বঙ্গবন্ধুর জীবনী সম্পর্কে বক্তৃতা কিভাবে দিতে হয়?

প্রিয় পাঠকগণ আমাদের প্রিয় বাঙালি হাজার বছরের নেতা বঙ্গবন্ধুর জীবনী সম্পর্কে বক্তৃতা কিভাবে দিবেন সে বিষয় নিয়ে আজকের এই আর্টিকেলটি গঠন করা হয়েছে। আপনারা অনেকেই দারুণভাবে এ বিষয়টি জানার জন্য আগ্রহ প্রকাশ করেছেন। 

তাই আজকের এই আর্টিকেলটি হাজার বছরের নেতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জীবনী সম্পর্কে বক্তৃতা দেয়ার নিয়ম আপনারা খুব সহজেই জানতে পারবেন। প্রিয় পাঠকগণ বঙ্গবন্ধু সম্পর্কে আমরা সকলেই জানি। তিনি ছিলেন একজন মহান মনের মানুষ।  বাংলাদেশ আজকে এ পর্যন্ত এসে দাঁড়িয়েছে শুধুমাত্র তার হাত ধরেই।

বঙ্গবন্ধুর জীবনী সাধারণ জ্ঞান

তাকে নির্মমভাবে হত্যা করার পর আমাদের দেশ রত্ন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাত ধরে আজ বাংলাদেশ একটি উন্নত দেশ হিসেবে পৃথিবীর বুকে চির পরিচিত। বঙ্গবন্ধু কন্যা এবং বঙ্গবন্ধু প্রায় একই ধরনের মানুষ। তাদের মন সবসময় মানুষের জন্য কাঁদে। চলুন তাহলে কিভাবে আপনারা বঙ্গবন্ধুর জীবনী সম্পর্কে বক্তৃতা দিতে পারেন সে সম্পর্কে আলোচনা করা যাক।

বঙ্গবন্ধুর জীবনী সম্পর্কে বক্তৃতা দেয়ার নিয়ম 

বঙ্গবন্ধুর জীবনী সম্পর্কে বক্তৃতা দেয়ার নিয়ম
বঙ্গবন্ধুর জীবনী সম্পর্কে বক্তৃতা দেয়ার নিয়ম 

নিচে আপনাদের জন্য বক্তৃতাটি উল্লেখ করা হলোঃ

বক্তৃতাঃ

আসসালামু আলাইকুম,

সুধিবৃন্দ আজকে আমরা সকলে বঙ্গবন্ধুর স্মরণে এই সভায় একত্রিত হয়েছে। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সম্পর্কে আমরা যাই বলব তাই তার নামের পাশে ছোট হয়ে দাঁড়াবে। 

তিনি আমাদের বাঙালি জাতির জন্য পথ তৈরি করে দিয়েছেন। আজকে আমরা এই স্বাধীন সার্বভৌমত্ব দেশে বাস করছি শুধুমাত্র আমাদের সেই হাজার বছরের নেতার জন্যই। এই মানুষটির জন্ম না হলে হয়তো জন্ম নিত না এই বাংলা। 

শুধুমাত্র বাঙালির মুখে হাসি ফোটানোর জন্য নিজের সুখ বিসর্জন দিয়েছেন আমাদের প্রিয় নেতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান।

বাংলার মানুষ না খেলে তিনিও খেতে পারতেন না। বাঙালি জাতিকে মুক্ত করার জন্য যা কিছু প্রয়োজন ছিল তিনি তাই করেছেন।

আমাদের এই জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু সেই ছোটবেলায় টুঙ্গিপাড়াতে জন্মগ্রহণ করেছিলেন।তারপর থেকে তার বড় হওয়া রাজনীতির সাথে জড়িয়ে যাওয়া ছিল বাঙালি জাতির জন্য আশীর্বাদ।

বাঙালি জাতিকে রক্ষা করার জন্য তাকে বারবার হাজতবাস করতে হয়েছে। তবুও তিনি থেমে যাননি।  কোন ভয় তাকে স্পর্শ করতে পারেনি।

খুব অল্প বয়সেই পরিবারের দায়িত্ব নেয়া শুরু করেছিলেন আমাদের এই নেতা। মাত্র ১৪ বছর বয়সে বেরিবেরি রোগে আক্রান্ত হন তিনি। 

তারপর তার একটি চোখ কলকাতায় অপারেশন করানো হয়েছিল।

প্রায় চার বছর তার চক্ষু রোগের কারণে শিক্ষাজীবন ব্যাহত হয়।

তারপর থেকে তিনি আবার পুনরায় স্কুলে ভর্তি হন। ১৮ বছর বয়সে বঙ্গবন্ধু ও বেগম ফজিলাতুন্নেছা আনুষ্ঠানিক বিয়ে সম্পন্ন হয়।

তিনি তার জীবনে যত কিছুই করেছেন সবকিছুতেই বেগম ফজিলাতুন্নেসা অর্থাৎ আমাদের বঙ্গমাতা তাকে সহযোগিতা করেছেন।

বঙ্গবন্ধু বাঙালির স্বাধীনতা আদায়ের জন্য অনেক আন্দোলন করেছেন।

অত্যন্ত দুঃখের সাথে বলতে হচ্ছে আমাদের এই হাজার বছরের নেতা কে ১৯৭৫  সালে কিছু বিপথগামী সেনা সদস্যরা নির্মমভাবে হত্যা করেছে।

সেদিন শুধু তাকেই নয় তার সাথে শেষ করে দেওয়া হয়েছে তার পুরো পরিবারকে।

তাদের যেন কঠিন শাস্তি দেয়া হয় সেটি আমরা সকলে চাই।

আল্লাহ তায়ালা বঙ্গবন্ধুকে জান্নাত নসিব করুক। আমিন। 

এই বলে আমি আমার বক্তৃতা শেষ করছি। সকলে ভাল থাকবেন ধন্যবাদ।

আরও পড়ুনঃ

বঙ্গবন্ধুর প্রথম জীবনীকার কে?

১৫ আগস্ট জাতীয় শোক দিবস ব্যানার

জাতীয় শোক দিবসের সংক্ষিপ্ত বক্তব্য

বঙ্গবন্ধুর জীবনী সম্পর্কে বক্তৃতা FAQS

বঙ্গবন্ধুর জীবনী সম্পর্কে বক্তৃতা কিভাবে দিব?

জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সম্পর্কে বক্তৃতা দেওয়ার জন্য তার জীবনী সম্পর্কে পড়তে হবে এবং আপনাকে সে সম্পর্কে ভালোভাবে জানতে হবে। আমাদের আর্টিকেলে সংক্ষিপ্তভাবে কিভাবে আপনি তার জীবনী সম্পর্কে বক্তৃতা দিতে পারেন তা উল্লেখ করা হয়েছে।

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কোথায় জন্মগ্রহণ করেছিলেন?

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ফরিদপুর জেলার গোপালগঞ্জ মহকুমার (বর্তমানে জেলা) টুঙ্গিপাড়া গ্রামে এক সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে ১৯২০ সালের ১৭ মার্চ জন্মগ্রহণ করেন।

জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্ত্রীর নাম কি?

জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্ত্রীর নাম হল বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিব। আমরা যাকে বঙ্গমাতা হিসেবে চিনি।

উপসংহার 

সুপ্রিয়া পাঠকগণ আপনারা কিভাবে বঙ্গবন্ধুর জীবনী সম্পর্কে বক্তৃতা দিতে পারেন তা আপনাদেরকে উপরে দেখিয়ে দেয়া হয়েছে।

আপনারা চাইলে তার জীবনী সম্পর্কে আমাদের ওয়েবসাইট থেকে ভালোভাবে পড়ে সেখান থেকে আরও কিছু যোগ করে নিতে পারেন।

কেননা এ মানুষটির সম্পর্কে আমরা যতই বলব ততই কম হয়ে যাবে। 

কিন্তু বক্তব্য তো সংক্ষিপ্ত আকারে প্রদান করতে হয়। 

তাই আপনারা যতটুকু চেষ্টা করবেন আমাদের এই সংক্ষিপ্ত বক্তব্য টি তুলে ধরতে।

আপনাদের যদি এই বিষয়ে কোন প্রশ্ন বা মতামত থাকে তাহলে অবশ্যই আমাদেরকে কমেন্টের মাধ্যমে জানাতে পারেন। 

অনলাইন থেকে ঘরে বসে টাকা আয় এবং নানান ধরনের শিক্ষামূলক প্রয়োজনীয় আর্টিকেল গুলো পেতে আমাদের ওয়েবসাইটে ভিজিট করুন। 

আমাদের ওয়েব সাইট সম্পর্কিত সকল আপডেট পেতে চোখ রাখুন আমাদের ফেসবুক পেইজে

ধন্যবাদ।

কমদামে মিনিট, ইন্টারনেট ও বান্ডেল অফার কিনতে ভিজিট করুনঃ এখানে ক্লিক করুন
ডিজিটাল টাচ ফেসবুক পেইজ লাইক করে সাথে থাকুনঃ এই পেজ ভিজিট করুন
ডিজিটাল টাচ সাইটে বিজ্ঞাপন দিতে চাইলে যোগাযোগ করুনঃ এই লিংকে
অনলাইনে টাকা ইনকাম সম্পর্কে জানতে ভিজিট করুনঃ www.digitaltuch.com সাইট ।

আমি একজন ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী। বাংলা ভাষায় অনলাইন থেকে টাকা ইনকাম, টেলিকম অফার এবং মোবাইল ব্যাংকিং পরিষেবা সম্পর্কে সঠিক তথ্য প্রদানের জন্য এই ওয়েবসাইটটি তৈরি করা হয়েছে।

Leave a Comment