বিজিবি নামটি আপনারা সকলেই শুনেছেন হয়তো আজকের এই আর্টিকেলটি বিজিবি সাধারণ জ্ঞান সম্পর্কে আপনাদের সামনে উপস্থাপন করার জন্য গঠন করা হয়েছে। আজকের এই আর্টিকেলের মুখ্য উদ্দেশ্য হচ্ছে বিজিবি সম্পর্কে আপনাদেরকে সম্পূর্ণ সাধারণ জ্ঞান প্রদান করা।
আপনাদের মধ্যে অনেকেই এ বিষয়ে জানার জন্য আগ্রহ প্রকাশ করেছেন।
বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ এককথায় যাদের আমরা বিজিবি বলে থাকি এই বাহিনী বীরত্ব এবং ঐতিহ্যের নিজেদের কাজ করে যাচ্ছে।
বাংলাদেশের সীমান্ত সুরক্ষা, চোরাচালান প্রতিরোধ, নারী ও শিশু এবং মাদক পাচার প্রতিরোধ করার জন্য এই আধা সামরিক বাহিনীটি দিনরাত তাদের কাজ চালিয়ে যাচ্ছে।
তাদের নিজেদের জীবনের চাইতে দেশের এবং দেশের মানুষের প্রতি ভালোবাসা অধিকতর।
চলুন বিজিবি সম্পর্কে সাধারণ জ্ঞান গুলো জেনে নেয়া যাক।
Content Summary
বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ বিজিবি সাধারণ জ্ঞান – BGB General Knowledge
ইস্ট ইন্ডিয়া কম্পানি কর্তৃক ১৭৯৪ সালে গঠিত ‘ফ্রন্টিয়ার প্রটেকশন ফোর্স’ এর নাম পরিবর্তন করে ‘রামগড় লোকাল ব্যাটালিয়ন’ নামে এ বাহিনীটি যাত্রা শুরু করেছিল ২৯ জুন ১৭৯৫ সালে।
প্রতিষ্ঠার সময় এ বাহিনীর ৪৪৮ জন সদস্যের দুটি অনিয়মিত অশ্বারোহী দল ও চারটি কামান নিয়ে এর কার্যক্রম শুরু হয়েছিল।
২৫-২৬ ফেব্রুয়ারি ২০০৯ সালের সদর দপ্তর, পিলখানায় সংগঠিত বর্বরোচিত যে হত্যাকাণ্ড হয়েছিল।
সেখানে ৫৭ জন সেনা কর্মকর্তাসহ মোট ৭৪ জন নিহত হয়েছিল।
আরও পড়ুনঃ
লাহোর প্রস্তাবের মূল প্রতিপাদ্য বিষয় কি ছিল?
মর্মান্তিক সেই ঘটনার পর বাহিনীতে আবার পুনর্গঠন করার প্রয়োজন হয়।
বাংলাদেশ জাতীয় সংসদে ৮ ডিসেম্বর ২০১০ সালে “বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ আইন ২০১০” পাস করানো হয়।
পরবর্তীতে ২০ ডিসেম্বর থেকে সে আইন কার্যকর করা হয়।
বর্তমান বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২০২১ সালের ২৩ জানুয়ারি তারিখে বাহিনীর সদর দপ্তরে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ এর নতুন পতাকা আনুষ্ঠানিকভাবে উত্তোলন করেছিলেন।
এবং বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ এর সকল সেনা সদস্যের জন্য মনোগ্রাম উন্মোচিত মধ্য দিয়ে শুরু করেছিলেন এই বাহিনীর নতুন করে পথ চলা।
নতুন যে আইনটি গঠন করা হয়েছে এ আইনের আওতায় বাহিনীর সাংগঠনিক পুনর্গঠন কার্যক্রম বাস্তবায়ন হয়েছে।
এ বাহিনীটি বর্তমানে নানান সুবিধা এবং পরিপূর্ণ কার্যকরভাবে দায়িত্ব পালন করতে পারছে।
তাদের অবদান বর্তমান সময়ে খুবই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে বাংলাদেশের জন্য।
বিজিবি ‘সীমান্তের অতন্দ্র প্রহরী’ হিসেবে সীমান্ত সুরক্ষা, চোরাচালান প্রতিরোধ, নারী ও শিশু এবং মাদক পাচারসহ যে কোনও ধরণের সীমান্ত অপরাধ প্রতিরোধের পাশাপাশি অভ্যন্তরীণ শান্তি-শৃঙ্খলা রক্ষায় কাজ করে যাচ্ছে।
বিজিবি সম্পর্কে সাধারণ জ্ঞান ২০২৩
পোষ্টের এই পর্যায়ে আপনারা কি করে বিজেপি সম্পর্কে কিছু কমন সাধারণ জ্ঞান প্রশ্নের উত্তর জেনে নিন।
বিজিবি কত সালে প্রতিষ্ঠিত হয়?
বাংলাদেশ একটি সার্বভৌম রাষ্ট্র হিসাবে স্বাধীনতার পূর্ব থেকেই এই বাহিনীটি বাহিনী বাংলাদেশে ছিল। তবে বাংলাদেশের স্বাধীনতা অর্জনের পর ১৯৭২ সালে এর নাম হয় ‘বাংলাদেশ রাইফেলস’ (বিডিআর)।
তবে পরবর্তীতে ১৭৯৫ সালের ২৯ জুন বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের গোড়াপত্তন হয়েছিল এই বাহিনীটির। তাই বলা যায় বিজিবি প্রতিষ্ঠিত হয় ২৯ জুন ১৭৯৫ সালে।
বিজিবি সেক্টর কয়টি?
বর্তমানে বাংলাদেশ বর্ডার গার্ড বিজিবি বিজিবি সেক্টর সংখ্যা ১৬ টি। বিজিবি ১৬ টি সেক্টরের নাম হচ্ছে –
প্রশাসনিক সুবিধার্থে বিজিবিকে চারটি অঞ্চলে ভাগ করা হয়েছে। এ অঞ্চল গুলোর নামের তথ্য বিস্তারিত আমাদের হাতে এলে অবশ্যই আমরা আপনাদের জানাতে চেষ্টা করব।
বিজিবির স্লোগান কি?
বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ বিজিবির স্লোগান হচ্ছে সীমান্তের অতন্দ্র প্রহরী। বাংলাদেশের সীমান্ত রক্ষায় সদা প্রস্তুত বিজিবি।
বিজিবি প্রধান কে?
বর্তমান বিজিবি প্রধান হচ্ছেন মেজর জেনারেল এ কে এম নাজমুল হাসান। বিজিবি প্রধান Major General A K M Nazmul Hasan বিএএম, এনডিসি, পিএসসি ডিগ্রিধারী স্বনামধন্য খ্যাতি সম্পন্ন লোক।
বাংলাদেশ বর্ডার গার্ড বিজিবি প্রধান মেজর জেনারেল এ কে এম নাজমুল হাসান ০২ জানুয়ারি ১৯৬৯ সালে ফরিদপুর জেলায় জন্মগ্রহণ করেন।
তিনি ১৫ জুলাই ১৯৮৬ সালে ১৮তম বিএমএ দীর্ঘমেয়াদী কোর্সের সাথে বাংলাদেশ মিলিটারি একাডেমিতে যোগদান করেন।
পরবর্তীতে তিনি ২৪ জুন ১৯৮৮ সালে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর পদাতিক কোরে কমিশন লাভ করেন।
আশা করি এই পোষ্টের মাধ্যমে আপনি জানতে পেরেছেন বিজিবি সম্পর্কে সাধারণ জ্ঞান এবং বিজিবি প্রধান কে, বর্তমান বাংলাদেশ বিজিবির স্লোগান কি ও বিজিবি সেক্টর কয়টি।
আরও পড়ুনঃ
বাংলাদেশের মানুষের গড় আয়ু কত?
ফরাসি বিপ্লবের মূলমন্ত্র কি ছিল?
বিজিবি সম্পর্কে প্রশ্ন ও উত্তর FAQS
বাংলাদেশ সীমান্ত রক্ষী বাহিনীর বর্তমান নাম বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)।
বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবির) পূর্বনাম বাংলাদেশ রাইফেলস (বিডিআর)।
বাংলাদেশ রাইফেলসের পূর্বনাম রামগড় লোকাল ব্যাটালিয়ন।
বিজিবির সদর দপ্তর হচ্ছে পিলখানায়।
পিলখানা বিদ্রোহ সংঘটিত হয় ২৫ ফেব্রুয়ারি ২০০৯ সালে।
বিদ্রোহী বিডিআর জওয়ানরা আত্মসমর্পণ করে ২৬ ফেব্রুয়ারি ২০০৯ সালে।
বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ বিলে রাষ্ট্রপতি স্বাক্ষর করেন ২১ ডিসেম্বর ২০১০।
বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ দিবস পালিত হয় ২০ ডিসেম্বর।
উপসংহার
প্রিয় পাঠকগণ আজকের এই আর্টিকেলটি বিজিবি সাধারণ জ্ঞান সম্পর্কে আপনাদের সামনে উল্লেখ করা হয়েছে।
আশা করি আজকের এই আর্টিকেলটি আপনাদের ভাল লেগেছে।
এবং আপনারা বাংলাদেশ বিজিবি সম্পর্কে সম্পূর্ণ তথ্য আজকের এই আর্টিকেলের মাধ্যমে জানতে পেরেছে।
আরও পড়ুনঃ
আজকের সৌদি রিয়াল রেট বাংলাদেশ
যদিও আপনাদের কাছে সকল তথ্য আজকের এই আর্টিকেলের মাধ্যমে উপস্থাপন করা সম্ভব হয়নি।
তবুও আজকে যতটুকু আপনাদের সামনে উল্লেখ করা হয়েছে সে সকল বিষয়গুলো বিজিবি সাধারণ জ্ঞান হিসেবে আপনি কাজে লাগাতে পারেন।
আপনাদের যদি এই বিষয়ে কোন প্রশ্ন বা মতামত থাকে তাহলে অবশ্যই আমাদেরকে জানাতে পারেন।
আমরা আপনাদের সে সকল প্রশ্নের উত্তর কমেন্টের মাধ্যমে প্রদান করব।
অনলাইন থেকে ঘরে বসে টাকা আয়, ডিজিটাল মার্কেটিং, ফেসবুক মার্কেটিং, ফ্রিল্যান্সিং, ব্লগিং এর মত অনলাইন প্লাটফর্ম এ কিভাবে কাজ করবেন সে সম্পর্কে আমাদের ওয়েবসাইটে ইতিমধ্যে আর্টিকেল প্রকাশ করা হয়েছে।
সেসকল আর্টিকেলগুলো পরে আপনারা অনলাইন প্লাটফর্ম কে নিজেদের ক্যারিয়ার হিসেবে নিতে পারেন।
আমাদের ওয়েব সম্পর্কিত সকল আপডেট পাওয়ার জন্য চোখ রাখুন আমাদের ফেসবুক পেইজে।
ধন্যবাদ।
ডিজিটাল টাচ ফেসবুক পেইজ লাইক করে সাথে থাকুনঃ এই পেজ ভিজিট করুন ।
ডিজিটাল টাচ সাইটে বিজ্ঞাপন দিতে চাইলে যোগাযোগ করুনঃ এই লিংকে।
অনলাইনে টাকা ইনকাম সম্পর্কে জানতে ভিজিট করুনঃ www.digitaltuch.com সাইট ।