উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের সার্টিফিকেটের মূল্য কেমন এবং এই সার্টিফিকেট দিয়ে সরকারি কোন কোন চাকরি করা যাবে এই সম্পর্কে জানতে অনেক শিক্ষার্থী গুগল করে থাকেন। এই পোস্টে আমরা বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয় সার্টিফিকেট সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করব।
এই পোস্ট পড়লে আপনি জানতে পারবেন বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের সার্টিফিকেট কি স্বীকৃত? উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ে কারা পড়াশোনা করতে পারবেন এবং এই বিশ্ববিদ্যালয় কিভাবে ভর্তি হওয়া যায় এই সম্পর্কে জানতে লোকেদের আগ্রহের কমতি নেই।
উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ার ক্ষেত্রে বয়সের কোন বাধা নেই যে কোন বয়সের মানুষই উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র হতে পারেন। তাই অনেকের মনেই প্রশ্ন জাগে উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পড়ালেখা করে আমি যদি একটি সার্টিফিকেট অর্জন করতে পারি তবে সার্টিফিকেট দিয়ে আমি কি কি করতে পারব।
এছাড়াও বাংলাদেশের সরকারি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থী ও উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয় বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ডিগ্রী অর্জন করা শিক্ষার্থীদের মধ্যে উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের সার্টিফিকেট মূল্য নিয়ে অনেক তর্ক বিতর্ক হয়।
Content Summary
উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের সার্টিফিকেটের মূল্য কেমন?
চাকরির ক্ষেত্রে বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয় সার্টিফিকেটের মূল্য এবং সরকারি ও বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় সার্টিফিকেটের মূল্য প্রায়ই সমান। তবে কিছু কিছু চাকরির ক্ষেত্রে উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পাশ করা সার্টিফিকেটের কম অগ্রাধিকার দেয়া হয়।
তাই বুঝতে পারছেন বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের সার্টিফিকেটের মূল্য সরকারী এবং বেসরকারী বিশ্ববিদ্যালয়ের সার্টিফিকেট থেকে থেকে একধাপ পিছিয়ে আছে। কেননা রানিং শিক্ষার্থীদের কে চাকরির ক্ষেত্রে কিছুটা হলেও বেশি অগ্রাধিকার দেওয়া হয়।
তবে আপনার কাছে যদি দক্ষতা ও অভিজ্ঞতা থাকে তবে আপনি বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয় সার্টিফিকেট দিয়ে একজন রানিং সরকারি বেসরকারি কলেজ থেকে সার্টিফিকেট অর্জন করা স্টুডেন্টদের চেয়ে দ্রুত চাকরি পেতে পারেন।
যোগ্যতা অনুযায়ী আপনি চাকুরীতে নিয়োগ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষদ্বারা নিয়োগ পাবেন, এক্ষেত্রে আপনি কোন বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পাশ করেছেন সে বিষয়ে কোম্পানিগুলো খুব বেশি চিন্তা করে না।
আপনার কর্মদক্ষতা থাকলে অবশ্যই আপনাকে অগ্রাধিকার দেয়া হবে। তাই আপনি একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সার্টিফিকেট অর্জন করে এর মূল্যবান কি এ নিয়ে চিন্তিত না হয়ে নিজের পড়াশোনা চালিয়ে যান।
আরও পড়ুনঃ
ভিটামিন এ জাতীয় খাবার গুলো কি কি?
বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের সার্টিফিকেটের মূল্য কেমন?
নানা সমস্যার কারণে পড়ালেখা বন্ধ করে দেওয়া শিক্ষার্থীরা জানতে চান বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের সার্টিফিকেটের মান কেমন?
উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পড়াশোনা করে সার্টিফিকেট নিয়ে কি আমি সরকারি চাকরি পাব?
প্রকৃতপক্ষে সত্যি কথা হলো বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের সার্টিফিকেটের মান সাধারণ সরকারের বিশ্ববিদ্যালয়ের চেয়ে একটু কম। তবে চাকরির বাজারে উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয় থেকে প্রাপ্ত সার্টিফিকেটের মূল্য কোন অংশেই কম নয়।
আরও পড়ুনঃ
নবীন বরণ অনুষ্ঠানের স্বাগত বক্তব্য কিভাবে দিবেন
তাই আপনারা নিশ্চয়ই বুঝতে পেরেছেন বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের সার্টিফিকেট নিয়েও আপনি যেকোন সরকারি কিংবা বেসরকারি চাকরি করতে পারবেন অনায়াসে।
আপনাদের ধারণা আরো পরিষ্কার করার জন্য বলছি, কোন প্রতিষ্ঠানে আপনি যখন চাকরির জন্য আবেদন করবেন তখন আপনার সার্টিফিকেট এর চেয়ে আপনার অভিজ্ঞতা এবং আপনার পরীক্ষার ইন্টারভিউ আপনি কি রকম নম্বর পেয়েছেন সে বিষয়ে পরীক্ষা করবে।
আপনি যদি ভাল ইন্টারভিউ দিতে পারেন তাহলে অবশ্যই আপনার চাকরি হয়ে যাবে উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের সার্টিফিকেট ব্যবহার করেই।
আরও পড়ুনঃ
ই পাসপোর্ট কত দিনে পাওয়া যায়
বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের কিছু পরিসংখ্যান দেখে নিন –
একুশে অক্টোবর ১৯৯২ সালে বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয় একটি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে যাত্রা শুরু করে।
সর্বশেষ ২০২০ সালের হিসাব অনুযায়ী বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা করছে ৯৬৫৮৩৮ জন ছাত্রছাত্রী।
চ্যান্সেলর | মহামান্য রাষ্ট্রপতি মোঃ আব্দুল হামিদ |
আঞ্চলিক কেন্দ্র | ১২ টি |
উপ-আঞ্চলিক কেন্দ্র | ৮০ টি |
অধ্যয়ন কেন্দ্র | ১৫৫০ টি |
আরও পড়ুনঃ
বর্তমানে বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের চ্যান্সেলর হিসাবে দায়িত্বে আছেন গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের মহামান্য রাষ্ট্রপতি মোঃ আব্দুল হামিদ।
বর্তমান উপাচার্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন সৈয়দ হুমায়ুন আক্তার প্রফেরস ড, প্রো-ভাইস-চ্যান্সেলর (প্রশাসন)- প্রফেসর ড. নাসিম বানু, প্রো-ভাইস-চ্যান্সেলর (একাডেমিক)- মাহবুবা নাসরীন প্রফেসর।
আরও পড়ুনঃ
FAQS
হাঁ বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয় সার্টিফিকেট বাংলাদেশ সরকার কর্তৃক স্বীকৃত। উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয় সার্টিফিকেট ব্যবহার করে আপনি সরকারি বেসরকারি যে কোন চাকরির জন্য আবেদন করতে পারবেন।
যোগ্য প্রার্থীকে উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের বিতরণকৃত আবেদনপত্রের মাধ্যমে আবেদন করতে হবে এই বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তির জন্য। আবেদনকারী ঢাকা থেকে ভর্তি হতে পারে। অফিস চলাকালীন যেকোনো স্টাডি সেন্টার থেকে 100 টাকা আবেদন ফি জমা দিয়ে উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তির আবেদন ফরম সংগ্রহ করতে পারবে।
অভিজ্ঞতা থাকলে এবং ইন্তারভিউ ভালো হলে আপনি বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের সার্টিফিকেট দিয়ে সরকারি ও বেসরকারি যেকোন চাকরি করা যাবে।
উপসংহার,
আশা করি আপনি বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয় সার্টিফিকেট মূল্য সম্পর্কে জানতে পেরেছেন।
এই পোষ্টের মাধ্যমে আমরা আপনাদেরকে বুঝানোর চেষ্টা করেছি যে উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয় থেকে প্রাপ্ত সার্টিফিকেটের মূল্য বাংলাদেশের সরকারি বেসরকারি বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে কিছুটা কম হলেও চাকরির ক্ষেত্রে এটির মূল্য কোন অংশেই কম নয়।
যেহেতু চাকরির ক্ষেত্রে আপনার অভিজ্ঞতার বিষয়টিও অনেক কোম্পানিতে লক্ষ্য করা হয় এক্ষেত্রে অভিজ্ঞ ব্যক্তিদের বেশি প্রাধান্য দেয়া হয়।
বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয় সম্পর্কে আরো জানতে অবশ্যই আমাদের কমেন্ট করে জানান।
পড়াশোনা ইন্টারনেট থেকে টাকা ইনকাম ব্যবসা-বাণিজ্য ও ইন্টারনেট দুনিয়র খবরা-খবর সবার আগে জানতে নিয়মিত ভিজিট করুন ডিজিটাল টাচ অফিসিয়াল ওয়েবসাইট।
শিক্ষা, ব্যবসা সম্পর্কে সঠিক আপডেট সবার আগে পেতে নিয়মিত ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট।
এবং জয়েন করুন আমাদের ফেসবুক পেজ।
ডিজিটাল টাচ ফেসবুক পেইজ লাইক করে সাথে থাকুনঃ এই পেজ ভিজিট করুন ।
ডিজিটাল টাচ সাইটে বিজ্ঞাপন দিতে চাইলে যোগাযোগ করুনঃ এই লিংকে।
অনলাইনে টাকা ইনকাম সম্পর্কে জানতে ভিজিট করুনঃ www.digitaltuch.com সাইট ।
আসসালামু আলাইকুম, আমি এস এস সি জেনারেল লাইনে উত্তির্ন হয়েছি, এখন বি এম টি শাখায় দ্বাদশে পড়ি,,এইচ এস সি এর পরে পরিকল্পনা অটোমোবাইল মেইনটেইন্স/ গাড়ির ইঞ্জিনের কাজ শেখা, পাশাপাশি পড়াশোনা চালিয়ে যাওয়া। এখন আমি কি উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ব নাকি ন্যাশনালে পড়ব,, আর কোন বিষয় নিয়ে পড়লে সবচেয়ে ভালো হয়। আপনাদের পরামর্শ চাই