প্রিয় পাঠকগণ আজকের এই আর্টিকেলের মাধ্যমে আমরা বঙ্গবন্ধু ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে কোন বিভাগের ছাত্র ছিলেন সে বিষয়ে আপনাদের সাথে বিস্তারিত আলোচনা করব।
আপনারা অনেকেই বঙ্গবন্ধু সম্পর্কে নানান বিষয়ে জানার জন্য আমাদের কাছে আগ্রহ প্রকাশ করেছেন। তাই আজকের এই আর্টিকেলটি বঙ্গবন্ধু ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কোন বিভাগ নিয়ে পড়েছেন সে সকল বিষয়ে বিস্তারিত জানানোর জন্য তৈরি করা হয়েছে।
বঙ্গবন্ধু হচ্ছেন আমাদের স্বাধীনতার অন্যতম কারিগর। তার সম্পর্কে জানার আগ্রহ আমাদের সকলের রয়েছে। তিনি বাংলাদেশের জন্য নিজের জীবনকে বারবার ঝুঁকির মুখে ফেলেছেন।
অনেক বিখ্যাত ব্যক্তি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে নিজেদের পরিচিতি পেয়েছেন। তবে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান তাদের সকলের থেকে অনেকটাই ভিন্ন ছিলেন এবং এখনো আছেন।
Content Summary
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কোন বিভাগের ছাত্র ছিলেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বাংলাদেশের সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি। বাংলাদেশকে সার্বভৌমত্ব এবং একটি স্বাধীন রাষ্ট্রের প্রতিষ্ঠা করার জন্য তিনি হচ্ছেন এদেশের মহান স্থপতি।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কলকাতা ইসলামিয়া কলেজে বিএ পাস করেন। এবং 1947 সেপ্টেম্বর বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি হয়েছিলেন।
হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙ্গালী বঙ্গবন্ধু ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে আইন বিভাগ বিভাগের ছাত্র ছিলেন।
তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগ নিয়ে পড়াশোনা করেছেন।
এবং বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সংযুক্ততা ছিল স্যার সলিমুল্লাহ মুসলিম হল এর সাথে। সে সময় তাঁর রোল নাম্বার ছিল 166।
যদিও বঙ্গবন্ধু ছিলেন সলিমুল্লাহ হলের একজন ছাত্র তবুও তিনি বেশিরভাগ সময় কাটিয়েছেন ফজলুল হক মুসলিম হলে।
এছাড়াও তাঁর বিশ্ববিদ্যালয়ের বাইরে অধিকাংশ সময় কাটানোর জায়গা ছিল 150 নম্বর মোগলটুলী।
অন 1947 সাল থেকে এই বাড়িতে শামসুল হক খান, কামরুদ্দিন, তাজ উদ্দিন প্রমুখ নেতার আসা-যাওয়া ছিল।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৪৭ সালের প্রায় শেষ দিকে এসে এসব নেতাদের সাথে সম্পৃক্ত হয়েছিলেন। সে বাড়িটির নাম ছিল পার্টি হাউজ।
পূর্ব পাকিস্তানের থাকাকালীন অবস্থায় শেখ মুজিবুর রহমানের রাজনৈতিক সকল কর্মকাণ্ড এখান থেকেই শুরু হয়।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হওয়ার আগেই শেখ মুজিবুর রহমান যুব আন্দোলনে সম্পৃক্ত ছিলেন।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হয়ে তিনি ছাত্র-আন্দোলনে নেতৃত্ব দেন।
আরও পড়ুনঃ
করোনাভাইরাস টিকা পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া কেমন হতে পারে
ডান চোখ লাফালে কি হয় ইসলাম কি বলে?
শেখ মুজিবুর রহমান এর ছাত্র লীগ গঠন
১৯৪৮ সালের ৪ জানুয়ারি ছাত্র নেতাদের নিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফজলুল হক হলে পূর্ব পাকিস্তান মুসলিম ছাত্রলীগ গঠন করেন।
১৯৪৮ সালে ভাষা আন্দোলনে সক্রিয়ভাবে অংশ নেন শেখ মুজিবুর রহমান। এ কারণে তাঁকে কারাবরণও করতে হয়।
কারাগার থেকে বের হয়ে শেখ মুজিবুর রহমানসহ তরুণ নেতৃবৃন্দ পাকিস্তান সরকারের বিরুদ্ধে জনমত গড়ে তোলেন।
এবং ধীরে ধীরে গড়ে ওঠে বাঙ্গালির স্বপ্ন জয়ের আন্দোলন। আর এখনকার নতুন যুগের রাজনৈতিকরা ইতিহাস না যেনে কত কথাই না বলেন।
১৯৪৯ সালে বঙ্গবন্ধু আইন বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র ছিলেন। সে সময় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চতুর্থ শ্রেণীর কর্মচারীদের নানান কারণে দাবি-দাওয়া নিয়ে মনোমালিন্য চলছিল।
- সে সকল কর্মচারীদের বেতন খুবই কম ছিল।
- তারা ঠিকঠাক মতো নিজেদের পরিবার পরিচালনা করতে পারতেন না।
- তাদের থাকার জন্য তেমন কোন বাসস্থান ছিল না।
বিশ্ববিদ্যালয়ের চতুর্থ শ্রেণীর কর্মচারীদের আন্দোলনে সমর্থন
3 মার্চ 1949 সালে কর্মচারীরা ধর্মঘট শুরু করে। কর্মচারীদের এই ধর্মঘট কে সমর্থন জানিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্ররা তিনমাস সকল ধরনের ক্লাস বর্জন করে।
সে সময় পূর্ব পাকিস্তান মুসলিম ছাত্রলীগের ডাকে 5 মার্চ পূর্ণ ছাত্র ধর্মঘটের পর বিশ্ববিদ্যালয় বেলা বারোটার সভা অনুষ্ঠিত হয়েছিল।
সবার মধ্যে ঘোষণা দেয়া হয়েছিল, কর্মচারীদের দাবি দাওয়া যতদিন কর্তৃপক্ষ মেনে না নেবে, ততদিন সুষ্ঠুভাবে ধর্মঘট পালন করা হবে।
বঙ্গবন্ধু ছাত্র নেতা এবং যুব কর্মী হিসেবে কর্মচারীদের এই আন্দোলনের শুরু থেকেই তাদেরকে সমর্থন করে আসছিলেন। শুধু তা-ই নয়, একসময় তিনি এই আন্দোলনে নেতৃত্ব দিতে শুরু করেন।
শেখ মুজিবুর রহমনের নেতৃত্বে সে সময় অন্যদের মধ্যে নঈম উদ্দিন আহমেদ, মোল্লা জালাল উদ্দিন, আবদুস সামাদ, আবদুর রহমান চৌধুরী, কল্যাণ দাশগুপ্ত, নাদেরা বেগম, অলি আহাদ, দবিরুল ইসলাম প্রমুখ এই আন্দোলনে জড়িত ছিলেন।
আরও পড়ুনঃ
চোখের ঝাপসা দূর করার উপায় কি?
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বঙ্গবন্ধুর ছাত্রত্ব বাতিল
বঙ্গবন্ধু ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে কোন বিভাগের ছাত্র ছিলেন এটা জানার পর এটাও জানা জরুরী কেন তার ছাত্রত্ব বাতিল করেছিলো তৎকালীন বিশ্ববিদ্যালয় কর্তারা।
প্রাদেশিক সরকারের নির্দেশ অনুযায়ী, বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ এই আন্দোলন ভন্ডুল করার জন্য ১১ মার্চ বিশ্ববিদ্যালয় অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করে।
১৯৪৯ সালের ২৬ মার্চ ২৭ জন ছাত্র-ছাত্রীর বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করে কর্তৃপক্ষ।
৬ জনকে ৪ বছরের জন্য বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বহিষ্কার করা হয়। ১৫ জনকে আবাসিক হল থেকে বহিষ্কার করা হয়।
একজনকে ১০ টাকা জরিমানা করা হয়। শেখ মুজিবুর রহমানসহ ৫ জনকে ১৫ টাকা করে জরিমানা করা হয়।
এছাড়া তাঁদের মুচলেকা দিতে বলা হয়। অনাদায়ে ছাত্রত্ব বাতিল।
কর্তৃপক্ষের এই সিদ্বান্তের প্রতিবাদে ১৯৪৯ সালের ২০ এপ্রিল বিশ্ববিদ্যালয়ে হরতাল ও অবস্থান ধর্মঘট ডাকা হয়।
এ সময় শেখ মুজিবুর রহমান গ্রেপ্তার হন। গ্রেপ্তার অবস্থায় তাঁকে ছাত্রত্ব ফিরে পাওয়ার জন্য জরিমানা ও মুচলেকা দিতে বলা হয়।
তিনি মুচলেকা দিতে অস্বীকৃতি জানান।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এক্সিকিউটিভ কাউন্সিলের সিদ্ধান্তে শেখ মুজিবুর রহমানের বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রজীবনের পরিসমাপ্তি ঘটে।
এ সময় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ছিলেন অধ্যাপক সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন।
পরবর্তী সময় নিজ যোগ্যতায় শেখ মুজিবুর রহমান ছাত্রনেতা থেকে জাতীয় নেতায় পরিণত হন।
জাতীয় নেতা হয়ে গেলেও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে দূরত্ব তৈরি হয়নি।
এই বিশ্ববিদ্যালয়ের সব গণতান্ত্রিক ও যৌক্তিক আন্দোলন-সংগ্রামে তাঁর সংশ্লিষ্টতা ছিল।
আরও পড়ুনঃ
ফ্রী ফায়ার অ্যাডভান্স সার্ভার সম্পর্কে বিস্তারিত
বঙ্গবন্ধু ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে কোন বিভাগের ছাত্র ছিলেন FAQS
হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙ্গালী বঙ্গবন্ধু ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের ছাত্র ছিলেন।
কেন বঙ্গবন্ধুর ছাত্রত্ব বাতিল করা হয়েছিল।
3 মার্চ 1949 সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের তৃতীয় শ্রেণীর কর্মচারীরা ধর্মঘট শুরু করে তাদের দাবি আদায়ে। কর্মচারীদের এই ধর্মঘট কে সমর্থন জানিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্ররা তিনমাস সকল ধরনের ক্লাস বর্জন করে। এই ধর্মঘটে ভূমিকা রাখার কারণে বঙ্গবন্ধুর ছাত্রত্ব বাতিল করা হয়েছিল।
উপসংহার
প্রিয় পাঠকগণ আজকের এই আর্টিকেলে বঙ্গবন্ধু ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে কোন বিভাগের ছাত্র ছিলেন সে সকল বিষয়ে আপনাদের সাথে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে।
এবং বঙ্গবন্ধু কিভাবে নিজের রাজনীতি ক্যারিয়ার শুরু করেছিলেন সেখানে সংক্ষিপ্ত বর্ণনা প্রদান করা হয়েছে।
আশা করছি আজকের এই আর্টিকেলটি আপনাদের ভাল লেগেছে এবং আপনারা আজকেরে আর্টিকেল এর মাধ্যমে জানতে পেরেছেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কোন বিভাগের ছাত্র ছিলেন।
আপনাদের তবুও যদি এ বিষয়ে কোন প্রশ্ন বা মতামত থাকে তাহলে অবশ্যই আমাদেরকে কমেন্টের মাধ্যমে জানাবেন।
অনলাইন থেকে কিভাবে আপনারা ঘরে বসে টাকা আয় করতে পারেন সে সংক্রান্ত আর্টিকেল আমাদের ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা হয়েছে।
আপনারা চাইলে সে সকল আর্টিকেলগুলো পড়ে নিজেদের ক্যারিয়ার অনলাইন প্লাটফর্মে শুরু করতে পারেন।
সেই সাথে আমাদের ওয়েবসাইট এর সকল তথ্য আপনার ফেসবুক পেইজে পেতে ফলো করে রাখুন।
আরও পড়ুনঃ
হাতের লেখা সুন্দর করার কৌশল কি?
পৃথিবীর সবচেয়ে সুন্দর মানুষ কে ছিলেন?
আকাশ নীল দেখায় কেন? | নীল আকাশ সম্পর্কে বিস্তারিত জানুন
চোখের নিচে কালো দাগ কেন হয়? | কিভাবে দূর করবেন দাগ
ইতেকাফ কত প্রকার ও কি কি? ইসলামের বিধান জানুন
ডিজিটাল টাচ ফেসবুক পেইজ লাইক করে সাথে থাকুনঃ এই পেজ ভিজিট করুন ।
ডিজিটাল টাচ সাইটে বিজ্ঞাপন দিতে চাইলে যোগাযোগ করুনঃ এই লিংকে।
অনলাইনে টাকা ইনকাম সম্পর্কে জানতে ভিজিট করুনঃ www.digitaltuch.com সাইট ।