বাংলাদেশের জাতীয় শোক দিবস হচ্ছে ১৫ ই আগস্ট। আসন্ন ১৫ আগস্ট সম্পর্কে বক্তৃতা নিয়ে আপনাদের কাছে চলে এলাম। এই নিবন্ধে আমরা আপনাদের ১৫ আগস্ট জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে ভাষণ, বক্তৃতা ও কবিতা শেয়ার করবো। শোকাবহ আগস্ট সমগ্র বাঙালি জাতির জন্য খুবই কলঙ্কময় একটি মাস। আপনি যাতে 15 আগস্ট জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে সঠিক বক্তৃতা প্রদান করতে পারেন সেই লক্ষ্যের সহজ ভাষায় এই পোস্টে ১৫ ই আগস্ট এর বক্তৃতা প্রদান করা হলো।
একজন স্বাধীন ও সার্বভৌম দেশের নাগরিক হিসেবে ১৫ আগস্ট ঘটে যাওয়া হত্যাকাণ্ডের তীব্র নিন্দা জানাই। এই ব্লগ পোস্ট ভালোভাবে পড়লে ১৫ ই আগস্ট এর বক্তব্য বা ১৫ ই আগস্ট এর ভাষণ কিভাবে দিতে হয় সেই বিষয়ে বিস্তারিত জানতে পাবেন।
হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি যার জন্ম না হলে বাংলাদেশ সৃষ্টি হতো না, ১৫ আগস্ট রাতে এই মহান বাঙালি নেতাকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়েছে। ১৫ ই আগস্ট এর বক্তব্য বা ১৫ ই আগস্ট এর ভাষণ এ আপনি কিভাবে সহজ ভাষায় এই দিনটিকে উপস্থিত বক্তৃতায় পেশ করবেন সেই সম্পর্কে জানবেন এখানে।
Content Summary
১৫ ই আগস্ট সম্পর্কে বক্তৃতা – ১৫ আগস্ট জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে ভাষণ
15 আগস্ট সম্পর্কে বক্তৃতা, ভাষণ আপনি তখনি সঠিকভাবে উপস্থাপন করতে পারবেন যখন আপনি ঐ দিনের পুরো ঘটনা প্রবাহ সম্পর্কে সঠিক ধারণা রাখবেন।
শোকের মাস আগস্ট সম্পর্কে বাংলাদেশের প্রতিটি রাজনীতিবিদের এই কমবেশি জানা রয়েছে। বিশেষ করে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ নেতৃবৃন্দদের জন্য এই দিনটি খুবই দুঃখজনক ও বেদনাদায়ক।
১৫ আগস্ট ইতিহাসের এই দিনে
১৫ আগস্ট ইতিহাসের এই দিনে অনেক ঘটনাই ঘটেছে তবে বাংলাদেশের ইতিহাসের সবচেয়ে কালো দিন হিসেবে পালন করা হয় ১৫ ই আগস্টকে।
বাংলাদেশ আওয়ামী লীগকে বাংলাদেশ থেকে চিরতরে মুছে ফেলতে একটি নয়, দুটি ঘটনা ঘটেছে আগস্ট মাসে। তাই 15 আগস্ট বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের জন্য খুবই বেদনাদায়ক একটি দিন।
শোকাবহ আগস্ট কি?
শোকাবহ আগস্ট হলো বাঙালি জাতির জন্য খুবই কলঙ্কময় একটি মাস। এই মাসে স্বাধীন বাংলাদেশের স্থপতি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে হত্যা করা হয়েছিল।
১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে ধানমন্ডির 32 নম্বর বাড়িতে সপরিবারে হত্যা করা হয়। বাঙালি জাতিকে নেতা ও মেধাশূন্য করার প্রয়াস বরাবরই করছিল শত্রুপক্ষ।
দ্বিতীয় ঘটনাটি ঘটেছে ২০০৪ সালের ২১ শে আগস্ট আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে বর্তমান প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার সমাবেশে গ্রেনেড হামলার মাধ্যমে। সেদিন বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রাণে বেঁচে যান, তবে আওয়ামী লীগের ৩১ জন বিশিষ্ট নেতাকর্মী নিহত হন আহত হন আরো শত শত নেতা কর্মী।
১৫ আগস্ট সম্পর্কে উপস্থিত বক্তৃতা – ১৫ আগস্ট জাতীয় শোক দিবস এর বক্তব্য
রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দদেরকে ১৫ ই আগস্ট সম্পর্কে উপস্থিত বক্তৃতা দিতে হয় অনেক বেশি। কিন্তু অনেক রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ 15 আগস্ট জাতীয় শোক দিবস ভাষণ দিতে গিয়ে ১৫ ই আগস্ট এর মূল কথাগুলোই তুলে ধরতেই ভুলে যান। তাই ১৫ই আগস্ট উপলক্ষে উপস্থিত বক্তৃতা ভাষণ হিসেবে কিভাবে সুন্দর ভাবে উপস্থাপন করবেন এই সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নিন এখনই।
১৫ আগস্ট সম্পর্কে বক্তৃতা নমুনা – ১
উপস্থিত প্রধান অতিথি, আমন্ত্রিত সকল অতিথিবৃন্দ এবং উপস্থিত সুধিবৃন্দ আসসালামুয়ালাইকুম। সর্বপ্রথম কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি মহান আল্লাহ তায়ালার দরবারে যিনি আমাকে আপনাদের সামনে যথাসময়ে কিছু কথা বলার উপযুক্ত সুযোগ দিয়েছেন। সেই সাথে আরো কৃতজ্ঞতা জানাই এই মহান অনুষ্ঠানের উদ্যোক্তাদেরকে যাদের অক্লান্ত পরিশ্রমে আজকের এই অনুষ্ঠান আয়োজিত হচ্ছে এবং আমাকে এই মহতি অনুষ্ঠান ১৫ ই আগস্ট সম্পর্কে বক্তব্য প্রদান করার সুযোগ করে দিয়েছেন।
সেই সাথে উপস্থিত সকলকে দুঃখ ভারাক্রান্ত মন থেকে জানাতে চাই আজকে যে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করতে যাচ্ছি তা খুবই মর্মান্তিক এবং হৃদয় বিদারক একটি ঘটনা। সমগ্র বিশ্বে এমন ঘটনা খুবই বিরল। কেননা যিনি একটি দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বের জন্য নিজের জীবনের অর্ধেক সময় জেলে কাটিয়েছেন তাকেই সপরিবারে হত্যা করা হলো সেই দেশে।
যা কিনা বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে এবং বিশ্ব রাজনীতির ইতিহাসে সবচেয়ে জঘন্যতম ও নিস্রংস একটি ঘটনা। আপনারা এতক্ষণে নিশ্চয়ই বুঝতে পেরেছেন আজকের এই শোকাবহ দিনে আমি কোন বিষয় নিয়ে কথা বলতে যাচ্ছি।
প্রিয় সুধীবৃন্দ,
হ্যাঁ আমি কথা বলতে চাচ্ছি ১৫ ই আগস্ট জাতীয় শোক দিবস নিয়ে। বাংলার ইতিহাসে ১৫ ই দিবস একটি কালো অধ্যায়। শুধু ১৫ই আগস্ট নয় আরো একটি কারণে আগস্ট মাস বাঙালি হৃদয়ের রক্তক্ষরণ ঘটায় প্রতিবছর।
আসলে ১৫ ই আগস্ট সম্পর্কে বক্তৃতা প্রদান করে সেই দিনের ভয়াবহ তাকে ভাষায় প্রকাশ করা খুবই দুষ্কর ব্যাপার এবং কেননা এই দিনের জঘন্য ঘটনাগুলো বর্ণনা করতে গেলে আজও যেকোনো দেশ প্রেমিক গা শিউরে ওঠে। আমি একজন সাধারণ ক্ষুদ্র মানুষ আমি তো এর বর্ণনা করার মত যথার্থ যোগ্যতা রাখি না। তথাপিও আপনাদের সামনে আজকের দিন ১৫ ই আগস্ট জাতীয় শোক দিবস অনুষ্ঠানে শোকাবহ এই দিন সম্পর্কে কিছু আলোচনা করতে চাই।
১৯৭৫ সালের ১৫ ই আগস্ট বাঙালি জাতির সুযোগ্য সন্তান এবং হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সহ তার পরিবারের সকল সদস্যদের কে বিপথগামী কিছু সেনা সদস্য নিঃসংশ ভাবে হত্যা করে। শুধু তাই নয় হত্যাকারীরা এতটা নির্দয় ছিল যে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সর্ব কনিষ্ঠ সন্তান শেখ রাসেল তারা হত্যা করে ফেলেছে।
ঘাতকরা এতটাই বিপথগামী ছিল যে আট বছরের একজন সত্য শিশুকেও গুলি করতে দ্বিধা করেনি, নরপশুরা কতটা নির্দয় নির্মম হলে একজন শিশুকে পর্যন্ত হত্যা করতে পারে তা কল্পনাতীত!
তারা ১৫ ই আগস্ট ১৯৭৫ সালে শেখ মুজিবুর রহমান ও তার পরিবারের সকল সদস্যকে হত্যা করার মাধ্যমে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগকে চিরতরে মুছে ফেলতে চেয়েছিল। সেই সাথে বাংলাদেশে বিশৃংখল পরিবেশে তৈরি করে এই দেশকে আরও পাকিস্তান বানানোর চেষ্টা করে।
অস্থিতিশীল পরিস্থিতিতে যারা ক্ষমতা দখল করে নেয়, তারাও দেশকে সঠিকভাবে পরিচালনা করতে পারেনি। এরপরে বিভিন্ন প্রেক্ষাপটে বাংলাদেশে টালমাটাল অবস্থা বিরাজ করতে থাকে। এবং ইতিহাসের জঘন্যতম হত্যাকাণ্ড বঙ্গবন্ধু ও তার পরিবারের হত্যাকান্ডের ব্যাপারটি রাজনৈতিকভাবে দমিয়ে রাখা হয়।
প্রিয় সুধীবৃন্দ ১৫ই আগস্ট সম্পর্কে আপনাদের আরো জানাতে চাই
তৎকালীন সরকার, যারা বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যা করার পরিকল্পনা করে এবং সফলভাবে তার সম্পন্ন করে তাদেরকে সরকারি উচ্চ প্রদস্থ পদে ও বিদেশী দূতাবাসগুলোতে চাকরি প্রদান করে। এছাড়াও ১৫ই আগস্টের মত ইতিহাসে জঘন্যতম হত্যাকাণ্ডের জন্য তাদের সাধারণ গণ ঘোষণা করা হয় এবং এই হত্যাকাণ্ডের সাথে জড়িত অনেকের নাম নথি থেকে মুছে ফেলা হয়।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সুযোগ্য দুই কন্যা জননেত্রী ও জনদরদি বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও শেখ রেহেনা অধ্যয়নরত অবস্থায় লন্ডনে থাকার কারণে সে যাত্রায় বেঁচে যান। তাদের সুযোগ্য নেতৃত্বের কারণে ৩৫ বছর পরে হলেও বঙ্গবন্ধু হত্যার বিচার সম্পন্ন হয় সোনার বাংলাদেশ। অর্থাৎ বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় আসার পর বঙ্গবন্ধুর হত্যাকারীদের বিচার সম্পন্ন করার মাধ্যমে এদেশে আইনের প্রতিষ্ঠা করে।
যিনি মাতৃভূমির জন্য কেঁদেছেন, কারাবরণ করেছেন, তার অসীম নেতৃত্বগুনে সমগ্র জাতিকে একত্রিত করে স্বাধীনতার জন্য উদ্বুদ্ধ করেছেন, সমগ্র জাতিকে একত্রিত করে দেশকে স্বাধীন করেছেন।
সেই মহানায়ককে কেন স্বাধীন বাংলাদেশে এমন নির্মমভাবে হত্যা করা হলো! এটি বাঙালি জাতির জন্য খুবই লজ্জার এই দেশের জন্য লজ্জার এবং চিরদিন বাঙালি জাতির কলঙ্কময় অধ্যায় হয়ে থাকবে এই দিনটি।
যাইহোক অশুভ শক্তিকে পরাজিত করে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সুযোগ্য কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাংলাদেশকে আবারো সঠিক পথে নিয়ে যাচ্ছেন।
আরো একবার অন্তরের অন্তস্থল থেকে আমি নিজে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্য দোয়া করছি আপনারাও সবাই দোয়া করবেন যেন আল্লাহ তায়ালা তাকে জান্নাতের উঁচু মকাম দান করেন।
জিনি দেখে ছিলেন ডিজিটাল বাংলাদেশের স্বপ্ন
যাই হোক আজকের এই দিনে আরো একবার স্মরণ করতে চাই বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে, যিনি ডিজিটাল বাংলাদেশের স্বপ্ন দেখেছিলেন।
বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ যে ঐক্য নিয়ে মাঠে কাজ করছে এবং ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে এগিয়ে যাচ্ছে তাতে আপনারা সবাই সহযোগিতা করবেন।
আমার আরো বলার ছিল এই মহান ব্যক্তি সম্পর্কে, সময় কম থাকার কারণে ১৫ আগস্ট সম্পর্কে বক্তৃতা এখানেই শেষ করছি।
চলুন শোকাবহ এই মাসে আরো একবার প্রতিজ্ঞা করি বাংলাদেশকে শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্নের বাংলাদেশ গড়ে তুলবো। বাংলাদেশের উত্তরোত্তর মঙ্গল ও সমৃদ্ধি কামনা আমার সংক্ষিপ্ত বক্তব্য এখানেই শেষ করছি।
সকলকে ধন্যবাদ।
আরও পড়ুনঃ
১৫ আগস্ট জাতীয় শোক দিবস ২০২৩ বিস্তারিত
বঙ্গবন্ধু সম্পর্কে ১০ টি বাক্য বাংলা এবং ইংরেজিতে
১৫ আগস্ট জাতীয় শোক দিবস সম্পর্কে বক্তৃতা | 15 ই আগস্ট এর ভাষণ – নমুনাঃ ২
আসালামুআলাইকুম,
আজকের এই শোকাবহ দিনে দুঃখ ভারাক্রান্ত মন নিয়ে আবারও আপনাদের সামনে উপস্থিত হয়েছি। প্রথমেই ধন্যবাদ জানাচ্ছি অনুষ্ঠানের সভাপতি ,পরিচালক ও নেতৃবৃন্দ এবং এই অনুষ্ঠানের আয়োজকদের যাদের অক্লান্ত পরিশ্রম করে শোকের এই মাসে খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছেন।
হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সোনার বাংলাদেশে দাঁড়িয়ে স্বাধীন ভাবে নিজের মত প্রকাশ করছি এজন্য মহান নেতা ও তার পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানাই। গুরুত্বপূর্ণ এই অনুষ্ঠানে আমাকে বক্তব্য দেয়ার সুযোগ দান করার জন্য আরেকবার কর্তৃপক্ষকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি।
উপস্থিত সুধীবৃন্দ,
এই অনুষ্ঠান সম্পর্কে আপনারা সবাই অবগত, প্রতিবছরের ন্যায় এ বছরও সমগ্র বাংলাদেশে এবং বাংলাদেশের বাইরে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ এই দিনে জাতির মহান নেতা কে স্মরণ করছে।
তথাপিও আমি আপনাদের মনে করিয়ে দিচ্ছি এবং আপনারা আমাদের পিছনে থাকা ব্যানার দেখে অবশ্যই বুঝতে পেরেছেন যে আজকে আমাদের এই অনুষ্ঠানের আয়োজন এর কারণ কি? বা কেন এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে।
একজন সচেতন বাঙালি হিসেবে আপনারা সকলেই জানেন যে, বাঙালি জাতির অস্তিত্ব যখন সংকটের পথে, যখন বাঙালি জাতি নির্যাতিত স্বৈরাচারী শাসকগোষ্ঠীর হাত থেকে বাঙ্গালী জাতিকে মুক্ত করার লক্ষ্যের রাজপথে নেমেছিলেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান তার দূরদর্শি নেতৃত্ব গুনে বাংলাদেশের সকল শ্রেণী পেশার মানুষকে একত্রিত করতে পেরেছিলেন এবং পাকিস্তানী হানাদার বাহিনীর বিরুদ্ধে দেশকে রক্ষা করতে উদ্বুদ্ধ করেছিলেন।
সব শেষ ১৯৭১ সালের ২৫ শে মার্চ দেশকে রক্ষা করতে সকলকে আহবান জানিয়েছিলেন এবং একটি স্বাধীন ও সার্বভৌম দেশ হিসাবে বাংলাদেশকে ঘোষণা করেছিলেন।
সম্মানিত সুধিবৃন্দ,
তারপরের ঘটনা আপনারা জানেন, সমগ্র পৃথিবীর স্বাধীনতার ইতিহাস বিবেচনায় বাঙালি জাতির মত এত আত্মত্যাগ কোন জাতি করেনি। দুর্ভাগ্য বাঙালি জাতির, আমরা একজন মহান নেতা কে হারিয়েছি আজকের এই দিনে।
যিনি বাঙালি জাতিকে স্বাধীনতা দেওয়ার জন্য নিজের জীবনের বেশিরভাগ সময় জেলখানায় ছিলেন এবং মৃত্যু কেউ ভয় করেননি সেই জাতির কিছু বিপথগামী সদস্য তাকেই সপরিবারে হত্যা করল।
মূলত প্রত্যেক দেশেই প্রত্যেক জাতির মধ্যেই গাদ্দার বা মুনাফিক থাকে বাঙালি জাতীও আলাদা কিছু ছিল না অর্থাৎ বাঙ্গালীদের মধ্যে এমন কিছু পাকিস্তানের দোসর ছিল যারা কিনা উপরে উপরে বাংলাদেশের প্রতি আনুগত্যশীল থাকলেও মূলত তারা ছিল পাকিস্তানের দোসর।
যাইহোক বঙ্গবন্ধুকে হারিয়ে বাংলাদেশ ভুল পথে পরিচালিত হয়েছে, বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে হত্যাকারীদের বিচার সম্পন্ন হয়েছে দীর্ঘ ৩৫ বছর পর। বিশ্বের বুকে আবারো মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়েছে বাংলাদেশ।
যে মহান নেতার আত্মত্যাগের ফলে আজ আমরা স্বাধীন বাংলায় স্বাধীনভাবে চলাফেরা করছি এবং নিজের মত প্রকাশ করতে পারছি এজন্য আরো একবার ধন্যবাদ জানাই দেশের কৃতি সন্তান বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কে।
১৫ ই আগস্ট শোকের আজকের এই দিনে বক্তৃতা দেওয়ার মতো কিছুই নেই, তথাপিও আমি কিছু বর্ণনা ব্যাখ্যা করলাম।
আসুন সবাই মিলে দেশ ও জাতির দুশমন এই অপশক্তিগুলোর বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ায়। আমরা ঐক্যবদ্ধ থাকলে বাংলাদেশের মঙ্গল ও সমৃদ্ধি সাধনে এরা কোন ব্রাধাগ্রস্ত করতে পারবে না।
জনগণকে সাথে নিয়ে এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ২০৪১ সাল পর্যন্ত বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থাকবে এবং ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ে তুলবে।
বাংলাদেশ থেকে, দুর্নীতি ,অন্যায়, ও অবিচার উৎখাত করে সোনার বাংলায় পরিণত করবো যা বঙ্গবন্ধু স্বপ্ন ছিল। এই আশা ব্যক্ত করে আমি আমার সংক্ষিপ্ত বক্তব্য এখানেই শেষ করছি।
সকলকে ধন্যবাদ।
আরও পড়ুনঃ
১৫ আগস্ট জাতীয় শোক দিবস ব্যানার
এশিয়া কাপ ২০২৩ সময়সূচি । এশিয়া কাপের সময়সূচি ২০২৩ লাইভ
পদ্মা সেতু সম্পর্কে সাধারণ জ্ঞান pdf
FAQS – ১৫ আগস্ট কি দিবস
১৫ আগস্ট জাতীয় শোক দিবস।
১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধুর পরিবারের মোট ২৬ জনকে হত্যা করা হয়।
১৯৭৫ সালের ১৫ ই আগস্ট শুক্রবার ছিল।
উপসংহার,
১৫ আগস্ট সম্পর্কে বক্তৃতা ভাষন কিভাবে দিবেন এই সম্পর্কিত দুইটি নমুনা আমরা প্রদান করেছি আপনাদের। এই দুইটি নমুনা থেকে আপনি আপনার পছন্দের ১৫ আগস্ট জাতীয় শোক দিবস সম্পর্কে বক্তব্য রচনা তৈরি করে নিতে পারবেন।
মনে রাখবেন উপরোল্লেখিত আলোচনায় সংক্ষিপ্তভাবে ১৫ ই আগস্ট ১৯৭৫ সালে ঘটে যাওয়া ইতিহাসের জঘন্যতম হত্যাকাণ্ডের কিছু ইতিহাস ও ঘটনা প্রবাহের বর্ণনা তুলে ধরা হয়েছে।
তাই আপনি যদি উপরে উল্লেখিত বক্তব্য টি অনুসরণ করেন তাহলে, ১৫ আগস্ট সম্পর্কে বক্তৃতা দিতে আপনার তেমন কোন সমস্যা হওয়ার কথা নয়।
তবে মনে রাখবেন এখানে আমরা ১৫ আগস্ট সম্পর্কে বক্তৃতার কিছু নমুনা দিয়েছি। আপনি আপনার পছন্দমত শব্দগুচ্ছ দিয়ে এই নমুনা বক্তব্যকে আরো সুন্দরভাবে উপস্থাপন করতে পারেন আপনার বক্তব্যে।
এজন্য আপনাকে বক্তব্য দেওয়ার পূর্বে অবশ্যই পূর্ব প্রস্তুতি নিতে হবে। কেননা বঙ্গবন্ধুর মত মহান ব্যক্তি সম্পর্কে এবং ১৫ আগস্ট জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে বক্তৃতা প্রদান করতে আপনাকে সঠিক তথ্যগুলো ভালোভাবে জানতে হবে।
তবে আপনার বক্তব্য সৌন্দর্যমন্ডিত হবে এবং সকলের কাছে বাবার দাবিদার হবে। আশা করি ১৫ আগস্ট সম্পর্কে বক্তৃতা বিষয়ে আপনার আর কোন প্রশ্ন থাকার কথা নয়।
অনলাইন থেকে টাকা ইনকাম, টেলিকম অফার, মোবাইল ব্যাংকিং সেবা অফার সম্পর্কে নিয়মিত সঠিক তথ্য পেতে নিয়মিত ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট।
এবং জয়েন করুন আমাদের ফেসবুক পেজ।
ডিজিটাল টাচ ফেসবুক পেইজ লাইক করে সাথে থাকুনঃ এই পেজ ভিজিট করুন ।
ডিজিটাল টাচ সাইটে বিজ্ঞাপন দিতে চাইলে যোগাযোগ করুনঃ এই লিংকে।
অনলাইনে টাকা ইনকাম সম্পর্কে জানতে ভিজিট করুনঃ www.digitaltuch.com সাইট ।