দোয়া কবুল হওয়ার সূরা কোনগুলো? | কিভাবে দোয়া করলে দোয়া কবুল হয়

WhatsApp Group Join Now
Telegram Group Join Now

প্রিয় পাঠকগণ আপনারা কি জানেন দোয়া কবুল হওয়ার সূরা কোনটি? অথবা কোন সূরা পড়লে দোয়া কবুল হয় ও কিভাবে দোয়া করলে আপনাদের দোয়া আল্লাহ তা’আলা কবুল করবে? আপনাদের যদি এই বিষয়ে না জানা থাকে তাহলে আজকের এই আর্টিকেলটি আপনাদের জন্য।

আজকের এই আর্টিকেলের মাধ্যমে আমরা আপনাদেরকে আল্লাহতালা কোন উপায় দোয়া করলে আপনার দোয়াটি কল করবেন সে বিষয়ে আপনাদের কে সম্পূর্ণ জানাবো। আপনারা অনেকেই আল্লাহ তাআলার কাছে দোয়া কবুল করাতে চান। 

কিন্তু একটি নির্দিষ্ট উপায় আপনাকে দোয়া করতে হবে তবে আল্লাহ তাআলা আপনার দোয়া কবুল করবেন। আল্লাহ আমাকে এবং আপনাকে অবশ্যই তাঁর ইবাদতের জন্য তৈরি করেছেন।দুনিয়া মায়া এবং মোহ ত্যাগ করে আমাদেরকে একদিন সকলকেই পরকালে যেতে হবে।

দোয়া কুনুত বাংলা উচ্চারণ সহ

তাই আমাদের সকলের উচিত আল্লাহর এবং তার নবীদের দেখানো পথে চলা। তার মধ্যে অন্যতম হচ্ছে আল্লাহর কাছে ক্ষমা চাওয়া এবং আল্লাহর কাছে দোয়া করা। আজকের এই আর্টিকেলটি সম্পূর্ণ মনোযোগ সহকারে পড়লে অবশ্যই আপনারা আল্লাহর কাছে সঠিক নিয়মে দোয়া চাইতে পারবেন।

দোয়া কবুল হওয়ার সূরা কোনগুলো? – যে সূরা পড়লে দোয়া কবুল হয়

দোয়া কবুল হওয়ার আমল
দোয়া কবুল হওয়ার আমল

এখানে আমরা যে সূরা পড়লে দোয়া কবুল হয় এমন তিনটি দোয়া সম্পর্কে আলোচনা করব।

প্রথমটি দোয়াটি হল রোগমুক্তির দোয়া, দ্বিতীয়টি বিপদমুক্তির জন্য দোয়া এবং আর তৃতীয়টি সন্তান লাভের জন্য দোয়া।

প্রথমটি দোয়া হলো এই দোয়াটি আল্লাহর নবী হজরত আইয়ুব (আ.) দোয়া করেছিলেন-

আরবি উচ্চারণ : আন্নী মাচ্ছানিয়াদ্দুররু ওয়া আনতা আরহামুর রাহিমীন।

অর্থ : (হে আমার প্রতিপালক!) আমাকে দুঃখ-ক্লেশ (ব্যাধি) স্পর্শ করেছে, আর তুমি তো শ্রেষ্ঠ দয়ালু। -সূরা আম্বিয়া : ৮৩

এই দোয়া প্রসঙ্গে আল্লাহতায়ালা বলেন, ‘অতঃপর আমি তার (সেই) আহ্বানে সাড়া দিলাম এবং তার দুঃখ-কষ্ট দূর করে দিলাম এবং তার পরিবরাবর্গ ফিরিয়ে দিলাম, আর তাদের সঙ্গে তাদের সমপরিমাণ আরও দিলাম আমার পক্ষ থেকে কৃপাবশতঃ আর এটা ইবাদতকারীদের জন্য উপদেশস্বরূপ।’ -সূরা আম্বিয়া : ৮৪

২. হজরত ইউনুস (আ.) দোয়া করেছিলেন-

আরবি উচ্চারণ : লা ইলাহা ইল্লা আনতা সুবহানাকা ইন্নী কুনতু মিনাজ জোয়ালিমীন।

অর্থ : তুমি ব্যতীত কোনো উপাস্য নেই; তুমি নির্দোষ আমি গোনাহগার। -সূরা আম্বিয়া : ৮৭

এই দোয়া বর্ণনার পর আল্লাহতায়ালা বলেন, ‘অতঃপর আমি তার (সেই) আহ্বানে সাড়া দিলাম এবং তাকে দুশ্চিন্তা থেকে মুক্তি দিলাম। আমি এমনিভাবে বিশ্বাসীদেরকে মুক্তি দিয়ে থাকি।’ -সূরা আম্বিয়া : ৮৮

৩) হজরত জাকারিয়া (আ.) দোয়া করেছিলেন-

আরবি উচ্চারণ : রাব্বী লা তাযারনী ফারদান ওয়া আনতা খাইরুল ওয়ারিসীন।

অর্থ : হে আমার পালনকর্তা! আমাকে একা রেখ না। তুমি তো উত্তম ওয়ারিস। -সূরা আম্বিয়া : ৮৯

এই দোয়া কবুল হওয়া প্রসঙ্গে আল্লাহতায়ালা বলেন, ‘অতঃপর আমি তার দোয়া কবুল করেছিলাম, তাকে দান করেছিলাম ইয়াহইয়া এবং তার জন্য তার স্ত্রীকে প্রসবযোগ্য করেছিলাম।’ -সূরা আম্বিয়া : ৯০

ওপরে এ তিনটি দোয়া পরীক্ষিত ও গ্রহণযোগ্য, সুতরাং রোগমু্ক্তি, বিপদমুক্তি কিংবা সন্তান লাভের জন্য এসব দোয়ার মাধ্যমে আল্লাহর কাছে সাহায্য চাওয়া মুমিনের দায়িত্ব।

দোয়া কবুল হওয়ার আমল – কোন সূরা পড়লে দোয়া কবুল হয়

আপনাদেরকে আগেই বলেছি আপনাদের দোয়া কবুল হওয়ার জন্য আল্লাহ তায়ালার উল্লেখ করা কিছু আমল করা প্রয়োজন।

চলুন জেনে নেয়া যাক সে সকল আমল গুলো কিভাবে আপনারা করতে পারেন।

  1. সর্বপ্রথম আমল হিসেবে আপনারা কোরআন থেকে যে কোন অংশ তিলাওয়াত করে দোয়া করা।আপনার দোয়া কবুলের জন্য নির্দিষ্ট কোন নিয়ত, সূরা, আয়াত অথবা কোরআনের কোন নির্দিষ্ট অংশ থেকে তিলাওয়াত করার কোন ধরনের প্রয়োজন হবে না।
  2. আপনি যদি অবসর সময়ে পেয়ে থাকেন এবং আপনি সেই সময়ে দিনে অথবা রাতে নফল নামায পড়ে আল্লাহর কাছে দোয়া করেন তাহলে আপনার দোয়া কবুল হবে।
  3. রোজা রাখার মাধ্যমে আল্লাহ পাকের কাছে দোয়া করা।
  4. রোজা রাখার মাধ্যমে ইফতার সামনে রেখে দোয়া করা।
  5. যতটা পরিমাণে সম্ভব আল্লাহ তায়ালার সন্তুষ্টি অর্জনের লক্ষ্যে  দান সদকা করা।
  6. আপনি যদি নামাজ পড়েন অথবা যে কোন নেক আমল করেন সে সকল নেক আমলের উসিলা আল্লাহর কাছে দোয়া করা।

আল্লাহ পাক রব্বুল আলামিন আপনাদের এই সকল জিনিসগুলো বুঝার তৌফিক দান করুক।

এবং আপনারা সকলেই এই সকল বিষয়গুলো মেনে যদি আল্লাহর কাছে দোয়া করতে পারেন তাহলে আল্লাহ তাআলা আপনাদের দোয়া কবুল করার সম্ভাবনা অনেক বেশি।

তাই প্রতিটি মুসলমানের উচিত এই সকল আমল গুলো মাথায় রেখে দোয়া করা।

আরও পড়ুনঃ

নেক সন্তান লাভের দোয়া জানেন কি?

গলায় কাটা নামানোর দোয়া কি?

বাজারে যাওয়ার দোয়া কি?

দোয়া কবুল হওয়ার আলামত

আপনারা যদি কোন নেক আমলের উসিলা আল্লাহর কাছে দোয়া করেন তাহলে আপনার সে সকল দোয়া হলো কবুল হওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকে।

এছাড়াও আমরা সকলেই জানি আল্লাহ তাআলার কাছে অবশ্যই আপনাদেরকে যে কোন কিছু চাইতে হবে। আপনারা এভাবে চাইতে পারেন,

ইয়া আল্লাহ! আমি তোমার সন্তুষ্টির উদ্দেশ্যে কোরআন খতম, কোরআন তেলাওয়াত, ফজর কিংবা নফল নামাজ, রোজা, ইফতার, সাহরি অথবা দান সদকার ওসিলায় আমার দোয়া কবুল করুন।

আপনার কাছে আমার চাওয়া সকল প্রয়োজন এবং সমস্যার সমাধান করে দিন।

আমাকে সুস্থতা দান করুন এবং আমাকে যাবতীয় সকল ধরনের বিপদ আপদ থেকে রক্ষা করুন।

এছাড়াও আপনি আপনার কিছু চাওয়া থাকলে আল্লাহ তায়ালার কাছে তা চাইতে পারেন।

দোয়া কবুল হওয়ার উত্তম সময়

দোয়া কবুল হওয়ার উত্তম সময়
দোয়া কবুল হওয়ার উত্তম সময়

এখন আপনাদের কিভাবে দোয়া করতে হয় সে সকল বিষয়ে বিস্তারিত জানিয়েছে।

তবে এখন আপনাদেরকে কোন সময়ে আল্লাহতালা আপনাদের দোয়া করো কবুল করবেন সে বিষয়টি উল্লেখিত ভাবে জানাবো।

যে সকল সময় আল্লাহতালা দোয়া কবুল করেন-

  1. ভোর রাতে ফজরের নামাজ অথবা ফজরের নামাজের পর।
  2. যেকোনো নামাজের সিজদায় দোয়া।
  3. রোজা রাখা অবস্থায় দোয়া করা।
  4. রোজা রাখার মাধ্যমে ইফতারি করার আগ মুহূর্তে ইফতার সামনে রেখে দোয়া করা।
  5. কোন জায়গায় সফর অবস্থায় দোয়া করা।
  6. ইকামত এবং আজানের মাঝামাঝি সময় দোয়া করা।
  7. জুমার দিন আসরের পর থেকে মাগরিবের মাঝামাঝি সময়ে দোয়া করা।

আপনি যদি আল্লাহর কাছে সঠিক এবং হালাল দোয়া করেন তাহলে অবশ্যই আল্লাহ তাআলা আপনাদের সকলের দোয়া কবুল করবেন।

মহান আল্লাহ তা’আলা আমাদের সবাইকে হারাম এবং খারাপ কাজ থেকে দূরে রাখুক।

সকলেই আমরা উপরে উল্লেখিত নিয়ম অনুসারে আল্লাহ তাআলার কাছে দোয়া চাইবো ইনশাআল্লাহ।

আল্লাহ আমাদের সকলের দোয়া কে কবুল করুক। আমিন।

আরও পড়ুনঃ

পড়া মনে রাখার দোয়া কি?

আকিকার পশু জবাই করার দোয়া কি?

সবচেয়ে বুদ্ধিমান পশু কোনটি?

দোয়া কবুল হওয়ার সূরা FAQS

দোয়া কবুল হওয়ার সূরা কোনটি?

আল্লাহ তায়ালা মানুষের জন্য নির্দিষ্ট করে কোন সূরা প্রদান করেন নি। কিন্তু মানুষ যদি কোরআনের যেকোনো জায়গা থেকে পাঠ করে আল্লাহর কাছে দোয়া করে তাহলে আল্লহ তার দোয়া কবুল করবেন।

কোন সূরা পড়লে দোয়া কবুল হয়?

হজরত আইয়ুব (আ.) এর দোয়া আন্নী মাচ্ছানিয়াদ্দুররু ওয়া আনতা আরহামুর রাহিমীন সূরা পড়লে দোয়া কবুল হয়।

আল্লাহর কাছে কিছু নির্দিষ্ট সময়ে দোয়া করলে সে সময় আল্লাহ দোয়া কবুল করার সম্ভবনা বেশি থাকে। সে সময় গুলো হচ্ছে-
১. ভোর রাতে ফজরের নামাজ অথবা ফজরের নামাজের পর।
২. যেকোনো নামাজের সিজদায় দোয়া।
৩. রোজা রাখা অবস্থায় দোয়া করা।
৪. রোজা রাখার মাধ্যমে ইফতারি করার আগ মুহূর্তে ইফতার সামনে রেখে দোয়া করা।
৫. কোন জায়গায় সফর অবস্থায় দোয়া করা।
৬. ইকামত এবং আজানের মাঝামাঝি সময় দোয়া করা।
৭. জুমার দিন আসরের পর থেকে মাগরিবের মাঝামাঝি সময়ে দোয়া করা।

উপসংহার 

সুপ্রিয় পাঠকগণ আজকের এই আর্টিকেলটি দোয়া কবুল হওয়ার সূরা সম্পর্কে আপনাদেরকে বিস্তারিত জানানো হয়েছে।

আশা করছি আজকের এই আর্টিকেলটি আপনাদের ভালো লেগেছে এবং আপনারা দোয়া করার নিয়ম সম্পর্কে বিস্তারিত এই আর্টিকেলের মাধ্যমে জানতে পেরেছেন।

আপনাদের যদি এই বিষয়ে আরো কিছু জানার অথবা কোন ধরনের প্রশ্ন বা মতামত থাকে তাহলে আমাদেরকে কমেন্টের মাধ্যমে জানাতে পারেন।

আপনারা কিভাবে অনলাইন থেকে ঘরে বসেই টাকা ইনকাম করতে পারেন সে সম্পর্কে জানতে আমাদের ওয়েবসাইটে এ সংক্রান্ত আর্টিকেল প্রকাশিত হয়েছে।

আপনারা চাইলে আমাদের আর্টিকেল গুলো পড়তে পারেন এবং নিজের ক্যারিয়ারকে সমৃদ্ধ করতে পারেন।

সেই সাথে আমাদের ওয়েবসাইট সংক্রান্ত সকল আপডেট পাওয়ার জন্য চোখ রাখুন আমাদের ফেসবুক পেইজে

WhatsApp Group Join Now
Telegram Group Join Now
কমদামে মিনিট, ইন্টারনেট ও বান্ডেল অফার কিনতে ভিজিট করুনঃ এখানে ক্লিক করুন
ডিজিটাল টাচ ফেসবুক পেইজ লাইক করে সাথে থাকুনঃ এই পেজ ভিজিট করুন
ডিজিটাল টাচ সাইটে বিজ্ঞাপন দিতে চাইলে যোগাযোগ করুনঃ এই লিংকে
অনলাইনে টাকা ইনকাম সম্পর্কে জানতে ভিজিট করুনঃ www.digitaltuch.com সাইট ।

আমি একজন ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী। বাংলা ভাষায় অনলাইন থেকে টাকা ইনকাম, টেলিকম অফার এবং মোবাইল ব্যাংকিং পরিষেবা সম্পর্কে সঠিক তথ্য প্রদানের জন্য এই ওয়েবসাইটটি তৈরি করা হয়েছে।