প্রিয় পাঠকগণ ১৬ ডিসেম্বর উপলক্ষে কবিতা পড়ার জন্য আপনারা অনেকে গুগলের মাধ্যমে সার্চ করে থাকেন। মূলত বিজয় দিবসের অনুষ্ঠান গুলো নানা সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়ে থাকে। সেখানে সবচেয়ে বেশি প্রচলিত হয় সেটি হচ্ছে কবিতা আবৃত্তি।
আমাদের বিজয় দিবস সম্পর্কে এখনো পর্যন্ত অনেক কবিতা রয়েছে। তবে আজকের এই আর্টিকেলে আপনাদেরকে আমরা বিশেষ কিছু কবিতা উল্লেখ করতে চলেছি যেগুলো আপনারা বিজয় দিবসের অনুষ্ঠানে আবৃত্তি করতে পারবেন।
তাই গুরুত্বপূর্ণ কবিতাগুলো আজকের এই আর্টিকেল থেকে পেতে অবশ্যই আজকের এই আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে শেষ পর্যন্ত পড়ুন।
Content Summary
16 ডিসেম্বর কবিতা – 16 December Er Kobita – ১৬ ডিসেম্বর কি দিবস
১৬ ডিসেম্বর হচ্ছে বাংলাদেশের মহান বিজয় দিবস। স্বাধীনতার জন্য এতো পরিমাণে রক্ত দেয়নি বিশ্বের কোন জাতি।
তাই আসুন দেশকে ভালোবাসি ও দেশের মানুষকে ভালোবাসি। অন্যকে দোষ না দিয়ে নিঃস্বার্থভাবে দেশ ও দেশের মানুষকে ভালোবাসতে শুরু করি এবং করুন।তবেই আমরা একটি উন্নত বাংলাদেশ গড়তে পারবো।
16 ডিসেম্বর কবিতা
১৬ই ডিসেম্বর এর অন্যতম একটি গুরুত্বপূর্ণ কবিতা হচ্ছে “বিজয় দিবস”। এই কবিতাটা আপনারা যে কোন বিজয় দিবসের অনুষ্ঠানে খুবই সুন্দরভাবে আবৃত্তি করতে পারবেন।
বিজয় দিবস
( মাশায়েখ হাসান )
==================
৭১’এর এই দেশেতে
হানাদার হানা দেয়।
দেশকে স্বাধীন করতে বাঙ্গালী
অস্ত্র তুলে নেয়।
৭১’এর এই দিনেতে
হয় সীমাহীন যুদ্ধ।
যার কাহিনী শুনলে মোদের
শ্বাস হয়ে যায় রুদ্ধ।
৩০ লক্ষ শহীদ আর
মা-বোনের বিনিময়।
স্বাধীন বাংলাদেশ এর ঘটে
উদার অভ্যূদয়।
বিজয় দিবসের আরও একটি গুরুত্বপূর্ণ কবিতা হচ্ছে “বিজয়ের দিন”।
বিজয়ের দিন
( তাসনিয়া আহমেদ )
==================
বাংলাদেশে পাক-শাসনের আসন যেদিন টলে,
সেদিনটাকে আজকে সবাই ‘বিজয় দিবস’ বলে।
বিজয় কিন্তু অনেক দামী; সহজলভ্য নয়।
মুক্তিসেনা বিজয় আনে জয় করে সব ভয়।
লাল সবুজের পতাকাটার আজকে খুঁটি শক্ত;
আনতে সেটা,বীর সেনারা দিয়েছিলো রক্ত।
বাংলা মায়ের বীর ছেলেরা ভয় পায়না মোটে।
তাদের ত্যাগে মোদের মুখে বিজয় স্লোগান ফোটে।
বিজয় দিবস রক্তে ধোয়া,বীর শহীদের স্মৃতি।
জয় নিয়েই আজকে লেখা-কবিতা আর গীতি।
বিজয় মাখা ফুলে-পাতায়,বিজয় সবুজ ঘাসে।
বছর ঘুরে এদিন যেন বারে বারে আসে!
আরও পড়ুনঃ
১৬ ডিসেম্বর নিয়ে কবিতা – 16 December Poem
দেখুন ১৬ ই ডিসেম্বর
শাহ্ আলম শেখ শান্ত
==================
বিজয় হয়েছে আজ লাল ও সবুজের
জান দিতে হয়েছে লক্ষ বুঝ অবুঝের
হয়েছে স্বাধীন আজ এই সোনার বাংলাদেশ
সুজলা-সুফলা সোনালী ক্ষেতের সমাবেশ ।
প্লাবিত হয়েছে এদেশ আজ বিজয় উল্লাসে
প্রিয়জন হারা অসহ্য শোক ভুলে গেছে হেসে
বুঝেছে দারুণ অত্যাচারী এজাতি নয় ক্ষীণ
অন্যায় রুখতে সজ্জিত থাকে নিশিদিন ।
নতশিরে করে না আপোশ অত্যাচারির ঠেস
রক্ত দিয়ে যতনে গড়েছি সোনার বাংলাদেশ
জলন্ত প্রমাণ তার ১৬ ই ডিসেম্বর
ক্ষমার মঞ্চেও হানাদার কেঁপেছিল থত্থর !
অন্যায়ের গলা টিপে ধরি ভয়কে করি জয়
অক্ষয় ইতিহাস ধরার বুকে বাঙালির পরিচয়
এদিনেই লিখেছি ধরার বুকে রক্ত দিয়ে বিজয় গাঁথা
চিনে গেছে বিশ্বজাতি বাঙালিদের উঁচুমাথা ।
এছাড়াও আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ কবিতা হচ্ছে “বিজয় আমার”।
এই কবিতাগুলো আপনারা যে কোন বিজয় দিবস উপলক্ষে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে আবৃত্তি করতে পারবেন।
বিজয় আমার
(এ কে আজাদ)
==================
বিজয় আমার
পতাকার রং
মানচিত্রের রেখা,
বিজয় আমার
আনন্দ ঘন
ভিটে-মাটি ফিরে দেখা।
বিজয় আমার
স্মৃতির মিনার
সৌধ চূড়ার গান,
বিজয় আমার
স্বাধীন দেশের
সুখভরা অফুরান।
১৬ ডিসেম্বর মহান বিজয় দিবসের কবিতা – 16 December Er Boktobbo ও Kobita
বাংলাদেশের মহান বিজয় দিবস এমন একটি দিন যেটি বাঙালির ইতিহাসে আজীবন থাকবে।
স্বাধীনতার পর থেকে এখন পর্যন্ত ৫০ বছর হয়ে গেছে বাংলাদেশের।
প্রতিটি বছরেই বাংলাদেশে মহান বিজয় দিবস পালন করা হচ্ছে।
বিজয় দিবসের দিনে বিভিন্ন জায়গায় বিভিন্ন অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়ে থাকে।
সেসকল অনুষ্ঠানগুলোতে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান এবং নানান ধরনের দেশাত্মবোধক আয়োজন থাকে।
এ আয়োজন গুলোর মধ্যে অন্যতম হচ্ছে কবিতা আবৃত্তি এবং স্বাধীনতা সংগীত গাওয়া।
আজকের এই আর্টিকেলে আপনাদেরকে বিশেষ কিছু কবিতা প্রদান করা হয়েছে এবং আরো কিছু কবিতা নিচে রয়েছে।
আপনারা চাইলেই সকল কবিতা গুলো আপনাদের আনুষ্ঠানিক ভাবে আবৃত্তি করতে পারেন।
স্বাধীনতা তুমি
কাজী আবুল কাসেম রতন
==================
স্বাধীনতা তুমি
বাংলা দেশের
বাংলা মায়ের
শুভেচ্ছা।
স্বাধীনতা তুমি
দাদুর মুখে
রূপকথারই
সু-কিচ্ছা
স্বাধীনতা তুমি
সূর্যে ভাষা
রক্তিম হেম।
স্বাধীনতা তুমি
মুক্তি সেনার
মুক্ত প্রেম।
স্বাধীনতা তুমি
উড়ে যাওয়া,
স্বাধীন পাখির
প্রত্যাশা।
স্বাধীনতা তুমি
প্রিয় জনতার
প্রেম প্রীতি জয়
ভালবাসা।
আলো ও আঁধার
ফরিদ আহমদ ফরাজী
==================
আঁধার আলো মিশলেই কালো
আলো শুধুই আলো
আঁধারে কে থাকতে চায়?
আলোর প্রদীপ জ্বালো।
হালাল হারাম মিললেই হারাম
এ হালাল শুধুই হালাল
হালাল কে পছন্দ করেন
আল্লাহ জাল্লি-জালাল।
আরও পড়ুনঃ
১৬ ডিসেম্বর ২০২২ কততম বিজয় দিবস?
বিজয় দিবসের কবিতা আবৃতি কিভাবে করবেন?
১৬ ডিসেম্বর উপলক্ষে কবিতা -16 December Victory Day Poem
বিজয় দিবসের সময় বাংলাদেশের বিভিন্ন জায়গায় অনুষ্ঠান হয়ে থাকে। এবং সেই অনুষ্ঠানে অনেকেই কবিতা আবৃত্তি করে থাকেন।
১৬ ডিসেম্বর হচ্ছে বাংলাদেশের মহান বিজয় দিবস। ১৯৭১ সালের এই দিনে বাংলাদেশ স্বাধীনতা লাভ করে।
১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর ছিল বৃহস্পতিবার।
১৬ ই ডিসেম্বর ১৯৭১ বাংলাদেশের মহান বিজয় দিবস। ১৯৭১ সালের এই দিনে আত্মসমর্পণ করে পাকিস্তানি সেনাবাহিনী এবং পৃথিবীতে বাংলাদেশ নামে একটি নতুন রাষ্ট্রের সৃষ্টি হয়।
১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর আত্মসমর্পণ দলিলের নাম ছিল “INSTRUMENT OF SURRENDER”।
উপসংহার
সুপ্রিয় পাঠকবৃন্দ ১৬ ডিসেম্বর উপলক্ষে কবিতা সম্পর্কে আপনারা অনেকেই জানতে চেয়েছেন।
আজকের এই আর্টিকেলের মহান বিজয় দিবসের কিছু কবিতা আপনাদের সামনে উল্লেখ করা হয়েছে।
আশা করছি আজকের আর্টিকেলটি আপনাদের ভালো লাগবে এবং আপনারা আজকের এই আর্টিকেল থেকে বিজয় দিবস সম্পর্কে কবিতাগুলো বিস্তারিত পাবেন।
তবুও আপনাদের আজকের এই আর্টিকেল সংক্রান্ত করে পড়াশোনা কর মত আমার থাকে তাহলে অবশ্যই আমাদের কমেন্টের মাধ্যমে জানান।
আপনারা যারা অনলাইন থেকে ঘরে বসে আয় করতে ইচ্ছুক তাদের জন্য আমাদের ওয়েবসাইটে এই সংক্রান্ত আর্টিকেল রয়েছে।
তাই আপনারা অবশ্যই ভিজিট করুন আমাদের ওয়ের সাইট এবং চোখ রাখুন আমাদের ফেসবুক পেইজে।
ডিজিটাল টাচ ফেসবুক পেইজ লাইক করে সাথে থাকুনঃ এই পেজ ভিজিট করুন ।
ডিজিটাল টাচ সাইটে বিজ্ঞাপন দিতে চাইলে যোগাযোগ করুনঃ এই লিংকে।
অনলাইনে টাকা ইনকাম সম্পর্কে জানতে ভিজিট করুনঃ www.digitaltuch.com সাইট ।