নাম্বারে।
উপসংহার
আশা করি আপনি বিকাশ এজেন্ট একাউন্ট খোলার নিয়ম সম্পর্কে জানতে পেরেছেন। বিকাশ এজেন্ট একাউন্ট সম্পর্কে আপনার আরও জানার থাকলে কমেন্ট করুন।
অনলাইনে ঘরে বসে টাকা ইনকাম, টেলিকম অফার, মোবাইল ব্যাংকিং সেবা অফার ও ইন্টারনেট থেকে সঠিক তথ্য পেতে আমাদের সাথে থাকুন।
জয়েন করুন আমাদের ফেসবুক পেজ।
আরও পড়ুনঃ
বিকাশ এজেন্ট একাউন্ট খোলার নিয়ম
ডিজিটাল টাচ ফেসবুক পেইজ লাইক করে সাথে থাকুনঃ এই পেজ ভিজিট করুন ।
ডিজিটাল টাচ সাইটে বিজ্ঞাপন দিতে চাইলে যোগাযোগ করুনঃ এই লিংকে।
অনলাইনে টাকা ইনকাম সম্পর্কে জানতে ভিজিট করুনঃ www.digitaltuch.com সাইট ।